ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

বেরোবিতে অনিয়ম, ওয়াজেদ রিসার্চে দুদকের হানা

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২ এএম
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২ এএম
বেরোবিতে অনিয়ম, ওয়াজেদ রিসার্চে দুদকের হানা
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অভিযানের সময় নানা অনিয়ম খতিয়ে দেখে দুদক রংপুরের একটি প্রতিনিধি দল। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অফিসে অনিয়মিত এবং কোনো কাজ ছাড়াই বসে বসে প্রতি মাসে বেতন পান বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর এ অভিযান চালানো হয়।

বুধবার (১২ মার্চ) দুদক রংপুরের সহকারী পরিচালক মো. হুসাইন শরিফের নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এ অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় দুদক রংপুরের সহকারী পরিচালক মো. হুসাইন শরিফের বলেন, ‘সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. জলিল মিয়ার ইচ্ছায় ২০০৯ সালে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর এখানে কয়েকজন রিসার্চ অফিসার ও ফেলো ভর্তি করান। কিন্তু এখানে কোনো নীতিমালা না থাকায় সেই ফেলোরা আর ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেননি। আর এই ইনস্টিটিউটে ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো কাজ ছাড়াই বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। আমি ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে অভিযান চালিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই রিপোর্টগুলো কমিশনে পাঠাব। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

সূত্র জানায়, ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের গবেষক ভর্তির অনুমোদন না পাওয়ায় বিষয়টি ২০২২ সালে জানাজানি হলে এর পর থেকে তেমন কোনো কাজ নেই এ ইনস্টিটিউটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ইনস্টিটিউটে সাতজন কর্মকর্তা, একজন কম্পিউটার অপারেটর এবং একজন এমএলএসএস কর্মরত আছেন। সাত কর্মকর্তার মধ্যে আছেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফা, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. প্রসন্নজিৎ সরকার, সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিলের মেয়ে রুমানা ফেরদৌসী জলীল, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রফিউল আজম খানের স্ত্রী ডেপুটি রেজিস্ট্রার সিরাজুম মুনিরা, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সায়েম, সিনিয়র রিসার্চ অফিসার ও মুখতার ইলাহীর বোন মেহজাবিন ইলাহী এবং রংপুর বিভাগের জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রিসার্চ অফিসার ড. মো. রোকনুজ্জামান।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর দশম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউট থেকে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর ২০তম সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১২ সালের ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমফিল, পিএইচডিতে ভর্তি করানো হয়। গবেষণার জন্য অনুমোদন না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া নিজের মেয়ে রুমানা ফেরদৌসী জলীলকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই এ ইনস্টিটিউটে গবেষক ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন বলে কথিত আছে এবং তার আমলেই এই ভর্তি শুরু হয়। এরপর ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২০৫ জন গবেষক ভর্তি হন। তখন এ ইনস্টিটিউটে ভর্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ইনস্টিটিউটে কর্মরত প্রায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এখন বসে বসেই বেতন পাচ্ছেন বলে কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন। কাজ না থাকায় অফিসেও নিয়মিত দেখা যায় না এসব কর্মকর্তাকে। এর মধ্যে রিসার্চ অফিসার ড. মো. রোকনুজ্জামানের গবেষণা কার্যক্রম তেমন না থাকলেও সক্রিয় রয়েছেন বিএনপির রাজনীতিতে। কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট ও সাম্প্রতিক সময়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এভাবে প্রকাশ্যে রাজনীতিতে জড়ানোর পরেও প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভবিষ্যৎ এখানকার কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে রাজনীতিতে জড়াবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ অফিসারদের গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে গিয়ে দেখা যায়, কোনো কর্মকর্তারই কোনো গবেষণা নেই। গবেষণাবিষয়ক ওয়েবসাইট রিসার্চ ঘেঁটে মাত্র ড. প্রসন্নজিৎ সরকার ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সায়েমের দুই-তিনটি গবেষণা সংক্রান্ত আর্টিকেল পাওয়া যায়, বাকিদের কোনো গবেষণা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর জানতে পারি, এ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আমি নিজে। পরে নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিই। এটির প্রথম দিকে অনুমোদন ছিল না। ২০২৪ সালের প্রথম দিকে এই ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দেওয়া হলেও নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। আমি নিজ উদ্যোগে নীতিমালা তৈরি করার জন্য কাজ করছি।’ 

