ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

ক্যারিয়ার ভিত্তিক ছাত্রজীবন গড়তে চাইলে

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
ক্যারিয়ার ভিত্তিক ছাত্রজীবন গড়তে চাইলে
এগিয়ে থাকতে হলে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে। স্কুল বইয়ের বাইরে বই পড়া শিক্ষার্থীর জ্ঞানবৃদ্ধি করে । মডেল: ইলা, ছবি: শরিফ মাহমুদ

ছাত্রজীবন একজন ব্যক্তির জীবনের ভিত্তি গঠন করে। এই সময়কাল সঠিক পথে পরিচালিত হলে ভবিষ্যতের সফলতা নিশ্চিত করা যায়। ছাত্রজীবনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক অনুসরণ করলে একজন শিক্ষার্থী সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। ছাত্রজীবনে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় দিক নিয়ে পরামর্শ তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এস এম রাশিদুল হাসান

সময়ানুবর্তী হতে হবে: আমরা সবাই জানি সময়নিষ্ঠ হওয়া কতটা জরুরি। তারপরও কেন অনেকেই পারে না। খুব সাধারণভাবে যদি মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করি, এক শ্রেণির মানুষ যারা জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বোঝে এবং সে অনুসারে পরিকল্পনা করতে পারে। অপর শ্রেণির মানুষ যারা নিজেদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো ভাবনা নেই, গড্ডালিকা প্রবাহের মতো সময়ের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়। নিশ্চিতভাবেই প্রথম শ্রেণির মানুষ অনেক বেশি সময়নিষ্ঠ হবে দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষদের থেকে। কারণ তারা শুধু এটা জেনেই বসে থাকে না যে ‘সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়’, বরং তারা নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়ে জীবনকে পরিচালিত করে। এরাই জীবনে সফলতা লাভ করে।

সময়ানুবর্তিতা একজন শিক্ষার্থীর সফলতার প্রধান চাবিকাঠি। সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া, নির্ধারিত সময়ে পড়াশোনা করা এবং নির্ধারিত সময়ে বিশ্রাম নেওয়া ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে দেরি করা, কাজ ফেলে রাখা, নিয়মিত সময়ে না ঘুমানো ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে হবে। সময়ের প্রতি উদাসীনতা একজন শিক্ষার্থীকে পিছিয়ে দেয় এবং তাদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়।

ভালো সঙ্গী বাছাই করতে হবে: সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ- ইরানের বিখ্যাত মনীষী শেখ সাদি (রহ.) যথার্থই বলেছিলেন। বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। আপনার বন্ধু নির্বাচনের ওপর আপনার জীবনের অনেক বড় একটি অংশ নির্ভর করে। ভালো বন্ধু আপনার জীবনকে সুখে সাজিয়ে দেবে। জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে আপনি কাদের নির্বাচন করবেন? যারা আপনার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাকি অসামঞ্জস্যপূর্ণ? নিশ্চয়ই সামঞ্জস্যপূর্ণ মানুষদের।

কারণ, এরা আপনাকে সাহায্য করবে আপনাকে সৎ পরামর্শ ও সহায়তার মাধ্যমে। তাই ভালো বন্ধু নির্বাচন করতে হবে, যারা পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে উৎসাহ দেয়। ভালো বন্ধু এবং সহপাঠী পরিবেশ একজন শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক উন্নয়নে সহায়ক। অন্যদিকে খারাপ সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে হবে, যা বিভ্রান্তি এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। খারাপ সঙ্গর কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বিমুখ হতে পারে এবং অসৎ কাজের দিকে ঝুঁকতে পারে।

পেশাভিত্তিক শিক্ষা নির্বাচন: অধিকাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি/এইচএসসি পাস করার পর হয় ডিপ্লোমা অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিজের পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাদের অনেকেই হতাশ হয়ে শুরু থেকেই পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে। আবার, পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও অনেকে বিপথগামী হয়ে পড়ে।

