ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

স্বাস্থ্যবিমার অধিকারের তথ্য অজানা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
স্বাস্থ্যবিমার অধিকারের তথ্য অজানা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ভর্তির সময়ের পাশাপাশি প্রতি সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ফির সঙ্গে জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার টাকা দিয়ে থাকেন। কোনো কারণে তারা অসুস্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা।

কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তাদের এই অধিকার সম্পর্কে জানেন না। আবার যারা জানেন, তারা প্রাপ্ত সুবিধা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে অনেক শিক্ষার্থী আবার চিকিৎসার সহায়তার আবেদন করা থেকেই আগ্রহ হারিয়েছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি নিয়ে প্রচার না থাকায় তারা তাদের ন্যায্যা অধিকার সম্পর্কে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচারের বিষয়ে তারা শিগগিরই উদ্যোগ নেবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বিমাচুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে শিক্ষার্থীরা বছরে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পাবেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা পাঁচ হাজার টাকার একটি আউটপেশেন্ট ট্রিটমেন্ট কাভারেজ পাবেন। দুর্ঘটনাবশত কোনো শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করলে তিনি যাকে নমিনি করে যাবেন তিনি ৫০ হাজার টাকা পাবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অতি প্রয়োজনীয় এই তথ্যগুলো জানানোর জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার জন্য ৫০০ টাকা এবং পরবর্তী সময়ে প্রতি সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ফির সঙ্গে ২৫০ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু নিয়মিত জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার জন্য টাকা পরিশোধ করলেও তারা এর সুবিধা সম্পর্কে জানেন না। এমনকি কোন পদ্ধতিতে এই সুবিধা ভোগ করতে হয়, তার সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদের কোনো ধারণা নেই।  

অসুস্থ হওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে খবরের কাগজ। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই এই বিমা সম্পর্কে প্রথমবার শুনেছেন। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে কজন বিমার সুবিধা নিয়েছেন, তারা জানিয়েছেন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। 

কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ১ নভেম্বর হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে সিলেট শহরের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি হই। তারপর ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্যাসহ স্বাস্থ্যবিমার জন্য আবেদন করি। তখন জানানো হয়, শিগগিরই টাকা পেয়ে যাব। কিন্তু দুই সপ্তাহ যাওয়ার পরও যখন টাকা পাইনি তখন আবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তখন আমাকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়। তিন মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আমি কোনো টাকা পাইনি।’  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগে সাইনুসাইটিসজনিত চিকিৎসার জন্য আমার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু এর এক মাস আগে আমার এক বন্ধু আবেদন করেও টাকা পায়নি। তাই সব কাগজপত্র সংগ্রহ করার পরও আমি আর আবেদন করিনি।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যারা স্বাস্থ্যবিমার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অবগত নন। অসুস্থ হওয়ার পর জানেন না যে তাদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর এই অধিকারের জন্য তাদের প্রতি সেমিস্টারে ২৫০ টাকা করে গুনতে হয়। এ রকমই কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয় খবরের কাগজের প্রতিবেদকের।
গত নভেম্বর মাসে ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের হাড়ে ফাটল দেখা দেয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফের। চিকিৎসা করাতে তার প্রায় ছয় হাজার টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিমার ব্যাপারে না জানায় এই সুবিধার জন্য তিনি আবেদন করতে পারেননি। 
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. এছাক মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘যদি কোনো শিক্ষার্থী সেবা পেতে ভোগান্তির সম্মুখীন হন, আমাদের জানালে আমরা সর্বাত্মক সহোযোগিতা করব। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিমা সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা খুব শিগগির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ 

এদিকে বিমার সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হলে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিমা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে আমরা শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যদি কোনো শিক্ষার্থী এই সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হন, সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

ঢাবিতে আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণে দোয়া মাহফিল স্থগিত

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
ঢাবিতে আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণে দোয়া মাহফিল স্থগিত
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রয়াত সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক’ ব্যানারে ওই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় অনুষ্ঠিত স্থগিত রাখা হয় বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যাপক ড. আল মুজাদ্দেদী আলফেসানী।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রোগ্রামের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলে এ বিষয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না, তাই এটি আমরা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি।’ ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. আল মুজাদ্দেদী আলফেসানী বলেন, ‘অনেকে বলছে এটি নীল দলের প্রোগ্রাম। কিন্তু এখানে আমরা কোনো প্ল্যাটফর্মের ব্যানার ব্যবহার করিনি। আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ছিলাম, তাদের আবেগ এবং শ্রদ্ধার জায়গা থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া। এটি বন্ধ হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই মর্মাহত হয়েছি।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দুটি ছাত্র সংগঠন আমাকে ফোন করে এ কর্মসূচি নিয়ে আপত্তি জানায়। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেও ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে। ফলে আমি বিষয়টি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে জানাই। এরপর রাত ১টার দিকে ক্লাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল স্থগিত করার বার্তা দেওয়া হয়।’

