ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মানবতার সেবায় শাবিপ্রবির ৩ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৫ এএম
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৬ এএম
মানবতার সেবায় শাবিপ্রবির ৩ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
ছবি: মো. ইসফাক আলী

প্রতি বছর ঈদ আমাদের জীবনে নিয়ে আসে আনন্দ। ঈদের দিন নতুন জামা পরার মাধ্যমে সেই আনন্দ যেন আরও বৃদ্ধি পায়। ঈদ এলেই সবাই বিভিন্ন শপিংমলে ছুটে নিজের পছন্দের জামা কেনার জন্য। কিন্তু আমাদের আশপাশে এরকম অনেক মানুষ আছেন যাদের ঈদের নতুন জামা কেনার সামর্থ্য নেই। সেসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দায়িত্বই যেন নিচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। একেক সংগঠন দায়িত্ব নিচ্ছে একেক শ্রেণির বা একেক অঞ্চলের মানুষের ঈদ বস্ত্রের ব্যবস্থা করার। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদানমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সঞ্চালন’ গত ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ ৭০ জন খালা, মামাদের মধ্যে ঈদবস্ত্র বিতরণ করে। অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদান করছে। গত ১৪ মার্চ ‘কিন’ স্কুলের ১৩০ জন বাচ্চার মধ্যে ঈদবস্ত্র বিতরণ করে। এ ছাড়া গত ১৪ মার্চ এবং ১৬ মার্চ দুই ধাপে সিলেটের মুসলিম বেদে পল্লি ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মোট ৫৫টি পরিবারের মধ্যে ঈদবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নোত্থান’। এভাবেই সিলেট অঞ্চলে সবার মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলো। 

তাদের এই অসাধারণ কাজের পেছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রমের গল্প। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল এবং মেসগুলোতে রুমে রুমে গিয়ে ফান্ড সংগ্রহ করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহ করার পর সংগৃহীত সেই টাকার ঈদবস্ত্রের মাধ্যমে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করেছেন তারা।
তাদের এই মহৎ কাজের অনুপ্রেরণা ও অনুভূতি সম্পর্ক জানতে কথা হয় সংগঠনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে। 

এ ব্যাপারে সঞ্চালনের সভাপতি মো. নাদিমুল বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন যখন ক্যাম্পাসের হলে, টংয়ের দোকানে যাই তখন দেখতে পাই অনেক শিশু, খালা, মামারা কাজ করেন, যাদের অনেকেরই ঈদের নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। কিন্তু আমরা সবাই ঈদে নতুন কাপড় পরি। ক্যাম্পাসের এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোও যাতে আমাদের মতো করে ঈদের আনন্দে মেতে উঠতে পারে এজন্যই প্রতি বছর সঞ্চালনের পক্ষ থেকে নতুন কাপড় বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। আমরা চাই, আমাদের সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। সঞ্চালন সব সময় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে ছিল, আগামীতেও পাশে থাকবে। আমাদের এই মহৎ কাজে যারা সাহায্য সহযোগিতা করে পাশে ছিলেন সবাইকে সঞ্চালন পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ।’

‘কিন’-এর সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল হক ইরাম বলেন, “ঈদ সবার জন্য খুশির বার্তা বয়ে আনে। কিন শাবিপ্রবির আশপাশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানের কাজ করে থাকে। অন্যান্য বছরের মতো তাদের জন্যই আমাদের এবারের আয়োজন ‘কিন ঈদ আনন্দ ২০২৫’। সবার মতো তাদের ঈদও কাটুক অনাবিল আনন্দ আর ভালোবাসায়।”

সার্বিক বিষয়ে স্বপ্নোত্থানের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরই কোনো একটা কমিউনিটি বা অঞ্চলে ঈদবস্ত্র বিতরণ করে থাকি, এতে কিছু মানুষ ঈদের আনন্দ খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারে। মানুষের মুখের হাসিই আমাদের সফলতা। আমাদের এই আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’