একটা বিষয় সবার জানা থাকা প্রয়োজন, চাকরির বাজারে দক্ষ মানুষ প্রয়োজন। যে বিষয়েই পড়াশোনা করুন না কেন, নিজেকে সেই বিষয়ের ওপর পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ার প্রয়োজন নেই। তার অর্থ হলো, পড়াশোনায় যেসব বিষয় দক্ষতা বৃদ্ধির সহায়ক, সে বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পড়তে হবে। যেসব কোর্সে হাতে-কলমে শিক্ষার গুরুত্ব বেশি, সেসব কোর্স শুধু পাস করার জন্য না পড়ে, Skilled হওয়া প্রয়োজন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (ICT) ব্যবহার: ভবিষ্যৎ পৃথিবী সফট স্কিলের ওপর অতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। নিকট অতীত ও বর্তমান বিশ্বের অগ্রগতির ধারা সেদিককেই নির্দেশ করে। শুধু আইসিটি নয়, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদির ওপর দক্ষতা আপনাকে নিঃসন্দেহে অনেকের থেকে এগিয়ে রাখবে।

মজার বিষয় হলো, বিশ্ববিদ্যালয় বা গতানুগতিক শিক্ষার বাইরেও আপনি আইসিটি, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ওপর শিক্ষা লাভ করতে পারবেন। তাই কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শেখা এবং তা প্রয়োগ করতে হবে। আর প্রয়োজনীয়তা ছাড়া অতিরিক্ত সময় প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রযুক্তির অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট করে এবং তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ: খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত কার্যক্রম শিক্ষার্থীর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়ক। এটি তাদের নেতৃত্বের গুণাবলি এবং সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়তা করে। কেবলমাত্র একাডেমিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা এবং অন্যান্য কার্যক্রমকে উপেক্ষা করলে চলবে না।

অতিরিক্ত বই পড়া: বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে যেমন- সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি। শুধু পাঠ্যবই পড়া এবং অন্যান্য বইকে উপেক্ষা করলে হবে না। কেননা, স্কুল বইয়ের বাইরের বই পড়া শিক্ষার্থীর জ্ঞান বৃদ্ধি করে, ভাষার দক্ষতা উন্নত করে এবং তাদের কল্পনাশক্তি এবং সৃজনশীলতাকে প্রখর করে।

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: নিয়মিত ব্যায়াম করা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করা অতীব জরুরি। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়া এবং অপর্যাপ্ত ঘুম বর্জন করতে হবে। কেননা, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে এবং আরও ফলপ্রসূ হতে সহায়ক। এটি তাদের জীবনে সুখ এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসে।

বিশেষ পরামর্শ: ছাত্রজীবনে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অনুসরণ করে একজন শিক্ষার্থী তার ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করতে পারে। সময়ানুবর্তিতা, ভালো সঙ্গ, পেশাভিত্তিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, অতিরিক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বই পড়া এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া একজন শিক্ষার্থীকে সফলতা এবং সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়ক। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে, আমি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো অনুসরণ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে তারা তাদের শিক্ষাজীবন এবং পরবর্তী কর্মজীবনে সফল হতে পারে।

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

 কলি 

 

মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ
মধুমতি ব্যাংক পিএলসিতে ‘অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ। ছবি: সংগৃহীত

মধুমতি ব্যাংক পিএলসিতে ‘অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অনভিজ্ঞদের আবেদনের প্রয়োজন নেই। আর চাকরিজীবনে বিরতি থাকলে অফিসার পদে আবেদন করা যাবে না। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: মধুমতি ব্যাংক পিএলসি
বিভাগের নাম: ট্রেড সার্ভিসেস (ইও-এফএভিপি)
পদের নাম: অফিসার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস হতে হবে। তবে একাডেমিক ক্যারিয়ারে তৃতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না অফিসার পদের জন্য।
অভিজ্ঞতা: ৪ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে বেতন নির্ধারণ করা হবে।
আবেদনের বয়স: সর্বনিম্ন ২৮ বছর।
কর্মস্থল: অফিসার পদে চাকরি পেলে পদায়ন দেশের যেকোনো এলাকার ব্যাংকের শাখায়।

