ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বায়োকেমিস্ট্রিতে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
বায়োকেমিস্ট্রিতে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার
ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, যা ইংরেজিতে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি নামে পরিচিত। এটি জীববিজ্ঞানের একটি অত্যন্ত গতিশীল ও আকর্ষণীয় শাখা। এটি জীবের কোষ এবং অণুর রাসায়নিক গঠন ও কার্যপ্রণালি নিয়ে গবেষণা করে। প্রাণরসায়ন আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি দিক প্রভাবিত করে। এটি কোষ কীভাবে বৃদ্ধি এবং বিভাজন করে, খাদ্য কীভাবে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, রোগের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে এবং এমনকি আমরা কীভাবে চিন্তা করি ও অনুভব করি তা ব্যাখ্যা করতে পারে। এই বিষয়ে পড়াশোনা এবং কর্মজীবন গড়ে তোলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।

যেখানে পড়ানো হয়
বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রি পড়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদিতে এই বিষয় পড়ানো হয়। তাছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রি পড়ার সুযোগ রয়েছে।

যা পড়ানো হয়
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ কেবল মৌলিক প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখানে আরও অনেক আকর্ষণীয় বিষয় পড়ানো হয়, যা জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক অন্বেষণ করে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো-
ইমিউনোলজি: আমাদের শরীর কীভাবে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে তা শেখায়।
মলিকুলার জেনেটিক্স: জিন কীভাবে কাজ করে এবং জীবকে নিয়ন্ত্রণ করে তা বোঝায়।
মলিকুলার বায়োলজি: জীবের কোষ ও জৈব অণুর গঠন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান দেয়।
ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি: একটি জীব কীভাবে বৃদ্ধি পায় এবং পরিণত হয় তা সম্পর্কে জ্ঞান দেয়।
বায়োইনফরম্যাটিক্স: জৈবিক ডেটা বিশ্লেষণের জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানের ব্যবহার।
প্রোটিন টেকনোলজি: নতুন বা উন্নত প্রোটিন তৈরি করা, যা রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে।
প্ল্যান্ট বায়োটেকনোলজি: উদ্ভিদের জিনগত পরিবর্তন করে উন্নত জাত কীভাবে তৈরি করে তা সম্পর্কে জ্ঞান দেয়। 
খাদ্য ও পুষ্টি: খাদ্যের রাসায়নিক গঠন, পুষ্টিগুণ ও শরীরে এর প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান দেয়ে। 
মেডিসিনাল বায়োকেমিস্ট্রি: ওষুধ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জৈব যৌগ সম্পর্কে জ্ঞান দেয়।
ড্রাগ ডিজাইন: বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে নতুন ও আরও কার্যকর ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়া শেখায়।
ন্যানো বায়োটেকনোলজি: জৈব অণু (বায়োমলিকুল) ও ন্যানো প্রযুক্তির সমন্বয় সাধন করে।
স্ট্রাকচারাল বায়োলজি: জীবের বিভিন্ন অংশের ত্রিমাত্রিক গঠন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান দেয়।
সিস্টেমস বায়োলজি: জীবের বিভিন্ন অংশের মধ্যে জটিল রিলেশনশিপ বোঝায়।
যদিও এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়। জীববিজ্ঞান বিভাগ নিয়মিত নতুন নতুন বিষয় ও গবেষণা ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করছে।

গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা 
বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ
বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন দেশে অনেক সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে, আমেরিকা, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, সাউথ কোরিয়া এবং কানাডা এই বিষয়ে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য।
স্কলারশিপের সুযোগ
এই বিষয়ে পড়লে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়া যায়, যা আপনার পড়াশোনার খরচ বহনে সহায়তা করতে পারে। স্কলারশিপের মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ, মেক্সট স্কলারশিপ, ফুলব্রাইট স্কলারশিপ, DAAD স্কলারশিপ। এ ছাড়া আরও স্কলারশিপ রয়েছে বিভিন্ন দেশের, যা অত্যন্ত সম্মানের ও গৌরবের।

