
সহপাঠীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী, শান্ত ও পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত শাবিপ্রবির জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শাবিপ্রবির জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাদের এক সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ সভায় শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া সভায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা, শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসাসহ অন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে যেন সাইবার বুলিংয়ের শিকার না হন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ২ মে সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার আগে শান্ত ও পার্থ তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন বলে গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। শুধু যৌন নির্যাতন নয়, তা ভিডিওধারণ করে অভিযুক্তরা নিয়মিত ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইল করছিল বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ১৯ মে রাতেই আদনান ও পার্থকে আটক করে পুলিশ।
পরে ২০ জুন সিলেট কোতোয়ালি থানায় দুজনের সঙ্গে অজ্ঞাত আরও দু-তিনজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় তিনি আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) আদালত তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শান্ত ও পার্থ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী। এদের মধ্যে শান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলারও আসামি।
ইসফাক/পপি/