ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শিকারে বিপন্ন অতিথি পাখি

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শিকারে বিপন্ন অতিথি পাখি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখিরা। ছবি: খবরের কাগজ

একটু উষ্ণতার খোঁজে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পাখি আমাদের  দেশে ছুটে আসে। এদের বলা হয় অতিথি পাখি। কিন্তু এ পাখিদের অতিথির সমাদরে থাকা হয় না। এক শ্রেণির পাখি শিকারিদের শিকার হচ্ছে তারা।

তার ব্যতিক্রম নয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। ছোট ছোট টিলা আর সবুজ গাছ-গাছালিতে ঘেরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই ক্যাম্পাসে অতিথি পাখিরা শিকারিদের কারণে বিপন্ন হচ্ছে। ফলে বছর বছর কমছে এখানে অতিথি পাখি আসার সংখ্যা।  

প্রতিবছরই শীতকালে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের ঘন ঝোপ-জলাশয়ে বসতি গাড়ে বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখি। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ক্যাম্পাসে অতিথি পাখির কোলাহলে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয় সেখানে। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির জন্য এক নিরাপদ আস্তানা হয়ে উঠে সিলেট অঞ্চল। কিন্তু স্থানীয় পাখি শিকারিদের আনাগোনায় সেই নিরাপদ আস্তানাটাই এখন রূপ নিচ্ছে পাখিদের মরণফাঁদ হিসেবে। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী প্রতিনিয়তই পাখি শিকার করার নানা পাঁয়তারা করে। ফলে কমছে অতিথি পাখির সংখ্যা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এরকমই কিছু পাখি শিকারিকে হাতেনাতে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক করিমা বেগম। চোরা শিকারিরা পালিয়ে গেলেও টোপ হিসেবে ব্যবহার করা একটি পাখি এবং পাখি ধরার জাল জব্দ করেন তিনি।

তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেদিন হঠাৎই তিনি দেখতে পান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের পাশেই কিছু লোক জাল দিয়ে পাখি শিকার করছে। সে সময় তিনি এবং তার স্বামী বাধা দিতে গেলে চোরা শিকারিরা তাদের হাতের দা দেখিয়ে হুমকি দেয় এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পরে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন করিমা বেগম ও তার পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের অধিকাংশ স্থানেই নেই কাঁটাতার। কোথাও আবার দেয়ালের দুই পাশে মাটি ফেলে উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে যাতায়াতের রাস্তা। আবার তৈরি করা হয়েছে সুড়ঙ্গ। সীমানা প্রাচীর মেরামতেও প্রশাসনের নেই কোনো পদক্ষেপ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের দুটি প্রধান ফটক থাকলেও তার পাশাপাশি সীমানা প্রাচীরজুড়ে আছে চারটি পকেট গেট। চারটি পকেট গেটের মধ্যে দুইটিতে নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও বাকি দুইতে নেই কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা। এসব রাস্তাকে চোরাই রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে খুব সহজেই যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পাখি শিকারের মতো যেকোনো অপকর্ম করতে পারে। 

এ ব্যাপারে ক্যাম্পাসভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র সভাপতি মো. রমজান হোসেন রনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চোরা শিকারিদের পাখি শিকারের বিষয়টি জেনেছি এবং এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি পাখিসহ সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আকাশমণি বা ইউক্যালিপটাস গাছের মতো ক্ষতিকর গাছগুলো কেটে, এর পরিবর্তে পরিবেশের জন্য উপকারী গাছপালা রোপণের অনুরোধ করব। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার যেন পাখিদের জন্য একটি অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।’ 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর কাছে পাখিদের নিরাপত্তা দিতে আহ্বান জানিয়ে শাবিপ্রবির ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত বলেন, ‘প্রতিবছর প্রচুর অতিথি পাখি আমাদের ক্যাম্পাসে আসে। এই পাখি খেতের পোকামাকড় খেয়ে ফসলকে সুরক্ষিত রাখে। এই পাখি সম্পদ যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের কৃষি সম্পদও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে চোরা শিকারিদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’

বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশের ভারসাম্যের কথা চিন্তা না করে অপরিকল্পিত বনায়ন করা হয়েছে জানিয়ে আবুল হাসনাত আরও বলেন, ‘বনায়নে অধিকাংশই ছিল আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ। এসব গাছ পরিবেশ ও মানুষ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। 

পাশাপাশি আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, এসব গাছে পাখিদের জন্য খাবার বা আশ্রয়ের কোনো সুযোগ-সুবিধা থাকে না। তাই সবাই মিলে উদ্যোগ নিয়ে যদি এই গাছগুলোর পরিবর্তে পরিবেশের জন্য উপকারী গাছ লাগাই, তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারব।’

শাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব জায়গায় সীমানা প্রাচীরে তারকাঁটা নেই বা সুড়ঙ্গ রয়েছে, আমরা ইতোমধ্যে সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি যেসব জায়গায় সীমানা প্রাচীর নেই, সেসব স্থানে আমরা তারকাঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’ 

