
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দীন 'গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০২৫'-এ শীর্ষ ২০-এ জায়গা করে নিয়েছেন। এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত তালিকা (https://hmfoundation.com/2025/03/10/top-20-finalists-in-global-change-award-2025-revealed/) হতে এ তথ্য জানা যায়।
এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন (H&M Foundation) কর্তৃক পরিচালিত বার্ষিক পুরস্কার 'গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড' ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সাল থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত ফ্যাশন ও টেক্সটাইল শিল্পে টেকসই উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী সমাধানের উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এর মূল উদ্দেশ্য।
এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, এবছর বিশ্বের ৬টি মহাদেশের ৬৯টি দেশ হতে ৪৭৬টি আইডিয়া জমা পরে। তা থেকে বিভিন্ন ধাপে যাচাই-বাছাই করে সেরা ২০টি আইডিয়া নির্বাচন করা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে একটি জায়গা করে নেয়। তা হলো বুটেক্সের ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দীন-এর 'ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব'-এর আইডিয়া৷
ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব হলো একটি বিশেষ গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্র, যা টেক্সটাইল শিল্পে পরিবেশবান্ধব ডাইং, ফিনিশিং এবং ম্যাটেরিয়াল প্রক্রিয়াকরণে কাজ করে। এই ল্যাবটি কম কার্বন নির্গমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরোনো পদ্ধতিগুলোকে পরিবর্তন করে টেকসই উৎপাদন পদ্ধতিগুলোকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।
শীর্ষ স্থান অর্জন করা ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দীন এ বিষয় নিয়ে বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করি। শীর্ষ ২০-এ নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক এবং আবেগের ব্যাপার। কয়েকটি ধাপ পার করে আমাকে এই অবস্থায় আসতে হয়েছে। শুরুতে আমার একজন জার্মান কলিগ আমাকে এটার জন্য নমিনেশন দেয়। তারপর আমাদের একটি ভিডিও বানাতে হয় এবং শেষে ইন্টারভিউ হয়। আমি মনে করি আমার অন্যান্য টিম মেম্বারদের অবদান এখানে অনেক বেশি। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, সেরা ২০-এ আসা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি মনে করি বুটেক্সের জন্য এই অর্জনটা মাইলফলক।
জানা যায়, শীর্ষ ২০টি আইডিয়া বিশেষজ্ঞ পরিষদের পর্যালোচনা, বাছাইয়ের মাধ্যমে আইডিয়াগুলো থেকে সেরা ১০টি আইডিয়া নির্বাচন করে বিজয়ীদের মধ্যে মোট ২০০,০০০ ইউরো পরিমাণ অর্থ সহায়তা প্রদান করবে।
সুইডিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড H&M-এর উদ্যোগে H&M Foundation শিক্ষা, পরিবেশ, সমতা ও মানবিক সহায়তা খাতে কাজ করে। টেকসই ফ্যাশন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন ও উদ্ভাবনকে সহায়তা করে থাকে।
/রিয়াজ