ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

চাকরির বাজারে প্রয়োজন সফট স্কিল

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
চাকরির বাজারে প্রয়োজন সফট স্কিল
চাকরির অর্জনের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। মডেল: নিশা, ছবি: শরিফ মাহমুদ


চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা সাধারণ কিছু দক্ষতা চান। যেগুলোকে ‘সফট স্কিল’ বলা হয়। বাংলায় চাকরির দক্ষতা বলা যায় একে। এ দক্ষতাগুলো আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে। চাকরির এ দক্ষতাগুলো অবশ্য অনেক সময় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকে না। তবে এগুলো প্রায় সব কাজের ক্ষেত্রেই দরকার হয়। সেজন্য আপনি চাকরির আবেদনের আগে একটু ভাবুন। দেখুন তো, কী কী দক্ষতা আছে আপনার মধ্যে? কোনোটি না থাকলে তা অর্জন করুন। কমতি থাকলে তা বৃদ্ধি করুন।

টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ
অন্য মানুষের সঙ্গে কাজ করার সক্ষমতাকেই টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ বলে। টিমওয়ার্কের দক্ষতা অর্জন বা তা বাড়ানোর জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। এগুলো হচ্ছে- ক্লাস কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট করা, সামাজিক সংস্থাগুলোর ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা, কর্মক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সুন্দরভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, কোনো স্পোর্টস টিমে অংশ নেওয়া, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের নিয়ে প্রতিবেশীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা পাড়ামহল্লায় কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।

সমস্যা সমাধান বা প্রবলেম সলভিং
প্রবলেম সলভিং স্কিল বা সমস্যা সমাধানের দক্ষতার মানে হলো- আপনি যখন কোনো বিরূপ পরিস্থিতি বা অসুবিধার সম্মুখীন হন, তখন সমাধান খুঁজে বের করতে পারা। এ দক্ষতা মূলত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যৌক্তিক ও বৈধ পদ্ধতি ব্যবহার করার সক্ষমতা।

সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন বা বাড়ানোর কিছু উপায় হচ্ছে- লেখাপড়ার অংশ হিসেবে গবেষণামূলক অ্যাসাইনমেন্ট করা, কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তিতে অংশ নেওয়া, প্রবলেম সলভিং স্কিল-সংক্রান্ত কোনো কোর্সে অংশ নেওয়া, যারা বিভিন্ন সময় সমস্যা সমাধান করেছেন এমন লোকদের সঙ্গে কথা বলা, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিজেই সমাধান করতে চেষ্টা করা, বিভিন্ন ধাঁধাকৌশলী প্রশ্নের উত্তর বের করা ও ঘরের টুকটাক জিনিসপত্র ইউটিউব দেখে নিজেই মেরামত করতে চেষ্টা করা।

যোগাযোগ
বিভিন্ন সময় যোগাযোগের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে মূল কথা হচ্ছে- আপনি যখন কিছু বলেন বা লেখেন, তখন এর দ্বারা আপনি কী বোঝাতে বা অর্জন করতে চাচ্ছেন, সেটা পরিষ্কার হওয়া। অপরদিকে অন্য পক্ষের কেউ কিছু বললে সেটা শুনে বুঝতে পারাও যোগাযোগদক্ষতার অন্তর্ভুক্ত।
অ-মৌখিক ভাষাও এই যোগাযোগদক্ষতার মধ্যে পড়ে। যেমন- শারীরিক ভাষা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- হাত বা চোখ দিয়ে ইশারায় কাউকে কাছে ডাকা।

যোগাযোগদক্ষতা বাড়ানোর কিছু উপায় হচ্ছে- লেখাপড়ার অংশ হিসেবে অ্যাসাইনমেন্ট বা রিপোর্ট লেখা, ব্লগিং বা সামাজিকমাধ্যমে লেখালেখি করা, ক্লাসকার্যক্রমের অংশ হিসেবে মৌখিক উপস্থাপনা করা, যেকোনো বিষয়ে মতামতধর্মী ভিডিও রেকর্ড করে তা ইউটিউব বা ফেসবুক টাইমলাইনে প্রকাশ করা, গ্রাহকসেবা বা ফ্রন্ট ডেস্কে কাজ করা, কোনো ক্লাব বা সংগঠনে যুক্ত হওয়া ও নিজের শারীরিক ভাষার প্রতি খেয়াল রাখা।

