ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

গঠনতন্ত্র সংস্কার করে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দাবি

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
গঠনতন্ত্র সংস্কার করে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দাবি
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গঠনতন্ত্র সংস্কার এবং অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষার্থী সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। 

সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি নুজিয়া হাসিন রাশা বলেন, ‘মাত্র পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুধু গণতন্ত্র কায়েম হয় না। একটা দেশে গণতন্ত্র আনতে শিল্প-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র চর্চার থাকার পাশাপাশি প্রতিনিধি নির্বাচন থাকতে হয়। স্বৈরাচার এরশাদের পর ডাকসু নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। বিগত ১৫ বছরে কোনো সুষ্ঠু ডাকসু নির্বাচন নেই। সর্বশেষ ২০১৯ সালে যে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচন না হয়, গণতন্ত্র কখনোই ফিরবে না। প্রতিনিয়তই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আমরা তোমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছি। কিন্তু কারা এই প্রতিনিধি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা কি আমাদের প্রতিনিধি, তাদের কি আমরা নির্বাচিত করেছি?’

এ সময় তিনি অবিলম্বে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্থার করে অবিলম্বে ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান। এ ছাড়া অবিলম্বে ঢাবিতে ‘ডাকসু কি এবং কেন চাই, এ নিয়ে আলোচনা’র আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

সাধারণ সম্পাদক সামি আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা একটি বিপ্লবের মধ্যে যাওয়ার পরও আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ৫ আগস্টের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসার পর তারা বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ডাকসুর বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত হলে আবাসন সংকট থেকে শুরু করে বিভাগগুলো সমস্যা রয়েছে গিয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীর সমস্যা নিরসনে ডাকসুর গণতন্ত্রে ক্ষমতা কাঠামো সংস্কার করে অবিলম্বে যেন ডাকসু নির্বাচন দেওয়া হয়।’ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ইসরাত জাহান ইমুসহ বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর নেতারা বক্তব্য রাখেন।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/ 

অমর একুশে উদযাপনে ঢাবির প্রস্তুতি সভা

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
অমর একুশে উদযাপনে ঢাবির প্রস্তুতি সভা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: খবরের কাগজ

যথাযোগ্য মর্যাদায় সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটিসহ ১৩টি উপকমিটি গঠন করা হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সব কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে সমন্বয়কারী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজাকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদকে সদস্যসচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া এ উপলক্ষে ১৩টি উপকমিটি গঠন করা হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, অফিস প্রধানরা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতিগুলোর প্রতিনিধিরা।

 

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম সকাল ১০টায় দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এ উৎসব পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের চমৎকার এ আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন।

উৎসবে শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরণের পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধারণ করে এবং শীতের গতি প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্বাদের পিঠা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ধরণের ও স্বাদের পিঠা নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের এই উৎসবে অংশগ্রহণ তারই প্রমাণ। আজকের পিঠা উৎসব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের আয়োজনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও উপাচার্য আশ্বাস দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞপ্তি

ঢাবিতে গাছে ঝুলন্ত মরদেহের পরিচয় মিলেছে

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
ঢাবিতে গাছে ঝুলন্ত মরদেহের পরিচয়  মিলেছে
ঝুলন্ত মরদেহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এলাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন গণিত ভবনের কাছের এক মেহগনি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম আবু সালেহ (৪৫)। তিনি ঢাকা কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে খোঁজ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় শাহবাগ থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে পথচারীরা ওই গাছের ডালে একটি ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিমকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের ধারণা, আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখানে আমাদের কোনো কাজ নেই। তারপরেও ওসিকে বলে রেখেছি, পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট ও নিহতের নাম-পরিচয় আমাদের জানিয়ে রাখতে।’

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর খালিদ বলেন, ‘আপাতত লাশটি মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

ইবিতে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা থাকলে ব্যবস্থা

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
ইবিতে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা থাকলে ব্যবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে গোপনে বা প্রকাশ্যে কারোর সম্পৃক্ততা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে গোপন অথবা প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ কিংবা সহযোগিতায় সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিতিতে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে কেউ প্রকাশ্যে বা গোপনে জড়িত থাকলে বা সহযোগিতা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

নিয়ামত/মাহফুজ

 

ছাত্র আন্দোলনে হামলা বেরোবির ৭১ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারে আলটিমেটাম

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
বেরোবির ৭১ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারে আলটিমেটাম
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শহিদ আবু সাঈদ হত্যা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ৭১ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বেরোবির মিডিয়া সেন্টারে অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লঘু শাস্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই আলটিমেটাম দেয় তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব রহমত আলী, সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন, আশিকুর রহমান, শিক্ষার্থী সাকিব, হাবিব প্রমুখ।

এ সময় সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, ‘যেখানে রেগিং করলে ১ সেমিস্টার বা ২ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়, সেখানে আবু সাঈদকে যারা প্রকাশ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের ১ সেমিস্টার বা ২ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এই বিচার মানি না।

আমাদের দাবি, প্রশাসন এই বিচার পুনঃমূল্যায়ন করুক এবং যারা আবু সাঈদ হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।’

মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব রহমত আলী বলেন, ‘যারা প্রকাশ্যে আমাদের ভাইদের ওপরে হামলা চালিয়েছে, প্রশাসন এখনো তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারেনি। আমরা প্রশাসনের পদক্ষেপকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’

সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৭১ জনের বিরুদ্ধে যে শাস্তির ব্যবস্থা করেছে, তা প্রহসন। কারণ অস্ত্রধারীরা ১/২ সেমিস্টার পরে এসে আমাদের ওপর সরাসরি গুলি চালাবে। অবিলম্বে এই শাস্তি পুনঃমূল্যায়ন করে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। তিন দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে স্থায়ী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য মতে, গত ৫ জানুয়ারি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. শওকাত আলী গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে যোগ দিয়েই ১০৭তম সিন্ডিকেট সভায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁজে বের করে তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেন।

কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে গত বছর ২৮ অক্টোবর ১০৮তম সভায় ৭১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে ২ সেমিস্টার বহিষ্কার ও ২৩ জনকে ১ সেমিস্টার করে বহিষ্কার এবং ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাদের অধিকাংশই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী।

তবে সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বাইরেও বেশ কয়জন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জড়িত থাকার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলেও তাদের বিষয়ে কোনো কমিটি গঠন কিংবা সিদ্ধান্ত হয়নি।