ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেল অবরোধ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সড়ক-রেল অবরোধ
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ। ছবি : আবদুস সাত্তার

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৫ম ও ৭ম সেমিস্টারের পরীক্ষা বর্জন করে সড়ক ও রেল অবরোধ করেছে। তারা শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের জন্য এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট মোড়ে সড়ক ও রেল অবরোধ শুরু হয়। যার ফলে প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা শুধু সড়কই নয়, ষোলশহর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা-কক্সবাজার রেলটিও থামিয়ে দেয়। ফলে সড়ক ও রেল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। 

এদিকে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা শিক্ষক নিয়োগের জন্য ন্যায্য দাবি জানালেও প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন না।

তারা দাবি করে, ‘অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং পূর্বের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীরা জানান, তারা কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়েছেন, কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

অবশেষে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সড়ক অবরোধ শেষ করে চলে যান এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যুক্তিযুক্ত দাবিগুলো আমরা মেনে নেওয়ার পক্ষে। তবে সড়ক অবরোধ করা উচিত হয়নি।’

তাওফিক/ 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অবসরপ্রাপ্তরা হলেন-  উপ-রেজিস্ট্রার মো. শাহ আলম ঢালী, মো. মোহসীন ইকবাল, প্রেমানন্দ শীল, মোহাম্মদ শামীম আলম মৃধা, মোছা. জিন্নাত আরা, অমিত কুমার দাম, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, মো. মতিউর রহমান মোল্যা এবং সহকারী রেজিস্ট্রার এ কে এম বদরুল আলম।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেট সভায় চাকুরিকাল ২৫ বছরপূর্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। ২৫ বছর চাকুরিপূর্তিতে ঐচ্ছিক অবসর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কোন কর্মচারীকে অবসর প্রদান করার বিধানাবলী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি সংবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করে চাকুরি সংবিধি সংশোধন করার প্রস্তাব ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় অনুমোদিত এবং ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিনেট অধিবেশনে অনুসমর্থিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় ০৯ (নয়) জন কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রয়োজন বিবেচনা করে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। পরীক্ষা ৩ মে এর পরিবর্তে আগামী ২৪মে অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিন (স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুল) ড. মো. আশেক কবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞিপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ৩ মে এর পরিবর্তে আগামী ২৪ মে (শনিবার) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

কবির/এমএ/

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, বুধবার বিকেল থেকে ৭টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আজ বুধবার সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল থেকে ছাত্রদের ৬টি ও ছাত্রীদের ১টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনার পরও আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি আন্দোলনরত কুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কুয়েটে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের দাবি শোনেন এবং তাদের অনশন ভঙ্গ করে আইনের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। সেই অনুযায়ী জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি এ সময় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।

তবে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তিন সদস্যের কমিটি এসে সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন।

এমএ/

বিভিন্ন দাবিতে জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মানববন্ধন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
বিভিন্ন দাবিতে জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন, গুমের শিকার তিন জবি শিক্ষার্থী ও সাবেক জবি ছাত্রদল নেতাদের ফেরত, কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। 

বক্তব্যে সংগঠনটির সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, 'একের পর এক বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনা হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র নিশ্চুপ, বিচার ব্যবস্থা অপারগ। যারা জুলাই আন্দোলনের শহিদ ও আহত শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা পেয়েছে তারা আজ বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করার পরিবর্তে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিস্ট কোন গোষ্ঠী নয়, এটি কন্সেপ্ট।  যারাই নতুন করে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে চাইবে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ মিলে তাদের অধিকার রক্ষায় আবার ৫ আগস্ট রচনা করবে।' 

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, 'আমাদের আক্ষেপ, হারানো আর না পাওয়ার তালিকা বড় থেকে বড় হচ্ছে। বিপরীতে আমাদের অধিকার আদায়ের কোঠা শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ২০ বছর হতে চলেছে। ২০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসন সুবিধা রয়েছে মাত্র ১২৪৮ জন নারী শিক্ষার্থীর জন্য। ছাত্রী হলের একটি মাত্র হল যেখানে ১২৪৮ আসনে গাদাগাদি করে থাকেন ২ হাজারের বেশি নারী শিক্ষার্থী। ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোন আবাসন সুবিধা। প্রতিদিন তারা মেসে অমানবিক জীবনযাপন করেন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খেয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা দিনাতিপাত করছে।' 

তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীদের যখন এমন অমানবিক অবস্থা তখন প্রশাসন দ্বিতীয় তলার ভবনে উঠতে লিফট তৈরি করেন তখন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে তা আঘাত করে। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসনের উচিত ছিল নিরলস প্রচেষ্টা করা, আবাসন সংকট নিরসনে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। অথচ তার কোন নজির দেখা যায়নি। বিপরীতে শিক্ষার্থীরা একের পর এক আন্দোলন, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তাতেও প্রশাসনের গড়িমসি ভাঙছেনা।'

মেহেদী/

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য  ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইনটেরিম কী করে?’, ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে’, ‘এক দফা এক দাবি, মাসুদ তুই কবে যাবি’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, কুয়েটে চলমান ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা সংহতি জানাচ্ছি। ৪২ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু এ ইনটেরিম সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যাতে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এর পর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা গত ১৩ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

মেহেদী/

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবি ইবি ছাত্রীদের

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবি ইবি ছাত্রীদের
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা। ছবি: খবরের কাগজ

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এ সময় শতাধিক ছাত্রী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। 

মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যৌন পেশাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে। যা নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর ও সবার উপর চাপিয়ে দেওয়ার মতো সুপারিশ। যা কখনই কাম্য নয়। ইসলামে নারীদের অধিকার কোনো অংশেই কম দেওয়া হয়নি। বরং ইসলাম নারীদেরকে অনেক সম্মানিত করেছে। এই শাহজালালের ভূমি থেকে আমরা কখনই এসব অযৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন হতে দেব না।’

মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার বলেন, ‘কমিশনে যারা বসে আছেন তারা বেশিরভাগই পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিও কর্মী। বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে, এমন নারীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করে তারপর সংস্কারের প্রস্তাব আনা দরকার। কতিপয় সুপারিশ কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি সব ধর্মের মূল্যবোধকে অপমান করেছে। বাংলাদেশের জনগণ এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করছে।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা বর্তমান কমিশন ভেঙ্গে সংস্কার করে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান। 

নিয়ামতুল্লাহ/পপি/