/রিয়াজ

চবিতে ছাত্রী মেসে মালামাল চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
চবিতে ছাত্রী মেসে মালামাল চুরি, বাড়িওয়ালীর গাফিলতির অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে ছাত্রীদের একটি মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন ছাত্রীর প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ ওঠেছে। মূলত বাড়িওয়ালীর উদাসীনতা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রীদের।

সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। 

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, গত ১ জুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে খায়ের মেনশনে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন ছাত্রীর নগদ টাকা, সাটিফিকেট, পোশাক, প্রসাধনীসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিমাণের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। এর আগেও গত বছর জুলাইয়ের ২৪ তারিখ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি বাড়িওয়ালী।  

ছাত্রীরা আরও বলেন, এছাড়াও প্রায়ই বাসার বাইরে থেকে তাদের অন্তর্বাসসহ, ফোনের চার্জার, জুতা ইত্যাদি চুরি করা হলেও বাড়িওয়ালা নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। এটা ছাত্রীদের মেস হলেও নেই সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তার কথা বলা হলে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ওই বাড়িওয়ালী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একতলা বাড়িতে মোট ৪টা রুম এবং চিলেকোঠায় একটি রুম রয়েছে। তবে, দুইটি রুম ও চিলেকোঠার একটি রুমের মোট ৪ জন ছাত্রীর মালামালা চুরি হলেও বাকি রুমগুলোর কোনো মালামালই চুরি হয়নি। 

ভুক্তভোগী একজন ছাত্রী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রাইসা জহির বলেন, আমি এবং আমার রুমমেট ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। ১ তারিখ রাতে আমাদের রুমে চুরি হয়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে এসে দেখি আমার সার্টিফিকেট, মোবাইল ফোন, কাপড়, প্রসাধনী জিনিসপত্র, নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসায় ছাত্রীরা থাকলেও নিরাপত্তার জন্য কোনো গার্ড বা সিসি ক্যামেরাও নেই। প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাড়িওয়ালী। তাকে এ বিষয়ে বলা হলে উনি বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। যেহেতু বাড়িওয়ালার উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। 

এর আগে বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা স্বীকার করে বাড়িওয়ালী মাহমুদা বেগম রিনা বলেন, চুরি কমানোর জন্য জানালার অতিরিক্ত গ্রিল লাগানো হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চুরির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উদাসীনতারও দায় দেন তিনি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, চবি কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে মেয়েদের মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা পেয়েছি বাড়িওয়ালী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত বাড়িটিতে আসা যাওয়া করেন। আপাতত অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে চোর পরিচিত কেউ-যার এ বাসার সবকিছু জানা আছে। আমরা দেখেছি শুধুমাত্র ছাত্রীদের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে, যদিও সেখানে বাড়িওয়ালার আলমিরাসহ দামী জিনিসপত্র অক্ষুণ্ণ আছে এবং চোর যাওয়ার সময় বাড়িতে তালাও লাগিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা আশা করি বাড়িওয়ালা কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করে বিষয়টির সমাধান সহজ করবেন।


মাহফুজ শুভ্র/মাহফুজ

 

ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
ঈদে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি কর্তৃপক্ষ
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোস্ত বিতরণ করবে জবি প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য কোরবানীর পশু ক্রয় ও গোস্ত বিতরণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী সব শিক্ষার্থী ও কর্মচারীকে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলো।

মেহেদী/

খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
খবরের কাগজে সংবাদে শাবিপ্রবির নিরাপত্তায় লাইটিং ব‍্যবস্থা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন লাইট লাগানো এবং পুরাতন লাইট মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আগে ক্যাম্পাসের যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো ছিল না বা একদম অন্ধকার ছিল, সেসব জায়গা এখন আলোকিত। এর আগে খবরের কাগজে গত ২৮ মে ‘শাবিপ্রবিতে বহিরাগতদের আনাগোনায় নিরাপত্তাহীন শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় কিভাবে নিজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

