চাকরিতে আবেদন ফি ২০০ টাকাসহ ৪ দফা দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘যখন সরকার আসে তখন বেকারত্ব দূর করতে নানা কথা বলেন কিন্তু যখন তারা ক্ষমতায় আসে এরপর তারা সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। অনেক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি তিন দিনের মধ্যে দাবি না পূরণ করা হয়, তাহলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কিন্তু আন্দোলনে যাবো।
যদিও আমরা মনে করি না, আন্দোলন করতে হবে। তারপরেও যদি করতে হয়, আমরা অবশ্যই আন্দোলনে যাবো কেননা আন্দোলনে না গেলে সরকারের কাছে কথা পৌঁছায় না। ছাত্রদের প্রতিনিধি থেকে সরকারে উপদেষ্টা রয়েছেন। এক সময় তারাও দাবির প্রেক্ষিতে লিফলেট বিলি করেছেন। এখন তারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তারাও আমাদের মতো পরিবারের সন্তান। আমরা চাই অবিলম্বে যেন অর্ডিন্যান্স জারি করে চাকরিতে আবেদনের ফি যেন ন্যূনতম ২০০ টাকা করা হয়।’
পিএসসির চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের যে স্থবিরতা রয়েছে, সেগুলো যেন অতিদ্রুত কাটিয়ে ওঠা হয়। সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদের দুর্নীতিবাজ দোসর যারা রয়েছে, তাদের যদি অবিলম্বে অপসারণ করা না হয়, প্রয়োজনে আমরা পিএসসি চলে যাবো। আমরা চাই, এই দুর্নীতিবাজ দোসরদের বিরুদ্ধে যেন তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
দাবিগুলো হলো: ১. চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে করা, ২. প্রিলি পরীক্ষার কাটমার্কস প্রকাশ করা, ৩. প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইবার নাম্বারপত্র আলাদাভাবে প্রকাশ ও প্রিলির একসেট উত্তর প্রকাশ। এ ছাড়া বিসিএস সর্বোচ্চ এক বছর আর অন্যান্য চাকরিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ৪. পিএসসি থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহ হক, সদস্যসচিব রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/