৬ মার্চ ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান এ শিক্ষক। এদিন বিকেলে মাথায় আঘাতজনিত কারণে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের নিউরো সায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১১টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই অধ্যাপক। ২০১৭ সালে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে আবারও নিজ বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০২০ সালের জুনে তিনি অবসরে যান। 

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতারা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

গাজাসহ বিভিন্ন শহরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতারা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় জবি শাখা শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের ভাই-বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়ে ফতোয়া খুঁজি কার দাড়ি লম্বা, কার দাড়ি ছোট। যখন মুসলিম সমাজ এইসব ফতোয়ার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন আমাদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ মা-বোনদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।  

শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের লিখনির মাধ্যমে এমন এক তরুণ সমাজ গড়ে তুলুন, যারা সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি হয়ে উঠবে, যারা হবে বাংলাদেশের এবং বিশ্বের জন্য উমর ইবনুল খাত্তাব। যাদের নেতৃত্বে পৃথিবীতে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ইসলামের অধিকারগুলো সংরক্ষিত হবে।  

এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ফিলিস্তিনিরা আজ হামলার শিকার হচ্ছে। আমাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তাই সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে অসংখ্য ইসরায়েলি পণ্য কেনা হয়েছিল, যা দিয়ে দেশের জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয়েছে। সেসব পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিগত সময়ে যত ইসরায়েলি জাহাজ দেশে এসেছে, সবগুলোর তথ্য প্রকাশ করতে হবে।

এ সময় দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, এটা শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে আঘাত নয়, এটা মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত। তাই মানুষ হিসেবে এটির প্রতিবাদ করার সবার কর্তব্য।

মানববন্ধন শেষে ফিলিস্তিনের শোষিত ও নির্যাতিত জনগণের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় উপস্থিত সকলেই ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি ও শান্তি কামনা করেন।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

শেকৃবি ছাত্রদলের উদ্যোগে গণ-সেহরির আয়োজন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
শেকৃবি ছাত্রদলের উদ্যোগে গণ-সেহরির আয়োজন
সেহরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদল বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গণ-সেহরির আয়োজন করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের রোগমুক্তি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে এই আয়োজন করা হয়। 

উক্ত সেহরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য হল ভিত্তিক পার্সেল ব্যবস্থা ছিল।

শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, ‘এই সেহরি আয়োজনের মাধ্যমে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি, আহতদের দ্রুত সুস্থতা ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হবে।’

সাধারণ সম্পাদক বি এম আলমগীর কবির বলেন, ‘ছাত্রদল সমসময় ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা করতে চায়। যার ধারাবাহিকতায় সেহেরির এই আয়োজন। আমরা আশা করি, এই সেহরি আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষার্থী ও অংশীজনের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘গণ ইফতারি আমরা আগে দেখেছি, তবে গণ সেহরি নতুন উদ্যোগ। ছাত্রদলের ব্যতিক্রম ধর্মী আয়োজন প্রশংসনীয়। আমরা চাই ইতিবাচক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রসংগঠন গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতে থাকুক। এতে ছাত্ররাজনীতি তার পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে পাবে।’

মো.আরাফাত রহমান অভি/মাহফুজ

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেল অবরোধ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেল অবরোধ
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ। ছবি : আবদুস সাত্তার

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৫ম ও ৭ম সেমিস্টারের পরীক্ষা বর্জন করে সড়ক ও রেল অবরোধ করেছে। তারা শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের জন্য এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট মোড়ে সড়ক ও রেল অবরোধ শুরু হয়। যার ফলে প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা শুধু সড়কই নয়, ষোলশহর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা-কক্সবাজার রেলটিও থামিয়ে দেয়। ফলে সড়ক ও রেল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। 

এদিকে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা শিক্ষক নিয়োগের জন্য ন্যায্য দাবি জানালেও প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন না।

তারা দাবি করে, ‘অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং পূর্বের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীরা জানান, তারা কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়েছেন, কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

অবশেষে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সড়ক অবরোধ শেষ করে চলে যান এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যুক্তিযুক্ত দাবিগুলো আমরা মেনে নেওয়ার পক্ষে। তবে সড়ক অবরোধ করা উচিত হয়নি।’

তাওফিক/ 

গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন তারা। 

পরে সেখানে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় দাবি বাস্তবায়নে তারা নানা ধরনের স্লোগান দেন। 

এতে মহাসড়কের দুপাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এ আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাবাবিক হয়।

ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ১) অবিলম্বে অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং আগের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। ২) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর পদনাম পরিবর্তণ করে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট/কারখান সহকারি/ওয়ার্কশপ খালাসি অথবা অন্য কোনো নামে নামকরণ করতে হবে। ৩) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতো এইচএসসি (ভকেশনাল) করতে হবে। ৪) ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। ৫) শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে টেকনিক্যাল পদে-নন টেকনিক্যাল লোক নিয়োগ দিতে পারবে না। ৬) ক্রাফ্ট ইন্সট্রাক্টরদের নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিষ্ঠানটির ৭ম পর্বের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল কবির, আমিম ইসলাম ও মো. শাজ্জাদ হোসেন তাদের ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। 

দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বাদল/পপি/