ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ক্যাম্পাসে ঈদ বাজার, যেখানে ক্রেতা-বিক্রতা সবাই শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
ক্যাম্পাসে ঈদ বাজার, যেখানে ক্রেতা-বিক্রতা সবাই শিক্ষার্থী
ছবি: আদিব রহমান

মায়ের জন্য ঈদের আগে অবশ্যই একটা শাড়ি কিনতে হবে। এদিক-ওদিক ঘুরছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান। এত এত শাড়ির মধ্যে কোন ধরনের শাড়ি নেবেন সেটি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন। একটু সময় নিয়ে জানালেন- টিউশনির টাকা দিয়ে মাকে কিছু একটা কিনে দিতে চাচ্ছেন কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।

আতিকুরের সঙ্গে কথা হচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে ঠিক ইফতারের পর। চারদিকে অনেক মানুষের আনাগোনা। এলইডি হ্যালোজেন লাইটের আলোয় চারদিকটা বেশ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি টেবিল পেতে বসে আছে কিছু মানুষ। মিটিমিটি আলো জ্বলছে দোকানগুলোতে। টেবিল নিয়ে ছোট পরিসরে কেউ বিক্রি করছেন শাড়ি, পাঞ্জাবি, প্যান্ট, টি-শার্ট আবার কেউবা খেজুর, মাঠা থেকে শুরু করে হরেক রকমের খাবার। রোজার ঈদের আগের এই সময় ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়াখ্যাত জায়গাটি এমন জমজমাট হতে কখনোই দেখা যায় না। বস্তুত ক্যাম্পাসে এভাবে দোকান বসাতে দিতে চায় না কর্তৃপক্ষ। এখন অবশ্য কোনো বাধা নেই। হয়তো বাধা দিলে কেউ মানতও না। মজার বিষয় হলো- এখানকার ক্রেতা-বিক্রেতার প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষের চুপ থাকার হয়তো এটাই কারণ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও চাকরি করার গৎবাঁধা ধারণা থেকে বের হয়ে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে কিছু শিক্ষার্থী। ছোট ছোট টেবিল নিয়ে এই হরেক রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করাটা হয়তো তাদের সেই স্বপ্নের অংশ। অবশ্য বিক্রেতার কেউ কেউ শুধু আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা মাথায় রেখে এই সময়কে ব্যবসার জন্য বেছে নিয়েছেন।'

মায়ের জন্য শাড়ি খুঁজতে থাকা আতিকুরকে সাহায্য করার জন্য তাকে নিয়ে একটি শাড়ির দোকানের দিকে এগিয়ে গেলাম। ছোট্ট একটা টেবিল নিয়ে বসা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা বেশ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে হাসিমুখে জানতে চাইলেন কোন ধরনের শাড়ি নিতে চাই আমরা। সুতির শাড়ি নেবেন বলে জানান আতিকুর। কয়েকটা শাড়ি দেখেই একটা নিয়ে ফেললেন তিনি। বেশ খুশি মনে হলো আতিকুরকে। উদ্যোক্তা ফারজানাও খুশি হলেন। ব্যবসা নিয়ে অনেক সময় কথা বললাম ফারজানার সঙ্গে। তার ব্যবসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব সময় স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় কিছু একটা করার ইচ্ছা ছিল। আমার বাড়ি যেহেতু সিরাজগঞ্জ তাই শাড়ি নিয়ে কাজ করাটা আমার জন্য কিছুটা সহজ হবে ভেবে আর অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করিনি। ঈদের আগের এই সময় যেহেতু আমাদের প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ছাত্রছাত্রীরা ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে বাড়ি চলে যায়, তাই অনেকেই গ্রামে থাকা মা, বাবা, বা বোনের জন্য কিছু কেনাকাটা করে। অনেকেই বান্ধবীকে শাড়ি উপহার দেয়। সবমিলিয়ে এই সময় বিক্রি অনেক বেশি হয়। আমাদের স্বপ্নের দিকেও এগিয়ে যেতে যেটা সাহায্য করে। সঙ্গে কিছু আয়ও হয়।’

