ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
শাবিপ্রবির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বের করা আনন্দ শোভাযাত্রা। ছবি: খবরের কাগজ

উৎসবমুখর পরিবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম প্রশাসনিক ভবন-১-এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।   

এরপর সবাইকে নিয়ে বেলুন ওড়ানো হয় এবং এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবন-১-এর সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে কেক কাটা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আজ সত্যিই আনন্দের দিন। আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে। এই সময়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বহুভাবে বিকশিত হয়েছে। এই উন্নয়নে যাদের অবদান রয়েছে বিশেষ করে সিলেটবাসী এবং যাদের চেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আজকের এই দিনে আমি তাদের স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবের শহিদদের এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ৩৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থে একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দেশের মানুষ গর্ব করতে পারবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষা ও গবেষণা নির্ভর করে গড়ে তুলব। আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা ২৫৩ কোটি টাকার দুইটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছি। সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এখানে হযরত শাহজালাল (র.) এর নামে একটি কর্ণার তৈরি করার, আমরা সেটিও বাস্তবায়ন করব।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসফাক আলী/সুমন/

সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
সত্যানুসন্ধান কমিটির ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়: ঢাবি প্রশাসন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে। এ ছাড়া, সত্যানুসন্ধান কমিটি যে ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)  বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭ মার্চ ২০২৫ সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই কমিটি সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করবে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সত্যানুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় একাধিক ছাত্রলীগ নেতার নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সরাসরি জড়িত অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। হামলার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোন মহলের ইশারায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হল সুপন ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নাইমুর রহমান সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাবী শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান সীমান্ত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর ৫ টায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজিতে মারা যান তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। 

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫ টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল ওর একটা সাজার্রি হওয়ার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির
রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে জবি ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে কুরআন গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা । ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২হাজার ৫০০টি কুরআন বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কুরআন বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিদিন ৫০০টি করে মোট ২৫০০টি কুরআন বিতরণ করবে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও আত্মিক মানোন্নয়ন আমাদের কাজের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হতে পারে- এই উদ্দেশে রমজানে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ হাজার ৫০০টি কুরআন উপহার দেওয়ার কর্মসূচি পালন করছি।’

কর্মসূচির অধীনে প্রতিদিন ৫০০টি কুরআন শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে কুরআন বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পোস্টটিতে বলা হয়, ‘উপহারের মজুদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।’ 

কুরআন সংগ্রহ করতে পোস্টে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত বলেও জানায় জবি ছাত্রশিবির।

মুজাহিদ/নাইমুর/

জাবির ২৮৯ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষক বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
জাবির ২৮৯ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষক বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সমর্থন, হামলা এবং ইন্ধনের অভিযোগে ২৮৯ শিক্ষার্থী ও ৯ শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাটি বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে শুরু হয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা চলে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তিনটি ক্যাটাগরিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাময়িক বরখাস্ত, পরীক্ষা শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন স্থগিত করা হয়েছে।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, শেখ হাসিনা হল ও শেখ রাসেল হলের নাম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব হলের নতুন নাম নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ছাড়া হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি মেম্বার, হল প্রভোস্ট ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একটি স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আমান/তাওফিক/ 

চুয়েটের ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
চুয়েটের ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এবং আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর বাইরে কেবল আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে আরও ১২ শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃত সবাই ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক নেতা বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সোমবার (১৭ মার্চ) শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, অভিযুক্তদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সাত শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের চারজনকে দুই বছর এবং বাকি তিনজনকে এক বছরের জন্য শিক্ষাক্রম থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান। অন্যদিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক।

এ ছাড়া আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান।

এসব শিক্ষার্থীর বাইরে আরও দুজনকে কেবল সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী।

ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী এবং ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শাতে বলা হয়। তাদের জবাব এবং অভিযোগের বিপরীতে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের আলোকে শৃঙ্খলা কমিটি এসব শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’