ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
জবি শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দিচ্ছে শিবির
রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে জবি ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে কুরআন গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা । ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২হাজার ৫০০টি কুরআন বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কুরআন বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিদিন ৫০০টি করে মোট ২৫০০টি কুরআন বিতরণ করবে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও আত্মিক মানোন্নয়ন আমাদের কাজের মূল লক্ষ্য। শিক্ষার্থীরা যেন নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হতে পারে- এই উদ্দেশে রমজানে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ হাজার ৫০০টি কুরআন উপহার দেওয়ার কর্মসূচি পালন করছি।’

কর্মসূচির অধীনে প্রতিদিন ৫০০টি কুরআন শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে কুরআন বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। পোস্টটিতে বলা হয়, ‘উপহারের মজুদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।’ 

কুরআন সংগ্রহ করতে পোস্টে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত বলেও জানায় জবি ছাত্রশিবির।

মুজাহিদ/নাইমুর/

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্র হিসেবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

সভায় উপাচার্য বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা পরিবহন, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসনের বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি।’ 

যাতায়াতে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের বাস বরাদ্দ থাকবে। যানজট নিরসনে চৌমুহনী ও সোনাপুর মোড়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

উপাচার্য জানান, হোটেল ও যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি রোধে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে স্থানীয় কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধে পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অভিভাবকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ও প্যান্ডেলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সভায় উপাচার্য তার সাম্প্রতিক তুরস্ক সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, তুরস্কের আলানিয়া আলাদিন কেকুবাত বিশ্ববিদ্যালয়, আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিদে ওমর হলিসদেমির বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, যৌথ গবেষণা, ভাষা কোর্স ও উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরও জানান, অস্তিম তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের এক-তৃতীয়াংশ টিউশন ফি মওকুফের ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই MoU স্বাক্ষর হবে।

ভর্তি পরীক্ষার দিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্যাম্পাসে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত থাকবে। মেডিকেল সেন্টারে জরুরি চিকিৎসাসেবা, অ্যাম্বুলেন্স ও ভিজিল্যান্স টিম প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সহায়ক টিম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের পরামর্শ ও সমর্থনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসিন, প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান, আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মাসুদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

কাউসার/তাওফিক/

মার্কিন কোম্পানি ও যবিপ্রবির ন্যানো সার উদ্ভাবকের মধ্যে চুক্তি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
মার্কিন কোম্পানি ও যবিপ্রবির ন্যানো সার উদ্ভাবকের মধ্যে চুক্তি
ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি ও ড. জাভেদ হোসেন খান। ছবি: সংগৃহীত

ন্যানো সারের উদ্ভাবক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাবরেটরি অব ন্যানো বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (NAME Lab)-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. জাভেদ হোসেন খানের ও মার্কিন (USA) জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োরোর (Kulabio) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় কোলা বায়ো যবিপ্রবির NAME Lab থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করবেন এবং তারাও তাদের জৈব প্রযুক্তি NAME Lab-এর সঙ্গে ভাগ করবেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল,২০২৫) মার্কিন কোম্পানি কোলা বায়োর (Kulabio) পক্ষে ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি (ভিপি অব ইনোভেশন অ্যান্ড ম্যানুফেক্সারিং) এবং NAME Lab এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ন্যানো সারের উদ্ভাবক ড. জাভেদ হোসেন খান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুসারে কোলা বায়ো NAME ল্যাবরেটরি, যবিপ্রবি থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছর একসঙ্গে কাজ করবেন। 

এ বিষয় ন্যানো সারের উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা মার্কিন জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োর (Kulabio) সঙ্গে চুক্তি করেছি। তারা আমাদের ন্যানো সারের প্রযুক্তি নেবেন এবং তাদের জৈব প্রযুক্তিও আমাদের সঙ্গে ভাগ করবেন। সম্প্রতি আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে (Boston) কোলা বায়োর কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং এর সভাপতি ড. হ্যারিসন ইউনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেছি। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ন্যানো সার প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। এ ছাড়া তারা দ্রুত আমাদের ল্যাবরেটরি পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন।’ 

ড. জাভেদ হোসেন খান দীর্ঘ ৭ বছরের প্রচেষ্টায় ন্যানো ইউরিয়া তৈরি করেছেন, যা ৪ হাজার ২০০ টাকার গতানুগতিক ইউরিয়া সারের পরিবর্তে ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ২৩০ টাকা। তার এ গবেষণার ফলাফল ইতোমধ্যে আমেরিকার বহু গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

মোতালেব/সুমন/

কুয়েটের ভিসি-প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি, অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৬ এএম
কুয়েটের ভিসি-প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি, অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল
ছবি : খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) ড. মুহাম্মাদ মাছুদ ও প্রো-ভিসি ড. শেখ শরিফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ৫৭ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১টার পরে তারা অনশন ভাঙেন।

এর আগে রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রো-ভিসির অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অব্যাহতির খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন।

এদিকে কুয়েট সংকট নিরসনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি, প্রো-ভিসিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষা কমসূচিতে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরই ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ২৩ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভায় সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিকেল থেকে ছাত্রদের ছয়টি ও ছাত্রীদের একটি হল খুলে দেওয়া হয়। আগামী ৪মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাকসুদ রহমান/অমিয়/

গণহত্যার বিচার ও আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি ইনকিলাবমঞ্চের সমাবেশ শুক্রবার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
ইনকিলাবমঞ্চের সমাবেশ শুক্রবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যের নিয়ে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শহিদি সমাবেশ করবে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সংস্কারের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিটিং করে যাচ্ছে, কিন্তু গণহত্যার বিচারের চেয়ে জরুরি বাংলাদেশে আর কী রয়েছে? কথা বলতে বলতে জুলাই আসতে আর দুই মাস বাকি। শত সমালোচনার পরও এই সরকারের ডান হাত ধরে রেখেছি, যাতে তারা এই গণহত্যার বিচার করতে পারে।’

কর্মসূচি ঘোষণা করে হাদি আরও বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আমরা শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমাবেশ করব। এটি আমাদের কোনো কর্মসূচি নয়, এটি শহিদ পরিবারের কর্মসূচি। বিচারের দাবিতে তারা যদি সংসদ ভবন, যমুনা অভিমুখে বা শাহবাগেই অবস্থান করতে চান, আমরা তা-ই করব।’

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

পিএসসি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রত্যাশীদের

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
পিএসসি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রত্যাশীদের
ছবি: খবরের কাগজ

পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের ৮ দফা দাবিতে ‘লং ওয়াক টু রিফর্ম পিএসসি’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করেছে একদল সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী। দাবি বাস্তবায়নের দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে ওই হুঁশিয়ারি দেন। এতে অংশ নেওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘পিএসসিকে সংস্কার করার এটি উপযুক্ত সময়। তাই অবিলম্বে পিএসসি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমরা আঠারোতে ও চব্বিশে আন্দোলন করেছি। তারপরও পিএসসির সংস্কার হয় নাই। অনেক রাজনৈতি দল অনেক সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু বেকারদের নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো মানতে হবে নয়তো রাজপথ থেকে ফিরব না। সেই সঙ্গে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।’

কর্মসূচি থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ভোগান্তি দূর করা, ৪৫তম বিসিএস থেকেই মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০-তে করা, পরীক্ষার্থীদের জন্য ক্যাডার রি-চয়েসের সুযোগ রাখা, নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ভাইভায় উত্তীর্ণ সকলের চাকরি নিশ্চিত করা, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের গতি বাড়ানো, মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে কমিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে খাতা দেখার ব্যবস্থা এবং দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে কমিশনের সদস্য সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনে উন্নীত করা।

/আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