ফারজানার সঙ্গে কথা শেষ করে বেশ ভিড় দেখে এগিয়ে গেলাম রাস্তার পশ্চিম পাশে বিজয় একাত্তর হলের গেটের কাছে। শিক্ষার্থী আবদুর রহিম চামড়ার জুতাসহ এক্সপোর্টের প্যান্ট-শার্ট বিক্রি করছেন। বেশ ব্যস্ত থাকায় খানিকটা সময় অপেক্ষা শেষে কথা হলো তার সঙ্গে। ব্যবসা নিয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে তার স্বপ্নের কথা জানালেন। তিনি একটা ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে চান। চামড়ার জুতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। হেমায়েতপুরের জুতার কারখানা থেকে সবচেয়ে ভালো মানের পণ্যগুলো অর্ডার দিয়ে নিয়ে আসেন বলে জানান আমাদের। তিনি হাসিমুখে একটা তথ্য জানালেন। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া উদ্যোক্তা মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে আসেন। স্যারের স্ত্রী স্যারের জন্য আব্দুর রহিমের স্টল থেকে একটা বুট জুতা পছন্দ করেন। পরে নিজে স্যারের বাসভবনে গিয়ে সেই জুতা জোড়া দিয়ে আসেন আব্দুর রহিম। কথাগুলো জানানোর সময় তিনি বেশ গর্ব অনুভব করলেন বোঝা গেল। গর্ব করবেই বা না কেন? স্বয়ং ভিসি স্যার তার দোকানের জুতা ব্যবহার করছেন। 

আব্দুর রহিমের ফেসবুকে একটা পেজও আছে। সেখান থেকে মোটামুটি সাড়াও পান। তবে আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীরা তার থেকে নিয়মিত পণ্য নিচ্ছেন। ব্যবসা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় কম দামের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জিনিস আনার চেষ্টা করি। পণ্যের কোয়ালিটি নিয়ে আমি ভীষণ সচেতন। যেহেতু এটা নিয়ে আমি স্বপ্ন বুনছি।’

বেশ পরিশ্রমী আর দৃঢ়চেতা মনে হলো আব্দুর রহিমকে। হয়তো ভবিষ্যতে কোনো একদিন দেশের বড় একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী।
এতক্ষণে ঠাণ্ডা কিছু খেতে ইচ্ছা হলো আমার। একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম জসিম উদ্দিন হল মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনার দিকে মাঠা বিক্রি করছেন সাজিদ নামের এক শিক্ষার্থী। ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় এই মাঠা। দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু এই মাঠা নিয়ে কথা হলো সাজিদের সঙ্গে। তার কাছে জানতে চাইলাম, মাঠা নিয়ে ব্যবসা করার চিন্তা মাথায় এল কীভাবে। সাজিদ বললেন, ‘রমজান মাসে রোজা ছেড়ে অনেকেই ঠাণ্ডা এবং পুষ্টিকর কিছু খেতে চায়। মূলত চাহিদার কথা চিন্তা করেই এই ব্যবসা শুরু করেছি।’ মাঠা কোথা থেকে আনেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এই মাঠা সরাসরি খামারি থেকে সংগ্রহ করি। তাই এটা ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

মাঠা খাওয়ার পর আমারও মনে হলো- দিনের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু একটা জিনিস খেলাম। কোনোভাবেই এটা ভেজাল হওয়া সম্ভব না। আশপাশে আরও দোকান ছিল যেমন- খেজুর, কসমেটিকস, সুগন্ধি ইত্যাদি। সময় স্বল্পতার কারণে সব দোকানে আর যাওয়া হলো না। অবশেষে বাসায় ফেরার জন্য মনস্থির করলাম। পাঞ্জাবি সাজানো একটা টেবিল চোখে পড়ল। চোখ আটকে গেল বোটল গ্রিন রঙের একটা পাঞ্জাবিতে। দামও তুলনামূলক কম। ভাবলাম- ঈদের জন্য পাঞ্জাবিটা নিলে মন্দ হয় না।