যোগ্যতার শর্তগুলো
স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে, আপনার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভালো একাডেমিক রেকর্ড এবং পূর্বের গবেষণা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনার যদি গবেষণা প্রবন্ধগুলো বনেদি জার্নালে প্রকাশিত থাকে তবে এটি আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।

চাকরির সুযোগ
বাংলাদেশে প্রাণরসায়ন বা বায়োকেমিস্ট্রি, একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র, যা উজ্জ্বল কর্মজীবনের সুযোগ দেয়। এই বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।

ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রগুলো
গবেষণা: ইমিউনোলজি, বায়োইনফরম্যাটিক্স, বায়োফিজিক্স, বায়োইঞ্জিনিয়ারিং, জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। 
শিক্ষকতা: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষতার সুবর্ণ সুযোগ। 
ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাকরি: বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি, বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতে চাকরির অবারিত সুযোগ রয়েছে। 
অন্যান্য: রাসায়নিকশিল্প, খাদ্যশিল্প, ফরেনসিক ল্যাব, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ল্যাব, প্রসাধনশিল্পেও রয়েছে চাকরির সুযোগ।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
বেসরকারি চাকরির মাঝে ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিসিএস জেনারেল এবং টেকনিক্যাল উভয় ক্যাটাগরিতে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাকরি করার সুযোগ পাবেন।

তাছাড়া একজন স্নাতকোত্তর হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাকরি ও পিএসসির (নন ক্যাডার) চাকরি পাওয়ার অবারিত সুযোগ রয়েছে।

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণত বিসিএসআইআর, আইসিডিডিআরবি, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, ন্যাশন্যাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি, বাংলাদেশ চা বোর্ড, বারডেম, বিসিআইসি, বিএসএমএমইউ(পিজি), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ড্রাগ সুপার, ড্রাগ ইন্সপেক্টর, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, শিশু হাসপাতালের অধীন সিএইচআরএফের রিসার্চ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের ফরেনসিক বিভাগসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাছাড়া ব্যাংক ও বিমা সংশ্লিষ্ট চাকরির পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ল্যাব সংশ্লিষ্ট চাকরির অবারিত সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশে বায়োকেমিস্ট্রি একটি সমৃদ্ধ এবং বর্ধনশীল ক্ষেত্র যা জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উজ্জ্বল কর্মজীবনের সুযোগ দেয়। যারা জীববিজ্ঞান, রসায়ন এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহী তাদের জন্য এটি একটি সেরা পছন্দ।

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

কলি

বাফুফেতে কাজের সুযোগ

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পিএম
বাফুফেতে কাজের সুযোগ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিউম্যান রিসোর্সেস বিভাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার/ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এ পদের জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও বাফুফের নীতিমালা অনুযায়ী নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আবেদনের শেষ সময় ১৩ সেপ্টেম্বর।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার/ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ
বিভাগ: হিউম্যান রিসোর্সেস

পদসংখ্যা: ১

শিক্ষাগত যোগ্যতা: হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্টে (এইচআরএম) এমবিএ থাকতে হবে আবেদনের জন্য।

অন্য যোগ্যতা: বিজনেস ফোকাস, রেজাল্ট ওরিয়েন্টেশন, প্রসেস ওরিয়েন্টেশন, কর্মচারী রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ও ইংরেজিতে দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কলি

নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন নেবে ১৫ জন

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন নেবে ১৫ জন

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডে ২টি পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ২ পদে মোট ১৫ জন নিয়োগ পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড

পদের বিবরণ

১. অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার
পদ ৯টি (ইলেকট্রিক্যাল-৭ ও মেকানিক্যাল-২)
বেতন: ৫২০০০ টাকা
আবেদনের যোগ্যতা: বাংলাদেশের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। জিপিএ-৫-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। আর জিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।
আবেদনের বয়স: ৪ সেপ্টেম্বরে বয়স ৩০ বছর হতে হবে।

২. সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার
পদ: ৬টি (ইলেকট্রিক্যাল-২ ও মেকানিক্যাল-৪)
বেতন: ৪০০০০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা
২টি ইলেকট্রিক্যাল পদের জন্য ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিকস থাকতে হবে। জিপিএ-৫-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। আর জিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।
৪টি মেকানিক্যাল পদের জন্য ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল/পাওয়ার/রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। জিপিএ-৫-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। আর জিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

