নিয়মিত অফিস না করে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন আলী রেজিস্ট্রার বরাবর এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, কর্মকর্তা হেলালুল ইসলাম, এটিএম কামরুল হাসান, কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদল, সাইফুল, সিকিউরিটি গার্ড আসাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এদেরকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা লিখেন, ‘বিগত ১৬ বছর দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাঠামোগতভাবে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল যবিপ্রবি তার বাইরে ছিল না। যবিপ্রবিতে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা কাজ করেছিল তারা অনেকে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বেতন তুলছেন।’
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয় ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যারা অফিস না করে বিশ্ববিদ্যালের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বেতন তুলেছেন এবং স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এটিএম কামরুল হাসান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। শনিবার (৩০ নভেম্বর) অফিসে এসে এ বিষয়ে লিখিতভাবে অবস্থান ক্লিয়ার করব। কি আইন লঙ্ঘন হয়েছে তা তারা দেখায়নি, তাই এখনো বিষয়টি আমি বুঝতে পারছিনা।’
অপর কর্মকতা মো. হেলালুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। শনিবার বিষয়টি দেখে তারপর বলতে পারব। এ বিষয়ে এখন আমি কথা বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘আমি একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি এখন প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হবে। এরপর সবকিছু খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সুমন/