/রিয়াজ

জুলাই বিপ্লবে হামলাকারীদের তথ্য চেয়ে জবিতে বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
জুলাই বিপ্লবে হামলাকারীদের তথ্য চেয়ে জবিতে বিজ্ঞপ্তি
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাহিরে সংঘটিত বেআইনি এবং সহিংস ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর হতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই ২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় (১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত) ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাহিরে সংঘটিত বেআইনি এবং সহিংস ঘটনায় জড়িত জবি’র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগকারীর তথ্য, অভিযোগ ও অভিযুক্তদের বিস্তারিত বিবরণ এবং স্বপক্ষে প্রমাণসহ সিলগালাকৃত খামে জমা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

অভিযোগকারীর তথ্য ও পরিচয় কঠোর গোপনীয়তার সাথে রক্ষা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে এ বিষয়ে একটি কমিটি করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আহ্বায়ক করা হয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়াকে। 

তিনি বলেন, আমাদের যে কমিটিটা হয়েছিল সেটার কার্যক্রম আমরা বৃহত্তর ভাবে শুরু করেছি। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, ইনিস্টিউট এবং এর বাইরেও যদি কেউ আক্রান্ত হয় এই তথ্যটা বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা সিলগালা খামে তথ্য আহবান করেছি। কিছু অভিযোগ এসেছে, সেগুলোও আমরা দেখছি। তবে আমরা একটু বৃহত্তর পরিসরে কাজ শুরু করেছি যাতে কেউ বলতে না পারে যে তাদের তথ্য নেওয়া হয় নি। তারপর সে অনুযায়ী আমরা শুনানি, গণশুনানি বা তাদের ইন্টারভিউ নিব, তারপর আমরা বাকি কাজ গুলো করব।

মুজাহিদ/সিফাত/

শাবিপ্রবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও ছাত্রদলের কর্মসূচি, কারণ দর্শানোর নির্দেশ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
শাবিপ্রবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও ছাত্রদলের কর্মসূচি, কারণ দর্শানোর নির্দেশ
শাবিপ্রবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও ছাত্রদল কর্মসূচি পালন করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি পালন করায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখা সভাপতি রাহাত জামান ও সাধারণ সম্পাদক নাইম সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। তাদের কার্যক্রমের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রক্টর বরাবর লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখা, গত ০৮/০৪/২০২৫ইং তারিখে ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে একটি মানববন্ধন করেন যা প্রসংশনীয়, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন এবং গত ২০/০৪/২০২৫ইং তারিখে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মানববন্ধন ও র‍্যালি করেন যা কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় একটি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধ করেছেন এবং অপরাপর ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে। তাই আপনাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ০৩ (তিন) কার্য দিবসের মধ্যে প্রক্টর বরাবর লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।’

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি নিষিদ্ধ থাকা স্বত্তেও মানববন্ধন ও মিছিল করে শাখা ছাত্রদলের কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার। অনুমতি না থাকলেও দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি পালন করায় সমালোচনা দেখা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে।

এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংগঠনটির শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কারণ দর্শানোর নোটিশ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদলের কর্মসূচির জন্য তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের জবাবের উপর ভিত্তি করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ইসফাক/তাওফিক/ 

জবিতে ছাত্রলীগের ২ নেতা-কর্মী আটক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
জবিতে ছাত্রলীগের ২ নেতা-কর্মী আটক
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মীকে আটক করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ক্যাম্পাস থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক দু'জন হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতাউল গণি টুটুল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। অপরজন আকরাম হোসেন পদার্থ বিজ্ঞানের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহাদি হাসান জুয়েল বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা বসে দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নেব।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/