উদ্যোগ ও এন্টারপ্রাইজ
এ দক্ষতার মানে হচ্ছে- যে কাজগুলো করা দরকার, তা খুঁজে বের করা এবং কাউকে জিজ্ঞেস না করেই শুরু করে দেওয়া। এ ছাড়া কোনো কাজ যে পদ্ধতিতে করা হচ্ছে, সৃজনশীলতার সঙ্গে সে পদ্ধতির উন্নতি সাধনও এ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত। এই দক্ষতা তৈরি বা বাড়ানোর কিছু উপায় হচ্ছে- কোনো সামাজিক বা ব্যবসায়িক সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করা, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনার মতো সামাজিক উদ্যোগ নেওয়া, সামাজিক কোনো তহবিল স্থাপন করা, নিজে উদ্যোগী হয়ে সামাজিক জরুরি কোনো কাজ সম্পন্ন করা, আপনার টিমের কাজকে আরও সুন্দর করার জন্য প্রস্তাবনা পেশ করা এবং কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই ঘরের প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করে ফেলা।

পরিকল্পনা ও সংগঠন
পরিকল্পনা ও সংগঠনদক্ষতা হচ্ছে- আপনার করা দরকার এমন কাজগুলো চিহ্নিত এবং সেগুলো কীভাবে করবেন তার একটি রূপরেখা তৈরি করা। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজটি শেষ করাও এ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত। পরিকল্পনা ও সংগঠনদক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির কিছু উপায় হচ্ছে- পড়াশোনা বা দৈনন্দিন কাজের একটি সময়সূচি তৈরি ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা, নিজে নিজে আপনার পাশের শহর বা জেলা কিংবা দেশের কোনো পর্যটন এলাকা ভ্রমণ, আপনার কাজ, পড়াশোনা ও পারিবারিক দায়িত্ব পালনের সময় ব্যবস্থাপনা, সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে সাহায্য করা ও পারিবারিক গেট-টুগেদারের আয়োজন করা।

আত্ম-ব্যবস্থাপনা
কারও তদারকি ছাড়াই আপনার কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হওয়াকেই আত্ম-ব্যবস্থাপনা বলে। আত্ম-ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির কিছু উপায় হচ্ছে নিজের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারা, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে অন্যকে কাজটি হস্তান্তর করা, ইন্টার্নশিপ বা অস্থায়ী চাকরির মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন, কর্মস্থলে নতুন কোনো দায়িত্ব চাওয়া ও তা পালন করা, পড়াশোনার একটি সময়সূচি তৈরি ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় যোগ দেওয়া ও নিজের রুম বা ঘর গোছাল ও পরিপাটি রাখা।

শিখন
নতুন কিছু জানা ও বোঝা এবং তা দ্রুত আত্মস্থ করতে চাওয়াকেই সাধারণ অর্থে শিখনদক্ষতা বলে। এছাড়া নতুন কাজ নেওয়া ও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খেয়ে চলতে সক্ষমতাও এ দক্ষতার মধ্যে পড়ে। শিখনদক্ষতা অর্জন করতে হলে বেশকিছু কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। এগুলো হলো- কোনো শর্ট কোর্স বা অনলাইন কোর্স করা, রান্নাবান্নার মতো যেকোনো নতুন দক্ষতা নিজে নিজে অর্জনের চেষ্টা করা, যে দক্ষতা অর্জন বা কোর্স করতে চান, তা নিয়ে গবেষণা বা অনুসন্ধান চালানো, নতুন কোনো শখ বাছাই ও ক্রীড়া বা স্বেচ্ছাসেবা দলে অংশ নেওয়া।

প্রযুক্তি
প্রযুক্তিদক্ষতা বলতে কম্পিউটার, ট্যাব বা স্মার্টফোন ব্যবহারের সক্ষমতাকে বোঝায়। কম্পিউটারে এমএস ওয়ার্ডে লেখালেখি, এক্সেলের মাধ্যমে ডেটা প্রসেসিং, পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারা জরুরি। তাছাড়া বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও সম্পাদনার মৌলিক দক্ষতা আপনাকে অন্য সবার চেয়ে চাকরিক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে নিঃসন্দেহে।

