ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত শাবিপ্রবির

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত শাবিপ্রবির
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : খবরের কাগজ

অনেক আলোচনা-সমালোচনা, মানববন্ধন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া আলটিমেটামের ফলাফল হিসেবে অবশেষে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ বিকাল ৩টায় নির্ধারিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি ও বিস্তারিত নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হবে। ইতোমধ্যে ভর্তি কমিটি এসব বিষয়ে কাজের অগ্রগতি অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত ২৫ নভেম্বর শাবিপ্রবিকে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দাবিতে তারা মানববন্ধন করেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

এদিকে গত ২৭ নভেম্বর খবরের কাগজে ‘গুচ্ছ নাকি স্বতন্ত্র; যেদিকে যাচ্ছে শাবিপ্রবি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মতামতের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়- কেন শাবিপ্রবির গুচ্ছে থাকা উচিৎ নয়।

প্রতিবছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ভোগান্তি কমাতে ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা এ প্রক্রিয়ার প্রশ্নের মান, স্বচ্ছতা, জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আগের মতো স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবি জানিয়ে আসছিল। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে অভিমত ছিলো শিক্ষকদেরও।

ইসফাক আলী/জোবাইদা/অমিয়/

কুয়েটে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
কুয়েটে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি:  খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কুয়েটের ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা ৫টি ছাত্রহলের তালা ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সভায় উপস্থাপন করা হয়। এরপর ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু হবে। সব আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তবে গত দুই দিনেও কুয়েট প্রশাসন তাতে সাড়া দেয়নি। তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের সামনে গিয়ে শিক্ষকদের তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু শিক্ষকরা তাতে সাড়া দেননি। এরপর আন্দোলনকারীরা ৫টি ছাত্রহলের তালা ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পাশাপাশি তারা ছাত্রহলগুলোতে অবিলম্বে পানি সরবরাহ, ইন্টারনেট চালু, ছাত্রদের নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা ও দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্ক্রম শুরুর দাবি জানান।
  
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘যে ৩৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, প্রশাসন তাদের নাম প্রকাশ করছে না। আমরা মনে করছি, এই তালিকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নাম রয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে হামলাকালে ভিসি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছেন। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছেন।’ 

প্রসঙ্গত, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে বিরোধে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে স্থানীয় এক বাসিন্দা আদালতে মামলা করেন। এসব কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সেই কারণে প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ডিসেম্বর মাস থেকেই বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ ও অগ্রগতি সংবলিত পথ নকশা প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামী মে মাসে নির্বাচন কমিশন গঠন ও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

মেহেদী/

উচ্চশিক্ষায় ইউরোপের জনপ্রিয় বৃত্তি ইরাসমুস মুন্ডুস

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
উচ্চশিক্ষায় ইউরোপের জনপ্রিয় বৃত্তি ইরাসমুস মুন্ডুস
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়ালেখা করতে যান। ইউরোপভিত্তিক প্রেস্টিজিয়াস বৃত্তিগুলোর একটি হলো ইরাসমুস মুন্ডুস। যে প্রোগ্রামে টিউশন ফি, লাইব্রেরি ফি, পরীক্ষা ফি, গবেষণাসংক্রান্ত ফি, বিমান খরচসহ জীবনযাত্রার অর্ধেক খরচ দেওয়া হয়। যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর হলো, একাধিক দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি থাকায় এই স্কলারশিপের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সের শিক্ষার্থীরা কোর্স চলাকালে কমপক্ষে ২টি ভিন্ন দেশের দুটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন।

এই প্রোগ্রামের আওতায় ১৫০টি বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: প্রকৌশল, কৃষি, ভেটেরিনারি, ব্যবসায় প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, আইন, গণিত, মানবিক ও কলা ইত্যাদি। এসব বিষয় থেকে আপনি সর্বোচ্চ তিনটি প্রোগ্রামে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। বিষয়গুলো সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করতে পারেন।

  • https://eacea.ec.europa.eu/erasmus-plus/emjmd-catalogue_en (মাস্টার্স প্রোগ্রাম)
  • https://ec.europa.eu/research/mariecurieactions/(পিএইচডি প্রোগ্রাম)

স্কলারশিপের সুযোগ সুবিধাসমূহ: স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেন:

