ঢাকা ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
English
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের অবস্থান কর্মসূচি
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৫টা থেকে (বাদ ফজর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। 

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টকে কেন্দ্র করে তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান নেন। হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছে এবং এতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চক্র জড়িত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান নেন তারা। রমজানে রোজা রেখে ইফতার অবধি এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে অবস্থানকারীরা জানিয়েছেন।   

এ সময় তারা জানান, হাসনাত আবদুল্লাহর রহস্যজনক ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই সারা দেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, না করার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র আঁচ করতে পেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার আহ্বানে এই কর্মসূচি পালন করেন। তবে দাবি আদায় না হলে পরে একই দাবিতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানানো হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত শেখ হাসিনা সরকার গণহত্যা চালিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত। কিন্তু উল্টো সেনাবাহিনীর একটি পক্ষ ও দেশীয় একটি চক্র তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। গণহত্যার পরও আওয়ামী লীগের অনুশোচনা নেই। বরং তাদের সমর্থকরা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতসহ বিদেশি শক্তির সহায়তায় দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেই বাদ ফজর থেকে অবস্থান কর্মসূচি চলছে এবং চলবে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নিয়ামত/জোবাইদা/

ঢাবিতে ৫ম আভাই জাপানি ভাষা বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
ঢাবিতে ৫ম আভাই জাপানি ভাষা বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ঢাবিতে ৫ম আভাই জাপানি ভাষা বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৫ম আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আভাই) জাপানি ভাষা বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। এতে দুই ক্যাটাগরিতে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২৪ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের আভাই মিলনায়তনে জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে ওই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জাপানি ভাষায় তাদের বক্তৃতা উপস্থাপন করেন। এতে বিগিনার ক্যাটাগরিতে মো. হাসান প্রশংসা, আফুল্লাহ হাওলাদার এবং সুজাদা তাবাসসুম নুরহালিজা যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন। 

অন্যদিকে জেনারেল ক্যাটাগরিতে মো. সাব্বির হোসাইন, সুমাইয়া আক্তার সুমি এবং সাদিয়া তানজিন প্রিয়া যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন।

এই প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন জাপান ফাউন্ডেশনের মিজ তাকেমোতো কিয়োকো, জাপান দূতাবাসের মি. ইয়ামামোতো কিওহেই এবং ঢাকা জাপানিজ স্কুলের মি. ইকেয়ামা কোওশিরো।

ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবছার কামালের সভাপতিত্বে জাপান বৈদেশিক বাণিজ্য সংগঠন (জেট্রো) ঢাকা অফিসের প্রধান মি. আন্দো ইয়ুজি, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনছারুল আলমসহ আভাইয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জাপান দূতাবাস ও জাপান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের আসর। এবারের আয়োজনের সহযোগী সংস্থা হিসেবে রয়েছে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস এবং জাপান ফাউন্ডেশন নিউ দিল্লী অফিস।

আরিফ/তাওফিক/ 

জবিতে বিবিএ ও স্নাতক ভর্তি শুরু ২৭ এপ্রিল থেকে

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫১ এএম
জবিতে বিবিএ ও স্নাতক ভর্তি শুরু ২৭ এপ্রিল থেকে
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে এ, বি, সি, ডি এবং ই ইউনিটে প্রথম পর্যায়ে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি আগামীকাল রবিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হবে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল দুপুর ১২টা থেকে এই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী ৫ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের https://jnuadmission.com ওয়েবসাইটে নিজ নিজ প্যানেলে লগইন করে অনলাইনে ভর্তি ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা দেওয়া শিক্ষার্থীদের ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে বিকেল ৪টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে বিভাগীয় কনফারমেশন স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে।

জানা যায়, বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদে ব্যবহারিক ক্লাসসহ ভর্তির জন্য ১২ হাজার ৪৩০ টাকা এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে ভর্তির জন্য ১০ হাজার ৪৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটগুলোতে ভর্তির জন্য ১০ হাজার ৪৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন, সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগ এবং চারুকলা অনুষদ ব্যবহারিক ক্লাসসহ ভর্তির জন্য ১২ হাজার ৪৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ এএম
কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপন দুটিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম।

উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-এর অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১০ (২) অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে ইতোপূর্বে নিয়োগ পাওয়া ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্তে ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে বলা হয়,  রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদে ইতোপূর্বে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্তে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহার করে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

কবির/অমিয়/

কুয়েটে ভিসি আছে, ভিসি নেই

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
কুয়েটে ভিসি আছে, ভিসি নেই
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও প্রো-ভিসি ড. মোহাম্মদ শরিফুল আলমকে অব্যাহতি প্রক্রিয়া শুরুর দুই দিন পার হলেও এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে সাময়িকভাবে কাউকে ভিসি নিয়োগ বা নতুন ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনেরও কোনো তথ্য মেলেনি। ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদ ক্যাম্পাসে তার দপ্তরে না এলেও বাড়িতে বসেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। ফলে কুয়েটে এখন ‘ভিসি আছে, ভিসি নেই’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে প্রো-ভিসি ড. মোহাম্মদ শরিফুল আলম বুধবারের পর থেকে ক্যাম্পাসে তার দপ্তরে আসেননি। একই সঙ্গে প্রো-ভিসির জন্য নির্ধারিত গাড়িও ব্যবহার করছেন না।

এর আগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কুয়েটে ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান।

এদিকে ভিসি ও প্রো-ভিসির অব্যাহতির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো চিঠি না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের অপসারণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি বা প্রজ্ঞাপন পাওয়া যায়নি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী তারা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন এবং স্বাভাবিক দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশ নিতেও বাধা নেই।

তবে ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে দাবি করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। নেচেগেয়ে তারা আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কুয়েট রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন হিসেবে নতুন দিগন্তের সূচনা করল। একই সঙ্গে বিভিন্ন মহল নিজেদের স্বার্থে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি করেছে দাবি করে তাদের যেকোনো ভুলের জন্য শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জবি রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের, কুশপুত্তলিকা দাহ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
জবি রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের, কুশপুত্তলিকা দাহ
জবি রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের, কুশপুত্তলিকা দাহ। ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে লিখিত অভিযোগ দিতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের অসৌজন্যমূলক ও অমানবিক আচরণের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় রেজিস্টারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এর পর রেজিস্টার ভবনের সামনে রেজিস্টারের কুষ্পুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা এ সময় ‘রেজিস্টারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘দালালদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবেনা’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্টার গদি ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার সাহেব অনেক সময়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করে থাকেন। আমার সঙ্গে করেছেন একদিন। অবস্থাটা এমন ছিল, ভিসি স্যার ওই রুমে না থাকলে উনি গায়েও হাত তুলতে পারতো। এ রকম উগ্র লোক প্রশাসনিক দায়িত্ব কীভাবে সামলাচ্ছেন জানি না। অতি দ্রুত উনাকে এই জায়গা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।’

গত মঙ্গলবার (২৩ তারিখ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহিদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যায় ইভান তাহসিভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সকল চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরই তিনি এর সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তাদের রুম থেকে বের করে দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে খবরের কাগজ প্রতিবেদকের কছে।

অডিও ক্লিপে শোনা যায়, রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারবো না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে? এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না।’ এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘গেট আউট।’ কর্মচারীকে ইশারা করে বলেন, ‘ওকে (ইভান) বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।’ 

এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় প্রতিবাদ করছেন তারা।

এর প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রেজিস্ট্রারের আচরণের নিন্দা জানায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।

তাওফিক/