শিক্ষার্থীদের মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাত্র ৩৫০ টাকা খরচ করেই করা যাবে বাধ্যতামূলক এ ডোপ টেস্ট, ফলাফল পজিটিভ আসলে আবাসিক হলের আসন বাতিল হবে শিক্ষার্থীদের। আর অতিরিক্ত মাদকাসক্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করা হবে কাউন্সিলিং।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডোপ টেস্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৯৫০ টাকা খরচে ডোপ টেস্টের কথা বলা হলেও শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও খরচ বিবেচনা করে চবি মেডিকেল সেন্টারেই ডোপ টেস্টে কার্যক্রম চালু করে কর্তৃপক্ষ।
প্রথম দিনের এ টেস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োক্যামিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে নমুনা।
উদ্বোধনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এসে মূত্রের নমুনা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। হল অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের দিতে হবে নমুনা। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীসহ কর্মচারীদেরও ডোপ টেস্টের আওতাভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা যদি মাদকের ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারি তাহলে সাপ্লাই অটোমেটিকলি কমে যাবে। সম্ভবত এটি দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। আমরা মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস যদি গড়তে পারি তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও তা অনুকরণীয় হবে। এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অত্যন্ত খুশি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা যতগুলো কাজ করেছি তার মধ্যে এই কাজটিতে সবচেয়ে বেশি সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা মাদকাসক্ত চিহ্নিত করার থেকে তাদেরকে সংশোধনের কথা বেশি চিন্তা করছি। আমরা এক্ষেত্রে তাদের ডেটাগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করবো।
মাহফুজ শুভ্র/মাহফুজ/এমএ/