আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে সংহতি জানিয়ে প্যালেস্টাইনের বিশাল পতাকা নিয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মিছিলের উদ্দেশে জড়ো হতে থাকেন। পরে মিছিলটি সেখান থেকে স্মৃতি চিরন্তন, ফুলার রোড হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ঘুরে ফের রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ইসরায়েল তার সমস্ত শক্তি দিয়ে নিরীহ মুসলিমদেরকে হত্যা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলিমদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধ স্বাধীনতার যুদ্ধ। তাদের এই সংগ্রাম অস্তিত্বের সংগ্রাম। যেভাবে ফিলিস্তিনে গুলি চালানো হয় ঠিক একইভাবে আমাদের ওপরেও হাসিনা গুলি চালিয়েছে। আমরা যখন ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে দাঁড়াই তখন ফিলিস্তিনের জনতার স্পিরিট আমাদের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। তাই আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’
ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুর বলেন, ‘বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ তো নিচ্ছেই না, উপরন্তু তারা কোন সমবেদনাও দেখাচ্ছে না। এই অত্যাচার নিরসনে আমরা ফিলিস্তিনি নিপীড়িত নাগরিকদের পক্ষে আমাদের সংহতি জানাচ্ছি। অতি দ্রুত যেন ফিলিস্তিনি নিপীড়িত নাগরিকদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন বন্ধ হয়। সেই সঙ্গে যেন ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হয়।’
এতে অন্যদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ ও মহিউদ্দিনসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আরাকান থেকে ফিলিস্তিন, মুক্তি পাক মুক্তি পাক’, ‘আমরা কী চাই, তোমরা কী চাও, আজাদী আজাদী’, ‘হিন্দুত্ববাদ, মুজিববাদ, নিপাত যাক নিপাত যাক’, ‘টু জিরো টু ফোর, জায়োনিজম নো মোর’, ‘ফ্রি-ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক এ দিবসটি পালনের আহ্বান জানানো হয়। এর ১০ বছর পর ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।
আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/