আবেদনের বয়স: ৪ সেপ্টেম্বরে বয়স ৩০ বছর হতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মস্থল: ঢাকা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদন ফি: অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ১ নং পদের জন্য ৬০০ টাকা, ২নং পদের জন্য ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 কলি

জয়পুরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি, পদ ৫৪

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি, পদ ৫৪

জয়পুরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও এর অধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ৮ ক্যাটাগরির পদে ১৪ থেকে ১৯তম গ্রেডে মোট ৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। শুধু জয়পুরহাট জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা এসব পদে আবেদন করতে পারবেন।

১. পদের নাম: পরিসংখ্যানবিদ
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান, গণিত অথবা অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

২. পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৩. পদের নাম: স্টোরকিপার
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৪. পদের নাম: কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: রেফ্রিজারেশন বা এয়ার কন্ডিশনিং ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) পাস
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৫)

৫. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি, টাইপিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স, ব্রাউজিং ইত্যাদি চালনায় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় অন্যূন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৬. পদের নাম: স্বাস্থ্য সহকারী
পদসংখ্যা: ৩৮
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৭. পদের নাম: ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৮. পদের নাম: ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

বয়সসীমা
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ ও সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই (http://csjoypurhat.teletalk.com.bd/) ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই (https://file-rajshahi.portal.gov.bd/uploads/56f978fa-0596-45c9-b14c-454fd33d7a85//66d/6e9/dd4/66d6e9dd47efe585112629.pdf) লিংকে পাওয়া যাবে।

আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৬ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা এবং ৭ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৪ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 কলি 

সফল বিক্রয়কর্মীর সেরা ৫ গুণাবলি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
সফল বিক্রয়কর্মীর সেরা ৫ গুণাবলি
সুপার শপে ক্রেতাকে পণ্য দেখাচ্ছেন এক নারী কর্মী। ছবি: সংগৃহীত

একজন বিক্রয়কর্মীর অনেক গুণাবলি থাকতে পারে কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কর্মী তার গুণাবলিগুলোকে ব্যবসায় প্রয়োগ করছেন কি না। সফল বিক্রয়কর্মীর মধ্যে সাধারণত এই ৫টি গুণ লক্ষ করা যায়-

১. দৃঢ় প্রত্যয়
এর ফলে আপনি ক্রেতাকে বিরক্ত না করেই একটি সেলসের পরিস্থিতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। যেমন- কোনো এক ক্রেতা তার সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি করছে। এমতাবস্থায় তিনটি সাধারণ প্রতিক্রিয়া আপনি দেখাতে পারেন-

পরোক্ষ: যখন আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যাবে, তখন আপনি কি আমায় একটা ফোন করে তা জানিয়ে দিতে পারবেন?
আক্রমণাত্মক: যদি আপনি এখনই পণ্যটি না কেনেন তাহলে অফারটি আর বলবৎ থাকবে না।

দৃঢ় প্রত্যয়ী: কবে নাগাদ আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, আপনার সিদ্ধান্ত নিতে আমি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি? এ ব্যাপারে আমাকে কি আপনি কোনো আনুমানিক সময়কাল বলতে পারবেন?

পরোক্ষ প্রতিক্রিয়ায় আপনার সেলসটি চিরদিনের জন্য আটকে যাবে, যার ফায়দা আপনার প্রতিযোগী গ্রহণ করতে পারে। আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া চাপ এবং বিরক্তি সৃষ্টি করে, যদিও মাঝে মধ্যে এটি কাজে দেয়, কিন্তু অন্যরা আপনাকে একজন নাছোড়বান্দা সেলসম্যান হিসেবেই ধরে নেবেন। দৃঢ় প্রত্যয়ী প্রতিক্রিয়া সেলসটি সমাপ্ত করতে একটি নির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করে দেবে ক্রেতাকে কোনো রকম চাপ দেওয়া ছাড়াই।

২. আত্ম-সচেতনতা
নিজের আবেগ কীভাবে কাজ করে তা জানতে হবে এবং পরে ক্রেতাদের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক তৈরিতে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। এটি করতে হবে চারটি ধাপে-

