ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন-অর-রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুন-অর-রশিদ। তিনি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করা হয়। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের সামনে তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন।

প্রকাশ্যে জুলাইয়ের আন্দোলনের বিরোধিতা ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি আন্দোলন পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত ছিলেন এবং আবার শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসে আন্দোলনকারীদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়া হবে মর্মে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষা শুরু হয়। যেখানে অংশ নেন মামুন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পারলে তারা পরীক্ষা হলের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে অতর্কিতভাবে কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় দেন। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে নিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিভাগের শিক্ষকরা বলেন, ‘সে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। পরে আমরা তাকে আসার জন্য নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু আজকে সে কখন এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছে বলে মনে করি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে পরীক্ষা দিতে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরপরও সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। আসার পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি-না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তাকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি, সে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত আরমান মীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় গত ৩০ অক্টোবর মামলা করেন। ওই মামলায় মামুন-অর-রশিদ ১৮ নম্বর আসামি।

গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরে গত ৭ জানুয়ারি তিনি জামিন পান।

নিয়ামতুল্লাহ/নাবিল/

আ.লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনশনে ঢাবির আরও ২ শিক্ষার্থী, অসুস্থ ১

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
আ.লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে অনশনে ঢাবির আরও ২ শিক্ষার্থী, অসুস্থ ১
আমরণ অনশনে বসা ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই শিক্ষার্থী। এবার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরও দুইজন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বলে দাবি ওই শিক্ষার্থীদের। ওই শিক্ষার্থীদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত না হচ্ছে তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা ওই শিক্ষার্থীরা অনশনে বসেছেন। একজন অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েছেন। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক ও ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের আবু সাঈদ। এর মধ্যে ওমর ফারুক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি তাদের। এছাড়া শনিবার সংহতি জানিয়ে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াহেদ এবং ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।

জানা যায়, শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের গ্রুপ শিক্ষার্থী সংসদে স্ট্যাটাস দেন পরে অনেক শিক্ষার্থীই সংহতি জানান। এর মধ্যে সাঈদও অনশনে বসার ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন। এদের সঙ্গে শনিবার ওয়াহেদ ও ফজলুরও অনসনে বসেন।

আবু সাঈদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার না করা হচ্ছে, আমরা এখান থেকে সরছি না। আমরা চাই, অবিলম্বে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবি নিশ্চিত করা। এখন পর্যন্ত শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাছাড়া কেউই আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।’

একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওমর ফারুক ভাই কিছুটা অসুস্থ। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হচ্ছে, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো আশ্বাস না দিচ্ছেন, আমরা আমাদের অনশন চালিয়ে যাব।’

এদিকে শনিবার অনশনে বসা আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘তাদের দাবি যৌক্তিক এবং এই দাবির প্রতি আমাদেরও সমর্থন রয়েছে। আমরা দুই বন্ধু আজ সংহতি জানিয়ে তাদের সঙ্গে অনশনে বসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হচ্ছে, আমরা কেউ এখান থেকে উঠছি না।’

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

জবির 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম
জবির 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে 'বি' ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিন শিফটে (সকাল ৯টা, দুপুর ১টা, বিকেল ৪টা) এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই ইউনিটে আসন সংখ্যা ৭৮৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা গভ. মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বি-ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪২ হাজার ৯৭৪ জন পরীক্ষার্থীর জন্য আসন বিন্যাস করা হয়। ১ম ও ২য় প্রতি শিফটে ১৫ হাজার ১৩৮ জন করে এবং ৩য় শিফটে ১২ হাজার ৬৯৮ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। ১ম ‍শিফটে ৮৭ শতাংশ, ২য় শিফটে ৮৬ শতাংশ ও তৃতীয় শিফটে প্রায় ৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তিন শিফটের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও পরিবেশ সন্তোষজনক ছিলো এবং পরীক্ষা আয়োজনে সফলতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পরীক্ষায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য ছিলো ২৪ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ছিলো ৪৮ নম্বর। পরীক্ষার বিষয় ছিলো বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান।

এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জবির 'ডি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এবং 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

 

মুজাহিদ/মেহেদী/

বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, ‘বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৮ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছে। অত্যন্ত কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তবে তাদের অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহযোগিতা করবে। ভর্তির সুযোগ না পেলে শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই মানসিক ট্রমার শিকার না হয়, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেটি ঘটেছে সেটি দেখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। মূখ্য সমন্বয়কের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আমাদের যে কমিটি কাজ করে, সেই কমিটি গত পুরো সপ্তাহ যাবত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ছাত্রদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণ করে বিষয়টি যেন সমাধান করা হয়। সমাধান প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে, প্রায় কাজ শেষ করে ফেলেছেন। আমরা পূর্ণ আশ্বস্ত করতে চাই, ছাত্রদের পূর্ণ স্বার্থ রক্ষা করা হবে।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এবছর বিজ্ঞান ইউনিটে বিজ্ঞান শাখা থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮ জন, মানবিক শাখা থেকে ৭ হাজার ৯০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১ হাজার ৮২০টি, মানবিক শাখার জন্য ৫১ টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২৫ টি আসন রয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে
অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের অসহযোগিতা এবং পরীক্ষার নাম্বার জমা না দেওয়ায় স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের (১২ তম ব্যাচের) পরীক্ষার ফলাফল আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। চার বছরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় ৫ বছরেরও স্নাতক শেষ হয়নি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রায় বেশির ভাগ বিভাগের অনার্স শেষ হয়ে মার্স্টাসও সমাপ্তির পথে। সেখানে গণিত বিভাগের ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী যোগদানের পর সাড়ে চার মাসে সেমিস্টার শেষ করার ঘোষণা দেন এবং সকল বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে মিটিং করে সবাইকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে সেমিস্টার শেষ করার নির্দেশও দেন তিনি। তার পরও সাড়ে ৫ মাসেও সেমিস্টার এবং রেজাল্ট নিয়ে একজন শিক্ষকের গড়িমসিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার জন্য অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়কে প্রধান করে, অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক মোসা. জেসমিন নাহারকে নিয়ে পরীক্ষা কমিটি গঠিত হয়।

