ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা।

এর আগে বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনকারী শিক্ষার্থীরা রিকশায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন।

এদিকে আজ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিকে ‘অস্পষ্ট’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।

সেসময় অনশনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ‘জাস্টিস ফর জুলাই’-এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি অনেকটাই অস্পষ্ট। তাই আমরা একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে সংশোধিত চিঠি চাই। যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে- ১. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; ২. সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে কাজ সম্পাদনের দায় নিয়ে বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান ভারে স্টিল বেইজড ভবনের নির্মাণ অনুমোদন ও বাজেট পাস করতে হবে। ৩. ২৫-২৬ অর্থবছর আসার আগেই জরুরি ভিত্তিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই দেওয়ার ঘোষণা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী বুধবারের সভার সিদ্ধান্তগুলো লিখিত আকারে না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।’

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যত দিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। 

বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে শেষ হলো ঢাবির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, ‘বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৮ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছে। অত্যন্ত কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তবে তাদের অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহযোগিতা করবে। ভর্তির সুযোগ না পেলে শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই মানসিক ট্রমার শিকার না হয়, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেটি ঘটেছে সেটি দেখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। মূখ্য সমন্বয়কের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আমাদের যে কমিটি কাজ করে, সেই কমিটি গত পুরো সপ্তাহ যাবত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ছাত্রদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণ করে বিষয়টি যেন সমাধান করা হয়। সমাধান প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে, প্রায় কাজ শেষ করে ফেলেছেন। আমরা পূর্ণ আশ্বস্ত করতে চাই, ছাত্রদের পূর্ণ স্বার্থ রক্ষা করা হবে।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এবছর বিজ্ঞান ইউনিটে বিজ্ঞান শাখা থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮ জন, মানবিক শাখা থেকে ৭ হাজার ৯০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১ হাজার ৮২০টি, মানবিক শাখার জন্য ৫১ টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২৫ টি আসন রয়েছে।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
বেরোবিতে ফলাফল প্রকাশে গড়িমসির অভিযোগ অধ্যাপক তাজুলের বিরুদ্ধে
অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের অসহযোগিতা এবং পরীক্ষার নাম্বার জমা না দেওয়ায় স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের (১২ তম ব্যাচের) পরীক্ষার ফলাফল আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। চার বছরে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় ৫ বছরেরও স্নাতক শেষ হয়নি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রায় বেশির ভাগ বিভাগের অনার্স শেষ হয়ে মার্স্টাসও সমাপ্তির পথে। সেখানে গণিত বিভাগের ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী যোগদানের পর সাড়ে চার মাসে সেমিস্টার শেষ করার ঘোষণা দেন এবং সকল বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে মিটিং করে সবাইকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে সেমিস্টার শেষ করার নির্দেশও দেন তিনি। তার পরও সাড়ে ৫ মাসেও সেমিস্টার এবং রেজাল্ট নিয়ে একজন শিক্ষকের গড়িমসিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার জন্য অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়কে প্রধান করে, অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক মোসা. জেসমিন নাহারকে নিয়ে পরীক্ষা কমিটি গঠিত হয়।

পরীক্ষা কমিটির সূত্র জানায়, পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও উপাচার্যের নির্দেশক্রমে সেশনজট কমানোর জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ করে এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মেনে সব শিক্ষক পরীক্ষার খাতা ও ফলাফল যথাসময়ে জমা দিলেও অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের হাইড্রোডায়নামিক্স কোর্সের খাতা জমা না দেওয়ায় ফলাফল ঝুলে আছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই কন্টিনিউয়াস মার্কস শিক্ষার্থীদের দেখানোর কথা থাকলেও সেই মার্কসও দেখাননি এই শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একটি কোর্সে কমপক্ষে ৩০টি ১ দশমিক ৫ ঘণ্টাব্যাপী ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ক্লাস না নিয়ে শীতকালীন অবকাশের সময় মাত্র ১৩/১৪ টি ক্লাস নিয়েই কোর্স শেষ করে দেন অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণিত বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, রেজাল্ট দিতে গড়িমসি করাতে চাকরির আবেদন করতে পারছেন না তারা। সব স্যারই খাতা কেটে জমা দিলেও তাজুল স্যার এখনো তাদের কন্টিনিউয়াস মার্ক দেননি। এ বিষয়ে তারা ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ওনার সঙ্গে দেখা করলেও উনি শুধু আশ্বাস দিয়েই যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন উপাচার্য যোগদানের পর থেকেই ড. তাজুল ইসলাম উপাচার্য দপ্তরেই বেশি সময় কাটান।

