ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

যবিপ্রবিতে দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
যবিপ্রবিতে দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৮ শিক্ষার্থী
ছবি: খবরের কাগজ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

এসময় এফএমবি ও পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় অন্তত আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপে অসুস্থ হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাতেই পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

এঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

জানা যায়, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকানে লিফট দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকা শাহনী উর্মি ও তার বন্ধুরা। এসময় উর্মির সঙ্গে সিএসই বিভাগের স্বপন নামের এক শিক্ষার্থীর ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় উর্মিরা প্রতিবাদ করলে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তী সময়ে উর্মির বন্ধু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিব আহমেদ শান সিএসই বিভাগের বরখাস্ত শিক্ষক সৈয়দ গালিবকে নিয়ে মন্তব্য করে। এসময় ঐ বিভাগের শিক্ষার্থীরা শানের ওপর চড়াও হয়। এরপর উর্মি ও শান প্রক্টর অফিসের দিকে যায়। এসময় সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের দিকে তেড়ে গেলে উর্মি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কর্মীদের কল করে ঘটনাস্থলে জড়ো করেন। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, উর্মির গায়ে হাত দেওয়ায় প্রশাসনিক ভবনের নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের তাদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম দোলেনুর করিম ও এফএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাঞ্জুরুল হাসান আহত হয়। পরবর্তী সময়ে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মুন্সী মেহেরুল্লাহ হলের সম্মুখ সড়কে অবস্থান নেন। এসময় দুপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকা শাহানী উর্মি বলেন, ‘আমি ও আমার ব্যাচমেট শানসহ কয়েকজন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। তখন সিএসই বিভাগের স্বপন হাসাহাসি করতে করতে আমার গায়ের ওপর এসে পড়ে। আমি বিরক্ত হলে স্বপন ও তার এক বন্ধু সরি বলে। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে সিএসইর কয়েকজন শিক্ষার্থী হাবিবকে ডাকে। এটা দেখে আমি আমার বন্ধু ও ছোট ভাইদের ডেকে জড়ো করি। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়।’

এবিষয়ে দোলেনুর করিম বলেন, আমি উর্মির ফোন পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখি আমাদের সহযোদ্ধা শানকে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘিরে রেখেছে। আমি বিষয়টি সমাধান করতে গেলে তারা আমার গায়ে হাত তুলে এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলে তুই কথা বলার কে? এ ঘটনা আমার বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে ছুটে আসে এবং আমাকে কেন মারা হয়েছে, এটা তাদের কাছে জানতে চায়। তখন তারা আমাদের পর হামলা চালিয়ে আমার বন্ধু মানজুরুলকে আহত করে।

সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর বলেন, ‘সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে আমাদের এক ভাইয়ের হাত ভুলবশত উর্মি আপুর গায়ে লেগে যায়। তখন সরি বলার পরও তার বন্ধু ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী শান আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এজন্য আমরা প্রক্টর স্যারের কাছে বিচারের জন্য যাচ্ছিলাম। তখন শান ও এফএমবি বিভাগের দোলেনুর এসে আমাদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা করে এবং লিমনকে ধাক্কা দিতে থাকে। এসময় তারা আমাদের বিভাগের তিনজন ভাইকে মেরে গুরুতর আহত করে। তারা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। আমরা তাদের ওপর কোনো হাত উঠাইনি, আমরা শুধু তাদের আক্রমণকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি।’

যবিপ্রবি প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাতেই সব সহকারী প্রক্টর একসঙ্গে হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মিছিল-মিটিং, মানববন্ধন-সমাবেশ করা যাবে না। করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, এই সংঘর্ষের নেপথ্যে গালিবের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি থাকতে পারে। তা না হলে শুধু চায়ের দোকানে দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তুচ্ছ কথা কাটাকাটির ঘটনায় ক্যাম্পাসে এত বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার কথা নয়।’

উল্লেখ্য, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এদিন ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

মোতালেব হোসাইন/মাহফুজ

 

শেকৃবি ছাত্রদলের উদ্যোগে গণ-সেহরির আয়োজন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
শেকৃবি ছাত্রদলের উদ্যোগে গণ-সেহরির আয়োজন
সেহরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদল বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গণ-সেহরির আয়োজন করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের রোগমুক্তি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে এই আয়োজন করা হয়। 

উক্ত সেহরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য হল ভিত্তিক পার্সেল ব্যবস্থা ছিল।

শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, ‘এই সেহরি আয়োজনের মাধ্যমে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি, আহতদের দ্রুত সুস্থতা ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হবে।’

সাধারণ সম্পাদক বি এম আলমগীর কবির বলেন, ‘ছাত্রদল সমসময় ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা করতে চায়। যার ধারাবাহিকতায় সেহেরির এই আয়োজন। আমরা আশা করি, এই সেহরি আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষার্থী ও অংশীজনের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘গণ ইফতারি আমরা আগে দেখেছি, তবে গণ সেহরি নতুন উদ্যোগ। ছাত্রদলের ব্যতিক্রম ধর্মী আয়োজন প্রশংসনীয়। আমরা চাই ইতিবাচক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রসংগঠন গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতে থাকুক। এতে ছাত্ররাজনীতি তার পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে পাবে।’