ঢাবিতে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল শুরু, মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১২ পিএম
ঢাবিতে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল শুরু, মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। এবারের আসরে ১১ দেশের প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত ‘প্রথম ডিইউকিউএস ইন্টারন্যাশনাল কুইজ ফেস্ট-২০২৫’ শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির (ডিইউকিউএস) আয়োজনে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি আয়োজকদের।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ওয়াসি আহাম্মেদ বলেন, ‘ঢাবি কুইজ সোসাইটিই দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম এই ধরনের বৃহৎ আন্তর্জাতিক কুইজ উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এটি বাংলাদেশের কুইজ সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবে।’

দেশের বাইরের অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে কুইজ সোসাইটির যোগাযোগ সম্পাদক মুসাররাত তাইয়্যেবা মুসকান বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, ফিলিপাইনসহ মোট ১১টি দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বিদেশি কুইজাররা ভার্চুয়ালি প্রতিযোগিতায় যুক্ত হবেন।’

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন উদ্বোধনের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা এবং একক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে অন্তঃ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্মুক্ত রাউন্ড। সেই সঙ্গে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে এই আন্তর্জাতিক আয়োজনের পর্দা নামবে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদমান মুস্তফা রাফিদ, ছাত্র কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক জয়নব আরা পাপড়ি এবং উপ-আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক মাইনুর জান্নাত রাবিনা।

ডিইউকিউএসের আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভালে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে মুক্ত চিন্তার স্বাধীন দৈনিক ‘খবরের কাগজ’।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ডিইউকিউএস কুইজের দ্বারা জ্ঞানচর্চাকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জ্ঞানচর্চার সেই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল।

কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে হিন্দুধর্মকে অবমাননা ও অশ্লীলভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ জানিয়ে অভিযুক্তের শাস্তি দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সনাতনী শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগপত্র জমা দেন। প্রক্টরের পর ভিসি বরাবরও অভিযোগপত্রের একটি কপি হস্তানতর করেন তারা।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আব্দুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার নিজ জেলা চট্টগ্রাম। গতকাল ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার পোস্টটির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়। 

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ‘‌সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের (আব্দুর রহমান, আইন বিভাগ ১৮তম আবর্তন) এক শিক্ষার্থী লাগাতার সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) কটুক্তি করে যাচ্ছে। এর মধ্যে গতকালের (১৪ এপ্রিল) একটি পোস্টে সনাতন ধর্মকে মারাত্মকভাবে ঘৃণিত ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ 


এতে আরও বলা হয়, ‘হিন্দুধর্ম। ইটস রিকোয়াইর্স টু বি এগ্রেসিভলি রেপড, (গালি) ইন আ রুড ওয়ে। (গালি)। আবার (গালি)।’ এই বক্তব্য শুধু কুরুচিপূর্ণ নয়, বরং এটি আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান এবং ঘৃণিত করে। এই ধরনের বক্তব্য কোনো সভ্য সমাজ বা শিক্ষাঙ্গনে মেনে নেওয়া যায় না। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বর্তমানে দুই বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞান ও সম্প্রীতির স্থান। এখানে এমন কোনো মত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত নয় যা অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে।

অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীদের দাবি, উক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার পূর্বক দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক, যেন ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ না করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল M A Hussain– এম এ হোসাইন নামক একটি পেইজে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে জীবন্ত ছাগলকে পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেটার ক্যাপশনে লিখা ছিল ‘জনশ্রুতি আছে, পৃথিবীর নিকৃষ্ট ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। একটা নিরীহ জীবন্ত প্রাণীকে এভাবে আগুনে পুড়ে মারার অধিকার কি কোনো ধর্মে আছে?’ 

