ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

কাঁকড়ার সম্পূরক খাবার উদ্ভাবন করলেন নোবিপ্রবি গবেষক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
কাঁকড়ার সম্পূরক খাবার উদ্ভাবন করলেন নোবিপ্রবি গবেষক
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কাঁকড়ার সম্পূরক খাবার উদ্ভাবন করলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একদল গবেষক। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কাঁকড়ার সম্পূরক খাবার উদ্ভাবন করলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একদল গবেষক।

দেশে কাঁকড়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে চাষীদের কাঁকড়ার খাবার ও কাঁকড়ার পোনার জন্য প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হয়। উন্মুক্ত জলাশয়ে কাঁকড়া প্রাকৃতিকভাবে মাছ জাতীয় খাবার খেয়ে বাঁচে। অন্যদিকে ঘেরে বা খাঁচায় কাঁকড়া চাষে স্বল্পমূল্যের শামুক, তেলাপিয়া ও সাগরের অন্যান্য মাছ খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। 

খাবার হিসেবে মাছের ব্যবহার, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কষ্টসাধ্য এবং প্রকৃতির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা প্রকৃতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলছে। এ সংকট নিরসনে তথা উৎপাদন বৃদ্ধিতে ঘেরে বা খাঁচায় চাষের কাঁকড়াদের সম্পূরক খাবার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কী হতে পারে সেই খাবার? এই প্রশ্ন থেকেই অনুসন্ধান শুরু করেন নোবিপ্রবির একদল গবেষক।

আর সেই অনুসন্ধান থেকেই দেশে প্রথমবারের মতো কাঁকড়ার সম্পূরক খাবার উদ্ভাবনে সফলতা পান নোবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন ও তাঁর দল। 

উদ্ভাবিত সম্পূরক খাবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামানুসারে ‘এনএসটিইউ ক্র্যাব ফিড’ রাখা হয়।

দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়া ও ভিয়েতনামে কাঁকড়ার এ ধরণের খাবারের প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম। বিভিন্ন আকারের কাঁকড়ার জন্য খাওয়ার উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে এই খাবার। তাই ঘেরে কিংবা খাঁচায় উক্য প্রক্রিয়ায় বেড়ে ওঠা কাঁকড়াদের খাবার হিসেবে খাওয়ানো যাচ্ছে এটি। এতে করে চাষীদের প্রকৃতির উপর নির্ভরতা অনেকটা কমেবে এবং পাশাপাশি কাঁকড়ার উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করেন গবেষকরা। 

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১৪ সাল থেকে ছোট-বড় সাইজের নরম খোলসযুক্ত (সফট শেল) কাঁকড়া হিমায়িত করে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। যার দরুণ প্রকৃতিতে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে এবং নষ্ট হচ্ছে ইকোসিস্টেম। ছোট ছোট কাঁকড়াও রেহাই পাচ্ছে না রপ্তানি থেকে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২২ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেন তারা। এতে গবেষণা সহযোগী হিসেবে গ্লোন এগ্রোভেট, ইরওয়ান ট্রেডিং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড  অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়কে সংযুক্ত করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ঘেরে ও খাঁচায় কাঁকড়ার চাষ সম্ভব এবং এদের সম্পূরক খাবার দিলে কাঙ্ক্ষিত পুষ্টিগুণও পাচ্ছে তারা। তাই বর্তমানে চাষীরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং সম্পূরক খাবারের মাধ্যমে কাঁকড়া উৎপাদনে আগ্রহী হতে পারে। নতুন উদ্ভাবিত খাবার কাঁকড়ার জন্য একটি উপযোগী খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

গবেষক ড. মামুন আরও জানান, গবেষণার শুরুর দিকে কক্সবাজারে কাঁকড়ার প্রচলিত খাদ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে বৃহৎ পরিসরে কক্সবাজার ও সাতক্ষীরার ৮০ জন চাষীকে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত চাষীদের হ্যাচারীতে কাঁকড়ার পোনা, সম্পূরক খাবার ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয় এবং তাদের মাধ্যমে কাঁকড়ার খাবারের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি মা কাঁকড়ার লালন, স্বজাতি ভক্ষণ প্রতিরোধে শেলটার ব্যবহারকরণ, মজুদ ঘনত্ব ইত্যাদি নিরীক্ষণ করা হয়।

এদিকে বর্তমানে একই বিভাগের সাতজন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কাঁকড়ার আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা শস্য বহুমুখীকরণ বা বিন্যাসকরণ অর্থাৎ ‘কাঁকড়া, চিংড়ি ও সাদা মাছের পলিকালচার’ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

গবেষকদল বিভিন্ন উদ্যোক্তা, হ্যাচারি মালিক, ফিড ইন্ডাস্ট্রিসহ সংশ্লিষ্টদের কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত রয়েছেন। আর এটি মৎস্য খাতকে গতিশীল করবে বলে তারা মনে করেন। 

