ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

জবির সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ এএম
জবির সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা সভা হয় গতকাল। এই সভার পর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নূর নবী নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঘোষণা দেন এবং সেই অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পক্ষে কথা বলেন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করেন। এ সময় তিনি টেবিল চাপড়ে কথা বলেন ও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এতে কনফারেন্স রুমে উপস্থিত থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দীন ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে শিক্ষার্থীদের সামনে কান ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সমন্বয়ক নূর নবী। 

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, মন্ত্রণালয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটা লিখিত আকারে প্রশাসনের কাছ থেকে দাবি জানিয়েছিলাম। কয়েকজন এসে আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন, যা চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এর আগেও শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে তারা বিভিন্ন দিকে মোড় ঘুরিয়েছে। সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে সব জায়গায় তারা এসব করে। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সমন্বয়ক নেই, এটা স্পষ্ট। এ বিষয়ে জানতে জবির সমন্বয়ক নূর নবীকে একাধিকবার ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। 

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ১৯ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করে। সেখানে প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টশন উইংয়ে নাম রয়েছে জবির নূর নবীর।

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর করতে 'ইংলিশ স্কলার্স হান্ট'

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর করতে 'ইংলিশ স্কলার্স হান্ট'
শাবিপ্রবিতে ইংলিশ স্কলার্স হান্ট উদ্বোধন। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের নগর ও প্রান্তিক পর্যায়ের প্রায় দেড়শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছয় হাজার শিক্ষার্থীর ইংরেজি ভীতি দূরীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে ইংরেজি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান 'ইংলিশ স্কলার্স হান্ট'।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মিনি অডিটোরিয়ামে 'গ্র্যান্ড ওপেনিং' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়।

ইংলিশ স্কলার্স হান্টের সহকারী আহ্বায়ক উম্মে লাবিবার সঞ্চালনায় ও শাবিপ্রবির ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন ও আয়োজনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শাবিপ্রবির উপ -উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.  সাজেদুল করীম,  বিশেষ অতিথি বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেনসহ অন্য উপদেষ্টা ও অতিথিরা।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, আমি চাই এই আয়োজনের মাধ্যমে একজন আয়োজক অন্তত দুই জন শিক্ষার্থীর ইংরেজি ভীতি দূরীকরণে সহযোগিতা করুক। এভাবে প্রতি একজন শিক্ষার্থী অন্য দুইজন শিক্ষার্থীর ইংরেজি ভীতি দূরীকরণ করতে পারে তাহলে আজকের আয়োজন স্বার্থক হবে, একই সাথে আমি এই ইংরেজি শিক্ষা বিস্তার কার্যক্রমের সফলতা কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে ছিলেন 'গ্রামার আদ্যোপান্ত'।

সার্বিক বিষয়ে ইংলিশ স্কলার্স হান্টের আহ্বায়ক নাবিলা মেহজাবীন বলেন, সিলেট বিভাগের প্রায় ১৫০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সিলেট স্কলার্স হান্ট একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে। মূলত ইংরেজি ভাষাকে বুঝে শুনে মজার ছলে বিভিন্ন ধাপে আয়ত্ত করা যায় সেটিই সিলেট বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানোই ইংরেজি স্কলার্স হান্টের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি আরও বলেন, এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৬ হাজার শিক্ষার্থী এই ইভেন্টে যুক্ত হয়েছে। যেখানে রিডিং, লিসেনিং, রাইটিং, স্পিকিং এবং গ্রামারের উপর পাঁচটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং পরবর্তীতে কিছু ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত বিজয়ী শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করবো।

ইসফাক আলী/নাবিল/এমএ/

ঢাবিতে ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট রিসার্চ ডে’ উদযাপন

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
ঢাবিতে ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট রিসার্চ ডে’ উদযাপন
ঢাবিতে ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট রিসার্চ ডে’ উদযাপিত। ছবি: খবরের কাগজ

‘রিসার্চ ফর রিফরমেশন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হলো ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট রিসার্চ ডে’ (স্নাতক গবেষণা দিবস)।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে কেক কাটা, বেলুন উড্ডয়ন, রিসার্চ র‍্যালি, রিসার্চ টক ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়।

এ উপলক্ষে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজন করা হয় রিসার্চ টক ও আলোচনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার নাজিম সীমান্তের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের সভাপতি মো. ফাহিম হাসান মাহাদী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গবেষণার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। স্নাতক শিক্ষার্থীদের গবেষণার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং স্নাতক গবেষণার ধারণা এদেশে বিকশিত করার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের অবদান রয়েছে।’

মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার উদাহরণ টেনে প্রক্টর বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষায় যেমন একনিষ্ঠ পাঠচর্চা এবং নিয়মানুবর্তিতা পালন করা হয়, ঠিক তেমনভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরও পড়াশোনা এবং গবেষণার প্রতি একনিষ্ঠ মনোনিবেশ প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের মডারেটর ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুরুল করিম শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসকে নিরুৎসাহিত করে বলেন, ‘ব্রেইন ড্রেইনকে রিভার্স ব্রেইন ড্রেইনে পরিণত করতে হবে। গবেষণা সংসদের সংসদের সকল হালনাগাদ তথ্য পর্যবেক্ষণের পরিসংখ্যান পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে গবেষণা সংসদের বিভিন্ন জরিপ এবং সমীক্ষা পর্যালোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন তিনি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম সাদেক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স বিভাগের প্রভাষক মো. জহির রায়হান, গবেষণা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ও গবেষণা সংসদের সাবেক রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর মুকসিদা জাহান উপমা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, স্নাতক শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা, গবেষণাভীতি দূরীকরণ, গবেষণা ক্যারিয়ারে ধাবিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/

রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি নির্ধারণে ঢাবিতে ‘পরামর্শ বক্স’

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি নির্ধারণে ঢাবিতে ‘পরামর্শ বক্স’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য এবং অংশীজনদের পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে একটি পরামর্শ বক্স স্থাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এছাড়াও অনলাইনে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি ই-মেইল খোলা হয়েছে। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন বিষয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব অংশীজনের পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে একটি পরামর্শ বক্স স্থাপন করা হয়েছে এবং [email protected] নামে একটি ইমেইল খোলা হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘পরামর্শ বক্স ও ইমেইল ঠিকানায় ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য সব অংশীজনের প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/

সীমান্তহত্যা ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
সীমান্তহত্যা ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
সীমান্তহত্যা ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতের ঘটনায় এবং ভরতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পিত গুজব প্রচারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়।

সমাবেশে ঢাকা কলেজের ছাত্র নেতা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘ভারত একজন নিরীহ কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা রক্ত দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছি কোন দেশের আনুগত্য করার জন্য নয়। ভারত যদি আমাদের ভূখন্ডে কোন রাজনৈতিক আগ্রাসন চালায় তাহলে আমরা ভারতকে খণ্ড-বিখণ্ড করে দেব। আমরা কিন্তু ভারতের বুকের মধ্যে রয়েছি। প্রয়োজনে আমরা ছাত্র-জনতা সামরিক প্রশিক্ষণ নেব।’

ভারতীয় গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের একটি মলম পার্টি গণমাধ্যম বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়। আমরা বলতে চাই, আপনারা কখনোই এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে পারবেন না।’

বিগত ১৬ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১ হাজারের বেশি সীমান্ত হত্যা করেছে বিএসএফ উল্লেখ করে ইমরান আল নাজির নামের এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে ভারত ১ হাজার ১০০ জনেরর বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এর আগে লাশের বিনিময়ে যে সরকার ইলিশ পাঠিয়েছে, সেই সরকার এখন আর নেই। ভারতের সঙ্গে আমরা চোখে, চোখ রেখে কথা বলতে চাই। দিল্লি যদি বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, তাহলে ভারতেও অস্থিরতা শুরু হবে।’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। এ সময় ‘সীমান্তে হত্যা-কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন-রুখে দাও জনগণ’, ‘মোদির আগ্রাসন-রুখে দাও, জনগণ’সহ নানা স্লোগান দেয়।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/

চবিতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
চবিতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চর্তুথ বর্ষের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটলে ওই দিন বিকেল পাচঁটায় সিন্ডিকেট সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, সদস্য আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, 'প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় একটি কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।'

এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উড়োচিঠি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছিলেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তির দেওয়া প্রশ্নপত্র নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার তার প্রশাসন নিয়ে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আসেন। তিনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে চিঠিতে দেওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পান।

এরপর প্রশাসনের নির্দেশে পরীক্ষা কমিটি পরীক্ষা স্থগিত করার আদেশ দেয়।

মাহফুজ শুভ্র/সুমন/এমএ/