ঢাকা ২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

জবিতে এসপিএসএস ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট বিতরণ

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
জবিতে এসপিএসএস ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট বিতরণ
জবিতে এসপিএসএস ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত। ছবি: খবরের কাগজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এসপিএসএস (স্ট্যাটিসটিক্যাল প্যাকেজ ফর সোশ্যাল সাইন্স) ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এই প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান। আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন খান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীরা। 

তিন দিনের সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সানওয়ার হোসেন এবং ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে ছিলেন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামিমা ফেরদৌসি বন্যা ও বর্তমান শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা। 

তিন দিনব্যাপী এই ট্রেনিংয়ে ডাটা এন্ট্রি, ফ্রিকোয়েন্সি টেবিল, ডাটা অ্যানালাইসিস, গ্রাফ চার্ট তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয় শেখানো হয়। কোর্সটি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল, যারা এখন রিসার্চ মনোগ্রাফ করছে।

এ ছাড়াও অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও এই কোর্সে অংশ নেন। 

এ বিষয়ে ফ্যাসিলিটেটর সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, যেহেতু গবেষণার সঙ্গে এসপিএসএস সফটওয়্যার ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে তাই এই ট্রেনিং প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজে উৎসাহী করে তুলতে এবং সুষ্ঠুভাবে গবেষণা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। সেই সঙ্গে আশা রাখি সমাজবিজ্ঞান বিভাগ নিয়মিত এই ধরনের সেশনগুলো আয়োজন করবে।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ তিন দিনব্যাপী SPSS ট্রেনিং সেশনের আয়োজন করেছে। এ ধরনের শিক্ষণ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা গবেষণাধর্মী কাজে অবদান রাখতে পারবে। আমি মনে করি, প্রায়োগিক শিক্ষণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আলাদা এক আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এগিয়ে যেতে অনেক বেশি সহায়ক হবে। এই প্রশিক্ষণের ফলে সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা NGO, INGO-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরতে সক্ষম হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা আরও বেশি মাত্রায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গবেষণায় এমন প্রশিক্ষণ তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

মুজাহিদ/নাবিল/

কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির নতুন আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির নতুন আহ্বায়ক কমিটি
আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ ও সদস্য সচিব শ্রাবণী কবির এ্যামি

কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির (কনকসাস) নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) সমিতির কার্যালয়ে এক সাধারণ সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন শাহীন আহমেদ (বাংলাদেশ প্রতিদিন) ও শ্রাবণী কবির এ্যামি (আজকের পত্রিকা) সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন - আতিক হাসান শুভ (যুগ্ম আহ্বায়ক), রবিউল ইসলাম রেজা (সদস্য) ও পার্থ সাহা (সদস্য)।

এর আগে কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে এই পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

/আবরার জাহিন

ববির প্রভিসিকে ভিসির পাল্টা নোটিশ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
ববির প্রভিসিকে ভিসির পাল্টা নোটিশ
ছবি : খবরের কাগজ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সব বিভাগের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি সভার আহ্বান করেছিলেন প্রভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি। তবে প্রভিসির নোটিশকে বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাল্টা আরেকটি নোটিশ জারি করেন ভিসি অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুটি নোটিশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রভিসির দপ্তরের সাকিজ উদ্দিন তালুকদার স্বাক্ষরিত নোটিশে দেখা যায়, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা ১১টায় প্রভিসির অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভার আহ্বান করা হয়। সেখানে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পাল্টা নোটিশে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে করে আরেকটি নোটিশ জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন ভিসি। তার নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো পত্র কোনো দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশে প্রেরণ করতে পারেন না। যদি কেউ এ রকম পত্র প্রেরণ করেন, সেটি বিধিবহির্ভূত। সঙ্গত কারণে উপ-উপাচার্যের নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটি নিয়মবহির্ভূত। উক্ত পত্রটি কোনোভাবেই কোনো শিক্ষককে আমলে না নেওয়ার জন্য উপাচার্যের নিদের্শক্রমে অনুরোধ করা হলো।'

