ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ, সরকারকে প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ, সরকারকে প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান
ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে দুর্যোগ গবেষণা প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে ওয়েক আপ কল অন আর্থ কোয়েক শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা। ছবি: খবরের কাগজ

সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মায়ানমার ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ভারতের আসামে ভূমিকম্পের পর ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের ভূমিকম্পের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সেটির এপিসেন্টার যেখানেই হোক না কেন বিশেষ করে দেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। এজন্য ভূমিকম্প মোকাবিলায় ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে সরকারের প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম রিসোর্স কক্ষে দুর্যোগ গবেষণা প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের (ডিআরটিএমসি) আয়োজনে ওয়েক আপ কল অন আর্থ কোয়েক শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া বক্তারা প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। 

মতবিনিময়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মায়ানমারের ভূমিকম্পের আলোকে বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঝুঁকি, প্রস্তুতি ও জরুরি কর্মপদ্ধতি ওই মতবিনিময়ে বক্তাদের বক্তব্যে ওঠে আসে। এছাড়া ভূমিকম্প নিয়ে ইতোপূর্বে গবেষণা, প্রকাশনা ও মূল্যায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকলেও বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও অধিকতর কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তারা। যা ভূমিকম্প দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশকে বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো ঝুঁকিপূর্ণ শহরগুলোর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি লাঘব করতে পারে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং কমিউনিটি পর্যায় থেকে সরকারি নীতি নির্ধারকদের সম্মিলিতভাবে ভূমিকম্প দুর্যোগ মোকাবিলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ও ডিআরটিএমসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ভূমিকম্প নিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকলেও গত সাত-আট বছর যাবত ভূমিকম্পের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে একেবারেই নিরব। কেননা রোহিঙ্গা, করোনাসহ নানা ইস্যুতে সেটি চাপা পড়ে যায় কিন্তু মায়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমাদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে কেননা ১০০ বছরের টাইমলাইনে একটা ভূমিকম্প হতে পারে। এখন ভূমিকম্পের এপিসেন্টার যেখানেই হোক, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই, মাঠ পর্যায় থেকে সরকার পর্যন্ত যেন অবিলম্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ে ক্ষুদ্রমেয়াদি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস। এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেডক্রস বাংলাদেশ, একশন এগেইনস্ট হাঙ্গার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, একশন এইড বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ব্র্যাক, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি, নলেজ ক্র্যাফট বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পারপাস, পাওয়ার পার্টিসিপেশন সেন্টার, সেভ দ্যা চিলড্রেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউ এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

/আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্র নোবিপ্রবির নীলদিঘি

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্র নোবিপ্রবির নীলদিঘি
ছবি: কাউসার আহমেদ

প্রকৃতি যেন আমাদের হৃদয় জানে, বোঝে আমাদের ক্লান্তি, অনুভব করে আবেগ। তাই তো কখনো এক টুকরো আকাশ, কখনো এক চিলতে বাতাস, কিংবা নিঃশব্দে ঢেউ তোলা জলরাশি হয়ে সে হাজির হয় সান্ত্বনার পরশ নিয়ে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের কাছে এমন এক আশ্রয়ের নাম নীলদিঘি, যেখানে তৈরি হয় হাজারও স্মৃতি। 

নীলদিঘি শুধু একটি দিঘি নয়, এটি যেন ক্যাম্পাসের তরুণ-তরুণীদের প্রাণের আবেগময় এক ক্যানভাস। ক্লাসের ফাঁকে কিংবা পরীক্ষার অবসরে, একাকিত্বের মাঝে কিংবা প্রিয়জনের হাত ধরে- সব মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে আছে এই দিঘির নীল জলরাশি। চারপাশের গাছপালা, বেঞ্চ, সিঁড়ি, আর সৃজন ঘাট—সব মিলিয়ে এক অভিজাত নীরবতায় ভরপুর এই প্রাঙ্গণ।

সারা দিনের ক্লান্তি আর যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে এখানে ছুটে আসে শিক্ষার্থীরা। পড়ন্ত বিকেলে জমানো আড্ডা, গিটারের সুরে ভেসে বেড়ানো গান, প্রেমিক-প্রেমিকার না বলা কথার ভেলায় সাজানো গল্প—সবকিছুই যেন এখানে এসে জীবন্ত হয়ে ওঠে। কেউ আসে নতুন গল্প বুনতে, কেউ আসে পুরোনো গল্পের ইতি টানতে। আবার কেউ শুধু কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে বা আত্মার প্রশান্তির খোঁজে।

