ঢাকা ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শাবিতে প্রতিবছর বাড়ছে রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
শাবিতে প্রতিবছর বাড়ছে রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কোভিডের পর থেকে প্রতিবছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বাড়ছে নতুন সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি।

এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানামুখী সমালোচনা করে এলেও পরিবর্তনের বদলে প্রতিবছর নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে বিগত শিক্ষাবর্ষের থেকে বেশি টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরগুলোর নতুন সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ফির নোটিশ থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রতি সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ফি দেন ২ হাজার ৪৩০ টাকা। কিন্তু ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৫ টাকা। এদিকে ক্রেডিট ফির ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় বিষয়গুলোর প্রতি ক্রেডিটের জন্য ১০৫ টাকা পরিশোধ করতে হতো। এখন সেটি বেড়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১১৫ এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ১৪০ টাকায় পৌঁছায়। এ ছাড়া ব্যবহারিক বিষয়গুলোর প্রতি ক্রেডিটের জন্য ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ১৬০ টাকা পরিশোধ করতে হতো। সেটি যথাক্রমে বেড়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১৭৫ টাকা এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ২০০ টাকায় পৌঁছায়।
 
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ হাসান বলেন, ‘ক্রেডিট ফি ও
সেমিস্টার ফি বাড়ার ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি শিক্ষার অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে এবং সমাজে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হলো সবার জন্য শিক্ষা সহজলভ্য করা। ব্যয়বহুল করা নয়। আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাই। প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করব, তারা যেন শিক্ষার্থীদের কণ্ঠকে উপেক্ষা না করে। ন্যায্য সমাধান দেয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, ‘আমরা মনে করি রেজিস্ট্রেশন এবং ক্রেডিট ফি এত বেশি পরিমাণে বাড়ানোয় আমাদের জুনিয়রদের ওপর চাপ বাড়ছে। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে মৌখিকভাবে কথা বলেছি। শিগগিরই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে দাবি জানাব।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছি।’ আশা করি, খুব শিগগিরই এ নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসবে।

বেরোবিতে ঈদুল আজহার জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম
বেরোবিতে ঈদুল আজহার জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ঈদুল আজহার নামাজ সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। 

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম কাম-খতিব ড. রাকিব উদ্দিন আহম্মেদ।  

তিনি বলেন, শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে নিয়ে একমাত্র ঈদের জামাতটি কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

গাজী আজম/অমিয়/

কুয়েটে অনিশ্চয়তায় শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
কুয়েটে অনিশ্চয়তায় শিক্ষক-কর্মচারীরা
ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আগে বেতন-ভাতা পরিশোধ, অবিলম্বে প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে তিন দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মঙ্গলবার (৩ জুন) শেষ কর্মদিবসেও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে কুয়েটে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার কথা। 

এদিকে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও কুয়েটবান্ধব একজন ভিসি নিয়োগ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বন্ধ থাকা বেতন ও ঈদের বোনাস দ্রুত দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত সচল করার ৩ দফা দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, তারা এক গভীর সংকট ও চরম হতাশার মধ্যে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। কুয়েটের মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ভিসি নিয়োগ না দেওয়ায় অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে। এতে প্রশাসনিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং সর্বোপরি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদুল আজহা সামনে অথচ প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার ১০০ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। যা কুয়েটের ইতিহাসে এবারই প্রথম। সে জন্য তাদের পরিবারগুলো হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। এটি শুধু একটি আর্থিক সংকট নয়, এটি তাদের মর্যাদা, সম্মান ও ন্যায্য অধিকার হরণ করার এক নির্মম উদাহরণ। 

মানববন্ধনের মাধ্যমে বক্তারা শিক্ষার পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে এনে সৃষ্ট সংকটের সুষ্ঠু সমাধানে চ্যান্সেলর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন। এসব ঘটনায় ধারাবাহিক টানাপোড়েনে কুয়েটের ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি ও পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী ভিসি ড. মো. হযরত আলী পদত্যাগ করেন।