তাওফিক/ 

ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জায়িম, সম্পাদক রিফাত

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জায়িম, সম্পাদক রিফাত
ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল হক জায়িম (বায়ে), সম্পাদক রাকিব রিফাত। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ‘দৈনিক নয়া দিগন্ত’র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি তাজমুল হক জায়িম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘দৈনিক ইনকিলাব’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাকিব রিফাত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়রি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়া সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ইসলামী সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইমরান শুভ্র ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান নবীন।

নির্বাচিত অন্য প্রতিনিধিরা হলেন- সহ-সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ (মানবজমিন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা (ডেইলি অবজারভার), অর্থ সম্পাদক নিয়ামতুল্লাহ মুনিম (খবরের কাগজ), দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (যায়যায়দিন), প্রচার সম্পাদক মোর্শেদ মামুন (কালবেলা), কার্যনির্বাহী সদস্য ইদুল হাসান ফারহান (দিনকাল), জামাল উদ্দিন (শিক্ষাবার্তা)।

নির্বাচন পরবর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

নবনির্বাচিত সভাপতি তাজমুল হক জায়িম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সত্যের সারথি হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে ক্যাম্পাস তথা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে ইবিসাস ক্যাম্পাসের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছে। এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সভাপতি হিসেবে যে গুরুদায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসেছে আমরা সেই দায়িত্ব পালনে সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এই কাজে ইবিসাসের সকল সহযোদ্ধাদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতা কামনা করছি।

দায়িত্ব হস্তান্তরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নতুন নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন। তোমাদের মাধ্যমে উঠে আসুক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। আজকের এই দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সকল ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত আছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাচ্ছি সকল জায়গায় এই ধারা অব্যহত থাকুক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক বাংলাদেশর মধ্যে রোল মডেল।

এমএ/

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের ৯৮তম বিশেষ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের তদন্তসাপেক্ষে ছাত্রত্ব বাতিল, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য প্রফেসর ড. এমএমএ হাসেমকে সভাপতি করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার সকাল থেকেই তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রশাসনিক একাডেমিক ভবনে প্রবেশপথের ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।

মাকসুদ/সালমান/

কুয়েটে ভিসির পদত্যাগসহ ৫ দাবিতে  ক্লাস বর্জন

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
কুয়েটে ভিসির পদত্যাগসহ ৫ দাবিতে  ক্লাস বর্জন
৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান করেছে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিয়ে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘের্ষের ঘটনায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান করে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বেলা ১১টার দিকে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডাকে। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

কুয়েটের জনসংযোগ বিভাগের পাবলিক রিলেশনস অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- কুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না, পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসন থেকে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে, শিক্ষার্থীদের সামরিক বাহিনীর সহায়তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসাব্যয় বহন করতে হবে এবং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালককে পদত্যাগ করতে হবে।

এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার দিনব্যাপী ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।

মাকসুদ রহমান/সুমন/

কুয়েটে হামলার প্রতিবাদে বেরোবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ এএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
বেরোবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ
ছবি : খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রংপুরে ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় মিছিলটি নগরীর লালবাগ থেকে শুরু হয়ে নেস্কো মোড় ঘুরে আবারও লালবাগ এসে শেষ হয়।

এদিকে একই সময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১০টায় প্রধান ফটকে শুরু করে মর্ডান মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা কুয়েটে শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন। সেই সঙ্গে যারা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করবে, তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করারও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন উপাচার্য। 

এ সময় সন্ত্রাসীদের আস্তানা শিক্ষাঙ্গনে হবে না, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশ করেন তারা। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক ইমতিয়াজ রেভিন প্রমুখ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক শামসুজ্জামান সুমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা শাখার রহমত আলীসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, শিক্ষাঙ্গনে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। যারাই করবে, তাদেরকেও ছাত্রলীগের পরিণতি ভোগ করতে হবে।

সেলিম সরকার/জোবাইদা/

ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ পিএম
ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলছিল।

অন্যদিকে, রাজু ভাস্কর্য থেকে কিছুটা দূরে ডাস ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিক্ষোভ করছিল।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়।

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়ে ছাত্রদল বলেছে, কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে অপব্যবহার করে ফরম বিতরণের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর গুপ্ত সংগঠন শিবির ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ আছে। কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি যাতে আবার শুরু হতে পারে, সে জন্য ছাত্রদলের কর্মীরা গত সোমবার ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা’—সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় ছাত্রদলের কর্মীরা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়, যা কুয়েটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েট পকেট গেট থেকে বহিরাগতরা ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে জানা গেছে।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/