নোবিপ্রবির প্রত্যেক ব্যাচ, প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জীবনের কোনো না কোনো অধ্যায়ে জায়গা করে নিয়েছে নীলদিঘি। বারবিকিউ পার্টি থেকে শুরু করে জন্মদিন উদযাপন, সাহিত্যিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— সবকিছুরই জন্য প্রিয় এবং আদর্শ স্থান এটি।

শরতের রোদ-বৃষ্টির খেলায়, কিংবা শীতের কুয়াশামাখা ভোরে, বসন্তের রঙিন বিকেলে কিংবা বর্ষার স্নিগ্ধ সন্ধ্যায়—প্রতিটি ঋতুতে নীলদিঘির রূপ আলাদা। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে যখন দিঘির জলে প্রতিফলিত হয় ক্যাম্পাসের আলো, তখন তা হয়ে ওঠে রূপকথার কোনো গল্প।

নীলদিঘির প্রেমে পড়েছিলেন শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আসমা আক্তার মিতু। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘১০১ একর ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্র এই নীলদিঘি। বর্ষা, গ্রীষ্ম, শীত বা বসন্ত- সব ঋতুতে তার রূপ একেক রকম, কিন্তু প্রতিবারই মন ছুঁয়ে যায়। ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট আর ক্লাস টেস্টে জর্জরিত দিনশেষে যখন নীলদিঘির ঘাটে বসি, দিঘির শান্ত বাতাসে যেন সমস্ত ক্লান্তি মিলিয়ে যায় নিঃশব্দে।

আবার বৃষ্টির দিনে নীলদিঘির সৌন্দর্য যেন নতুন করে জেগে ওঠে। রূপ বেড়ে যায় শতগুণে। এমনই এক বর্ষার দিনে হলের ৮-১০ জন মিলে ঘাটে বসে যখন বৃষ্টিতে ভিজি, মুহূর্তটা হয়ে ওঠে আজীবনের প্রিয় স্মৃতি। সখীদের হাসি, গল্প আর বৃষ্টির ছোঁয়ায় নীলদিঘি সে স্মৃতিকে করে তোলে আরও অনন্য। প্রায় প্রতিদিন বিকেলে ঘাটে ভেসে আসে গানের গুঞ্জন, আর সেই সুর মিশে যায় দিঘির হাওয়ায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল জোবায়ের জিসান বলেন, ‘একজন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করে ফেরার পর ক্যাম্পাসের যে জায়গাগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তার মধ্যে নীলদিঘি অন্যতম। সকালের স্নিগ্ধ সূর্যোদয়, অলস দুপুরের নিস্তব্ধতা কিংবা বিকেলে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে এই জায়গাটি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, গান, শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বোনার সাক্ষী হয়ে থাকে নীলদিঘি। বিকেলে খেলাধুলা শেষে দলবেঁধে পুকুরের পানিতে গোসল করতে নামার আনন্দ অতুলনীয়। তবে ২০১৮-১৯ সালের দিকে এর চারপাশে যেমন পরিবেশ ছিল এখন তা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে, জৌলুস হারিয়েছে নীলদিঘি। সে সময় দিঘির চারপাশে ছিল হরেক রঙের আলোকসজ্জা, ছিল পরিপাটি আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এখন অযত্ন-অবহেলায আর দূষণে যেন রূপ হারাতে বসেছে এই দিঘি। রাতে আলোকস্বল্পতায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় এর আশপাশ। বাড়ে বহিরাগতদের আনাগোনাও। নীলদিঘি আবার ফিরে পাক তার পুরোনো সৌন্দর্য। প্রশাসন নীলদিঘির সৌন্দর্য ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেই প্রত্যাশা থাকবে।’

দিন যায়, ব্যাচ বদলায়, গল্পগুলো হয়তো নতুন হয়ে ওঠে কিন্তু নীলদিঘির বুকে আঁকা স্মৃতিগুলো অম্লান হয়ে থাকে। এই দিঘি যেন এক নীরব গল্পকার, যে কথা বলে না, শুধু শোনে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ভালোবাসার আড়ালে থেকে যায় তার গভীর ছায়া। 

/রিয়াজ

নোবিপ্রবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের একসঙ্গে গোসল: তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৯ এএম
নোবিপ্রবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের একসঙ্গে গোসল: তদন্ত কমিটি গঠন
ছবি: ভিডিও থেকে

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের একসঙ্গে গোসলের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ এফ এম আরিফুর রহমান সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সামাজিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ‘নীল দিঘি’ নামে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের একসঙ্গে গোসল করার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