মো.আরাফাত রহমান অভি/মাহফুজ

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেল অবরোধ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেল অবরোধ
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ। ছবি : আবদুস সাত্তার

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৫ম ও ৭ম সেমিস্টারের পরীক্ষা বর্জন করে সড়ক ও রেল অবরোধ করেছে। তারা শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের জন্য এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট মোড়ে সড়ক ও রেল অবরোধ শুরু হয়। যার ফলে প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা শুধু সড়কই নয়, ষোলশহর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা-কক্সবাজার রেলটিও থামিয়ে দেয়। ফলে সড়ক ও রেল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। 

এদিকে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা শিক্ষক নিয়োগের জন্য ন্যায্য দাবি জানালেও প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন না।

তারা দাবি করে, ‘অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং পূর্বের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীরা জানান, তারা কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়েছেন, কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

অবশেষে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সড়ক অবরোধ শেষ করে চলে যান এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যুক্তিযুক্ত দাবিগুলো আমরা মেনে নেওয়ার পক্ষে। তবে সড়ক অবরোধ করা উচিত হয়নি।’

তাওফিক/ 

গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন তারা। 

পরে সেখানে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় দাবি বাস্তবায়নে তারা নানা ধরনের স্লোগান দেন। 

এতে মহাসড়কের দুপাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এ আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাবাবিক হয়।

ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ১) অবিলম্বে অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং আগের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। ২) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর পদনাম পরিবর্তণ করে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট/কারখান সহকারি/ওয়ার্কশপ খালাসি অথবা অন্য কোনো নামে নামকরণ করতে হবে। ৩) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতো এইচএসসি (ভকেশনাল) করতে হবে। ৪) ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। ৫) শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে টেকনিক্যাল পদে-নন টেকনিক্যাল লোক নিয়োগ দিতে পারবে না। ৬) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টরদের নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিষ্ঠানটির ৭ম পর্বের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল কবির, আমিম ইসলাম ও মো. শাজ্জাদ হোসেন তাদের ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। 

দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বাদল/পপি/

নোবিপ্রবিতে পর্যটনে এমবিএ চালু, আবেদন করতে পারবেন বাহিরের শিক্ষার্থীরাও

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
নোবিপ্রবিতে পর্যটনে এমবিএ চালু, আবেদন করতে পারবেন বাহিরের শিক্ষার্থীরাও
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে (স্বশরীরে অথবা ডাকযোগে)। 

বিভাগের চেয়ারম্যান ও ভর্তি কমিটির সভাপতি মো. নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরই মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিভাগটি। 

আবেদন ফরমের মূল্য (অফেরতযোগ্য) অভ্যন্তরীণ প্রার্থীর জন্য ১ হাজার ও বাহিরের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা হিসাবের নাম ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ আয় হিসাব, হিসাব নম্বর ০২০০০১২০৯২২১২, অগ্রণী ব‍্যাংক লি., নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় জমা দিয়ে মূল রশিদ আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিভাগীয় অফিসে জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.nstu.edu.bd) অথবা বিভাগীয় অফিস থেকে আবেদন সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। 

ভর্তির জন্য প্রার্থীদের চার বছর মেয়াদি বিবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। নোবিপ্রবির অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ২ দশমিক ২৫, বাহিরের পাবলিক/প্রাইভেট/ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ ২ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে।

স্টাডি গ্যাপ গ্রহণযোগ্য, তবে ভর্তি কমিটির নির্ধারিত শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে। চাকরিজীবী প্রার্থীদের নিজ নিজ নিয়োগকর্তার অনুমোদনসহ দুই সেমিস্টারের জন্য (১ বছর ৪ মাস) ছুটির প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা ও মূল্যায়ন

আগামী ১৭ এপ্রিল বাহিরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ নম্বরের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

পরীক্ষার মানবন্টন

ইংরেজি: ২০ নম্বর
ব্যবসায় শিক্ষা (নীতি ও প্রয়োগ): ৩০ নম্বর
মানসিক দক্ষতা: ১০ নম্বর
মৌখিক পরীক্ষা: ৪০ নম্বর

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে-

১) শিক্ষাগত যোগ্যতার সব পরীক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট, মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি

সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।

২) ২ কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৩) ভর্তি ফরম ক্রয়ের রশিদের ফটোকপি।

কাউসার/পপি/

সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে। এ ছাড়া, সত্যানুসন্ধান কমিটি যে ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)  বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭ মার্চ ২০২৫ সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই কমিটি সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করবে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় একাধিক ছাত্রলীগ নেতার নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সরাসরি জড়িত অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। হামলার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোন মহলের ইশারায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হল সুপন ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।