ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

জবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
জবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউন
ছবি: খবরের কাগজ

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)।  

এ সময় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা। দাবি আদায় না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্যে শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিচরণ কমে গেছে। ক্লাস না থাকায় দূরের শিক্ষার্থীরা কেউ আসেনি।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্টিয়ারিং কমিটির মিটিংয়ে দাবি পূরণের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আন্দোলন জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলছে। নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আনাগোনা নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

এ বিষয়ে বোটানি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী একে এম রাকিব বলেন, ‘যদি আগামীকালের সভায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহীনিকে লিখিতসহকারে না দেওয়া হয় এবং অস্থায়ী আবাসনের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউনের ঘোষণা হতে পারে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী  রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘সচিবালয় থেকে আমাদের দুটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি দাবিগুলো লিখিত আকারে মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা কমপ্লিট শাটডাউন চালিয়ে যাব। আমাদের দাবিগুলো মানতেই হবে, না মানার কোন সুযোগ নেই। এর প্রেক্ষিতেই আমরা শাটডাউন চালিয়ে যাচ্ছি।’

রবিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিত করা এবং অস্থায়ী ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়ে অনশন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন ১৫ জন শিক্ষার্থী।

তারপর সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় সচিবালয় ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। তখন তাদের দুইটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে তারা অনশন প্রত্যাহার করেন তবে চালু রাখেন শাটডাউন কর্মসূচি। দাবি আদায় না হলে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যতদিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

জোবায়ের আহমেদ/সুমন/

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতির খবর পাওয়া গেছে। তবে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার না হয়, সেই বিষয়টি নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, প্রশ্নপত্রের সেট বি এর প্রশ্নপত্রের অ্যাকাউন্টিং অংশে এই বিভাগের ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। অর্থাৎ প্রশ্নপত্রের ২৮-৩১ এবং ৩২-৩৫ নম্বর প্রশ্ন একই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আমরা আলোচনাও করেছি। তবে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা যেন বৈষম্যের শিকার না হন, সেটি আমলে নেওয়া হবে। তাছাড়া যা পরীক্ষা হয়েছে, তার সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।’

পরীক্ষা বাতিল হবে কি-না এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, ‘নম্বরে বৈষম্যের শিকার হওয়ার সুযোগ না থাকায় আপাতত, পরীক্ষা বাতিলের কোনো সম্ভবনা দেখছি না।’

এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সুশৃঙ্খলভাবে এই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছে। কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তারা যেন কোনোভাবেই মানসিক ট্রমার শিকার না হয়, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে ৪১ হাজার ৮জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ১ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৩০টি, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৫টি এবং মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি আসন রয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ২৯ হাজার ৫১০জন, বিজ্ঞান শাখা থেকে ৬ হাজার ৫৮৩জন এবং মানবিক শাখা থেকে ৪ হাজার ৯১৪জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমাবর্তন

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমাবর্তন
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: খবরের কাগজ

উৎসবমুখর পরিবেশে আর দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের সমাবর্তনে ১ হাজার ৩৬১ জনকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।

সমাবর্তনের নির্ধারিত সময়ের আগে সমাবর্তনের পোশাক পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন। 

সমাবর্তন ঘিরে পুরো নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও তোরণে সাজানো হয়েছিল। ছিল গ্রাজুয়েটদের চোখে-মুখে উচ্ছ্বাস। এবারের সমাবর্তন গ্রাজুয়েট-ফ্যাকাল্টি ও অতিথিদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এর পর ধারাবহিকভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলনের পরপরই পবিত্র কুরআন, বাইবেল, গীতা ও ত্রিপিটক থেকে ধর্মীয় বাণী পাঠ করা হয়। পরে পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য পরিবেশনা করা হয়। 

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমরা যে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করেছো তা তোমার ভবিষৎ সফলতার পাথেয় হয়ে থাকবে। গ্রাজুয়েট হওয়া মানে শুধু ডিগ্রি অর্জন করা নয়, বরং দেশের প্রতি নিজের দায়িত্বও কাঁধে নেওয়া। আমার বিশ্বাস, দেশের সংস্কারে তোমরা হবে প্রথম সারির সৈনিক। দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গঠনে তোমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ও ছাড়া সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটর ডেমের কিওঘ-হেসবার্গ অধ্যাপক ড. আর. স্কট অ্যাপলবি।

অধ্যাপক অ্যাপলবি বলেন, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা যদিও অল্পদিনের তবুও চমকপ্রদ। মাত্র ১১ বছরে এটি অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। যেখানে সত্য, ন্যায় এবং শান্তির মূল্যবোধ লালিত হয়ে উঠছে। যারা আজকের গ্রাজুয়েট তাদের যাত্রা এখানেই শেষ না বরং এখান থেকেই শুরু। এখন বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত তোমরা। তোমাদের দূরদর্শী, সৎ সাহস আর আত্মবিশ্বাস সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাও এবং ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসো। আমি জানি এদেশে দেশের বাহিরে অনেক প্রবাসী রয়েছে যারা তাদের পরিবারের জন্য অর্থ পাঠায়। তোমাদের কাজ হবে দেশ-জাতি এবং তোমাদের এলাকার জন্য কিছু করা। এই বিশ্ব তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