  • টিউশন ফি
  • মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয়
  • যাতায়াতের এর বিমান ভাড়া
  • স্বাস্থ্য বিমা

আবেদনের যোগ্যতা
ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপের জন্য আপনার নিম্নোক্ত যোগ্যতা থাকতে হবে:
 সাবজেক্ট অনুযায়ী যোগ্যতা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনি যে বিষয়ে পড়তে চাচ্ছেন সে বিষয়ে পড়তে কী কী যোগ্যতা লাগে, সেটা খেয়াল করতে হবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য পাবেন।
আইইএলটিএস পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে। আপনি যে বিষয়ে আবেদন করছেন সে অনুযায়ী আপনার আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন পড়বে। সাধারণত ৬.০০ চাওয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে আইইএলটিএস ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে Medium of Instruction (MoI) সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। একাডেমিক ভালো ফলাফল থাকতে হবে। গবেষণাপত্র থাকলে সুবিধা হবে।

আবেদনের সময়সীমা
প্রতিবছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর/জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আপনি এই প্রোগ্রামের অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। এই প্রোগ্রামে আপনাকে শুধু তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবপেজে ডকুমেন্ট আপলোড করলেই হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন পড়বে-

  • অনলাইন আবেদন ফর্ম
  • একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের কপি
  • রিকমেন্ডেশন লেটার    
  • মোটিভেশন লেটার 
  • সিভি
  • আইইএলটিএস'এর সনদ
  • কাজের অভিজ্ঞতার সনদ
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • পাসপোর্টের কপি

আবেদন প্রক্রিয়া
ইরাসমুস মুন্ডুস-এর ওয়েবসাইট থেকে কোর্স বেছে সেই কোর্সে আবেদন করতে হবে। সেই সময় আপনি স্কলারশিপের জন্যও ফরম পূরণ করবেন। এরপর কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আবেদন করার জন্য কোনো প্রকার ফি দিতে হয় না। আবেদন করতে ভিজিট করুন:
https://ec.europa.eu/programmes/erasmus-plus/opportunities/individuals/students/erasmus-mundus-joint-master-degrees_en। সূত্র: studyspice.com

/রিয়াজ

কুয়েটে হামলার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, হল বন্ধ

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১২ এএম
কুয়েটে হামলার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, হল বন্ধ
কুয়েটের প্রশাসনিক হলের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষা কার্যক্রম চালু ও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল থেকে ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সভায় উপস্থাপন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সকল আবাসিক হলসমূহ ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।’

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে বিরোধে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।

মাকসুদ রহমান/অমিয়/

বর্ণিল আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
বর্ণিল আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপন
ছবি: খবরের কাগজ

শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গ্রামীণ পালাগানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এ আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং ঢাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।

‘বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরও ভালো’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাজানো হয় এবারের বৈশাখী উৎসব।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বের হয় নববর্ষ শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি রায়সাহেব বাজারের ঐতিহাসিক ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এবারের শোভাযাত্রার থিম ছিল ‘বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতি’। এতে গরুর গাড়ি, পশুপাখির প্রতিকৃতি, ফুলের সাজসজ্জা ও গ্রামীণ উপকরণ স্থান পায়।

বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলেই আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদযাপন করতে পারছি। এই অর্জন ধরে রাখতে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।’

বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে উৎসবমুখর পরিবেশ। নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় দর্শকরা উপভোগ করেন নানা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে গান পরিবেশন করে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘অ্যাশেজ’। পাশাপাশি মঞ্চ কাঁপায় ‘চান্দের গাড়ি’, ‘মেটাল ইরর’, ‘কিম্ভূত’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘অফসাইড’-সহ একাধিক একক শিল্পী।

দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা এ বছর প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিজ্ঞান অনুষদ, মুক্তমঞ্চ এবং রফিক ভবনের নিচে স্থাপিত স্টলগুলোতে পাওয়া যায় হস্তশিল্প, পিঠা-পুলি, গয়না, গ্রামীণ খেলনা, বই ও প্রকাশনা সামগ্রীসহ নানা ঐতিহ্যবাহী পণ্য।

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি চর্চা ও সৃজনশীলতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

মুজাহিদ/সালমান/