ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

বেরোবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে বাঁচাতে ছাত্রদল নেতার আবেদন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
বেরোবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে বাঁচাতে ছাত্রদল নেতার আবেদন
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম আল নাহিদকে বহিষ্কার না করে তার পক্ষ নিয়ে আত্মসমর্পণ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. তুহিন রানা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো.হারুন অর রশীদ বরাবর একটি আবেদন পত্র জমা দেন এই ছাত্রদল নেতা। এ সময় সিয়াম আল নাহিদের স্বাক্ষরটাও তুহিন নিজেই করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

জানা যায়, সিয়াম আল নাহিদ ইইই বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। এর আগে সিয়াম দুইবার অকৃতকার্য হয়। তাই এবার বহিষ্কার হলে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

সূত্র জানায়, জুলাইয়ের আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ছবি, ভিডিও ফুটেজসহ একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায় ছাত্রলীগ নেতা সিয়ামের বিরুদ্ধে। এছাড়া সিয়ামের রুম তল্লাশি করে হল কর্তৃপক্ষ হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র এবং মাদক সামগ্রীও পেয়েছিল। 

উল্লেখ্য, সিয়াম আল নাহিদসহ ৭১ জনকে জুলাইয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেটে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে।

এদিকে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকে বাঁচানোর জন্য তার হয়ে (সিয়াম আল নাহিদ) আত্মসমর্পণপত্র জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তুহিন রানা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে তীব্র আলোচনা সমালোচনা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেরোবির অন্যতম সমন্বয়ক এস এম আশিকুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যারা অস্ত্র, লাঠি নিয়ে মাঠে নেমেছিল, তারা কখনোই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। অপরাধী যে কেউ হোক না কেন, কোনো ছাড় হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা অন্য কোনো কুচক্রীমহল যদি কোনোভাবে কোনো অপরাধীকে বাচানোর চেষ্টা করে, তা কোনোভাবেই আমরা মেনে নেব না।’

এ বিষয়ে তুহিন রানা বলেন, ‘আমি মানবিক কারণে তার এই আত্মসমর্পণ পত্রটি তার হয়ে জমা দিয়েছি। কারণ সে এর আগে দুইবার অকৃতকার্য হয়েছে। আর একবার অকৃতকার্য হলে তার ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাবে।’

এ বিষয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আল আমিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতাম না। এই মাত্র জানলাম। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো.হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মসমর্পণ আবেদনপত্র জমা দিতেই পারে এটা তার অধিকার। আবেদনপত্রটি শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠানো হবে। 

গাজী আজম হোসেন/মাহফুজ 

 

শাবির আইপিই বিভাগের ৩ দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী শুরু

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
শাবির আইপিই বিভাগের ৩ দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী শুরু
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার (আইপিই) বিভাগের তিন দশক পূর্তি ও পুনর্মিলনী শুরু হয়েছে। আইপিই বিভাগের প্রায় আটশতাধিক গ্যাজুয়েটদের অংশগ্রহণে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার  (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র‍্যালি ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো সাজেদুল করীম।

সকাল দশটায়  কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরা স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সচেতন করতে অডিটোরিয়াম এর সামনে জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়। জব ফেয়ারে  লাফার্জ হোলসিম, এস এম এল, এভেরী ডেনিসন, প্রাণ-আরএফএল লিমিটেড টেন্ট এর মাধ্যমে নতুন আগ্রহীদের থেকে সিভি জমা নিবেন।

একইদিন দুপুরে আইপিইস্ফেয়ার কনটেক্সটে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। আইপিইস্ফেয়ার কনটেক্সটের তিনটি প্রতিযোগিতায় কেইস কম্পিটিশিন, কম্পিউটার এইডেড ড্রয়িং (ক্যাড), প্রজেক্ট ফেয়ার এ বিজয়ীদের মাঝে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের প্রোগামের সমাপ্তি হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ড.মো সাজেদুল করীম বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে আইপিই বিভাগের গ্যাজুয়েটরা সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে।  সাবেক, বর্তমানদের পদচারণায় ক্যাম্পাস প্রানবন্ত হয়ে উঠছে।  আমি তাদের তিন দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের পূর্তির সফলতা কামনা করছি।

তিন দশক পূর্তি উদযাপনের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহামুদ  হাসান বলেন, দেশে স্নাতক পর্যায়ে  আইপিই বিভাগ প্রথম শাবিতেই চালু হয়। আইপিই গ্যাজুয়েটরা সফলভাবে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে আমাদের গ্রাজুয়েটরা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। বিশ্বজুড়ে শিল্প বিপ্লবকে সফল করতে আইপিই বিভাগের গ্যাজুয়েটরা ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