পরবর্তীতে স্ক্রিনশটটি ছড়িয়ে পড়লে পোস্টটি ডিলিট করে ক্ষমা চেয়ে নতুন আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত আবদুর রহমানের ফেসবুক একাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখা হয়েছে। 

আইন বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বাস বলেন, ‘আব্দুর রহমান যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) আমাদের ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী কিভাবে একটা ধর্মকে নিয়ে এমনভাবে গালি দিতে পারে? আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো, বিগত বছরগুলাতে যেভাবে ধর্মকে অবমাননার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃক স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে, এবারও যেন তার ব্যতিক্রম না ঘটে। তার জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যেন পরবর্তীতে এমন ঘটনা না ঘটে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্য প্রক্টর অফিসে দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ও আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে অবগত নই। ঘটনা সম্পূর্ণ না জেনে আমি তো কোন বক্তব্য দিতে পারছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা অভিযোগপত্রটি পেয়েছি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী যেহেতু আইন বিভাগের সেহেতু আমরা উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি শৃংখলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করবো।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ডেকে শোকজ করা হবে। তার লিখিত ব্যাখ্যা গ্রহণের পর নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

আতিকুর/তাওফিক/ 

ইংরেজি শিখিয়ে দক্ষ প্রজন্ম গড়তে চান সাইফুল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
ইংরেজি শিখিয়ে দক্ষ প্রজন্ম গড়তে চান সাইফুল
ছবি: মো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জন একাডেমিক, পেশাগত এবং সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অনেকেই ভাষাটির প্রতি এক ধরনের ভীতি বা সংকোচ অনুভব করেন, যা তাদের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই সাইফুল ইসলামের উদ্যোগে ‘ইংলিশ থেরাপি’ হয়ে উঠেছে একটি কার্যকর সমাধান।

সাইফুল ইসলাম ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি তিনি Skill & Leadership Development-এর উপরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্ধশতাধিক কোর্স সম্পন্ন করেছেন। কর্মজীবনে বসুন্ধরা ট্রেনিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টার, আইএমবি প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট, ইগনাইট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড  কলেজে ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে সফলতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। 

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ইংলিশ থেরাপি’ এমন একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম, যা ভাষা শিক্ষার প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ এবং কার্যকর উপায়ে ইংরেজি শেখার পথ দেখিয়েছে। সাইফুল ইসলাম এই প্রোগ্রাম বিশেষভাবে তাদের জন্য সাজিয়েছেন, যারা ভাষার বুনিয়াদি দিকগুলোতে দুর্বল।

সাইফুল ইসলামের মতে, ‘ইংলিশ থেরাপি শুধু ইংরেজি শেখার একটি প্রোগ্রাম নয়, এটি আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনের একটি মিশন।’

ইংলিশ থেরাপি শিক্ষার্থীদের চারটি মূল ক্ষেত্র—পড়া, লেখা, বলা এবং বোঝায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনের ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছে: বেসিক গ্রামার ও ভোকাবুলারি উন্নয়ন, উচ্চারণ সংশোধন, প্রেজেন্টেশন এবং যোগাযোগ দক্ষতা প্রশিক্ষণ, রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্প এবং লাইভ প্র্যাকটিস সেশন। এই প্রোগ্রাম অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ফলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ইংলিশ থেরাপির মাধ্যমে ইতোমধ্যেই হাজারও শিক্ষার্থী তাদের জীবনের বাঁক পরিবর্তন করেছেন। তেমনই একজন রুমানা আক্তার। তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘ইংলিশ থেরাপির আগে আমি কখনো ইংরেজিতে নিজের মত প্রকাশ করতে পারতাম না। এখন আমি অনায়াসে অফিস মিটিং পরিচালনা করতে পারি। আমার ভাষাগত দক্ষতা করপোরেট দুনিয়ায় নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।’

