
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা ও গণজমায়েত কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় জটিল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া দূর করার পাশাপাশি টেকসই জ্বালানির জন্য একটি সুগম পথ তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চবি ক্যাম্পাসে আইএসডিই বাংলাদেশ, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর নেতৃত্বে এই প্রচারণা কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রচারণা কর্মসুচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, উন্নয়ন কর্মী, সামাজিক আন্দোলনের কর্মী ও জলবায়ু যোদ্ধারা অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা চবি জিরো পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন প্লে কার্ড, ফেস্টুন ও দাবি সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শন ও স্লোগান দিয়ে পদযাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও অনুষদের এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। যেখানে পুরনো অবকাঠামো, অসংগঠিত নীতিমালা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগের মতো বাধাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হবার আগেই বিদ্যুৎ সংকট চরমে পৌঁছেছে। তাই দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো না হলে জ্বালানি সংকট সমাধান কঠিন হবে। আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র কার্যকর নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই আমরা সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তর নিশ্চিত করতে পারি।
এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্ট শিক্ষক ড. খালেদ মিজবাহউজ্জমান, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ড. চন্দন কমার, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি রাব্বি তৌহিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল ইসলাম, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ইয়ুথ পিপলস অব বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক সিরাতুল মুনতাহা, আইএসডিই বাংলাদেশ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আবু হাসান আজমীসহ স্থানীয় নেতা, শিক্ষার্থী এবং পরিবেশ কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
মাহফুজ/