ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাবিতে বিজয় র‌্যালি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
ঢাবিতে বিজয় র‌্যালি
ঢাবিতে বিজয় র‌্যালি। ছবি: খবরের কাগজ

বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য এই র‌্যালির উদ্বোধন করেন। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে র‌্যালিটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় উপাচার্য  মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এ বছরের বিজয় দিবস উদযাপন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের ছাত্র-জনতা অনেক রক্ত দিয়ে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে। এই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের দায় ও দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এখান থেকে আমাদের পেছনে ফেরার কোন সুযোগ নেই। বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সকল বাধাবিঘ্ন ও ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা বলেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার যুদ্ধেও প্রাণকেন্দ্র ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়।

বিজয়ের যে আনন্দ শুরু হয়েছে, তা যেন আমরা সব সময় ধরে রাখতে পারি। বিশেষ করে ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে আজকে যে বিজয় র‌্যালি, এর মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবো।’

এ সময় র‌্যালিতে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ নেন।

পরে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির গান ও বিজয়ের গান) পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বিজয় র‌্যালি শেষ হয়।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/

বেরোবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে বাঁচাতে ছাত্রদল নেতার আবেদন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
বেরোবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে বাঁচাতে ছাত্রদল নেতার আবেদন
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম আল নাহিদকে বহিষ্কার না করে তার পক্ষ নিয়ে আত্মসমর্পণ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. তুহিন রানা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো.হারুন অর রশীদ বরাবর একটি আবেদন পত্র জমা দেন এই ছাত্রদল নেতা। এ সময় সিয়াম আল নাহিদের স্বাক্ষরটাও তুহিন নিজেই করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

জানা যায়, সিয়াম আল নাহিদ ইইই বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। এর আগে সিয়াম দুইবার অকৃতকার্য হয়। তাই এবার বহিষ্কার হলে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

সূত্র জানায়, জুলাইয়ের আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ছবি, ভিডিও ফুটেজসহ একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায় ছাত্রলীগ নেতা সিয়ামের বিরুদ্ধে। এছাড়া সিয়ামের রুম তল্লাশি করে হল কর্তৃপক্ষ হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র এবং মাদক সামগ্রীও পেয়েছিল। 

উল্লেখ্য, সিয়াম আল নাহিদসহ ৭১ জনকে জুলাইয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেটে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে।

এদিকে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকে বাঁচানোর জন্য তার হয়ে (সিয়াম আল নাহিদ) আত্মসমর্পণপত্র জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তুহিন রানা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে তীব্র আলোচনা সমালোচনা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেরোবির অন্যতম সমন্বয়ক এস এম আশিকুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যারা অস্ত্র, লাঠি নিয়ে মাঠে নেমেছিল, তারা কখনোই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। অপরাধী যে কেউ হোক না কেন, কোনো ছাড় হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা অন্য কোনো কুচক্রীমহল যদি কোনোভাবে কোনো অপরাধীকে বাচানোর চেষ্টা করে, তা কোনোভাবেই আমরা মেনে নেব না।’

এ বিষয়ে তুহিন রানা বলেন, ‘আমি মানবিক কারণে তার এই আত্মসমর্পণ পত্রটি তার হয়ে জমা দিয়েছি। কারণ সে এর আগে দুইবার অকৃতকার্য হয়েছে। আর একবার অকৃতকার্য হলে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাবে।’

এ বিষয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আল আমিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতাম না। এই মাত্র জানলাম। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো.হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মসমর্পণ আবেদনপত্র জমা দিতেই পারে এটা তার অধিকার। আবেদনপত্রটি শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠানো হবে। 

গাজী আজম হোসেন/মাহফুজ 

 

ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আবাসিক সিট বরাদ্দের উদ্যোগ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আবাসিক সিট বরাদ্দের উদ্যোগ
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। ছবি: খবরের কাগজ

কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আবারও শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক সিট বরাদ্দের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই হলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাপেক্ষে নতুন ছাত্রদের সংযুক্তি প্রদানের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মেরামত কাজের নকশা প্রণয়ন ও পরামর্শ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং এন্ড কনসালটেশনকে

(বিআরটিসি) ইতোমধ্যেই নিযুক্ত করা হয়েছে।

পাশাপাশি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে নতুন একটি ভবন নির্মাণেরও নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জরিপের কাজ সম্পন্ন করেছে প্রকৌশল দপ্তর।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/

জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী ক্যাম্পাস রাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থীরা কীভাবে দেখছেন?

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
সাধারণ শিক্ষার্থীরা কীভাবে দেখছেন?
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির একটি সোনালি ইতিহাস রয়েছে। তবে ’৭১-পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নেই বেশি তৎপর ছিল। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্যাম্পাস রাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এর অন্যতম কারণ হলের সিট দখল, গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি, ক্যাম্পাসে ভিন্ন মতামতকে দমন-পীড়ন ইত্যাদি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জোরাল দাবি ওঠে। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এর পক্ষে হয় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ-সমাবেশও। তবে সুষ্ঠু ধারার ক্যাম্পাস রাজনীতির পক্ষেও অনেক শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে দেশের ক্যাম্পাসগুলোয় বিভিন্ন দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যক্রমও দৃশ্যমান। ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনোভাব তুলে ধরতে আমাদের আজকের এ আয়োজন।

শাহরিয়ার আদনান প্রান্ত

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্ররাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট সিন্ডিকেটের ৮৫তম (বিশেষ) সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যা অবিলম্বে কার্যকর হয়।

অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি এবং সিট দখলের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে, যা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত করে।

অন্যদিকে, কিছু শিক্ষার্থী এবং সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, ছাত্রদল এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মতো সংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। এমনকি, কিছু সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীও এখন ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

কিছু শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, অন্যরা এর বিরোধিতা করছেন এবং ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি স্পষ্ট যে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা ও সমাধানের প্রয়োজন।

ইমরান হোসাইন আদিব

প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্ররাজনীতিকে আমরা পুরোপুরি উপেক্ষা করতে পারি না। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে অনেকে অপছন্দ করতে পারে কিন্তু অস্বীকার না। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ছাত্ররাজনীতি একটা সাধারণ ও নিয়মিত বিষয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা অপরিসীম। ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দল, বিপক্ষ দল হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের ছাত্ররাজনীতি চলে তবে সবার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা।

বর্তমান সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের ছাত্র সংগঠনের সক্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। যার সিংহভাগই বিগত লম্বা একটা সময় ধরে এই সক্রিয়তার সুযোগ পায়নি। তাই সেই স্বাধীনতা পাওয়ার পর তাদের প্রধান ধ্যান ধারণা হওয়া উচিত নিজেদের কর্ম তৎপরতা, সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজেদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো। তবে বর্তমান সময়ে এর উল্টো চিত্রও দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতা প্রদর্শন ও দখলদারত্ব নিয়ে ছাত্র রাজনৈতিক সংঘটনগুলোর মাঝে একটা প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সবার মাঝে কেমন একটা ভারসাম্যহীনতা চোখে পড়ছে। মাঝে মধ্যে সংবাদপত্রের শিরোনামে দেখতে হয় অমুক সংঘটনের দলীয় ছাত্র কর্তৃক একজন আক্রমণের শিকার হচ্ছে, হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে সামগ্রিক স্বার্থ না চিন্তা করে শুধু দলীয় ক্ষমতা প্রদর্শনের এই সংস্কৃতি বন্ধ না করতে পারলে ছাত্ররাজনীতি ও সংঘটনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা হারাবে।