ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেঞ্চ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেঞ্চ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেঞ্চ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুফা) আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেঞ্চ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুফা) আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মাহফিলে ফরাসি ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রসঙ্গ টেনে ডুফার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে দেখে বেশ ভালো লাগছে, বিশেষ করে এখানে আমার কিছু শিক্ষকও এসেছেন। সবমিলিয়ে আশা করব, প্রতি বছর এমন আয়োজন ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।’

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আভাই) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনছারুল আলম বলেন, ‘অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনে অর্থ, শ্রম, পরামর্শ সবই প্রয়োজন হয়। অনেকের মাঝে একটা ভুল ধারণা আছে যে, সদ্য পড়াশোনা শেষ হয়ছে কিন্তু টাকা-পয়সার কারণে অ্যালামনাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হন না। আমরা চাই সবাইকে যুক্ত হবেন বিশেষ করে আমাদের কেন্দ্রীয় যে অ্যালামনাই রয়েছে, সেখানে আশা করব সবাই যুক্ত হবেন। আমরা সবাই এক হয়ে, এভাবেই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে চাই।’

সভাপতির বক্তব্যে ফ্রেঞ্চ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস (কর) কর্মকর্তা লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘আমি শুধু ফ্রেঞ্চই শিখেনি, অন্তত পাঁচটি ভাষা শিখেছি। আমার চীনে যাওয়ার সুযোগ ছিল একই সময়ে ফ্রান্স সরকারের একটি বৃত্তিও পেয়ে যাই। যেহেতু আমি ফ্রেঞ্চ আগে শিখেছি, তাই ফ্রান্সেই চলে যাই। এখন পর্যন্ত আমি যতগুলো দেশে ঘুরেছি, স্থাপত্য দেখেছি সবচেয়ে আর্কষণীয় স্থাপত্য শহর মনে হয়েছে প্যারিসকে। শুধু প্যারিস না, ফ্রান্সের অনেক শহরই বেশ দৃষ্টিনন্দন। আশা করব যারা, ফরাসি ভাষা শিখছেন তাদের এই ভাষাটি অনেক কাজে লাগবে। আমি বিদেশি ভাষা জানার কারণে অনেক সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি।’

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবছার কামাল বলেন, ‘আমরা আগামীতে এমন আয়োজন আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে চাই। বিশেষ করে, যারা সাবেক রয়েছেন তারা বর্তমানদের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে পারেন এবং বর্তমানরাও বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। যার ফলে, অনেক শিক্ষার্থীই ফ্রেঞ্চ নিয়ে আগ্রহী হবেন। হয়ত তখনই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য সফল হবে।’

এ সময় ফ্রেঞ্চ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র দেবনাথের সঞ্চালনায় ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আমিনুল ইসলাম, চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের আফিকুর রহমান নাহিদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) প্রভাষক ইমদাদুল হক ইমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/

জবি রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের, কুশপুত্তলিকা দাহ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
জবি রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের, কুশপুত্তলিকা দাহ
জবি রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের, কুশপুত্তলিকা দাহ। ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে লিখিত অভিযোগ দিতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের অসৌজন্যমূলক ও অমানবিক আচরণের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় রেজিস্টারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এর পর রেজিস্টার ভবনের সামনে রেজিস্টারের কুষ্পুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা এ সময় ‘রেজিস্টারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘দালালদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবেনা’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্টার গদি ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার সাহেব অনেক সময়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করে থাকেন। আমার সঙ্গে করেছেন একদিন। অবস্থাটা এমন ছিল, ভিসি স্যার ওই রুমে না থাকলে উনি গায়েও হাত তুলতে পারতো। এ রকম উগ্র লোক প্রশাসনিক দায়িত্ব কীভাবে সামলাচ্ছেন জানি না। অতি দ্রুত উনাকে এই জায়গা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।’

গত মঙ্গলবার (২৩ তারিখ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহিদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যায় ইভান তাহসিভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সকল চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরই তিনি এর সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তাদের রুম থেকে বের করে দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে খবরের কাগজ প্রতিবেদকের কছে।

অডিও ক্লিপে শোনা যায়, রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারবো না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে? এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না।’ এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘গেট আউট।’ কর্মচারীকে ইশারা করে বলেন, ‘ওকে (ইভান) বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।’ 

এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় প্রতিবাদ করছেন তারা।

এর প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রেজিস্ট্রারের আচরণের নিন্দা জানায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।

তাওফিক/ 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত নোবিপ্রবি। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্র হিসেবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

সভায় উপাচার্য বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা পরিবহন, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসনের বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি।’ 

যাতায়াতে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের বাস বরাদ্দ থাকবে। যানজট নিরসনে চৌমুহনী ও সোনাপুর মোড়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