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা Modhumoti Bank PLC-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের জন্য https://career.modhumotibank.net/JobCircular/JobDetails?jobId=rCHpZlWht0WADd6qe0fvcw== ভিজিট করুন।

 কলি

টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ
ছবি: সংগৃহীত

টেন মিনিট স্কুল নিয়োগ https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1292633&ln=1 বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ‘কনটেন্ট ডেভেলপার’ পদে নিয়োগে দিতে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ১ অক্টোবর। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি এবং দুপুরের খাবার সুবিধাসহ প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালা অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: মাসে ২৫০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা।
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন, দুপুরের খাবার সুবিধা (আংশিক ভর্তুকি);
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাংলা বা ইংরেজি অথবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে বিএ বা বিএড ডিগ্রি থাকতে হবে;
অন্যান্য যোগ্যতা: বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতে দক্ষতা, ব্যাকরণ ও বানানে স্পষ্ট ধারণা, ইউনিকোড বাংলায় দ্রুত ও নির্ভুলভাবে টাইপিং এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ধারণা থাকতে হবে।

আবেদন যেভাবে: 

আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পদ্ধতি ও আবেদনের বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন এখানে https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1292633&ln=1

 কলি 

কনস্টেবল পদে নিয়োগ, জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
কনস্টেবল পদে নিয়োগ, জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসিতে জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন করা যাবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে। আবেদনের জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য বিদ্যমান কোটা অনুসৃত হবে।

শারীরিক যোগ্যতা
মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।

মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।

যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের http://police.teletalk.com.bd/trc/admitcard/index.php এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণের সহায়ক হিসেবে ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবেদন ফি
আবেদন ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। ওই ইউজার আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা
১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

বেপজায় নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ পদ ৪৮

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
বেপজায় নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ পদ ৪৮
বেপজায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠান চারটি পদে ৪৮ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

১. পদের নাম: নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৩টি
গ্রেড: ৯
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিসহ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার/সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার/ওয়ারেন্ট অফিসার অথবা বিমান ও নৌবাহিনীর সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা। তবে কোনো প্রার্থীর শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকলে তিনি আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৫০ বছর

২. পদের নাম: সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৬টি
গ্রেড: ১০
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি পাসসহ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট অথবা বিমান ও নৌবাহিনীর সমমর্যাদাসম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৪৭ বছর

৩. পদের নাম: নিরাপত্তা পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ৬টি
গ্রেড: ১৩
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি পাসসহ সশস্ত্র বাহিনীর করপোরাল অথবা সমমর্যাদাসম্পন্ন পদে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৪৭ বছর।

৪. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ৩৩টি
গ্রেড: ২০
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা: বেসামরিক প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাস।
অন্যান্য যোগ্যতা: সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সৈনিক বা ল্যান্স করপোরাল বা সমমর্যাদাসম্পন্ন পদে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, ওজন ন্যূনতম ১১০ পাউন্ড বা ৫০ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত ৩২ ইঞ্চি হতে হবে।
আবেদন যেভাবে: পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীকে এই https://bepza.teleltalk.com.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত তথ্য পূরণ সাপেক্ষে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৬ সেপ্টেম্বর আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

চাকরির বিস্তারিত https://www.bepza.gov.bd/public/storage/upload/recruitment/240925034930-9320Security%20Circular.pdf এখানে গেলে দেখতে পাবেন।

 কলি

‘প্রোকাস্টিনেশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
‘প্রোকাস্টিনেশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

অধিক জরুরি কাজ ফেলে অপেক্ষাকৃত কম জরুরি কাজ করার অভ্যাসকে ‘প্রোকাস্টিনেশন’ বলে। প্রোকাস্টিনেশন একটি বাজে অভ্যাস। তবে এটা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। প্রোকাস্টিনেশন থেকে পরিত্রাণের কিছু উপায় সম্পর্কে নিচে বলা হলো-

