
হলে আবাসিক সিট পাওয়ার সব শর্ত পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও যেসব ছাত্রীকে আসন বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ‘আবাসন সহায়ক আর্থিক সহায়তা প্রদান’ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ন্যায্যতা ও চাহিদার ভিত্তিতে আবেদনকারী ছাত্রীদের মধ্য থেকে নির্বাচিতদের প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা হারে এই সহায়তা প্রদান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন ছাত্রী হলে প্রায় ৫০০ বাঙ্ক বেড স্থাপন করে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বচ্ছ পদ্ধতি ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ব্যতিক্রমী ঘটনা।
কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, ছাত্রীদের আবাসনসংকট নিরসনে চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্পটি’ মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে এটি ইআরডির অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৮৪১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রস্তাবিত চারটি ছাত্রী হলের বর্ধিত ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই প্রকল্পে শাহনেওয়াজ হোস্টেল ভেঙে ১৫ তলাবিশিষ্ট একটি ছাত্রী হল নির্মাণ, ১০ তলা ও ৬ তলাবিশিষ্ট শামসুন নাহার হলের দুটি সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণ, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের বিদ্যমান স্টাফ কোয়ার্টার বি এবং ডি ভবন ভেঙে ১১ তলা ও ৮ তলাবিশিষ্ট দুটি ভবনের সমন্বয়ে একটি ছাত্রী হল নির্মাণ এবং ১০ তলাবিশিষ্ট কুয়েত মৈত্রী হলের সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রকল্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আবাসনসংকট নিরসন করা সম্ভব হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা করছে।
এতে অন্যদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুনসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।