
সাধারণত ভলান্টারি বা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ বলতে আমরা এমন সব কর্মকাণ্ডকে বুঝি, যা মূলত বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে মানুষ বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছায় করে থাকে। স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিতে পড়াশোনাকালীন কিংবা যেকোনো বয়সে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করা সম্ভব।
সফল ক্যারিয়ার গড়তে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের অভিজ্ঞতা আপনাকে নানা সুবিধা দিতে পারে। দেশ ও বিদেশে রয়েছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান যারা সারা বছর নানা ধরনের ভলান্টারি কাজের আয়োজন করে থাকে।
এসব ভলান্টারি কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখলে এমন কিছু গুণাবলি অর্জন সম্ভব, যা পরবর্তীতে আপনার ক্যারিয়ার গঠনে বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে। চলুন জেনে নিই ভলান্টিয়ারিংয়ের এমন কিছু বিশেষ দিক সম্পর্কে, যা ক্যারিয়ার গঠনে আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
নেটওয়ার্কিং
আমরা যাদের চিনি এবং যারা আমাদের চিনে তাদের নিয়েই গড়ে ওঠে আমাদের নেটওয়ার্ক। বর্তমান যুগে সফল ক্যারিয়ার গঠনে নেটওয়ার্কিং রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিভিন্ন ভলান্টারি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়, যা আপনার নেটওয়ার্ক তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
নেটওয়ার্কের পরিচিত মানুষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে পরবর্তীতে ক্যারিয়ারের যেকোনো কাজে সাহায্য পাওয়া যেতে পারে।
স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগ
ভলান্টিয়ারিং আপনার পূর্ব জানা স্কিলগুলোকে আরও পরিপক্ব করতে এবং সেই সঙ্গে নতুন নতুন স্কিল ডেভেলপ করতেও সাহায্য করবে। ভলান্টারি কাজের মাধ্যমে আপনি লিডারশিপ, টিম ওয়ার্কিং, শেয়ারিং, কমিউনিকেটিং, কনফিডেন্স বিল্ডিং ইত্যাদি স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন ভলান্টিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব দক্ষতা পরবর্তী সময়ে চাকরি, ব্যবসা অথবা অন্য যেকোনো ক্যারিয়ারের কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে নানা সুবিধা এনে দিতে পারে।
নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন
শুধু স্কিল ডেভেলপমেন্টই নয়, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্রেও ভলান্টিয়ারিং একটি কার্যকরী মাধ্যম। ভলান্টারি কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন, যা আপনার ক্যারিয়ারসহ পুরো জীবনধারণেই রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
এসব স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজগুলো থেকে ম্যানেজমেন্ট, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এবং টিম ওয়ার্কিংয়ের মতো প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। যে কারণে আপনার সিভিতে ভলান্টিয়ারিং একটি আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে যুক্ত হতে পারে।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা
নতুন কোনো ক্যারিয়ার শুরুর সময় কিংবা নতুন চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। এ ছাড়া নিজের দক্ষতা, পারদর্শিতা এবং দুর্বলতা সম্পর্কে জানাও দরকারি বিষয়। ভলান্টারি কাজের মাধ্যমে আপনি নিজেকে সক্রিয়, কর্মঠ এবং কার্যকর হিসেবে খুঁজে পাবেন, ফলে আপনি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।
পূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ
ভলান্টারি কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পারবেন। এতে নতুন ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা হওয়ার পাশাপাশি নতুন কাজে কৌতূহলেরও সৃষ্টি হবে।
ভলান্টিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আপনি ক্যারিয়ার পরিবর্তন কিংবা নতুন ক্যারিয়ার শুরুর পূর্বে কাজটি সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া ভলান্টিয়ারিংয়ের মাধ্যমে নতুন কোনো একটি কাজে আপনি নিজের দক্ষতাও আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন।
কলি