ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

আবারো হতে পারে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
আবারো হতে পারে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা আবারো অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যারা এর আগে অংশগ্রহণ করেছেন, শুধু তারাই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির এক সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি এখনই চূড়ান্ত নয়, বিষয়টি এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আদালাতের উপর।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ জানিয়েছেন, সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ সদস্য বলেছেন, আদালতের রায়ের পর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে তারা। তবে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটা আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে।

এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক ভিসি বরাবর একটি আবেদন দেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ‍তোলা হয়। একইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকাল ৫টায় এই ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে তার আগের দিন শিক্ষার্থীর রিটের আলোকে ফলাফল প্রকাশ স্থগিত করে হাইকোর্ট।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

নতুন করে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
নতুন করে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ মে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর শুধু বহুনির্বাচনি পরীক্ষা নেবে এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে সেটি মঞ্জুরের পর এবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। আগামী ১৭ মে শুধু ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে অংশ নেওয়া ভর্তিচ্ছুরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

এদিকে একই ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা থেকে অংশ নেওয়া ভর্তিচ্ছুদের ফল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাবির অনলাইনে ভর্তি কমিটির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ থেকে জানানো হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির বিশেষ সভার সিদ্ধান্তক্রমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের পুনরায় বহুনির্বাচনি আগামী ১৭ মে তারিখে বিকেল ৩টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের ফলাফল আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রকাশ করা হবে এবং আগামী ১৯ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত তাদের বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম পূরণ করতে পারবেন।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ‘একাধিক ভুল থাকায় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ‍তোলা হয়। ১৯ মার্চ বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ভর্তি পরীক্ষার ফল স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। 

এদিকে ১৩ এপ্রিল বিকেলে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে, সেটি মঞ্জুর করে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ।

/আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ
ঢাবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সামনে সংবাদ সম্মেলনে জুনের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

মে মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের টাইম ফ্রেম এবং জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে টাইমলাইনে দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মে মাসের প্রথমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং মাঝামাঝি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে কিন্তু কবে ডাকসু নির্বাচন হবে এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয়, শঙ্কা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা বলে, পরবর্তী সময়ে একটি পর্যায়ে বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিল করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বলতে চাই, ৫ আগস্ট পরবর্তী যে কমিটমেন্ট সেই জায়গা থেকে কোনো অদৃশ্য শক্তিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে দেওয়া হবে না।’

ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখের দাবি জানিয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘এখন এপ্রিল চলছে, আগামী মে মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের মধ্যে টাইম ফ্রেম ঘোষণা করতে হবে এবং জুনের ভেতরে, কুরবানি ঈদের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রহণযোগ্য-প্রতিযোগিতা মূলক ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন পূর্ববর্তী যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারের সঙ্গে আমরা আছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতিদ্রুত সংস্কার শেষে শিক্ষার্থী বান্ধব ডাকসু উপহার দেবেন। একই সঙ্গে যারা ডাকসুতে নির্বাচিত হবেন, তারা শিক্ষার্থীদের যে চাওয়া তার সঙ্গে মিল রেখে ডাকসুকে আরও বেশি ছাত্রবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলবেন।’

এতে অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, সদস্যসচিব রাকিবুল ইসলামসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টাইমলাইন অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। তবে তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং কবে নির্বাচন হবে, এ নিয়ে কিছুই উল্লেখ নেই ওই টাইমলাইনে।

আরিফ জওয়াদ/মাহফুজ

 

ঢাবিতে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল শুরু, মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১২ পিএম
ঢাবিতে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল শুরু, মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। এবারের আসরে ১১ দেশের প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত ‘প্রথম ডিইউকিউএস ইন্টারন্যাশনাল কুইজ ফেস্ট-২০২৫’ শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির (ডিইউকিউএস) আয়োজনে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি আয়োজকদের।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ওয়াসি আহাম্মেদ বলেন, ‘ঢাবি কুইজ সোসাইটিই দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম এই ধরনের বৃহৎ আন্তর্জাতিক কুইজ উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এটি বাংলাদেশের কুইজ সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবে।’

দেশের বাইরের অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে কুইজ সোসাইটির যোগাযোগ সম্পাদক মুসাররাত তাইয়্যেবা মুসকান বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, ফিলিপাইনসহ মোট ১১টি দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বিদেশি কুইজাররা ভার্চুয়ালি প্রতিযোগিতায় যুক্ত হবেন।’

