ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

ইউক্যালিপটাসের প্রভাবে ক্ষতির মুখে শাবিপ্রবির ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ এএম
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
ইউক্যালিপটাসের প্রভাবে ক্ষতির মুখে শাবিপ্রবির ক্যাম্পাস
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে// খবরের কাগজ

সারা দেশের মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (শাবিপ্রবি) ব্যাপক বনায়ন করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এসব বনায়ন ছিল অপরিকল্পিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ফলদ ও ঔষধি গাছ রোপণ করা হলেও এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল ইউক্যালিপটাস। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রভাব। কমেছে পাখির বিচরণ। 

বনায়ন গবেষকরা জানান, একটি ইউক্যালিপটাস গাছের আশপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকা ও ভূগর্ভের প্রায় ৫০ ফুট নিচের পানি শোষণ করে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি ২৪ ঘণ্টাই চলতে থাকে। ফলে দ্রুত মাটিতে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এতে আশপাশের অন্য প্রজাতির গাছও জন্মাতে পারে না। গাছটি মাটিকে শুষ্ক করে ফেলে। ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, গাছটি কেটে ফেললেও মাটির উর্বরতা ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। এমনকি এ গাছের ফুল ও ফল ঝরে পড়লে সেখানেও পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দেয়। এই গাছের ফুল এবং পাপড়িগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের শ্বাসনালিতে ঢুকে শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করে। এ গাছের পাতায় এক ধরনের অ্যান্টিসেপটিক থাকায় এর নিচে ছোট গাছ বাড়তে পারে না এবং এর প্রভাবে মারা যায় পোকা-মাকড়ও।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক তানজিয়া জাহান মনি বলেন, ‘ইউক্যালিপটাস পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এটি মাটি থেকে প্রচুর পানি শোষণ করে এবং এর রেণু বাতাসের সঙ্গে মিশে পরিবেশ ও মানুষ উভয়ের ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছি। ক্যাম্পাসে ইউক্যালিপটাস গাছের মতো ক্ষতিকর গাছগুলো কেটে এর পরিবর্তে পরিবেশের জন্য উপকারী গাছ রোপণের অনুরোধ করব।’ 

বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশের ভারসাম্যের কথা চিন্তা না করে অপরিকল্পিত বনায়ন করা হয়েছে জানিয়ে শাবিপ্রবির ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত বলেন, ‘বনায়নে অধিকাংশই ছিল ইউক্যালিপটাস গাছ। এই গাছের রেণু পরিবেশ ও মানুষ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছও জন্মাতে পারে না। পাশাপাশি আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, এসব গাছে কোনো পাখি খাবার পায় না বা আশ্রয় নিতে পারে না।’ 

বনায়নের নামে বিশ্ববিদ্যালয়কে এই ক্ষতিকর গাছ থেকে রক্ষা করতে এবং এসব গাছের পরিবর্তে ফলদ ও ঔষধি গাছ রোপণ করার আহ্বান জানিয়ে ড. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত আরও বলেন, ‘সবাই মিলে উদ্যোগ নিয়ে যদি এই গাছের পরিবর্তে পরিবেশের জন্য উপকারী গাছ লাগানো যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।’ 

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ধারিত্রীর জন‍্য আমরা (ধরা)’র কেন্দ্রীয় সদস‍্য আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘ইউক্যালিপটাস মূলত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিক্রি করার জন্য লাগানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী ও জীববৈচিত্র্যের কথা চিন্তা করে বনায়ন করা। কিন্তু এর পরিবর্তে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ লাগানোকে আমি সমর্থন করি না।’

ঈদের বন্ধে ঢাবিতে বুধবার থেকে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
ঈদের বন্ধে ঢাবিতে বুধবার থেকে নিরাপত্তা জোরদার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার (৪ জুন) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে থাকবে অস্ত্রধারী পুলিশ। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত এই নিরাপত্তাব্যবস্থা চলমান থাকবে।

মঙ্গলবার (৩ ‍জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিদের এক যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে (শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, দোয়েল চত্বর, উদয়ন এবং অফিসার টাওয়ার) প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সঙ্গে প্রত্যেকটি স্থানে দুজন করে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্যাম্পাস এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সেনা সদর দপ্তরের সামরিক অপারেশন অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার রাত ১০টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ভবন’ সংলগ্ন পকেট গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

 

চবিতে ছাত্রী মেসে চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
চবিতে ছাত্রী মেসে চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে ছাত্রীদের একটি মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন ছাত্রীর প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ ওঠেছে। মূলত বাড়িওয়ালীর উদাসীনতা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রীদের।

সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। 

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, গত ১ জুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে খায়ের মেনশনে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন ছাত্রীর নগদ টাকা, সাটিফিকেট, পোশাক, প্রসাধনীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিমাণের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। এর আগেও গত বছর জুলাইয়ের ২৪ তারিখ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি বাড়িওয়ালী।  