পাল্টা নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, 'উপাচার্যের নির্দেশক্রমে আমি চিঠি দিয়েছি। উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই আমি চিঠি দিয়েছি। আমি তার সচিব। তার আদেশ-নির্দেশ শোনাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কাজ।'

তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬-এর ১১ ক (৩) ধারায় দেখা যায়, 'প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর একাডেমিক বিষয়াবলি, ভাইস-চ্যান্সেলরের অবর্তমানে তিনি দৈনন্দিন দায়িত্ব বা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন, সংবিধি ও বিধানাবলি বিশ্বস্ততার সঙ্গে পালন করবেন।'

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি বলেন, 'আমাকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা। একাডেমিক বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব আমার। আমি আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালনে অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কি বসতে পারি না? এটা বিধিবহির্ভূত হয় কীভাবে? বরং আইন অনুযায়ী আমাকে আমার দায়িত্বগুলো গত তিন মাসেও বুঝিয়ে না দিয়ে উপাচার্য আইনভঙ্গ করেছেন।'

তবে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জাকির হোসেন/জোবাইদা/

গুচ্ছেই থাকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
গুচ্ছেই থাকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি : খবরের কাগজ

গুচ্ছ থেকে বের হয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২৪-২৫) থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অবশেষে গুচ্ছতেই থাকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৮তম জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় আবারও গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, 'সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'  

জাকির/জোবাইদা/

শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করল যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম
শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করল যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফের বক্তব্যের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নামফলক পরিবর্তন করে 'শহিদ আবরার ফাহাদ একাডেমিক ভবন'সংবলিত ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মশিউর রহমান হল থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা "শেখ হাসিনার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও", "স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না", "আজকের এই দিনে, আবরার তোমায় মনে পড়ে", "সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ", "ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মিছিল শেষে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী হান্নান হোসেন বলেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য শহিদ আবরার ফাহাদকে স্বৈরাচারীর দোসররা পিটিয়ে হত্যা করেছিল। তারই স্মরণে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অ্যাকাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। 


শিক্ষার্থী হোসাইন মো. আল আরমান বলেন, 'নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা অবগত করেছিলাম স্বৈরাচার শেখ পরিবারের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করার জন্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভ্রুক্ষেপ না করায় আমরা নাম পরিবর্তন করে রেখেছি শহিদ আবরার ফাহাদ অ্যাকাডেমিক ভবন।'

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন আলী বলেন, 'আমরা গত বছরের ২৭ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর নাম পরিবর্তনের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা মতবিনিময় সভাও করেছিলাম। কিন্তু ফলাফল শূন্য।'

মোতালেব হোসাইন/জোবাইদা/

বেরোবির ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ এএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ এএম
বেরোবির ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি
ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিভিন্ন ময়লার ডাস্টবিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় রাখা ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবিসহ নতুন ১০টি ডাস্টবিন স্থাপন করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন জায়গায় এসব ডাস্টবিন স্থাপন করেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম মণ্ডল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।’

‘বিপ্লবী ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টের জায়গা যে ময়লার স্তূপে, খুনি হাসিনার প্রতিকৃতিসংবলিত ডাস্টবিন স্থাপন করে আজ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেটা প্রমাণ করে দিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সচেতনতা বাড়ানো এবং ফ্যাসিস্টের প্রতি তাদের যে ঘৃণা, সেটির প্রতিফলন হয়ে থাকবে এই খুনি হাসিনার প্রতিকৃতিসংবলিত ডাস্টবিন।’

আবির রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদকে যে মানুষ ঘৃণা করে, তার (শেখ হাসিনা) প্রতিকৃতি হিসেবে এই ডাস্টবিন। বেরোবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধীর একটি প্রতীক আজ স্থাপন হলো।’