তালিকা করুন 
কী কী করতে হবে সেটির তালিকা তৈরি করুন। যদি কাজটা বিশাল হয় তাহলে ছোট ছোট ভাগ করুন এবং তার তালিকা তৈরি করুন। একটি কাজ অন্যটির ওপর নির্ভরশীল হলে তার উল্লেখ রাখুন এবং তা ক্রমানুসারে তালিকায় লিখুন।

কাজ শুরু করুন
বেশি চিন্তা করা বন্ধ করুন। আর অপেক্ষা না করে এখনই কাজ করা শুরু করুন। মাঝে মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই কাজ শুরু করতে হতে পারে। কাজ শুরু না করার থেকে একটি বন্ধুর যাত্রা শুরু করাও ভালো।

কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখুন
মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে, এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকুন। নিরিবিলি পরিবেশে কাজ ভালো হয়। তাই কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখার চেষ্টা করুন।

কাজের সময় নির্ধারণ করুন
যেকোনো কাজের একটি সময় নির্ধারণ করুন। হতে পারে সেই নির্ধারিত সময়টি হবে স্বল্প সময়ের। কিন্তু সেই সময় অন্য কাজ না করে, সেই কাজটিই করুন।

পড়ুন
পড়ার অভ্যাস করুন। আপনার কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু একটা পড়ুন। এটা আপনার কাজ বুঝতে এবং কাজ করতে সাহায্য করবে।

হাঁটার অভ্যাস করুন
সম্ভব হলে খোলা বাতাসে একটু হেঁটে আসুন। এটা আপনাকে একটা বিরতি দেবে এবং পুনরায় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহায্য করবে। এটা আপনাকে চিন্তা করার সময়ও দেবে। যদি আপনি একটানা কাজ করতে থাকেন, তবে সম্ভব হলে আধা ঘণ্টা একটু ঘুমান। এতে পুনরায় কাজের গতি এবং কাজের মান ফিরে আসবে।

কাজ করার পদ্ধতি বেছে নিন
সবসময় একই পদ্ধতিতে কাজ করবেন না। কাজ করার ভিন্ন ভিন্ন পন্থা বেছে নিন। একটানা বসে কাজ না করে, কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন। অফিসে টানা না বসে থেকে অফিসের কিচেন এরিয়া বা কফি শপে কিছুটা সময় পার করতে পারেন।

টিভি বন্ধ রাখুন
কাজ করার সময় অবশ্যই টিভি বন্ধ করে রাখুন। সবার প্রথমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করুন। এরপর চাইলে টিভি দেখতে পারেন।

সকালবেলা কাজের সময়
খবরের কাগজ, নিউজ সাইট, ফেসবুক ইত্যাদিতে সময় পার করুন, তবে অবশ্যই তা সকালবেলা না, বিকেল বা সন্ধ্যাবেলায়। কারণ, সকালবেলা কাজের সময়। আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করুন। তারপর অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন।

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে চেষ্টা করুন। কারণ, সকালবেলা কাজ শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর সময়। সকাল সকাল কাজ শুরু করলে কাজে গতি আসে।

হালকা ব্যায়াম করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন। এতে আপনার রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে এবং আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এ ছাড়া কাজ শুরুর আগে, যেমন বাসা থেকে বের হওয়ার আগে গোসল করে নিন। এতে করে আপনার মাঝে ফ্রেশ ফ্রেশ একটা ভাব বজায় থাকবে।

গান শুনতে পারেন
অস্থির লাগলে, হালকা ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনতে পারেন। এটা অস্থিরতা দূর করতে এবং মন চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা সমান কাজ করে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন ধরনের গান আপনার ক্ষেত্রে কাজ করে।

নিজেকে পুরস্কৃত করুন
নিজেকে পুরস্কৃত করুন। যদি আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন, তবে একটা কাজ ভালোভাবে করার পর নিজেকে একটা আইসক্রিম দিন। খুঁজে বের করুন কোন জিনিসটা আপনাকে খুব আনন্দ দেয় এবং পুনরায় শক্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

 কলি