ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ায় বিজনেস কার্নিভাল ব্যবসা শুধু লাভের নয় বিশ্বব্যাপী সংহতিরও বিষয়

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
ব্যবসা শুধু লাভের নয় বিশ্বব্যাপী সংহতিরও বিষয়
ছবি: সংগৃহীত

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ায় 'বিজনেস কার্নিভ্যাল ২০২৫' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার আমীন বাজারে অবস্থিত সাউথ এশিয়া স্কুল অফ বিজনেস বিভাগ আয়োজিত দিনব্যাপী কার্নিভালের থিম ছিল ‘গাজার সাথে দাঁড়াও: মানবতার জন্য ব্যবসা’।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ব্যবসা কেবল লাভের বিষয় নয়, বরং উদ্দেশ্য, করুণা এবং বিশ্বব্যাপী সংহতির বিষয়ও। তরুণদের ব্যবসায়িক দক্ষতাকে মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে একত্রিত করতে হবে।

এ অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক খবরের কাগজ।

 সাউথ এশিয়া স্কুল অফ বিজনেস বিভাগের ডিন এবং আইকিউএসি পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এ. ওয়াদুদ মন্ডল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ডেক্কো ফুডস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা একেএম জাবেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড কালচার বিভাগের ডিন অধ্যাপক ইরশাদ আহমেদ শাহীন, শোমভব জবসের পার্টনারশিপ লিড সাগর খালাসি।

উদ্‌বোধনী বক্তব্যে, অধ্যাপক ড. এম. এ. ওয়াদুদ মন্ডল শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেবল উদ্ভাবনীই নয় বরং সহানুভূতিশীল এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীলও হতে হবে।

একেএম জাবেদ, গাজার মতো মানবিক সংকটের আলোকে কীভাবে ব্যবসাগুলিকে আজ নীতিগত অনুশীলন এবং বিশ্বব্যাপী সচেতনতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথিরা অনুপ্রেরণামূলক কথাও শেয়ার করেন।

এ সময় তরুণদের ব্যবসায়িক দক্ষতাকে মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে একত্রিত করার আহ্বান জানানোসহ গাজার জনগণের সমর্থনে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করা হয়। এ ছাড়া গণহত্যা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্য প্রকাশ করে শান্তি ও বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিজনেস কার্নিভ্যাল ২০২৫ কেবল একটি অ্যাকাডেমিক ইভেন্টের চেয়েও বেশি কিছু হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি যুব-চালিত পরিবর্তনের একটি আন্দোলন, যার নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়া স্কুল অব বিজনেস ভবিষ্যতের নেতা তৈরি করবে, যারা উদ্ভাবন এবং মানবতা উভয়কেই সমর্থন করবে।


আরিফ/মেহেদী

৭ দাবিতে আন্দোলন করবে কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
৭ দাবিতে আন্দোলন করবে কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রাবাস সংস্কার, পরিবহন সংকট নিরসনসহ ৭ দফা দাবিতে আগামী ৭ই মে বৃহত্তর আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, সামাজিক সংগঠনসহ কলেজের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে একথা জানান।

আন্দোলনের বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, কবি নজরুল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নানান সংকট ও সমস্যার মধ্যে দিয়ে তাদের শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করছেন। দীর্ঘদিন ধরে হল সংস্কার, পরিবহন সংকট, শ্রেণীকক্ষ সংকটের দাবি জানানো হলেও আদতে এর কোনো সমাধান হয়নি। এবার কলেজের সব সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়েছেন।

কবি নজরুল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি বাইজিদ মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল (সব) দাবি যৌক্তিক। বিগত সময়ে অসংখ্যবার শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। আমরা চাই, আমাদের দাবি পূরণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এর আগে কলেজের সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানান। পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেই দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো:

১. হল সংস্কার ও হলের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
২. ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ।
৩. শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. শ্রেণীকক্ষের সংকট নিরসনে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে।
৫. ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
৬. কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।
৭. দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক সংকট নিরসন করতে হবে।

আয়ারল্যান্ডে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে রাইসুলের দ্বিতীয় জয়

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
আয়ারল্যান্ডে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে রাইসুলের দ্বিতীয় জয়
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি আইনের পিএইচডি শিক্ষার্থী রাইসুল সৌরভ আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব গলওয়ে স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ২০২৪-২৫ মেয়াদের পর পুনরায় ২০২৫-২৬ মেয়াদের জন্য জাতিগত সংখ্যালঘু কর্মকর্তা পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অব গলওয়ে বিশ্বের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয় মূলত ১৯১১ সালে। পরবর্তী সময়ে সেটি ১৯৬৪ সালে সাংবিধানিকভাবে বর্তমান ইউনিয়নের রূপ লাভ করে। আয়ারল্যান্ডের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মাইকেল ডি হিগিন্স ১৯৬৪-৬৫ সালে তৎকালীন ছাত্র সংসদের প্রথম সভাপতি ছিলেন।