আপনি যা অনুভব করছেন সেই আবেগগুলোকে চিহ্নিত করুন।
অভিজ্ঞতার আলোকে, ভেবে দেখুন এই আবেগগুলো কীভাবে আপনার পণ্য বিক্রি করার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সেলসকে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে এমন আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
সেলস বাড়াতে প্রয়োজন এমন ইতিবাচক আবেগকে প্রাধান্য দিন। যেমন- ধরুন কোনো এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা আপনাকে কথা শুনিয়ে দিল। আপনার পরবর্তী মিটিংয়ের আগে হয়তো কিছুটা সময় ক্ষেপণ করা উচিত হবে এবং এর আগে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আপনি সফল হয়েছেন সেগুলো সম্পর্কে মনে করতে হবে।

৩. সহমর্মিতা
এর মানে হলো নিজের আচরণকে ক্রেতার মুড ও আবেগ অনুযায়ী খাপ খাইয়ে নেওয়া। ভালোভাবে তাদের কথা শুনুন ও তাদের লক্ষ করুন। ক্রেতা কী অনুভব করছে তা জানাটাই যথেষ্ট নয়। ক্রেতা যা অনুভব করছে আপনাকেও তা অনুভব করার সামর্থ্য থাকতে হবে।ধরুন, একটি সেলস কলের সময় আপনি জানতে পারলেন যে, ক্রেতার ব্যবসা থেকে অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। আপনি হয়তো এ খবরটি উপেক্ষা করে আপনার 
মতো করে সেলস কলটি চালিয়ে গেলেন বা আপনি আপনার সেলসের প্রতি নজর রেখেই আপনার পরিচিত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করতে পারেন কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এখন ক্রয় বিভাগটি কে সামাল দেবে।

উল্লিখিত দুটি পরিস্থিতিই ব্যবসায়িকভাবে সিদ্ধ কিন্তু আপনি যদি ভালো সম্পর্ক গড়তে চান, তাহলে আপনাকে সহমর্মী হতে হবে এবং যার সঙ্গে কথা বলছেন তার ভয় ও সংশয়কে বুঝতে হবে। এরপর ক্রেতাকে আপনি যেভাবে দেখেছেন সে অনুযায়ী, ঠিক করে নিন ক্রেতাটি আপনার কাছ থেকে দয়া চায় নাকি অভিযোগ করতে চায় বা পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায়।

৪. সমস্যা সমাধান
সমস্যা সমাধান করার ইচ্ছাশক্তির ফলে আপনি ক্রেতার চাহিদা পূরণে আর্থিকভাবে বা আবেগীয়ভাবে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন। সমস্যা সমাধান একটি চার ধাপের প্রক্রিয়া-

ক্রেতার যা অবস্থা ঠিক সেই অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া (কখনো বুঝে ওঠার আগে কোনো কিছু সমাধান করতে যাবেন না)।
কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দৃষ্টিগোচর করাতে ক্রেতাকে সাহায্য করা।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে ক্রেতা যেমন চান সেরকম পরিস্থিতি তৈরি করার পথ ঠিক করুন।
এই পথটি সম্পর্কে ক্রেতাকে এমনভাবে জানানো যাতে সে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে।
পুরোনো সেলস সম্পর্কিত তত্ত্ব হচ্ছে ভালো সেলস স্পিচই পণ্য বিক্রি করাতে সহায়ক। কিন্তু বর্তমানের এই গুণগুলো কিন্তু পুরোনো ধ্যান-ধারণার ঠিক বিপরীত।

৫. আশাবাদ
আপনি যদি আশাবাদী হয়ে থাকেন তাহলে যখন পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় তখনো আপনি সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য দেখতে পাবেন। দৈনন্দিন ঘটনা আপনি কীভাবে দেখছেন তার ওপরেই কিন্তু আপনার আশাবাদের ভিত্তি গড়ে ওঠে। যেমন- দিনের প্রথম সেলস কল যদি শুভ না হয়, তাহলে দিনের পরবর্তী সময়ে আপনার পারফরম্যান্স ভিন্ন হতে পারে যেমন-আপনি ভাবতে পারেন, একটি অসফল সেলস কল মানে হলো আমাকে দিয়ে এটা আর হবে না আর আমার দিনটাই খারাপ যাবে।বা আপনি এটাও ভাবতে পারেন, প্রতিটা সেলস কলই আলাদা, তাই পরেরটা আরও ভালো হতেও পারে।