তখন প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল, এ বিষয়ে খুব শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিতে কাজ শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের এ রকম উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। আমরা আশা করি, নিরাপত্তাহীনতার জন্য দায়ী অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে শতভাগ লাইটিং নিশ্চিত করার কাজ শুরু করেছি। বৃষ্টির জন্য কাজটা যদিও দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে না, তবুও আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাসে লাইটিং-সহ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো নিশ্চিত করার।

ইসফাক আলী/অমিয়/

শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
শাবিপ্রবি ক‍্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা, খাল খননেই মিলল সুফল
খননকৃত খাল। ছবি:খবরের কাগজ

বিগত বছরগুলোতে বর্ষাকাল আসতে না আসতেই অল্প বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এবার বর্ষা আসার আগেই ক্যাম্পাসের প্রতিটি খাল পুনরায় খনন করায় সে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রশংসায় ভাসছে প্রশাসনের খাল খননের এ উদ্যোগ। 

সোমবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটে বিগত কয়েকদিনের মৌসুমি বৃষ্টিতে আগের মতো জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি ক্যাম্পাসে। পুনঃখননকৃত খাল দিয়ে সহজেই ক্যাম্পাসের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত ঠিক উল্টো চিত্র। একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা তৈরি হতো, রাস্তা ডুবে যেতো এবং এতে করে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো শিক্ষার্থীদের। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন ও নতুন খাল খনন করা হয়। খালটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা টিলারগাও এলাকা দিয়ে চেঙ্গের খালে গিয়ে পতিত হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তুফা আহাম্মেদ বলেন, অতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দিত, যা শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাত। তবে সম্প্রতি খাল খনন ও জলাধার উন্নয়নের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন বৃষ্টির পরও ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় না, যা শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তির বিষয়। এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেখা যেত একটু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সবাইকে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তাই আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই প্রথম এই কাজটার দিকেই মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমাদের কাজ এখনো চলমান আছে। আশা করি এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, প্রত্যেক বছর বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাস প্লাবিত হয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। পাশাপাশি ক্লাসরুম বা ল্যাবের ভিতরে পানি ঢুকে অনেক ক্ষতি করতো। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই সময় মতো খাল খনন করা হয়েছে। খালের পানি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাহিরে যাতে পানি সহজে নিষ্কাশন হয় সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রশাসককে বলা হয়েছে। তারাও বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার খানাখন্দ ঈদের বন্ধের মধ্যে মেরামতের জন্যও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। আশা করি এই বন্ধের মধ্যে তারা এটা করে ফেলবে।


মো: ইসফাক আলী/মাহফুজ 

 

নোবিপ্রবিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কর্মচারী বরখাস্ত

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
নোবিপ্রবিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কর্মচারী বরখাস্ত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রিসার্চ সেলের ৪৩ লাখ টাকার দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্তে আর্থিক অনিয়ম, হিসাব জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর কাওসার হামিদ চৌধুরী জিকুকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষকদের গবেষণা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ আদায় করা প্রায় ৩০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে যথাসময়ে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জিকুর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। ওই অর্থ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা হয়। পরে নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও ওই টাকা নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়নি। এছাড়া সাম্প্রতিক অডিটেও বিভিন্ন খাত মিলে ৪৩ লাখ টাকার আর্থিক গরমিল ধরা পড়ে।

এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। পাশাপাশি তার বাবাকে এক মাসের মধ্যে পুরো অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকারে তাকে নিজের জিম্মায় নিয়েছেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরী বলেন, 'হিসাবে গরমিল এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে তাকে শোকজ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বাবা এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন বলে ছেলেকে জিম্মায় নিয়ে যান। ইতোমধ্যে আমরা আরেকটি নোটিশ দিয়েছি। তাতে বলা হয়েছে কেউ যাতে তার সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেনে না যায়।'

তিনি আরও জানান, অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে তদন্ত কমিটি করা হবে। এ ঘটনায় জিকু এককভাবে দায়ী, নাকি এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কাউসার আহমেদ/রিফাত/