
সমাজের কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে, সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রতিভা এবং দক্ষতায় উন্নতি করা সম্ভব না। এই বিশ্বাসের মানুষ মূলত জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পছন্দ করে। কোনো প্রচেষ্টা থাকে না এদের মধ্যে। অন্যদিকে আর এক শ্রেণি বিশ্বাস করে- কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জীবনে উন্নতি ঘটানো সম্ভব। এরা জীবনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যায়। অবশেষে তারা এর সুফলও পায়।
আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্বাস ধারণের মাধ্যমে শিক্ষাগত জীবনে এবং পরবর্তী সময়ে পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন খুব সহজে। এজন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় ভালোভাবে চর্চা করতে হবে।
ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করুন
ড. ডুইকের মতে, একজন মানুষ যেকোনো সময়, এমনকি এখনই ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তার পরামর্শ হলো, নিজেকে নিজে ইতিবাচক মনোভাবের কথা বলতে থাকা বিশেষ করে যখন মন নেতিবাচক চিন্তা করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘আমি কখনোই পরীক্ষায় ভালো করতে পারব না’ বলার পরিবর্তে বলুন, ‘অনেক মানুষের জন্য পরীক্ষায় ভালো করা সহজ নয়, কিন্তু আমি ভালো পরীক্ষার্থী হওয়ার চেষ্টা করব।’
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
আপনি কী অর্জন করতে চান সেটা যদি আপনি না জানেন তাহলে কীভাবে সফলতা পাবেন? তাই প্রথমে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেটাতে দৃঢ় থাকুন। মনে রাখবেন, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ে বিশ্বাসী ব্যক্তি সব সময় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে দেখে এবং একই সঙ্গে সেই লক্ষ্যে কাজ করে ফলাফল নিজের পক্ষে নিয়ে আসে।
লক্ষ্যকে ভুলে যাবেন না
আপনার লক্ষ্যকে মনে রাখুন। যেটা আপনাকে কাজ করতে মানসিক শক্তি ও উৎসাহ জোগাবে। যেমন আপনি যদি চিকিৎসক হতে চান তাহলে আপনি বড় কোনো চিকিৎসকের ছবি পড়ার টেবিলের সামনে রাখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মনীষীর উক্তি বা স্টিকি নোট ব্যবহার করে নিজেকে নির্দিষ্ট কাজে শক্তভাবে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে।
সাফল্যের জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন
ড. ডুইকের মতে, নিজের সিদ্ধান্ত বা কাজের প্রশংসা করার মাধ্যমে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা যেতে পারে। যেমন- ‘তুমি ভালো কাজ করেছ বা তুমি খুব কঠোর পরিশ্রম করেছ’ নিজেকে এমন ধরনের প্রশংসা করাটা ভীষণ জরুরি। আপনার সাফল্য অবশ্যই উদযাপন করবেন তবে এতে বেশি সময় ধরে স্থির থাকবেন না। শুধু নিজেকে বোঝান, যদি চেষ্টা করেন তবে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারবেন। লেখক: শিক্ষার্থী, এমএম কলেজ, যশোর
/রিয়াজ