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন উদ্বোধনের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা এবং একক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে অন্তঃ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্মুক্ত রাউন্ড। সেই সঙ্গে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে এই আন্তর্জাতিক আয়োজনের পর্দা নামবে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদমান মুস্তফা রাফিদ, ছাত্র কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক জয়নব আরা পাপড়ি এবং উপ-আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক মাইনুর জান্নাত রাবিনা।

ডিইউকিউএসের আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভালে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে মুক্ত চিন্তার স্বাধীন দৈনিক ‘খবরের কাগজ’।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ডিইউকিউএস কুইজের দ্বারা জ্ঞানচর্চাকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জ্ঞানচর্চার সেই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কুইজ ফেস্টিভাল।

কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে হিন্দুধর্মকে অবমাননা ও অশ্লীলভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ জানিয়ে অভিযুক্তের শাস্তি দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সনাতনী শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগপত্র জমা দেন। প্রক্টরের পর ভিসি বরাবরও অভিযোগপত্রের একটি কপি হস্তানতর করেন তারা।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আব্দুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার নিজ জেলা চট্টগ্রাম। গতকাল ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার পোস্টটির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়। 

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ‘‌সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের (আব্দুর রহমান, আইন বিভাগ ১৮তম আবর্তন) এক শিক্ষার্থী লাগাতার সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) কটুক্তি করে যাচ্ছে। এর মধ্যে গতকালের (১৪ এপ্রিল) একটি পোস্টে সনাতন ধর্মকে মারাত্মকভাবে ঘৃণিত ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ 


এতে আরও বলা হয়, ‘হিন্দুধর্ম। ইটস রিকোয়াইর্স টু বি এগ্রেসিভলি রেপড, (গালি) ইন আ রুড ওয়ে। (গালি)। আবার (গালি)।’ এই বক্তব্য শুধু কুরুচিপূর্ণ নয়, বরং এটি আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান এবং ঘৃণিত করে। এই ধরনের বক্তব্য কোনো সভ্য সমাজ বা শিক্ষাঙ্গনে মেনে নেওয়া যায় না। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বর্তমানে দুই বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞান ও সম্প্রীতির স্থান। এখানে এমন কোনো মত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত নয় যা অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে।

অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীদের দাবি, উক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার পূর্বক দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক, যেন ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ না করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল M A Hussain– এম এ হোসাইন নামক একটি পেইজে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে জীবন্ত ছাগলকে পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেটার ক্যাপশনে লিখা ছিল ‘জনশ্রুতি আছে, পৃথিবীর নিকৃষ্ট ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। একটা নিরীহ জীবন্ত প্রাণীকে এভাবে আগুনে পুড়ে মারার অধিকার কি কোনো ধর্মে আছে?’ 

পরবর্তীতে স্ক্রিনশটটি ছড়িয়ে পড়লে পোস্টটি ডিলিট করে ক্ষমা চেয়ে নতুন আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত আবদুর রহমানের ফেসবুক একাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখা হয়েছে। 

আইন বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বাস বলেন, ‘আব্দুর রহমান যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) আমাদের ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী কিভাবে একটা ধর্মকে নিয়ে এমনভাবে গালি দিতে পারে? আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো, বিগত বছরগুলাতে যেভাবে ধর্মকে অবমাননার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃক স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে, এবারও যেন তার ব্যতিক্রম না ঘটে। তার জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যেন পরবর্তীতে এমন ঘটনা না ঘটে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্য প্রক্টর অফিসে দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ও আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে অবগত নই। ঘটনা সম্পূর্ণ না জেনে আমি তো কোন বক্তব্য দিতে পারছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা অভিযোগপত্রটি পেয়েছি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী যেহেতু আইন বিভাগের সেহেতু আমরা উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি শৃংখলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করবো।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ডেকে শোকজ করা হবে। তার লিখিত ব্যাখ্যা গ্রহণের পর নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

