ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাবিতে আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণে দোয়া মাহফিল স্থগিত

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
ঢাবিতে আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণে দোয়া মাহফিল স্থগিত
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রয়াত সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক’ ব্যানারে ওই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় অনুষ্ঠিত স্থগিত রাখা হয় বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যাপক ড. আল মুজাদ্দেদী আলফেসানী।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রোগ্রামের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলে এ বিষয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না, তাই এটি আমরা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি।’ ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. আল মুজাদ্দেদী আলফেসানী বলেন, ‘অনেকে বলছে এটি নীল দলের প্রোগ্রাম। কিন্তু এখানে আমরা কোনো প্ল্যাটফর্মের ব্যানার ব্যবহার করিনি। আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ছিলাম, তাদের আবেগ এবং শ্রদ্ধার জায়গা থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া। এটি বন্ধ হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই মর্মাহত হয়েছি।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দুটি ছাত্র সংগঠন আমাকে ফোন করে এ কর্মসূচি নিয়ে আপত্তি জানায়। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেও ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে। ফলে আমি বিষয়টি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে জানাই। এরপর রাত ১টার দিকে ক্লাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল স্থগিত করার বার্তা দেওয়া হয়।’

৬ মার্চ ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান এ শিক্ষক। এদিন বিকেলে মাথায় আঘাতজনিত কারণে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের নিউরো সায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১১টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই অধ্যাপক। ২০১৭ সালে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে আবারও নিজ বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০২০ সালের জুনে তিনি অবসরে যান। 

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

ঘুম থেকে উঠে হাসিনাকে দেখতে হয় না, এর চাইতে বড় শান্তি আর কী আছে: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
ঘুম থেকে উঠে হাসিনাকে দেখতে হয় না, এর চাইতে বড় শান্তি আর কী আছে: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
জবিতে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: খবরের কাগজ

‘ঘুম থেকে উঠে হাসিনাকে দেখতে হয় না, এর চাইতে বড় শান্তি আর কী আছে’- বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ শাখার আয়োজনে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ঘুম থেকে উঠে হাসিনাকে দেখতে হয় না, এর চাইতে বড় শান্তি আর কী আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রত্যাশা অনেক, তাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ১০ মাস অতিবাহিত হবার পরও ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া একটা প্রোপাগান্ডার টুল হবে সরকারকে নারভাস করে দেওয়ার জন্য এবং আওয়ামী লীগ ব্যবহার করবে এই সরকারকে বিব্রত করার জন্য। বিচারহীনতার সংস্কৃতির পাশাপাশি বিচারের কাঠামো তৈরির আলাপ তুলতে হবে।

ফুয়াদ আরও বলেন, ‘বিচারহীনতা নিয়ে কথা বললেই রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের বিষয়টিও সামনে আসে। এই পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চলমান এবং এটি অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা কেবল ২০২৪ সালের ঘটনার বিচার চাই না, আগের বহু বছরের অবিচারও নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি। দশকের পর দশকের চলা মামলার বিচারও চাইতে হবে, কৃষক মজুরের জমির মামালার বিচারও চাইতে হবে। আমার কৃষক শ্রমিক দিনমজুর যখন রাষ্ট্রের কাছে তার প্রাপ্য বিচার বাপে তখনই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে সাধারণ মানুষের আস্থা ধ্বংস করেছে। এমনকি গ্রামের একজন দরিদ্র মানুষকেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার প্রার্থনা করতে হয়েছে, যা আদালতের মাধ্যমেই হওয়ার কথা ছিল। যারা ফ্যাসিবাদের সময়ে ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের অনেককেই দেশত্যাগ করতে হয়েছে।’

জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় কুরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে সভাটি শুরু হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিরও মন্দিরও সোপানতলে’ অনুপ্রেরণামূলক গান পরিবেশনের পর বক্তারা আলোচনা করেন। আলোচনা সভায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন হাসান মাহাদী এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ জবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক সজিবুর রহমান।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

এক বছরে ঢাবিতে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
এক বছরে ঢাবিতে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ
ঢাবিতে পড়তে আসা চীনা শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক বছরে চীনা শিক্ষার্থী বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর চীন থেকে ঢাবিতে পড়তে এসেছিলেন ৯ জন। এ বছর পড়তে এসেছেন ১৮ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ জন। এসব শিক্ষার্থী আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা দূর করার জন্য স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে ১০টি কক্ষের সমন্বয়ে একটি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। চীন থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করছেন। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসনসংকট নিরসনে চীন সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নামে একটি আবাসিক হল নির্মাণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

শ্রেণিকক্ষে চীনা শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

এ ছাড়া আগামী আগস্ট মাসে চীনের শিক্ষার্থীরা দুই সেমিস্টারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আগ্রহ দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সে পড়ারও আগ্রহ দেখিয়েছেন তারা। এ লক্ষ্যে চীনের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে চায়। সে জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। খুব শিগগির বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা-গবেষণা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ের ক্ষেত্রটি আরও সম্প্রসারিত হবে।

এদিকে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শুধু ভাষাগত দক্ষতাই অর্জন করছেন না, বরং চীনের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

আমরণ অনশনে চবি চারুকলার ৯ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
আমরণ অনশনে চবি চারুকলার ৯ শিক্ষার্থী
অনশনে চবির ৯ শিক্ষার্থী। ছবি: খবরের কাগজ

চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন চারুকলার ৯ শিক্ষার্থী। 

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নূর ইকবাল সানি, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান সোহেল। এছাড়াও রয়েছেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান ইয়াসিন, মালিহা চৌধুরী, ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ইপা, তরিকুল ইসলাম মাহী এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল ইসলাম মিনহাজ। 

জানা গেছে, চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ৩টা থেকে সেখানে আমরণ অনশন শুরু করছেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশন করছেন তারা। দীর্ঘ সময় ধরে অনশন করায় নারী শিক্ষার্থীরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। 

অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়নি। বার বার শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন। তাই তারা অনশন কর্মসূচিতে বসেছেন।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নাফিজা তালুকদার বলেন, ২১ এপ্রিল বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আমাদের বন্ধুরা। এখনও কিছু খায়নি তারা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে প্রক্টর স্যার এবং প্রো-ভিসি কামাল উদ্দিন স্যার এসেছিলেন। এরপরও অনশন ভাঙেন নি শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চবি প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত না করার প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১ এপ্রিলের মধ্যে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার কথা দিয়েছিল। কিন্তু তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। প্রশাসন কথা রাখেনি। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। তাই বাধ্য হয়ে আবারও আন্দোলনে নামতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, চারুকলা ইন্সস্টিটিউট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত একটি ইনস্টিটিউট। এটি চট্টগ্রাম নগরীর বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়কে অবস্থিত। ৪টি বিভাগ এবং প্রতিবর্ষে ৭০ টি আসনের সমন্বয়ে গঠিত এ ইন্সস্টিটিউট। এটি দেশের প্রথম চারুকলা বিভাগ ও একমাত্র ইনস্টিটিউট যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত। ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চারুকলা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়কে বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকার কারণে চারুকলা ইনস্টিটিউট সংস্কারের উদ্দেশ্যে ২২ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। ওই বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবি ওঠে। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এক বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে ক্যাম্পাসে ফেরার একদফা দাবিটি অনেক লম্বা এবং ব্যয়বহুল একটি প্রক্রিয়া সেজন্য সময় দরকার। বর্তমানে চারুকলা ইনস্টিটিউট সংস্কার করে পরবর্তী সময়ে একদফা দাবির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে বলে জানান তিনি।

এর পরবর্তীতেও প্রশাসনের কাছ থেকে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের। এরই জেরে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে নগর থেকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ফের একদফা দাবিতে টানা তিন দিন লাগাতার আন্দোলন করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম অচল করে দেওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করে গণ-অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জেরে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর আশ্বাস দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আশ্বাস পেয়ে জন্য আন্দোলন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।

তারেক মাহমুদ/মাহফুজ

 

 

৩ দফা দাবিতে জবিতে লিফলেট বিতরণ

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
৩ দফা দাবিতে জবিতে লিফলেট বিতরণ
ছবি: খবরের কাগজ

তিন দফা দাবিতে আগামী সাত দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিজ অধিকার আদায়ে সচেতন হওয়ার কথা বলেন তারা। 

শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা লিফলেটটিতে লেখা দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পরেও ছাত্রদের জন্য কোনো আবাসন সুবিধা নিশ্চিত হয়নি, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বৈষম্যমূলক। তাই এই বিষয়ে তাদের ৩টি দাবি হলো

১) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে। ২) ২য় ক্যাম্পাসের কাজ, পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মাণ কাজ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করতে হবে। ৩) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২য় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণের কাজের অগ্রগতি প্রতি ১৫ দিন পর পর মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করতে হবে।
 
লিফলেটে আরও লেখ হয়, ‘যেহেতু আমাদের ছাত্র সংসদ বা জকসু নেই, তাছাড়াও আমাদের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি নেই, তাই মুক্তমঞ্চে সকল শিক্ষার্থীদের সামনে সকল কাজের আপডেট দিতে হবে।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদ জবি শাখার সভাপতি একে এম রাকিব খবরের কাগজকে বলেন, ‘তিন দফা দাবি আদায়ে আমরা আমাদের আন্দোলন চলমান রাখব। আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা লিফলেট বিতরণ করেছি। আগামীকাল আমরা পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল এবং ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করব, পাশাপাশি দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রতীকী বির্তক’ আয়োজন করব।

উল্লেখ্য, সোমবার (২১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচিগুলো হলো:

১) ‎২২ এপ্রিল, কাথা বালিশ কর্মসূচি এবং লিফলেট বিতরণ চলমান থাকবে। 
‎২) ‎২৩ এপ্রিল, বিক্ষোভ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
‎৩) ‎২৪ এপ্রিল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে মুক্তমঞ্চে আলোচনা। 
৪) ‎২৫ ও ২৬ এপ্রিল খোলাচিঠি ও অনলাইনে প্রচারণা।
৫) ২৭ এপ্রিল আলোচনা সভা
৬) ২৮ তারিখ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ

অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ, কুয়েটে যাবে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ, কুয়েটে যাবে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। একই সঙ্গে তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কুয়েটে সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তিনি এসব আশ্বাস দেন। পরে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘উপদেষ্টা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলন ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার সময় জানান যে, শিক্ষার্থীরা উষ্ণ আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অতি দ্রুত খুলনা যাবে, কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চলতি সমস্যা আশুসমাধানের লক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

কবির/মাহফুজ