১৩ মার্চ সারা দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন সিস্টেমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থানীয় সময় রাত ৯টায় নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। রাইসুল ১২৯৮ ভোটের মধ্যে ১০৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আয়ারল্যান্ডে অধ্যয়ন শুরুর মাত্র এক বছর দুই মাসের মাথায় সৌরভ এই পদে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হলেন। তিনি ৩০ জুন চলতি দায়িত্ব শেষে আগামী ১ জুলাই থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য পুনরায় এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাইসুল সৌরভ বর্তমানে গলওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল স্কুলে পিএইচডি প্রোগ্রামে কলেজ অব বিজনেস, পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ল কর্তৃক প্রদেয় বৃত্তির অধীনে লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স বিষয়ে গবেষণা করছেন।

তিনি ২০২৫-২৫ মেয়াদে আইরিশ সমাজের সকল স্তরে জাতিগত সংখ্যালঘু ছাত্রদের অধিকারের প্রচার, রক্ষা ও সমর্থনে কাজ করে যেতে চান।

/রিয়াজ


 

ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্তর্জাতিক মানের ৪০ শতাংশ শিক্ষক রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জাতীয় দায় ও দায়িত্ব নিয়ে চলতে হয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-গবেষণার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের ৪০ শতাংশ শিক্ষক রয়েছেন। যদিও আমরা শিক্ষকদের গবেষণার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পারি না। প্রয়োজনীয় সমর্থন পেলে বাকিরাও নিজেদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে পারবেন।’

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি রিচার্স পার্টনারশীপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিন শেষে সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের সমাজের জন্য কাজ করতে হয়। নিজেদের এখন দেশ ও সমাজের জন্য গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সুযোগ রয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’

এতে মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের জাপান অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. কোজো ওতানাবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাওয়াদ/সিফাত/

ন্যানো ইউরিয়া উদ্ভাবন, কৃষিতে খরচ কমবে ৮২%

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
ন্যানো ইউরিয়া উদ্ভাবন, কৃষিতে খরচ কমবে ৮২%
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কৃষিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিতে যাচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক গবেষণা। বাজারে প্রচলিত ইউরিয়ার পরিবর্তে উদ্ভাবিত হয়েছে ন্যানো ইউরিয়া, যা প্রচলিত সারের তুলনায় ৮২ শতাংশ পর্যন্ত খরচ সাশ্রয়ী। পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তি কৃষির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও আনবে টেকসই পরিবর্তন।

যুগান্তকারী এই ন্যানো ইউরিয়া উদ্ভাবন করেছেন যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং ল্যাবরেটরি অব ন্যানো বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (NAME Lab)-এর প্রধান গবেষক ড. জাভেদ হোসেন খান। দীর্ঘ সাত বছরের গবেষণায় তিনি এই স্প্রে সারটি উদ্ভাবন করেন, যা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কুলা বায়ো (Kulabio)-এর সঙ্গে এক যৌথ চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও স্বীকৃতি পেয়েছে।

ন্যানো ইউরিয়া হলো অতি সূক্ষ্ম কণায় প্রস্তুত এক ধরনের ইউরিয়া সার, যা স্প্রে করে সরাসরি গাছের পাতায় প্রয়োগ করা হয়। প্রচলিত সারের তুলনায় এতে অণুর আকার অনেক ক্ষুদ্র। ফলে গাছ তা দ্রুত ও কার্যকরভাবে শোষণ করতে পারে। এতে অপচয় হয় না। আবার মাটির উর্বরতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
ন্যানো ইউরিয়ার উদ্ভাবক ও গবেষক ড. জাভেদ বলেন, ‘আমরা এমন এক ন্যানো সার উদ্ভাবন করেছি, যা সাধারণ ৪২০০ টাকার ইউরিয়ার জায়গায় মাত্র ২৩০ টাকায় এক বিঘা জমিতে প্রয়োগ করা সম্ভব।’
 অর্থাৎ, এতে খরচ সাশ্রয় হবে প্রায় ৮২ শতাংশ। ন্যানো ইউরিয়ার কার্যকারিতা ইতোমধ্যে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কৃষকরা এতে ফলন বৃদ্ধি এবং উৎপাদন ব্যয় কমার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়েছেন।