লক্ষ করুন, দুটি প্রতিক্রিয়াই কিন্তু একই ঘটনার প্রতি আপনার নিজস্ব ভাবনা এবং দুটি কিন্তু বাস্তবসম্মত। তাই আপনি হুট করে যদি দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়া বাদ দিয়ে যদি প্রথম ধারণা নিয়ে বসে থাকেন, তাহলে আপনি খুশি থাকতে পারবেন না।

 কলি 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার কার্যকরী কৌশল

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার কার্যকরী কৌশল
সৃজনশীলভাবে আপনার পোর্টফোলিওকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করার ওপর গুরত্বরোপ করুন। মডেল: তাম্মি ছবি: শরিফ মাহমুদ

অনেকদিন ধরে মার্কেটপ্লেসে কাজ করেও অনেকেই আশানুরূপ সাফল্য পান না এবং কিছুদিন পর নানা কারণে হতাশ হয়ে পড়েন। অনেকেই বুঝতে পারেন না তাকে আসলে কী করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এই মার্কেটপ্লেসে নিজের অবস্থান আরও শক্ত এবং দৃঢ় করার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে, যা তার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে করবে আরও মজবুত এবং মসৃণ। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কীভাবে বেশি বেশি কাজ পাওয়া যায় সে সম্পর্কে ইন্টারনেট অবলম্বনে বিস্তারিত জানাচ্ছেন গাজী তাহির

মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান এবং সুস্পষ্ট ধারণা 
মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখতে হবে। একেক মার্কেটপ্লেসে কাজের ধরন একেক রকম। কেউ প্রজেক্ট বেসিস আপনাকে নিযুক্ত করতে পারেন আবার কেউ মাসিক বা ঘণ্টায় চুক্তি করতে পারেন। আবার আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সারের মতো মার্কেটপ্লেসে বায়ার জব পোস্ট করেন সেখান থেকে আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী নির্বাচন করতে হয়। আবার ফাইভারের মতো মার্কেটপ্লেসে বায়ার স্বয়ং নিজে আপনার পোর্টফোলিও এবং সার্ভিস ধরন অনুযায়ী আপনাকে কাজের অর্ডার প্লেস করবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনি কাস্টম সার্ভিস অফার করতে পারেন। যদিও সব মার্কেটপ্লেসে নিয়মনীতি একই আবার পলিসির ক্ষেত্রে কিছু ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এসব বুঝে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

প্রোফাইল অপটিমাইজেশন
শুধু নতুন একটা অ্যাকাউন্ট খুললেই আপনি সেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে প্রয়োজন প্রোফাইল অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ যে টেকনিক এবং স্ট্র্যাটেজি অবলম্বনের মাধ্যমে আপনার প্রোফাইল ক্লায়েন্ট বা বায়ারের সম্মুখে আসবে সেই বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে এবং সময়ের সঙ্গে তা আপগ্রেড করতে হবে।

পোর্টফোলিও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রিল্যান্সাররা এ ব্যাপারে খুব উদাসীন থাকেন এবং সময়ের সঙ্গে নিজের পোর্টফোলিও আপডেট করেন না। ফলে তার অ্যাডভান্সড স্কিলগুলো সঠিকভাবে উপস্থাপন হয় না। সেক্ষেত্রে আপনি সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারলেও এবং আপনার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বায়ার আপনার কাজের ক্ষেত্রে দ্বিধা-সংশয় প্রকাশ করেন। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি ভলান্টারি ভিত্তিতে কিছু কাজ করে প্রোফাইল ভারী করতে থাকেন। আর যদি দীর্ঘদিন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে থাকেন তাহলে মাস শেষে এমন সময় রাখুন যেখানে আপনি নিয়মিত প্রোফাইল আপডেট করতে পারবেন। সেই সঙ্গে সৃজনশীলভাবে আপনার পোর্টফোলিওকে আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় কীভাবে করা যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করুন।