ছাত্রীরা আরও বলেন, এছাড়াও প্রায়ই বাসার বাইরে থেকে তাদের অন্তর্বাসসহ, ফোনের চার্জার, জুতা ইত্যাদি চুরি করা হলেও বাড়িওয়ালা নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। এটা ছাত্রীদের মেস হলেও নেই সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তার কথা বলা হলে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ওই বাড়িওয়ালী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একতলা বাড়িতে মোট ৪টা রুম এবং চিলেকোঠায় একটি রুম রয়েছে। তবে, দুইটি রুম ও চিলেকোঠার একটি রুমের মোট ৪ জন ছাত্রীর মালামালা চুরি হলেও বাকি রুমগুলোর কোনো মালামালই চুরি হয়নি। 

ভুক্তভোগী একজন ছাত্রী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রাইসা জহির বলেন, আমি এবং আমার রুমমেট ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। ১ তারিখ রাতে আমাদের রুমে চুরি হয়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে এসে দেখি আমার সার্টিফিকেট, মোবাইল ফোন, কাপড়, প্রসাধনী জিনিসপত্র, নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসায় ছাত্রীরা থাকলেও নিরাপত্তার জন্য কোনো গার্ড বা সিসি ক্যামেরাও নেই। প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাড়িওয়ালী। তাকে এ বিষয়ে বলা হলে উনি বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। যেহেতু বাড়িওয়ালার উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। 

এর আগে বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা স্বীকার করে বাড়িওয়ালী মাহমুদা বেগম রিনা বলেন, চুরি কমানোর জন্য জানালার অতিরিক্ত গ্রিল লাগানো হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চুরির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উদাসীনতারও দায় দেন তিনি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, চবি কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে মেয়েদের মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা পেয়েছি বাড়িওয়ালী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত বাড়িটিতে আসা যাওয়া করেন। আপাতত অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে চোর পরিচিত কেউ-যার এ বাসার সবকিছু জানা আছে। আমরা দেখেছি শুধুমাত্র ছাত্রীদের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে, যদিও সেখানে বাড়িওয়ালার আলমিরাসহ দামী জিনিসপত্র অক্ষুণ্ণ আছে এবং চোর যাওয়ার সময় বাড়িতে তালাও লাগিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা আশা করি বাড়িওয়ালা কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করে বিষয়টির সমাধান সহজ করবেন।


মাহফুজ শুভ্র/মাহফুজ

 

ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য কোরবানীর পশু ক্রয় ও গোস্ত বিতরণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী সব শিক্ষার্থী ও কর্মচারীকে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলো।

মেহেদী/

খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন লাইট লাগানো এবং পুরাতন লাইট মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আগে ক্যাম্পাসের যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো ছিল না বা একদম অন্ধকার ছিল, সেসব জায়গা এখন আলোকিত। এর আগে খবরের কাগজে গত ২৮ মে ‘শাবিপ্রবিতে বহিরাগতদের আনাগোনায় নিরাপত্তাহীন শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় কিভাবে নিজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

তখন প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল, এ বিষয়ে খুব শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিতে কাজ শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের এ রকম উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। আমরা আশা করি, নিরাপত্তাহীনতার জন্য দায়ী অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিত করার কাজ শুরু করেছি। বৃষ্টির জন্য কাজটা যদিও দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে না, তবুও আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাসে লাইটিং-সহ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো নিশ্চিত করার।

ইসফাক আলী/অমিয়/

শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল
খননকৃত খাল। ছবি:খবরের কাগজ

বিগত বছরগুলোতে বর্ষাকাল আসতে না আসতেই অল্প বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এবার বর্ষা আসার আগেই ক্যাম্পাসের প্রতিটি খাল পুনরায় খনন করায় সে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রশংসায় ভাসছে প্রশাসনের খাল খননের এ উদ্যোগ। 

সোমবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটে বিগত কয়েকদিনের মৌসুমি বৃষ্টিতে আগের মতো জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে। পুনঃখননকৃত খাল দিয়ে সহজেই ক্যাম্পাসের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত ঠিক উল্টো চিত্র। একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হতো, রাস্তা ডুবে যেতো এবং এতে করে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো শিক্ষার্থীদের। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন ও নতুন খাল খনন করা হয়। খালটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা টিলারগাও এলাকা দিয়ে চেঙ্গের খালে গিয়ে পতিত হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তুফা আহাম্মেদ বলেন, অতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দিত, যা শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাত। তবে সম্প্রতি খাল খনন ও জলাধার উন্নয়নের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন বৃষ্টির পরও ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় না, যা শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তির বিষয়। এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সবাইকে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তাই আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই প্রথম এই কাজটার দিকেই মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমাদের কাজ এখনো চলমান আছে। আশা করি এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, প্রত্যেক বছর বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাস প্লাবিত হয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। পাশাপাশি ক্লাসরুম বা ল্যাবের ভিতরে পানি ঢুকে অনেক ক্ষতি করতো। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই সময় মতো খাল খনন করা হয়েছে। খালের পানি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাহিরে যাতে পানি সহজে নিষ্কাশন হয় সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রশাসককে বলা হয়েছে। তারাও বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার খানাখন্দ ঈদের বন্ধের মধ্যে মেরামতের জন্যও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। আশা করি এই বন্ধের মধ্যে তারা এটা করে ফেলবে।


মো: ইসফাক আলী/মাহফুজ