এদিকে, দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা জানান, অন্যান্য কোর্সের শিক্ষকরা ক্লাস প্রায় শেষ করে মিড, ইনকোর্স ও প্রেজেন্টেশন শেষ করলেও ড. তাজুল ম্যাথ (ল্যাব -২)-এর কোনো পরীক্ষা এখন নেননি। ফলে তারা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া ওই ব্যাচের আগের সেমিস্টারের পরীক্ষা গত বছরের অক্টোবরে শেষ হলেও এখন ফলাফল আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেত্রীর পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফল পাওয়া কাণ্ডে জড়িত অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট চাইলে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায় জানান, সব শিক্ষকই খাতা কাটা শেষ করে খাতা জমা দিয়েছেন। শুধু তাজুল স্যারের হাইড্রো ডায়নামিক্স খাতা এখনো পাইনি। তার জন্য রেজাল্ট দিতে দেরি হচ্ছে। এদিকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে রেজাল্ট চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম বলেন, 'আমি ওদের (১২ ব্যাচের) পরীক্ষা শেষ করেই তো ওদের সঙ্গে শিক্ষা সফরে গেছিলাম। খাতা দেখার জন্য তো সময় লাগবে।'

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন বলেন, 'এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পরীক্ষা কমিটি ভালো বলতে পারেন। এ বিষয়গুলো ওনাদের হাতে।'

গাজী আজম হোসেন/জোবাইদা/

জবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব তৌহিদুর

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম
জবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব তৌহিদুর
পরীক্ষার হলে তৌহিদুর। ছবি: খবরের কাগজ

কখনো কখনো স্বপ্নের কাছে বয়স একটি সংখ্যা মাত্র! স্বপ্ন ছুঁতে চাওয়া অদম্য অনেকেই ভুলে গেছেন নিজের বয়সের কথা। তেমনই অদম্য একজন তৌহিদুর রহমান। ৫০ পেরিয়ে গেলেও তিনি স্বপ্ন দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা ও আইন অনুষদের ‘বি’ ইউনিটের প্রথম শিফটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন তিনি।

জানা যায়, তৌহিদুর রহমান তকু এনায়েতপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ পেয়েছেন এবং ২০২৪ সালে গয়ড়া তেঁতুলিয়া ডি এম ফাজিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.৬৪ পেয়ে আলিম পাস করেন।

তৌহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তিনি নওগাঁ সরকারি কে ডি স্কুলে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য শেষ করতে পারেননি। পরে সুস্থ হয়ে মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসি, দাখিল এবং আলিম পাস করেন।

তৌহিদুর আরও বলেন, ‘আমি ১৯৮৯ সালে অসুস্থ হয়ে পড়ি। ২০১৪-১৫ সালে সুস্থ হয়ে পড়াশোনা শুরু করি। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিতে চাইলেও আবারও মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করি। আমার ইংরেজি প্রস্তুতি তেমন ভালো না। তার পরও চেষ্টা করব। যদি এ বছর জগন্নাথে চান্স না হয়, আগামী বছর রাবি, জাবিতে পরীক্ষা দিয়ে চান্স নিবোই ইনশাআল্লাহ।’

তবে তৌহিদুর রহমানের দাখিল ও আলিম পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে দেখা যায়, তার জন্ম তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫। কিন্তু আসলেই তার বয়স কত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই, তবে সে কোনো অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে কি না সেটা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে।

মুজাহিদ বিল্লাহ্/অমিয়/

শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বের করা আনন্দ শোভাযাত্রা। ছবি: খবরের কাগজ

উৎসবমুখর পরিবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম প্রশাসনিক ভবন-১-এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।   

এরপর সবাইকে নিয়ে বেলুন ওড়ানো হয় এবং এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবন-১-এর সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে কেক কাটা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আজ সত্যিই আনন্দের দিন। আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে। এই সময়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বহুভাবে বিকশিত হয়েছে। এই উন্নয়নে যাদের অবদান রয়েছে বিশেষ করে সিলেটবাসী এবং যাদের চেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আজকের এই দিনে আমি তাদের স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবের শহিদদের এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ৩৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থে একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দেশের মানুষ গর্ব করতে পারবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষা ও গবেষণা নির্ভর করে গড়ে তুলব। আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা ২৫৩ কোটি টাকার দুইটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছি। সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এখানে হযরত শাহজালাল (র.) এর নামে একটি কর্ণার তৈরি করার, আমরা সেটিও বাস্তবায়ন করব।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসফাক আলী/সুমন/

ভালোবাসা দিবসে বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
ভালোবাসা দিবসে বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ
ছবি : খবরের কাগজ

ভালোবাসা দিবসে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ

করেছেন বেরোবি প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে এক পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আগামী শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। উক্ত সময়ে বেরোবির সকল শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য বলা হলো।'

ভালোবাসা দিবসে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, 'দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ভালোবাসা দিবসেও ক্যাম্পাসে বহিরাগত এর প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল ঢাবির ক' ইউনিটের পরীক্ষা। তাই সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি বেরোবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ক' ইউনিটের (বিজ্ঞান শাখা) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

গাজী আজম হোসেন/জোবাইদা/