উপাচার্য জানান, হোটেল ও যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি রোধে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে স্থানীয় কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধে পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অভিভাবকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ও প্যান্ডেলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সভায় উপাচার্য তার সাম্প্রতিক তুরস্ক সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, তুরস্কের আলানিয়া আলাদিন কেকুবাত বিশ্ববিদ্যালয়, আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিদে ওমর হলিসদেমির বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, যৌথ গবেষণা, ভাষা কোর্স ও উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরও জানান, অস্তিম তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের এক-তৃতীয়াংশ টিউশন ফি মওকুফের ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই MoU স্বাক্ষর হবে।

ভর্তি পরীক্ষার দিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্যাম্পাসে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত থাকবে। মেডিকেল সেন্টারে জরুরি চিকিৎসাসেবা, অ্যাম্বুলেন্স ও ভিজিল্যান্স টিম প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সহায়ক টিম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের পরামর্শ ও সমর্থনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসিন, প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান, আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মাসুদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

কাউসার/তাওফিক/

মার্কিন কোম্পানি ও যবিপ্রবির ন্যানো সার উদ্ভাবকের মধ্যে চুক্তি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
মার্কিন কোম্পানি ও যবিপ্রবির ন্যানো সার উদ্ভাবকের মধ্যে চুক্তি
ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি ও ড. জাভেদ হোসেন খান। ছবি: সংগৃহীত

ন্যানো সারের উদ্ভাবক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাবরেটরি অব ন্যানো বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (NAME Lab)-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. জাভেদ হোসেন খানের ও মার্কিন (USA) জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োরোর (Kulabio) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় কোলা বায়ো যবিপ্রবির NAME Lab থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করবেন এবং তারাও তাদের জৈব প্রযুক্তি NAME Lab-এর সঙ্গে ভাগ করবেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল,২০২৫) মার্কিন কোম্পানি কোলা বায়োর (Kulabio) পক্ষে ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি (ভিপি অব ইনোভেশন অ্যান্ড ম্যানুফেক্সারিং) এবং NAME Lab এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ন্যানো সারের উদ্ভাবক ড. জাভেদ হোসেন খান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি অনুসারে কোলা বায়ো NAME ল্যাবরেটরি, যবিপ্রবি থেকে ন্যানো সারের প্রযুক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছর একসঙ্গে কাজ করবেন। 

এ বিষয় ন্যানো সারের উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা মার্কিন জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোলা বায়োর (Kulabio) সঙ্গে চুক্তি করেছি। তারা আমাদের ন্যানো সারের প্রযুক্তি নেবেন এবং তাদের জৈব প্রযুক্তিও আমাদের সঙ্গে ভাগ করবেন। সম্প্রতি আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে (Boston) কোলা বায়োর কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং এর সভাপতি ড. হ্যারিসন ইউনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেছি। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ন্যানো সার প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। এ ছাড়া তারা দ্রুত আমাদের ল্যাবরেটরি পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন।’ 

ড. জাভেদ হোসেন খান দীর্ঘ ৭ বছরের প্রচেষ্টায় ন্যানো ইউরিয়া তৈরি করেছেন, যা ৪ হাজার ২০০ টাকার গতানুগতিক ইউরিয়া সারের পরিবর্তে ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ২৩০ টাকা। তার এ গবেষণার ফলাফল ইতোমধ্যে আমেরিকার বহু গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

মোতালেব/সুমন/

কুয়েটের ভিসি-প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি, অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৬ এএম
কুয়েটের ভিসি-প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি, অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল
ছবি : খবরের কাগজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) ড. মুহাম্মাদ মাছুদ ও প্রো-ভিসি ড. শেখ শরিফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ৫৭ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১টার পরে তারা অনশন ভাঙেন।

এর আগে রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রো-ভিসির অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অব্যাহতির খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন।

এদিকে কুয়েট সংকট নিরসনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি, প্রো-ভিসিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষা কমসূচিতে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরই ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ২৩ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভায় সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিকেল থেকে ছাত্রদের ছয়টি ও ছাত্রীদের একটি হল খুলে দেওয়া হয়। আগামী ৪মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাকসুদ রহমান/অমিয়/

গণহত্যার বিচার ও আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি ইনকিলাবমঞ্চের সমাবেশ শুক্রবার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
ইনকিলাবমঞ্চের সমাবেশ শুক্রবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যের নিয়ে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শহিদি সমাবেশ করবে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সংস্কারের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিটিং করে যাচ্ছে, কিন্তু গণহত্যার বিচারের চেয়ে জরুরি বাংলাদেশে আর কী রয়েছে? কথা বলতে বলতে জুলাই আসতে আর দুই মাস বাকি। শত সমালোচনার পরও এই সরকারের ডান হাত ধরে রেখেছি, যাতে তারা এই গণহত্যার বিচার করতে পারে।’

কর্মসূচি ঘোষণা করে হাদি আরও বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আমরা শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমাবেশ করব। এটি আমাদের কোনো কর্মসূচি নয়, এটি শহিদ পরিবারের কর্মসূচি। বিচারের দাবিতে তারা যদি সংসদ ভবন, যমুনা অভিমুখে বা শাহবাগেই অবস্থান করতে চান, আমরা তা-ই করব।’

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