মার্কেটপ্লেসে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ রক্ষা করুন
দৈনিক আপনাকে অবশ্যই মার্কেটপ্লেসে সময় দিতে হয় এবং সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই এমন পদ্ধতি অনুসরণ করুন যেখানে আপনি মার্কেটপ্লেসে নিরবচ্ছিন সংযোগ রক্ষা করতে পারবেন। কারণ, কাজের জন্য নতুন হোক পুরোনো, বায়ার আপনাকে খুঁজতে পারে। সেক্ষেত্রে জরুরি মুহূর্তে আপনি তাকে সাড়া দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন বায়ারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যেখানে তিনি দ্রুত সাড়া দেওয়াকে খুব পজিটিভলি দেখেন এবং অন্যের কাছে কাজ হস্তান্তরের ঝুঁকিও কম থাকে।

প্রতিযোগীদের ওপর নজর রাখুন
মার্কেটপ্লেসে আপনার মতো অনেকেই একই সার্ভিস দিয়ে থাকেন। তারা কোন কোন বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ এবং তারা কীভাবে ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিয়ে আসছে সে সংক্রান্ত বিষয়গুলো আপনার নজরে রাখুন। কী কী সার্ভিস দিলে পরে বায়ার আপনার থেকে বেনিফিটেড হবেন এবং আলাদা ভ্যালু অ্যাড করবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ক্লায়েন্টকে অবহিত করুন।

বায়ারের সঙ্গে কমিউনিকেশন রক্ষা করুন 
ক্লায়েন্টের সঙ্গে কীভাবে কমিউনিকেশন করবেন? কীভাবে তার সঙ্গে কথোপকথন শুরু করবেন? তাকে কীভাবে আপনার কাজ এবং কথা দ্বারা ইম্প্রেস করবেন? তার নানা টিপস এবং ট্রিকস সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। নিয়মিত কাজ সম্পর্কে আপনার বায়ারকে অবহিত করুন। এতে তিনি অনেকটা চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন।

নিজের দক্ষতা প্রচার করুন
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে মার্কেটিং এবং সেলস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা দিনরাত সোশ্যাল মিডিয়াসহ অনেক প্ল্যাটফর্মে নিজের সার্ভিস প্রমোশন করে বেড়ান কিন্তু যে জায়গায় তাকে অ্যাপ্লাই করা উচিত সেই সম্পর্কে তার কোনো জ্ঞান নেই। 
সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। আপনার কার্যকরী কৌশল এবং সঠিক সিদ্ধান্তই পারবেন আপনার বিক্রয়ের নিশ্চিত করবে।

বায়ার এবং কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা
অনেকেই কাজ সম্পর্কে না জেনে, না বুঝে সেই কাজে আবেদন করা শুরু করে দেন। আবার কাজ শুরুর পরে বুঝে উঠতে পারেন না। আবার কাজ শুরুর সময় যে যে বিষয় বায়ার থেকে জানতে হবে তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে সংশয় প্রকাশ করেন। 
আবার অনেকেই বায়ার এবং তার কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখেন না, যার ফলে কাজের সময় একজন ফ্রিল্যান্সারকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

কাজের সময়সীমা নির্ধারণ এবং কমিটমেন্ট রক্ষা করা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে গেলে অবশ্যই ডেডলাইন নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। কোনোভাবেই এই ডেডলাইন মিস করা যাবে না। যদি কখনো মিস হয় ক্লায়েন্টকে সেই ব্যাপারে আগেভাগে অবহিত করুন। একবার ডেডলাইন মিস হয়ে গেলে আপনার জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আপনার থেকে বায়ার কী কী পাবেন তা নিশ্চিত করুন। অনেকেই শুধু একটি মার্কেটপ্লেসের ওপর নির্ভরশীল। তাই উচিত হবে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি মার্কেটপ্লেসে একসঙ্গে কাজ করা। এক্ষেত্রে একটি মার্কেটপ্লেস থেকে কম অর্ডার আসলেও বাকি অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে আপনি ব্যালেন্স রাখতে পারবেন।

 কলি