মানুষের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফাদার প্যাট্রিক ডি. গ্যাফনি, সিএসসি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটা আমাদের দ্বিতীয় সমাবর্তন। সমাবর্তন মানেই শুধু শিক্ষার অ্যাকাডেমিক সাফল্যের সমাপ্তি না। বরং এটি এটি নৈতিক চেতনা জাগ্রত করার একটি বিষয়। ডিগ্রি অর্জনের পর এখন তোমাদের দায়িত্ব নৈতিক চেতনার মাধ্যমে বিশ্বের পরিবর্তন নিয়ে আসা। সত্য, ন্যায়, শ্রদ্ধাশীলতা ও মানবতার মূল্যবোধ ধারণ করে মানুষের সেবায় তোমরা নিজেদের উৎসর্গ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সমাবর্তনে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আতিফ রাব বলেন, আমাদের জার্নিটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে। নানা চড়াই-উৎরাই পার করে আমরা আজ এখানে এসেছি। সেজন্য আমি আমার সৃষ্টিকর্তা, ফ্যাকাল্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মকর্মচারীদের প্রতিও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজ থেকেই আমাদের যে জার্নি সেটি শেষ না বরং শুরু হলো।

অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ ক্রুজ, ওএমআই এবং এনডিইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান ড. ফাদার জর্জ কমল রোজারিও, সিএসসিসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের ব্যান্ড শো অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের সমাবর্তনে শিক্ষাবর্ষ ফল ২০১৯ স্প্রিং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের উত্তীর্ণ ১ হাজার ৩৩ জনকে স্নাতক এবং ৩২৮ জনকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য থেকে দুজনকে চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডের্ল এবং সাতজনকে ভাইস চ্যাসেন্সর্ল গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়। 

পাশাপাশি চারজনকে কুইনলিভান সিলভার মেডেল, তিনজনকে আর্চবিশপ টি. এ. গাঙ্গুলি সিলভার মেডেল, সাতজনকে ফাদার বেনজামিন কস্তা ব্রোঞ্জ মেডেল এবং দুজনকে ফাদার পিশোতো ব্রোঞ্জ মেডেল দেওয়া হয়। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র দত্তকে ফাদার বাসিল অ্যান্থনী মেরী মরো গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৯ সালে ১৮ ডিসেম্বর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর ৫৩৬ জনকে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে এই বিদ্যাপিঠটি। রাজধানীর মতিঝিলে নটর ডেম কলেজ ক্যাম্পাসের দক্ষিণে এই ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ভবন স্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিভাগের কার্যক্রম শুরু পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

আরিফ/মেহেদী/

যবিপ্রবিতে দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
যবিপ্রবিতে দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮ শিক্ষার্থী
ছবি: খবরের কাগজ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

এসময় এফএমবি ও পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় অন্তত আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপে অসুস্থ হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাতেই পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

এঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

জানা যায়, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকানে লিফট দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকা শাহনী উর্মি ও তার বন্ধুরা। এসময় উর্মির সঙ্গে সিএসই বিভাগের স্বপন নামের এক শিক্ষার্থীর ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় উর্মিরা প্রতিবাদ করলে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তী সময়ে উর্মির বন্ধু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিব আহমেদ শান সিএসই বিভাগের বরখাস্ত শিক্ষক সৈয়দ গালিবকে নিয়ে মন্তব্য করে। এসময় ঐ বিভাগের শিক্ষার্থীরা শানের ওপর চড়াও হয়। এরপর উর্মি ও শান প্রক্টর অফিসের দিকে যায়। এসময় সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের দিকে তেড়ে গেলে উর্মি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কর্মীদের কল করে ঘটনাস্থলে জড়ো করেন। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, উর্মির গায়ে হাত দেওয়ায় প্রশাসনিক ভবনের নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের তাদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম দোলেনুর করিম ও এফএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাঞ্জুরুল হাসান আহত হয়। পরবর্তী সময়ে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মুন্সী মেহেরুল্লাহ হলের সম্মুখ সড়কে অবস্থান নেন। এসময় দুপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকা শাহানী উর্মি বলেন, ‘আমি ও আমার ব্যাচমেট শানসহ কয়েকজন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। তখন সিএসই বিভাগের স্বপন হাসাহাসি করতে করতে আমার গায়ের ওপর এসে পড়ে। আমি বিরক্ত হলে স্বপন ও তার এক বন্ধু সরি বলে। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে সিএসইর কয়েকজন শিক্ষার্থী হাবিবকে ডাকে। এটা দেখে আমি আমার বন্ধু ও ছোট ভাইদের ডেকে জড়ো করি। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়।’

