
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও তাদের লাঞ্ছনার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও তাদের লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সনদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এ ছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৯ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে একজনকে দুই বছরের জন্য এবং আরও একজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের নাম পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চবির শেখ হাসিনা হলের ‘নৌকা প্রতীক’ ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙতে গেলে হলটির নারী শিক্ষার্থীদের বাধার সম্মুখীন হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তখন হলের নারী শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলীর গায়ে হাত তোলেন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।