ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার, এক ছাদের নিচে সব ছাত্রসংগঠন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার, এক ছাদের নিচে সব ছাত্রসংগঠন
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল প্রায় সকল ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার নেতৃবৃন্দ এক ছাদের নিচে সমবেত হন।  

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

এবারের ইফতার মাহফিলে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। নতুন ছাত্রসংগঠন হিসেবে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুলা কাদের ও সদস্য সচিব মাহির আলমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

উক্ত ইফতার মাহফিলে অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দুই গ্রুপ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ ও বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ।  

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির এই আয়োজন ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি ও সংহতির নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। ভিন্ন মতাদর্শের সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে একই টেবিলে বসে আলোচনা ও ইফতার করায় ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য গ্রুপে যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ১৬ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর বাণিজ্য গ্রুপে ৭৭.৫০ ও অ-বাণিজ্য গ্রুপে ৬০.২৫।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বি ইউনিটে সর্বমোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪২ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে বাণিজ্য গ্রুপে ১৭ হাজার ৬৮৪ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২১৮ জন  এবং অ-বাণিজ্য গ্রুপে ১৭ হাজার ৪০৩ জনের মধ্যে ৯৫০ জন উত্তীর্ণ হয়। অ-বাণিজ্য গ্রুপে বিজ্ঞান শাখায় ৬১৮ ও মানবিক শাখায় ৩৩২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। উভয় গ্রুপ মিলিয়ে গড় পাশের হার ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ । পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর বাণিজ্য গ্রুপে ৭৭.৫০ ও অ-বাণিজ্য গ্রুপে ৬০.২৫।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিটভুক্ত ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ৬টি বিভাগ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এই ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ৫৫৯ টি। যার মধ্যে বাণিজ্য গ্রুপে ৩৬৭ টি, অ-বাণিজ্য গ্রুপে বিজ্ঞান শাখায় ১৬৬ টি ও মানবিক শাখায় ২৬ টি। রাবির ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট https://application.ru.ac.bd/ তে লগইন করে ভর্তিচ্ছুরা নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন।

এস আই সুমন/মাহফুজ

 

বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জবির ছাত্র নেতাদের

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জবির ছাত্র নেতাদের
নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ কয়েকটি দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: খবরের কাগজ

বিগত ১৫ বছরে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ ও তিন কার্যদিবসের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) এর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান নেতারা।

এ সময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা কিশোর সাম্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সিফাত হাসানসহ সংগঠন দুটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারের আওতায় আনা, আহত শিক্ষার্থীদের সকল অ্যাকাডেমিক ফি মওকুফ, গত ১৫ বছরে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও অগ্রগতির প্রকাশ এবং ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সকল দূর্নীতির শ্বেতপত্র উপস্থাপন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন, আবাসন বৃত্তি প্রদান ও আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দকরণ, সমাবর্তন আয়েজন এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে জকসুর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা। তবুও যথাযথ প্রতিকার পাচ্ছে না তারা। আমাদের উত্থাপিত দাবিসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগের ভিত্তিতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত ৫ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে আসছে। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি বা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। 

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জকসুর জন্য অনেক সময় দিয়েছি। আমরা আর সময় দিতে চাই না। আমাদের দাবি না মানা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ যৌথভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবি আদায় করে নেবে। এ ছাড়া আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামী সোমবার শিক্ষার্থীদের আবাসন, ফ্যাসিস্টিদের বিচারের ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে পোস্টারিং করব। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করব।

লিখিত বক্তব্যে কিশোর সাম্য বলেন, উল্লেখিত সকল দাবির বাস্তবায়ন না হলে আমরা বৃহত্তর ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, দায়িত্বশীলতা ও শিক্ষার্থী স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করুন।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

 

পড়াশোনায় সফল হতে ৪টি বিষয় মেনে চলুন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০০ পিএম
পড়াশোনায় সফল হতে ৪টি বিষয় মেনে চলুন
ছবি: সংগৃহীত

সমাজের কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে, সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রতিভা এবং দক্ষতায় উন্নতি করা সম্ভব না। এই বিশ্বাসের মানুষ মূলত জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পছন্দ করে। কোনো প্রচেষ্টা থাকে না এদের মধ্যে। অন্যদিকে আর এক শ্রেণি বিশ্বাস করে- কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জীবনে উন্নতি ঘটানো সম্ভব। এরা জীবনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যায়। অবশেষে তারা এর সুফলও পায়।

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্বাস ধারণের মাধ্যমে শিক্ষাগত জীবনে এবং পরবর্তী সময়ে পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন খুব সহজে। এজন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় ভালোভাবে চর্চা করতে হবে।

ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করুন
ড. ডুইকের মতে, একজন মানুষ যেকোনো সময়, এমনকি এখনই ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তার পরামর্শ হলো, নিজেকে নিজে ইতিবাচক মনোভাবের কথা বলতে থাকা বিশেষ করে যখন মন নেতিবাচক চিন্তা করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘আমি কখনোই পরীক্ষায় ভালো করতে পারব না’ বলার পরিবর্তে বলুন, ‘অনেক মানুষের জন্য পরীক্ষায় ভালো করা সহজ নয়, কিন্তু আমি ভালো পরীক্ষার্থী হওয়ার চেষ্টা করব।’

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
আপনি কী অর্জন করতে চান সেটা যদি আপনি না জানেন তাহলে কীভাবে সফলতা পাবেন? তাই প্রথমে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেটাতে দৃঢ় থাকুন। মনে রাখবেন, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ে বিশ্বাসী ব্যক্তি সব সময় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে দেখে এবং একই সঙ্গে সেই লক্ষ্যে কাজ করে ফলাফল নিজের পক্ষে নিয়ে আসে।

