
কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়ায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপের কাজে একটি ছাত্র হল অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সম্পর্কিত একটি সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনা হবে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপে একটি ছাত্র হল অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হলের নির্মাণে দেরি হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সাত একর জমিতে বালু ভরাট করে অস্থায়ীভাবে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে।’
এ সময় সভায় প্রকল্প পরিচালক ইফতেখার আলম বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে প্রথম ধাপের কাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে। তবে আমরা এর আগেই শেষ করার চেষ্টা করব। দ্বিতীয় ধাপের কাজের পরিকল্পনাও চলবে, তবে এর দৃশ্যমান কাজ ২০২৬ সালের পরে শুরু করা সম্ভব হবে। প্রথম ধাপের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাসের নিচু জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করা, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন তৈরি এবং একটা বেসক্যাম্প তৈরি করা।’
বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল নিয়ে তিনি বলেন, ‘হল দুইটির স্থান এমন জায়গায় যে, এখানে স্টিল স্ট্রাকচারের কাজ চালানোর জন্য যে ক্রেন আনা দরকার সেটা নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। কারণ সেখানে রাস্তাগুলো ১৪ থেকে ২২ ফুটের মধ্যে। তবে এখানে স্টিলের স্ট্রাকচারের পরিবর্তে কংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ বেশি টেকসই হবে। তা ছাড়া স্টিল স্ট্রাকচার সময়সাপেক্ষ। স্থানীয় কমিউনিটির কিছু আপত্তি এসেছে, যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’
শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ২০০৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে আমরা বিগত সময়ে নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকা থেকে সরিয়ে অজপাড়াগাঁয়ে পাঠানোর জন্য তারা নতুন ক্যাম্পাস দিয়েছে। কিন্তু আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, এই ক্যাম্পাস আমাদেরই থাকবে। কেরানীগঞ্জে হবে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস।’
জবি সংস্কার আন্দোলনের সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্রীদের জন্য একটি হল আছে, তাই এখন ছাত্রদের হল বেশি জরুরি।’
শিক্ষার্থীদের এসব দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা জেলা এডিসি পারভেজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আইনগত কাঠামোর মধ্যে কীভাবে ফ্যাসিলিটেট করা যায়। আইনগতভাবে অস্থায়ী বা স্থায়ী কাঠামো করার সুযোগ নাই। স্ট্রাকচারের বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে লোকাল কমিউনিটিকে রেসপেক্ট না করলে সাসটেইনেবল হয় না।’
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন ও নাসির আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুজাহিদ/সুমন/