
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ এবং ২৩৪তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে র্যাগিংয়ের দায়ে আজীবন সব হল থেকে বহিষ্কৃত ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ১৬ জন শিক্ষার্থীর ওপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ এবং ২৩৪তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে নিম্নে বর্ণিত ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে আজীবন বহিষ্কার ও নিষিদ্ধের শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. পাবন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমেদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামিম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরিফুল ইসলাম, অনিক দাস, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে রিভিউ কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, পূর্বের প্রশাসন তদন্তের ভিত্তিতে তাদের আজীবন বহিষ্কার করে আবার শাস্তি কমিয়ে আজীবন হল থেকে বহিষ্কার করে। মূল শাস্তি থেকে তাদেরকে রেহাই দিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বোঝা যায় যে সেই তদন্ত কমিটিতে অসংলগ্নতা ছিল। যে শিক্ষার্থীদের আজীবন হল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাদের অনেকেই হলে ছিল না। শুধু সিচুয়েশনটা হ্যান্ডেল করার জন্য এই শাস্তিটা শুধু একটা সিম্বোলিক শাস্তি ছিল।
তিনি আরও বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের নেতৃত্বে একটা রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়। এই রিভিউ কমিটি তদন্ত রিপোর্ট আবার রিভিউ করে দেখতে পায় যে এই ছাত্ররা আসলে শাস্তিযোগ্য ছিল না। সে কারণে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে সৈয়দ মুজতবা আলী হলে নবীন এক শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে গত বছরের ২২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই ১৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
ইসফাক আলী/মেহেদী/