রাবিসাসের সভাপতি ইরফান, সাধারণ সম্পাদক সাজিদ

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
রাবিসাসের সভাপতি ইরফান, সাধারণ সম্পাদক সাজিদ
রাবিসাসের সভাপতি ইরফান তামিম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) ১৪ সদস্যবিশিষ্ট ২০২৫-২৬ বর্ষের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইরফান তামিমকে সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাজিদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক খবরের কাগজের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান এনায়েত করিম।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি-১ অর্পণ ধর (সমকাল), সহসভাপতি-২ সিরাজুল ইসলাম সুমন (খবরের কাগজ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন (কালবেলা), কোষাধ্যক্ষ মাহবুব হাসান (কালের কণ্ঠ), সাংগঠনিক সম্পাদক মীর কাদির (ডেইলি মেসেঞ্জার), দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিবুল হাসান (বাহান্ন নিউজ), ক্রীড়া সম্পাদক সাজিদুর রহমান সাজিদ (সকালের সময়), কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক লুবনা শারমিন (জনকণ্ঠ), সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম রাজু (উত্তরা প্রতিদিন), আইটি অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট সম্পাদক প্রান্ত কুমার দাশ (দ্যা নিউজ) ও কার্যনির্বাহী সদস্য এ এইচ এম শামীম (সারাবাংলা ডট নেট)।

এ ছাড়া কমিটিতে সম্মানিত সদস্য হিসেবে আছেন শেখ ফাহির আমিন (ঢাকা ওয়েভ) ও আল মামুন আশিক (চ্যানেল আই অনলাইন)। উপদেষ্টা-১ হিসেবে আছেন নোমান ইমতিয়াজ (দেশ রূপান্তর) ও উপদেষ্টা-২ আসিফ আজাদ সিয়াম (দৈনিক বাংলা)।

কমিটি ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন- রাবিসাসের সাবেক সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন শিমুল (কালবেলা, রাজশাহী ব্যুরো), সাবেক সভাপতি সুজন আলী (নিউ এইজ, নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী), সাবেক সভাপতি শাহীন আলম (সময় টিভি, রাজশাহী প্রতিনিধি) এবং বিদায়ী কমিটির উপদেষ্টা সোহানুর রহমান রাফি (ডেইলি স্টার, রাজশাহী প্রতিনিধি)।

এদিকে নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাবি প্রশাসন, রাবি শিক্ষক সমিতি, রাবি প্রেসক্লাব, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এস আই সুমন/এমএ/

পিএসসি সংস্কারে জবি শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
পিএসসি সংস্কারে জবি শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি শান্ত চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এসে আবার শান্ত চত্বরে জড়ো হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের ৮ দফা দাবি পেশ করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১। ৪৫তম বিসিএসে ভাইভার নাম্বার ১০০ করতে হবে। প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার নাম্বার প্রকাশ করতে হবে।
২। প্রতিটি বিসিএসের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
৩। সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ভ্যারিফিকেশনে হয়রানি লাঘবের ব্যবস্থা এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে হবে।
৪। ভাইভা উত্তীর্ণ সকলের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।
৫। প্রাইভেট সেক্টরে আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে হবে।
৬। বিসিএসসহ সকল চাকরি পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে।
৭। বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে।
৮। পিএসসি-এর সদস্য পরিবর্তন করতে হবে। প্রশ্ন ফাঁসকৃত ৪৬তম বিসিএস বাতিল করতে হবে।

সমাবেশ শেষে আন্দোলনের মুখপাত্র ২০১৪-২০১৫ সেশনের বাংলা বিভাগের জবি শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, '৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে এই ধরনের আন্দোলনে রাজপথে আসা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান সরকার নিজ উদ্যোগে এই কর্ম পালন করবে। দীর্ঘদিন যাবৎ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সংস্কারের কথা আমি বলেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'গত জুলাইয়ে আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য রাজপথে নেমেছিলাম, পিএসসির সংস্কারের জন্য রাজপথই যদি সমাধান হয়,আমরা প্রস্তুত আছি ইনশাআল্লাহ।'

মুজাহিদ/সিফাত/