পরীক্ষা কমিটির সূত্র জানায়, পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও উপাচার্যের নির্দেশক্রমে সেশনজট কমানোর জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ করে এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মেনে সব শিক্ষক পরীক্ষার খাতা ও ফলাফল যথাসময়ে জমা দিলেও অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের হাইড্রোডায়নামিক্স কোর্সের খাতা জমা না দেওয়ায় ফলাফল ঝুলে আছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই কন্টিনিউয়াস মার্কস শিক্ষার্থীদের দেখানোর কথা থাকলেও সেই মার্কসও দেখাননি এই শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একটি কোর্সে কমপক্ষে ৩০টি ১ দশমিক ৫ ঘণ্টাব্যাপী ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ক্লাস না নিয়ে শীতকালীন অবকাশের সময় মাত্র ১৩/১৪ টি ক্লাস নিয়েই কোর্স শেষ করে দেন অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণিত বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, রেজাল্ট দিতে গড়িমসি করাতে চাকরির আবেদন করতে পারছেন না তারা। সব স্যারই খাতা কেটে জমা দিলেও তাজুল স্যার এখনো তাদের কন্টিনিউয়াস মার্ক দেননি। এ বিষয়ে তারা ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ওনার সঙ্গে দেখা করলেও উনি শুধু আশ্বাস দিয়েই যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন উপাচার্য যোগদানের পর থেকেই ড. তাজুল ইসলাম উপাচার্য দপ্তরেই বেশি সময় কাটান।

এদিকে, দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা জানান, অন্যান্য কোর্সের শিক্ষকরা ক্লাস প্রায় শেষ করে মিড, ইনকোর্স ও প্রেজেন্টেশন শেষ করলেও ড. তাজুল ম্যাথ (ল্যাব -২)-এর কোনো পরীক্ষা এখন নেননি। ফলে তারা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া ওই ব্যাচের আগের সেমিস্টারের পরীক্ষা গত বছরের অক্টোবরে শেষ হলেও এখন ফলাফল আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেত্রীর পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফল পাওয়া কাণ্ডে জড়িত অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট চাইলে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায় জানান, সব শিক্ষকই খাতা কাটা শেষ করে খাতা জমা দিয়েছেন। শুধু তাজুল স্যারের হাইড্রো ডায়নামিক্স খাতা এখনো পাইনি। তার জন্য রেজাল্ট দিতে দেরি হচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে রেজাল্ট চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম বলেন, 'আমি ওদের (১২ ব্যাচের) পরীক্ষা শেষ করেই তো ওদের সঙ্গে শিক্ষা সফরে গেছিলাম। খাতা দেখার জন্য তো সময় লাগবে।'

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন বলেন, 'এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পরীক্ষা কমিটি ভালো বলতে পারেন। এ বিষয়গুলো ওনাদের হাতে।'

গাজী আজম হোসেন/জোবাইদা/

জবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব তৌহিদুর

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম
জবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব তৌহিদুর
পরীক্ষার হলে তৌহিদুর। ছবি: খবরের কাগজ

কখনো কখনো স্বপ্নের কাছে বয়স একটি সংখ্যা মাত্র! স্বপ্ন ছুঁতে চাওয়া অদম্য অনেকেই ভুলে গেছেন নিজের বয়সের কথা। তেমনই অদম্য একজন তৌহিদুর রহমান। ৫০ পেরিয়ে গেলেও তিনি স্বপ্ন দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা ও আইন অনুষদের ‘বি’ ইউনিটের প্রথম শিফটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন তিনি।

জানা যায়, তৌহিদুর রহমান তকু এনায়েতপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ পেয়েছেন এবং ২০২৪ সালে গয়ড়া তেঁতুলিয়া ডি এম ফাজিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.৬৪ পেয়ে আলিম পাস করেন।

তৌহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তিনি নওগাঁ সরকারি কে ডি স্কুলে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য শেষ করতে পারেননি। পরে সুস্থ হয়ে মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসি, দাখিল এবং আলিম পাস করেন।

তৌহিদুর আরও বলেন, ‘আমি ১৯৮৯ সালে অসুস্থ হয়ে পড়ি। ২০১৪-১৫ সালে সুস্থ হয়ে পড়াশোনা শুরু করি। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিতে চাইলেও আবারও মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করি। আমার ইংরেজি প্রস্তুতি তেমন ভালো না। তার পরও চেষ্টা করব। যদি এ বছর জগন্নাথে চান্স না হয়, আগামী বছর রাবি, জাবিতে পরীক্ষা দিয়ে চান্স নিবোই ইনশাআল্লাহ।’

তবে তৌহিদুর রহমানের দাখিল ও আলিম পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে দেখা যায়, তার জন্ম তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫। কিন্তু আসলেই তার বয়স কত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই, তবে সে কোনো অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে কি না সেটা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে।

মুজাহিদ বিল্লাহ্/অমিয়/