নিরাপদে অতিথি পাখির বসবাসে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা ইতোমধ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পকেট গেটগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি এবং আগে যেগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী ছিল না, সেই পকেট গেটে এখন থেকে সারাদিন তারা থাকবেন।’

গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন তারা। 

পরে সেখানে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় দাবি বাস্তবায়নে তারা নানা ধরনের স্লোগান দেন। 

এতে মহাসড়কের দুপাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এ আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাবাবিক হয়।

ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ১) অবিলম্বে অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং আগের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। ২) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর পদনাম পরিবর্তণ করে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট/কারখান সহকারি/ওয়ার্কশপ খালাসি অথবা অন্য কোনো নামে নামকরণ করতে হবে। ৩) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতো এইচএসসি (ভকেশনাল) করতে হবে। ৪) ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। ৫) শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে টেকনিক্যাল পদে-নন টেকনিক্যাল লোক নিয়োগ দিতে পারবে না। ৬) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টরদের নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিষ্ঠানটির ৭ম পর্বের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল কবির, আমিম ইসলাম ও মো. শাজ্জাদ হোসেন তাদের ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। 

দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বাদল/পপি/

নোবিপ্রবিতে পর্যটনে এমবিএ চালু, আবেদন করতে পারবেন বাহিরের শিক্ষার্থীরাও

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
নোবিপ্রবিতে পর্যটনে এমবিএ চালু, আবেদন করতে পারবেন বাহিরের শিক্ষার্থীরাও
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে (স্বশরীরে অথবা ডাকযোগে)। 

বিভাগের চেয়ারম্যান ও ভর্তি কমিটির সভাপতি মো. নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরই মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিভাগটি। 

আবেদন ফরমের মূল্য (অফেরতযোগ্য) অভ্যন্তরীণ প্রার্থীর জন্য ১ হাজার ও বাহিরের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা হিসাবের নাম ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ আয় হিসাব, হিসাব নম্বর ০২০০০১২০৯২২১২, অগ্রণী ব‍্যাংক লি., নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় জমা দিয়ে মূল রশিদ আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিভাগীয় অফিসে জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.nstu.edu.bd) অথবা বিভাগীয় অফিস থেকে আবেদন সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। 

ভর্তির জন্য প্রার্থীদের চার বছর মেয়াদি বিবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। নোবিপ্রবির অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ২ দশমিক ২৫, বাহিরের পাবলিক/প্রাইভেট/ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ ২ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে।

স্টাডি গ্যাপ গ্রহণযোগ্য, তবে ভর্তি কমিটির নির্ধারিত শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে। চাকরিজীবী প্রার্থীদের নিজ নিজ নিয়োগকর্তার অনুমোদনসহ দুই সেমিস্টারের জন্য (১ বছর ৪ মাস) ছুটির প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা ও মূল্যায়ন

আগামী ১৭ এপ্রিল বাহিরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ নম্বরের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

পরীক্ষার মানবন্টন

ইংরেজি: ২০ নম্বর
ব্যবসায় শিক্ষা (নীতি ও প্রয়োগ): ৩০ নম্বর
মানসিক দক্ষতা: ১০ নম্বর
মৌখিক পরীক্ষা: ৪০ নম্বর

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে-

১) শিক্ষাগত যোগ্যতার সব পরীক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট, মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি

সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।

২) ২ কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৩) ভর্তি ফরম ক্রয়ের রশিদের ফটোকপি।

কাউসার/পপি/

সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে। এ ছাড়া, সত্যানুসন্ধান কমিটি যে ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)  বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭ মার্চ ২০২৫ সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই কমিটি সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করবে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় একাধিক ছাত্রলীগ নেতার নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সরাসরি জড়িত অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। হামলার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোন মহলের ইশারায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হল সুপন ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নাইমুর রহমান সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাবী শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান সীমান্ত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর ৫ টায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজিতে মারা যান তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। 

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫ টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল ওর একটা সাজার্রি হওয়ার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির
রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে জবি ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে কুরআন গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা । ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২হাজার ৫০০টি কুরআন বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কুরআন বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিদিন ৫০০টি করে মোট ২৫০০টি কুরআন বিতরণ করবে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও আত্মিক মানোন্নয়ন আমাদের কাজের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হতে পারে- এই উদ্দেশে রমজানে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ হাজার ৫০০টি কুরআন উপহার দেওয়ার কর্মসূচি পালন করছি।’

কর্মসূচির অধীনে প্রতিদিন ৫০০টি কুরআন শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে কুরআন বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পোস্টটিতে বলা হয়, ‘উপহারের মজুদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।’ 

কুরআন সংগ্রহ করতে পোস্টে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত বলেও জানায় জবি ছাত্রশিবির।

মুজাহিদ/নাইমুর/