কাউসার/মেহেদী/

ঢাকা মেট্রোপলিটনে ২০২৬ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পে জাপান

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
ঢাকা মেট্রোপলিটনে ২০২৬ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পে জাপান
ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ সাল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পানির গুণগত মান তদারকি এবং বিশুদ্ধকরণ টেকনোলজি নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প শুরু করবে জাপান। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন জাপানি মুদ্রা ইয়েনের প্রজেক্টটি ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০৩১ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চ পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এই বন্ধুত্ব রাজনীতির ঊর্ধ্বে। প্রজেক্টটি সমাজে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। মানুষ উপকৃত হবে। এই ধরনের প্রজেক্টকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের জাপান অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. কোজো ওতানাবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাপান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সি (জেএসটি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ওই প্রকল্প ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তর, জাপানের সিজুকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজিস প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে।

২০২৫ সালের মে মাস থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রজেক্টটি প্রবেশনারি পিরিয়ড হিসেবে থাকবে। 

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/

ইবিতে ল্যাব ব্যবহারে ফি নির্ধারণ, দাবির মুখে স্থগিত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২১ এএম
ইবিতে ল্যাব ব্যবহারে ফি নির্ধারণ, দাবির মুখে স্থগিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেন্ট্রাল ল্যাব ব্যবহারে ফি নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ল্যাব ব্যবহারে যন্ত্রপাতির মূল্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে ফি (বেতন) দিতে হবে। তবে ল্যাবে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা স্বত্বেও তা ব্যবহারে মূল্য নির্ধারণ অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গবেষণা রিসার্চ-সংক্রান্ত ব্যয় মওকুফের দাবিতে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পরে সেন্ট্রাল ল্যাবের পরিচালক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে শেয়ার করে সেন্ট্রাল ল্যাব সার্ভিসেস পলিসির ফি-সংক্রান্ত সেকশন স্থগিতের বিষয়ে নিশ্চিত করেন পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম। 

ইইই বিভাগের মুবাশ্বির আমিন বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে অনেক যন্ত্রপাতি এখনো অকার্যকর। আর যেসব যন্ত্রপাতি আছে, সেগুলো পরিচালনার জন্য তেমন কোনো দক্ষ জনবল নেই। এসব বিষয় ঠিক না করে ল্যাব ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের থেকে ফি নেওয়া অযৌক্তিক। তবে এ বিষয়ে গবেষণাগারের পরিচালক জাহিদুল ইসলাম ও প্রক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে। বুধবার আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’

অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পেয়েছি। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ল্যাবের ফি কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সেটি আগামী ৬ মে পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা করে এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান করা হবে।’

স্মারকলিপিতে তিন দফায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে সেন্ট্রাল ল্যাব ব্যবহারের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি অনুসারে নির্ধারিত হারে অর্থ দিতে বলা হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চকেন্দ্রিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পর এই ফি ধার্য করে থাকে। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাগারের অনেক মেশিন অকার্যকর (নষ্ট) ও পরিচালনায় দক্ষ কোনো জনবল না থাকা স্বত্বেও এই ফি ধার্য করা হয়েছে।’ 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক, অমানবিক ও গবেষণার মৌলিক চেতনার পরিপন্থি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবকাঠামো ও আর্থিক বাস্তবতায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও গবেষণার জন্য অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহ ও সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ‘যত দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে এনালাইটিক্যাল সার্ভিস না দেওয়া হবে তত দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রীয় গবেষণাগার ব্যবহারে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার দেওয়া; অনার্স পর্যায়ের প্রজেক্টে নিযুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাবে কাজের অনুমতি নিশ্চিত করা; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাস্টার্স পর্যায়ের গবেষক শিক্ষার্থীদের জন্য রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে মাসিক সম্মানি বা অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করা; শিক্ষার্থীবান্ধব নীতিমালা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে গবেষণা কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া প্রভৃতি।

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার লক্ষ্মী বাজারের একটি মেসে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সহপাঠীরা মেসের কক্ষে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর দ্রুত নেওয়া হয় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পর পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সময় পাশের ভবনে অবস্থানরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মারেফুল জানান, আমি নিচে নামছিলাম, তখন দেখি একটি ছেলে মেয়েটিকে কোলে করে রিকশায় তুলছে। পরে শুনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কীভাবে বা কেন ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে হয়তো ছেলেটিই ভালো বলতে পারবে।

এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/