ঈদের বন্ধে ঢাবিতে আজ থেকে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম
ঈদের বন্ধে ঢাবিতে আজ থেকে নিরাপত্তা জোরদার
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার (৪ জুন) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে থাকবে অস্ত্রধারী পুলিশ। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত এই নিরাপত্তাব্যবস্থা চলমান থাকবে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিদের এক যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে (শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, দোয়েল চত্বর, উদয়ন এবং অফিসার টাওয়ার) প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সঙ্গে প্রত্যেকটি স্থানে দুজন করে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্যাম্পাস এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সেনা সদর দপ্তরের সামরিক অপারেশন অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে আজ রাত ১০টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবন’সংলগ্ন পকেট গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঈদের বন্ধে ঢাবিতে বুধবার থেকে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
ঈদের বন্ধে ঢাবিতে বুধবার থেকে নিরাপত্তা জোরদার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার (৪ জুন) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে থাকবে অস্ত্রধারী পুলিশ। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত এই নিরাপত্তাব্যবস্থা চলমান থাকবে।

মঙ্গলবার (৩ ‍জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিদের এক যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে (শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, দোয়েল চত্বর, উদয়ন এবং অফিসার টাওয়ার) প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সঙ্গে প্রত্যেকটি স্থানে দুজন করে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্যাম্পাস এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সেনা সদর দপ্তরের সামরিক অপারেশন অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার রাত ১০টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবন’ সংলগ্ন পকেট গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

 

চবিতে ছাত্রী মেসে চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
চবিতে ছাত্রী মেসে চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে ছাত্রীদের একটি মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন ছাত্রীর প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ ওঠেছে। মূলত বাড়িওয়ালীর উদাসীনতা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রীদের।

সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। 

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, গত ১ জুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে খায়ের মেনশনে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন ছাত্রীর নগদ টাকা, সাটিফিকেট, পোশাক, প্রসাধনীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিমাণের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। এর আগেও গত বছর জুলাইয়ের ২৪ তারিখ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি বাড়িওয়ালী।  

ছাত্রীরা আরও বলেন, এছাড়াও প্রায়ই বাসার বাইরে থেকে তাদের অন্তর্বাসসহ, ফোনের চার্জার, জুতা ইত্যাদি চুরি করা হলেও বাড়িওয়ালা নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। এটা ছাত্রীদের মেস হলেও নেই সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তার কথা বলা হলে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ওই বাড়িওয়ালী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একতলা বাড়িতে মোট ৪টা রুম এবং চিলেকোঠায় একটি রুম রয়েছে। তবে, দুইটি রুম ও চিলেকোঠার একটি রুমের মোট ৪ জন ছাত্রীর মালামালা চুরি হলেও বাকি রুমগুলোর কোনো মালামালই চুরি হয়নি। 

ভুক্তভোগী একজন ছাত্রী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রাইসা জহির বলেন, আমি এবং আমার রুমমেট ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। ১ তারিখ রাতে আমাদের রুমে চুরি হয়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে এসে দেখি আমার সার্টিফিকেট, মোবাইল ফোন, কাপড়, প্রসাধনী জিনিসপত্র, নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসায় ছাত্রীরা থাকলেও নিরাপত্তার জন্য কোনো গার্ড বা সিসি ক্যামেরাও নেই। প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাড়িওয়ালী। তাকে এ বিষয়ে বলা হলে উনি বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। যেহেতু বাড়িওয়ালার উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। 

এর আগে বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা স্বীকার করে বাড়িওয়ালী মাহমুদা বেগম রিনা বলেন, চুরি কমানোর জন্য জানালার অতিরিক্ত গ্রিল লাগানো হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চুরির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উদাসীনতারও দায় দেন তিনি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, চবি কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে মেয়েদের মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা পেয়েছি বাড়িওয়ালী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত বাড়িটিতে আসা যাওয়া করেন। আপাতত অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে চোর পরিচিত কেউ-যার এ বাসার সবকিছু জানা আছে। আমরা দেখেছি শুধুমাত্র ছাত্রীদের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে, যদিও সেখানে বাড়িওয়ালার আলমিরাসহ দামী জিনিসপত্র অক্ষুণ্ণ আছে এবং চোর যাওয়ার সময় বাড়িতে তালাও লাগিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা আশা করি বাড়িওয়ালা কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করে বিষয়টির সমাধান সহজ করবেন।


মাহফুজ শুভ্র/মাহফুজ