এ ছাড়া তানভীর আহমেদ নামের আর একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি সব সময় বড় কিছু করতে চেয়েছি, কিন্তু আমার ইংরেজি দুর্বলতা আমাকে পিছিয়ে রাখত। ইংলিশ থেরাপির সাহায্যে আমি শুধু ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করিনি, বরং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিজেকে উপস্থাপন করতে শিখেছি। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে আমার প্রেজেন্টেশন বেশ প্রশংসিত হয়েছে।’
মুনিমা ফারহানা নামের একজন বলেন, ‘আমার একাডেমিক ক্যারিয়ারে ইংরেজি ছিল বড় বাধা। আইইএলটিএসে ভালো স্কোর পাওয়ার জন্য আমি এই কোর্সে যোগ দিই। সাইফুল স্যার আমাকে এমনভাবে গাইড করেছেন যে আমি ৭.৫ স্কোর পেয়েছি। এটা আমার উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ।’

ইংলিশ থেরাপি এ পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রকমারি বইমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ সাতটি এবং বইফেরি বইমেলায় বেস্টসেলার লেখকসহ তিনটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এর পাশাপাশি সাইফুল ইসলাম ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লিয়াব)-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে ভাষা শিক্ষা ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। 
সাইফুল ইসলামের মতে, ‘ভাষার দক্ষতা অর্জন একটি মানসিক উত্তরণ। আমরা শুধু একটি ভাষা শিখতে বলি না, আমরা আত্মবিশ্বাস গড়তে বলি। আমার লক্ষ্য, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এমনভাবে প্রস্তুত করা, যাতে তারা শুধু ইংরেজি বলতে বা লিখতে না পারে, বরং তারা চিন্তা করতেও শিখে। আমি বিশ্বাস করি, একটি দক্ষ প্রজন্ম গড়তে ভাষার ওপর আস্থা তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লেখক: শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

/রিয়াজ

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮ থেকে মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেলের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষা-কার্যক্রম চালু হলেও হাসপাতাল চালু না হওয়ার ক্লিনিক্যালি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও ওয়ার্ড সুবিধা না পাওয়া, ট্রান্সপোর্ট, চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যাবহারিক সুবিধা, পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব থাকায় দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এদিকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে কর্মসূচিস্থলে আসেন কলেজের প্রিন্সিপাল মোস্তাক আহমেদ ভুইঞা। দাবির বিষয়ে বসে আলোচনা করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান করলেও প্রিন্সিপালের কথায় সাড়া দেননি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

দেওয়ান গিয়াস/সুমন/

কুয়েটে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
কুয়েটে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি:  খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কুয়েটের ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা ৫টি ছাত্রহলের তালা ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সভায় উপস্থাপন করা হয়। এরপর ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু হবে। সব আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তবে গত দুই দিনেও কুয়েট প্রশাসন তাতে সাড়া দেয়নি। তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের সামনে গিয়ে শিক্ষকদের তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু শিক্ষকরা তাতে সাড়া দেননি। এরপর আন্দোলনকারীরা ৫টি ছাত্রহলের তালা ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পাশাপাশি তারা ছাত্রহলগুলোতে অবিলম্বে পানি সরবরাহ, ইন্টারনেট চালু, ছাত্রদের নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা ও দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্ক্রম শুরুর দাবি জানান।
  
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘যে ৩৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, প্রশাসন তাদের নাম প্রকাশ করছে না। আমরা মনে করছি, এই তালিকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নাম রয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে হামলাকালে ভিসি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছেন। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছেন।’ 

প্রসঙ্গত, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে বিরোধে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে স্থানীয় এক বাসিন্দা আদালতে মামলা করেন। এসব কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।