
গাজাসহ বিভিন্ন শহরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতারা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় জবি শাখা শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের ভাই-বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়ে ফতোয়া খুঁজি কার দাড়ি লম্বা, কার দাড়ি ছোট। যখন মুসলিম সমাজ এইসব ফতোয়ার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন আমাদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ মা-বোনদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।
শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের লিখনির মাধ্যমে এমন এক তরুণ সমাজ গড়ে তুলুন, যারা সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি হয়ে উঠবে, যারা হবে বাংলাদেশের এবং বিশ্বের জন্য উমর ইবনুল খাত্তাব। যাদের নেতৃত্বে পৃথিবীতে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ইসলামের অধিকারগুলো সংরক্ষিত হবে।
এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ফিলিস্তিনিরা আজ হামলার শিকার হচ্ছে। আমাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তাই সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে অসংখ্য ইসরায়েলি পণ্য কেনা হয়েছিল, যা দিয়ে দেশের জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয়েছে। সেসব পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিগত সময়ে যত ইসরায়েলি জাহাজ দেশে এসেছে, সবগুলোর তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
এ সময় দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, এটা শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে আঘাত নয়, এটা মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত। তাই মানুষ হিসেবে এটির প্রতিবাদ করার সবার কর্তব্য।
মানববন্ধন শেষে ফিলিস্তিনের শোষিত ও নির্যাতিত জনগণের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় উপস্থিত সকলেই ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি ও শান্তি কামনা করেন।
মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