লক্ষ্যকে ভুলে যাবেন না
আপনার লক্ষ্যকে মনে রাখুন। যেটা আপনাকে কাজ করতে মানসিক শক্তি ও উৎসাহ জোগাবে। যেমন আপনি যদি চিকিৎসক হতে চান তাহলে আপনি বড় কোনো চিকিৎসকের ছবি পড়ার টেবিলের সামনে রাখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মনীষীর উক্তি বা স্টিকি নোট ব্যবহার করে নিজেকে নির্দিষ্ট কাজে শক্তভাবে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে।

সাফল্যের জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন
ড. ডুইকের মতে, নিজের সিদ্ধান্ত বা কাজের প্রশংসা করার মাধ্যমে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা যেতে পারে। যেমন- ‘তুমি ভালো কাজ করেছ বা তুমি খুব কঠোর পরিশ্রম করেছ’ নিজেকে এমন ধরনের প্রশংসা করাটা ভীষণ জরুরি। আপনার সাফল্য অবশ্যই উদযাপন করবেন তবে এতে বেশি সময় ধরে স্থির থাকবেন না। শুধু নিজেকে বোঝান, যদি চেষ্টা করেন তবে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারবেন। লেখক: শিক্ষার্থী, এমএম কলেজ, যশোর

/রিয়াজ

ববিতে পরীক্ষা দিতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
ববিতে পরীক্ষা দিতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেত্রী
আটক ছাত্রলীগ নেত্রী টিকলী শরীফ। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পরীক্ষা দিতে এসে আটক হওয়া এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল)  বিকেলে জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠানো হয়।

আটক ছাত্রলীগ নেত্রী টিকলী শরীফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সামনের সারির একজন নেত্রী ছিলেন। গত বছর জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময়ে টিকলী ক্যাম্প ছাড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি বরিশালে আসেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে ভোলা রোডে একটি রেস্তোরাঁর ভেতরে টিকলী শরীফসহ তিনজনকে অবরুদ্ধ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর তাদের তিনজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। টিকলীর সঙ্গে থাকা অন্য দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী টিকলী শরীফ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কয়েকজন ফোন করে জানান টিকলী শরীফসহ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ক্যাম্পাসের সামনে একটি রেস্তোরাঁয় বসে গোপন মিটিং করছেন। সেখানে গিয়ে গোপন সভা করা অবস্থায় তাকেসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশকে অস্থিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। 

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ হেফাজতে থাকা ছাত্রলীগ নেত্রী টিকলী শরীফ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমার বুধবার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। আমি লাইব্রেরিতে পড়ছিলাম। সন্ধ্যায় বাইরে বের হলে আমার জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়, তাদের নিয়ে চা খেতে গেলে সেখান থেকে আমাদের আটক করা হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী বিষয়টি আমাকে জানানোর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের হস্তান্তর করি। পরবর্তী ব্যবস্থা পুলিশ আইন অনুযায়ী গ্রহণ করবে।’

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা টিকলী শরীফসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। আটক তিনজনের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টিকলীর বিরুদ্ধে বন্দর থানায় থাকা মামলাটিতে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলার আসামি হওয়ায় তাকে সেখানে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

কুয়েট ভিসির পক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তারা, পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
কুয়েট ভিসির পক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তারা, পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা
কুয়েট ভিসির পক্ষে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগান। 

অন্যদিকে কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মিছিলটি শুরু হয়‌। দুর্বার বাংলার পাদদেশে গিয়ে তারা মানববন্ধন করেন। এ সময় শিক্ষক-কমকর্তারা কিছু শিক্ষার্থী কুয়েটের ভিসিকে হয়রানি করছে বলে দাবি করেন। ক্যাম্পাসে এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে কুয়েট পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
    
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশ না করে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে কুয়েট প্রশাসন। তারা বলছেন, বহিষ্কারের নামে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্রদের হয়রানি করা হতে পারে। সেই সঙ্গে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি জানানো হয়। 

শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে জানান, কুয়েটে হামলার ঘটনায় বহিরাগত এক ব্যক্তি কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন, ওই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা মাঠ ছাড়বেন না বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভিসি চাপ প্রয়োগ করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে গেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে সমর্থন দিতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। 

 ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি। ছবি: খবরের কাগজ

মঙ্গলবার দুপুরে তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশের পর রাতে হলে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। কুয়েট শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক বলেন, ‘আমরা হলে উঠলেও খাবার পানির সংকট রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। দুই মাস আগের ট্যাংকির পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হলের কর্মচারীদের এখনো নিয়োগ হয়নি। আমাদের সমস্যাগুলো হল প্রভোস্টকে অবহিত করেছি। তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের কারণে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম দুই মাস বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে চার-পাঁচ মাস শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। এতে আমরা শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

অন্যদিকে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-কর্মচারীদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেন। এ সময় কুয়েটের উপাচার্যকে শিক্ষার্থীরা হয়রানি করছে বলে শিক্ষক-কমকর্তারা দাবি করে এর প্রতিবাদ জানান।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে নির্দোষ হতে পারেন। ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি সেটা যাচাই বাছাই করছে।’ তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন না।’ এ ছাড়া ৪ মে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পরিবেশ তৈরির জন্য তিনি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্রদের হল ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। ওই সময় হলের ইন্টারনেট সংযোগ এবং পানির লাইন যেভাবে ছিল এখনো সেভাবে রয়েছে।’

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর নামের তালিকা ও সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা কোথাও প্রকাশ করা হয়নি। তাই এসব তালিকা দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। 

শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধনে বলা হয়, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও গুটিকয়েক শিক্ষার্থী হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছে, যা স্পষ্টত আইনের লঙ্ঘন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রাখার কথা বলা হয়। তারা যেন কোনো ধরনের অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে স্থানীয় এক বাসিন্দা আদালতে মামলা করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।