আতিকুর/তাওফিক/ 

ইংরেজি শিখিয়ে দক্ষ প্রজন্ম গড়তে চান সাইফুল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
ইংরেজি শিখিয়ে দক্ষ প্রজন্ম গড়তে চান সাইফুল
ছবি: মো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জন একাডেমিক, পেশাগত এবং সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অনেকেই ভাষাটির প্রতি এক ধরনের ভীতি বা সংকোচ অনুভব করেন, যা তাদের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই সাইফুল ইসলামের উদ্যোগে ‘ইংলিশ থেরাপি’ হয়ে উঠেছে একটি কার্যকর সমাধান।

সাইফুল ইসলাম ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি তিনি Skill & Leadership Development-এর উপরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্ধশতাধিক কোর্স সম্পন্ন করেছেন। কর্মজীবনে বসুন্ধরা ট্রেনিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টার, আইএমবি প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট, ইগনাইট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড  কলেজে ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে সফলতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। 

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ইংলিশ থেরাপি’ এমন একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম, যা ভাষা শিক্ষার প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ এবং কার্যকর উপায়ে ইংরেজি শেখার পথ দেখিয়েছে। সাইফুল ইসলাম এই প্রোগ্রাম বিশেষভাবে তাদের জন্য সাজিয়েছেন, যারা ভাষার বুনিয়াদি দিকগুলোতে দুর্বল।

সাইফুল ইসলামের মতে, ‘ইংলিশ থেরাপি শুধু ইংরেজি শেখার একটি প্রোগ্রাম নয়, এটি আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনের একটি মিশন।’

ইংলিশ থেরাপি শিক্ষার্থীদের চারটি মূল ক্ষেত্র—পড়া, লেখা, বলা এবং বোঝায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনের ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছে: বেসিক গ্রামার ও ভোকাবুলারি উন্নয়ন, উচ্চারণ সংশোধন, প্রেজেন্টেশন এবং যোগাযোগ দক্ষতা প্রশিক্ষণ, রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্প এবং লাইভ প্র্যাকটিস সেশন। এই প্রোগ্রাম অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ফলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ইংলিশ থেরাপির মাধ্যমে ইতোমধ্যেই হাজারও শিক্ষার্থী তাদের জীবনের বাঁক পরিবর্তন করেছেন। তেমনই একজন রুমানা আক্তার। তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘ইংলিশ থেরাপির আগে আমি কখনো ইংরেজিতে নিজের মত প্রকাশ করতে পারতাম না। এখন আমি অনায়াসে অফিস মিটিং পরিচালনা করতে পারি। আমার ভাষাগত দক্ষতা করপোরেট দুনিয়ায় নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।’

এ ছাড়া তানভীর আহমেদ নামের আর একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি সব সময় বড় কিছু করতে চেয়েছি, কিন্তু আমার ইংরেজি দুর্বলতা আমাকে পিছিয়ে রাখত। ইংলিশ থেরাপির সাহায্যে আমি শুধু ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করিনি, বরং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিজেকে উপস্থাপন করতে শিখেছি। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে আমার প্রেজেন্টেশন বেশ প্রশংসিত হয়েছে।’
মুনিমা ফারহানা নামের একজন বলেন, ‘আমার একাডেমিক ক্যারিয়ারে ইংরেজি ছিল বড় বাধা। আইইএলটিএসে ভালো স্কোর পাওয়ার জন্য আমি এই কোর্সে যোগ দিই। সাইফুল স্যার আমাকে এমনভাবে গাইড করেছেন যে আমি ৭.৫ স্কোর পেয়েছি। এটা আমার উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ।’

ইংলিশ থেরাপি এ পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রকমারি বইমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ সাতটি এবং বইফেরি বইমেলায় বেস্টসেলার লেখকসহ তিনটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এর পাশাপাশি সাইফুল ইসলাম ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লিয়াব)-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে ভাষা শিক্ষা ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। 
সাইফুল ইসলামের মতে, ‘ভাষার দক্ষতা অর্জন একটি মানসিক উত্তরণ। আমরা শুধু একটি ভাষা শিখতে বলি না, আমরা আত্মবিশ্বাস গড়তে বলি। আমার লক্ষ্য, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এমনভাবে প্রস্তুত করা, যাতে তারা শুধু ইংরেজি বলতে বা লিখতে না পারে, বরং তারা চিন্তা করতেও শিখে। আমি বিশ্বাস করি, একটি দক্ষ প্রজন্ম গড়তে ভাষার ওপর আস্থা তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লেখক: শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

/রিয়াজ