সার্টিফিকেট তুলতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ছাত্রদলের দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম ফিরোজ মাহমুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ছিলেন শহিদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি বগুড়া জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ সার্টিফিকেট তুলতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে মারধর করেন। পরে তারা মতিহার থানা পুলিশকে খবর দেন।
দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে আজ দুপুর ১টার দিকে ছাত্রদলের দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, 'মামলার বাদী ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজন ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আজ দুপুরে ছাত্রদল নেতার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ১০১ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে নগরের মতিহার থানায় মামলা করেন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
১৭ অক্টোবর ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বাদী আহসান হাবিবের ফোনালাপের রেকর্ড ফাঁস হয়। এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর ওই নেতাকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আহসান হাবিবের করা ওই মামলায় ফিরোজ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/