দ্বিতীয়দিন সকালে সামাজিক আড্ডা, পরিবার ও শিশুদের আনন্দঘন সময়, বিভিন্ন খেলা ও বিনোদন, অ্যালামনাই বনাম একাডেমিয়া (ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ), বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণ, লাকি ড্র, র‍্যাফেল ড্র ও সবশেষে ওইদিন সন্ধায় উন্মুক্ত কনসার্টের মধ্য দিয়ে প্রোগামের সমাপ্তি হবে। কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস ও এভয়েড রাফা করবে বলে জানান তিন দশক পূর্তি উদযাপনের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহামুদ হাসান।

ইসফাক আলী/এমএ/ 

কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির নতুন আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির নতুন আহ্বায়ক কমিটি
আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ ও সদস্য সচিব শ্রাবণী কবির এ্যামি

কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির (কনকসাস) নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) সমিতির কার্যালয়ে এক সাধারণ সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন শাহীন আহমেদ (বাংলাদেশ প্রতিদিন) ও শ্রাবণী কবির এ্যামি (আজকের পত্রিকা) সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন - আতিক হাসান শুভ (যুগ্ম আহ্বায়ক), রবিউল ইসলাম রেজা (সদস্য) ও পার্থ সাহা (সদস্য)।

এর আগে কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে এই পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

/আবরার জাহিন

ববির প্রভিসিকে ভিসির পাল্টা নোটিশ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
ববির প্রভিসিকে ভিসির পাল্টা নোটিশ
ছবি : খবরের কাগজ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সব বিভাগের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি সভার আহ্বান করেছিলেন প্রভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি। তবে প্রভিসির নোটিশকে বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পাল্টা আরেকটি নোটিশ জারি করেন ভিসি অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুটি নোটিশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রভিসির দপ্তরের সাকিজ উদ্দিন তালুকদার স্বাক্ষরিত নোটিশে দেখা যায়, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা ১১টায় প্রভিসির অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভার আহ্বান করা হয়। সেখানে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পাল্টা নোটিশে সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে করে আরেকটি নোটিশ জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন ভিসি। তার নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো পত্র কোনো দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশে প্রেরণ করতে পারেন না। যদি কেউ এ রকম পত্র প্রেরণ করেন, সেটি বিধিবহির্ভূত। সঙ্গত কারণে উপ-উপাচার্যের নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটি নিয়মবহির্ভূত। উক্ত পত্রটি কোনোভাবেই কোনো শিক্ষককে আমলে না নেওয়ার জন্য উপাচার্যের নিদের্শক্রমে অনুরোধ করা হলো।'

পাল্টা নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, 'উপাচার্যের নির্দেশক্রমে আমি চিঠি দিয়েছি। উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই আমি চিঠি দিয়েছি। আমি তার সচিব। তার আদেশ-নির্দেশ শোনাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কাজ।'

তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬-এর ১১ ক (৩) ধারায় দেখা যায়, 'প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর একাডেমিক বিষয়াবলি, ভাইস-চ্যান্সেলরের অবর্তমানে তিনি দৈনন্দিন দায়িত্ব বা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন, সংবিধি ও বিধানাবলি বিশ্বস্ততার সঙ্গে পালন করবেন।'

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি বলেন, 'আমাকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা। একাডেমিক বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব আমার। আমি আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালনে অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কি বসতে পারি না? এটা বিধিবহির্ভূত হয় কীভাবে? বরং আইন অনুযায়ী আমাকে আমার দায়িত্বগুলো গত তিন মাসেও বুঝিয়ে না দিয়ে উপাচার্য আইনভঙ্গ করেছেন।'

তবে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জাকির হোসেন/জোবাইদা/

গুচ্ছেই থাকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
গুচ্ছেই থাকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি : খবরের কাগজ

গুচ্ছ থেকে বের হয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২৪-২৫) থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অবশেষে গুচ্ছতেই থাকছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৮তম জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় আবারও গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, 'সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'  

জাকির/জোবাইদা/

শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করল যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম
শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করল যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফের বক্তব্যের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নামফলক পরিবর্তন করে 'শহিদ আবরার ফাহাদ একাডেমিক ভবন'সংবলিত ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মশিউর রহমান হল থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা "শেখ হাসিনার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও", "স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না", "আজকের এই দিনে, আবরার তোমায় মনে পড়ে", "সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ", "ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মিছিল শেষে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী হান্নান হোসেন বলেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য শহিদ আবরার ফাহাদকে স্বৈরাচারীর দোসররা পিটিয়ে হত্যা করেছিল। তারই স্মরণে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অ্যাকাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। 


শিক্ষার্থী হোসাইন মো. আল আরমান বলেন, 'নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা অবগত করেছিলাম স্বৈরাচার শেখ পরিবারের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করার জন্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভ্রুক্ষেপ না করায় আমরা নাম পরিবর্তন করে রেখেছি শহিদ আবরার ফাহাদ অ্যাকাডেমিক ভবন।'

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন আলী বলেন, 'আমরা গত বছরের ২৭ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর নাম পরিবর্তনের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা মতবিনিময় সভাও করেছিলাম। কিন্তু ফলাফল শূন্য।'

মোতালেব হোসাইন/জোবাইদা/