২৩ এপ্রিল ২০২৫, যবিপ্রবির সংশ্লিষ্ট ল্যাব এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি কুলা বায়োর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কুলা বায়োর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি এবং যবিপ্রবির পক্ষে ড. জাভেদ হোসেন খান।
চুক্তি অনুযায়ী, কুলা বায়ো যবিপ্রবির উদ্ভাবিত ন্যানো সার প্রযুক্তি গ্রহণ করবে এবং নিজেদের জৈব সার প্রযুক্তি NAME Lab-এর সঙ্গে ভাগ করবে। পরবর্তী পাঁচ বছর এই দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে গবেষণা ও উৎপাদন কার্যক্রমে অংশ নেবে।

এ বিষয়ে ড. জাভেদ বলেন, ‘আমি কুলা বায়োর বোস্টন কারখানা ঘুরে দেখেছি এবং তাদের প্রেসিডেন্ট ড. হ্যারিসন ইউনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রযুক্তিতে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং খুব শিগগির আমাদের ল্যাব পরিদর্শনে আসবেন।’
বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন ইউরিয়া সার ব্যবহার করে, যার প্রায় ৮০% আমদানিনির্ভর। ২০২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। ন্যানো ইউরিয়া প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে এই ব্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে। একই সঙ্গে পরিবেশ ও মাটির ওপর বিরূপ প্রভাব হ্রাস পাবে।

যবিপ্রবির এক অধ্যাপকের একাগ্র প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া এই প্রযুক্তি শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ নয়, তা এখন ছড়িয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক পরিসরে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশের প্রতিষ্ঠান যখন বাংলাদেশের প্রযুক্তির পাশে দাঁড়ায়, তখন সেটি শুধুই গর্বের বিষয় নয়— বরং তা এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।
ন্যানো ইউরিয়া হতে পারে বাংলাদেশের কৃষিতে আমূল পরিবর্তনের অসাধারণ নিয়ামক, যা একদিকে উৎপাদন খরচ কমাবে, অন্যদিকে নিশ্চিত করবে পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ। কৃষি গবেষণায় এটি একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে সবাই আশাবাদী।

/রিয়াজ

শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর থেকে বেশ কয়েকবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে তর্কে জড়িয়েছেন। এ অবস্থায় পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কুয়েট-১৯ ফেসবুক পোস্টে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে খোলা চিঠি লেখা হয়। চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি ডিপার্টমেন্টের সব ছাত্র প্রতিনিধির স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে ফেসবুক পোস্টে শিক্ষার্থীরা এ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান।

এতে শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের সন্তানতুল্য। আমাদের কোনো আচরণে যদি বিন্দুমাত্র অসম্মান প্রকাশ পেয়ে থাকে, আমরা দুঃখিত ও আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত। আমাদের ভুলের জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আপনাদের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা আমাদের পিতৃতুল্য। অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়েও শ্রদ্ধার। আপনাদের প্রতিটি কথা আমাদের জীবনের পথনির্দেশ। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, আপনারা আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রাণের কুয়েট আবারও ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধনে জড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করে এই শিক্ষাঙ্গনকে বিশ্বমানে উন্নীত করবে। আমরা আশাবাদী, কুয়েট পরিবারের প্রতিটি সদস্য একসঙ্গে একটি সুস্থ, সুন্দর, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’

ঘটনার পরিপ্রেক্ষাপট তুলে ধরে খোলা চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এক ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। এ হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী এবং একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আহত হন, যা কুয়েটের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রীমহল এই হামলার প্রকৃত সত্য আড়াল করে, তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। অথচ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষকরা বিচক্ষণ এবং সর্বোপরি ছাত্রবান্ধব। তা সত্ত্বেও দুঃখজনক এই ষড়যন্ত্রের ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি কৃত্রিম দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই স্বার্থান্বেষী মহল প্রচার চালাচ্ছে, আন্দোলনটি নাকি শিক্ষকবিরোধী কিংবা শিক্ষাবিরোধী। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই আন্দোলন কখনো শিক্ষাবিরোধী ছিল না, শিক্ষকবিরোধীও ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সন্ত্রাসবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী এবং শান্তিপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এর মূল উদ্দেশ্য লেজুরভিত্তিক রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরাপদ ও জ্ঞান চর্চার উপযোগী একটি কুয়েট গড়ে তোলা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একক দাবি, একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ। এই আন্দোলন তারই প্রতিফলন। তবুও আন্দোলনের সময় কোনো শিক্ষার্থীর আচরণ বা বক্তব্য যদি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মনে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমরা হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।’