এবিষয়ে দোলেনুর করিম বলেন, আমি উর্মির ফোন পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখি আমাদের সহযোদ্ধা শানকে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘিরে রেখেছে। আমি বিষয়টি সমাধান করতে গেলে তারা আমার গায়ে হাত তুলে এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলে তুই কথা বলার কে? এ ঘটনা আমার বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে ছুটে আসে এবং আমাকে কেন মারা হয়েছে, এটা তাদের কাছে জানতে চায়। তখন তারা আমাদের পর হামলা চালিয়ে আমার বন্ধু মানজুরুলকে আহত করে।

সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর বলেন, ‘সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে আমাদের এক ভাইয়ের হাত ভুলবশত উর্মি আপুর গায়ে লেগে যায়। তখন সরি বলার পরও তার বন্ধু ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী শান আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এজন্য আমরা প্রক্টর স্যারের কাছে বিচারের জন্য যাচ্ছিলাম। তখন শান ও এফএমবি বিভাগের দোলেনুর এসে আমাদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা করে এবং লিমনকে ধাক্কা দিতে থাকে। এসময় তারা আমাদের বিভাগের তিনজন ভাইকে মেরে গুরুতর আহত করে। তারা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। আমরা তাদের ওপর কোনো হাত উঠাইনি, আমরা শুধু তাদের আক্রমণকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি।’

যবিপ্রবি প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাতেই সব সহকারী প্রক্টর একসঙ্গে হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মিছিল-মিটিং, মানববন্ধন-সমাবেশ করা যাবে না। করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, এই সংঘর্ষের নেপথ্যে গালিবের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি থাকতে পারে। তা না হলে শুধু চায়ের দোকানে দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তুচ্ছ কথা কাটাকাটির ঘটনায় ক্যাম্পাসে এত বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার কথা নয়।’

উল্লেখ্য, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এদিন ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

মোতালেব হোসাইন/মাহফুজ

 

বেরোবিতে ঢাবির ‘ব্যবসায় শিক্ষা' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
বেরোবিতে ঢাবির ‘ব্যবসায় শিক্ষা' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আঞ্চলিক কেন্দ্র রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয় এই পরীক্ষা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেরোবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রংপুরের আশপাশের জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সকাল থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ভিড় জমান।

পরীক্ষার্থীরা জানান, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় তাদের সময় এবং ভ্রমণ খরচ কমেছে। কেন্দ্রে পরীক্ষার পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা যথাযথ ছিল। তবে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, 'সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই ঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সবাই বদ্ধপরিকর।'

গাজী আজম/জোবাইদা/

শাবির আইপিই বিভাগের ৩ দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী শুরু

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
শাবির আইপিই বিভাগের ৩ দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী শুরু
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার (আইপিই) বিভাগের তিন দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী শুরু হয়েছে। আইপিই বিভাগের প্রায় আটশতাধিক গ্যাজুয়েটদের অংশগ্রহণে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার  (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র‍্যালি ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো সাজেদুল করীম।

সকাল দশটায়  কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরা স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সচেতন করতে অডিটোরিয়াম এর সামনে জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়। জব ফেয়ারে  লাফার্জ হোলসিম, এস এম এল, এভেরী ডেনিসন, প্রাণ-আরএফএল লিমিটেড টেন্ট এর মাধ্যমে নতুন আগ্রহীদের থেকে সিভি জমা নিবেন।

একইদিন দুপুরে আইপিইস্ফেয়ার কনটেক্সটে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। আইপিইস্ফেয়ার কনটেক্সটের তিনটি প্রতিযোগিতায় কেইস কম্পিটিশিন, কম্পিউটার এইডেড ড্রয়িং (ক্যাড), প্রজেক্ট ফেয়ার এ বিজয়ীদের মাঝে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের প্রোগামের সমাপ্তি হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ড.মো সাজেদুল করীম বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে আইপিই বিভাগের গ্যাজুয়েটরা সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে।  সাবেক, বর্তমানদের পদচারণায় ক্যাম্পাস প্রানবন্ত হয়ে উঠছে।  আমি তাদের তিন দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের পূর্তির সফলতা কামনা করছি।

তিন দশক পূর্তি উদযাপনের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহামুদ  হাসান বলেন, দেশে স্নাতক পর্যায়ে  আইপিই বিভাগ প্রথম শাবিতেই চালু হয়। আইপিই গ্যাজুয়েটরা সফলভাবে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে আমাদের গ্রাজুয়েটরা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। বিশ্বজুড়ে শিল্প বিপ্লবকে সফল করতে আইপিই বিভাগের গ্যাজুয়েটরা ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

দ্বিতীয়দিন সকালে সামাজিক আড্ডা, পরিবার ও শিশুদের আনন্দঘন সময়, বিভিন্ন খেলা ও বিনোদন, অ্যালামনাই বনাম একাডেমিয়া (ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ), বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণ, লাকি ড্র, র‍্যাফেল ড্র ও সবশেষে ওইদিন সন্ধায় উন্মুক্ত কনসার্টের মধ্য দিয়ে প্রোগামের সমাপ্তি হবে। কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস ও এভয়েড রাফা করবে বলে জানান তিন দশক পূর্তি উদযাপনের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহামুদ হাসান।

ইসফাক আলী/এমএ/