ফটোকপিয়ারের মতো অফিস যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে পারাও প্রযুক্তিদক্ষতার মধ্যে পড়ে। প্রযুক্তিদক্ষতা অর্জন ও তা বৃদ্ধির কিছু উপায় হচ্ছে- শর্ট কোর্স বা অনলাইন কোর্স করা, ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও আছে, সেগুলো দেখে নিজে নিজে শেখা, অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আয়োজনের অনুরোধ করা, আপনার দৈনন্দিন জীবনে ইতোমধ্যে ব্যবহার করেছেন এমন প্রযুক্তিগুলোর একটি তালিকা তৈরি, আপনার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রযুক্তিগুলো খুঁজে বের করা এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে জানা।

চাকরির দক্ষতা অর্জনের জন্য ছাত্রজীবন থেকেই চেষ্টা করা উচিত। শুধু পড়াশোনার ভেতরে না কাটিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনে কোনো ধরনের সম্মানী বা বেতন ছাড়াই কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। কোর্স করুন, দক্ষতা অর্জন করুন। এর পর চাকরি খুঁজুন, দেখবেন চাকরিই আপনাকে খুঁজছে। আর চাকরি না করতে চাইলে, অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠুন উদ্যোক্তা।

কলি

মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ
মধুমতি ব্যাংক পিএলসিতে ‘অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ। ছবি: সংগৃহীত

মধুমতি ব্যাংক পিএলসিতে ‘অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অনভিজ্ঞদের আবেদনের প্রয়োজন নেই। আর চাকরিজীবনে বিরতি থাকলে অফিসার পদে আবেদন করা যাবে না। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: মধুমতি ব্যাংক পিএলসি
বিভাগের নাম: ট্রেড সার্ভিসেস (ইও-এফএভিপি)
পদের নাম: অফিসার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস হতে হবে। তবে একাডেমিক ক্যারিয়ারে তৃতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না অফিসার পদের জন্য।
অভিজ্ঞতা: ৪ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে বেতন নির্ধারণ করা হবে।
আবেদনের বয়স: সর্বনিম্ন ২৮ বছর।
কর্মস্থল: অফিসার পদে চাকরি পেলে পদায়ন দেশের যেকোনো এলাকার ব্যাংকের শাখায়।

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা Modhumoti Bank PLC-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের জন্য https://career.modhumotibank.net/JobCircular/JobDetails?jobId=rCHpZlWht0WADd6qe0fvcw== ভিজিট করুন।

 কলি

টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ
ছবি: সংগৃহীত

টেন মিনিট স্কুল নিয়োগ https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1292633&ln=1 বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ‘কনটেন্ট ডেভেলপার’ পদে নিয়োগে দিতে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ১ অক্টোবর। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি এবং দুপুরের খাবার সুবিধাসহ প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালা অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: মাসে ২৫০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা।
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন, দুপুরের খাবার সুবিধা (আংশিক ভর্তুকি);
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাংলা বা ইংরেজি অথবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে বিএ বা বিএড ডিগ্রি থাকতে হবে;
অন্যান্য যোগ্যতা: বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতে দক্ষতা, ব্যাকরণ ও বানানে স্পষ্ট ধারণা, ইউনিকোড বাংলায় দ্রুত ও নির্ভুলভাবে টাইপিং এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ধারণা থাকতে হবে।

আবেদন যেভাবে: 

আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পদ্ধতি ও আবেদনের বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন এখানে https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1292633&ln=1

 কলি 

কনস্টেবল পদে নিয়োগ, জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
কনস্টেবল পদে নিয়োগ, জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসিতে জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন করা যাবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে। আবেদনের জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য বিদ্যমান কোটা অনুসৃত হবে।

শারীরিক যোগ্যতা
মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।

মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।

যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের http://police.teletalk.com.bd/trc/admitcard/index.php এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণের সহায়ক হিসেবে ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবেদন ফি
আবেদন ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। ওই ইউজার আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা
১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

বেপজায় নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ পদ ৪৮

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
বেপজায় নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ পদ ৪৮
বেপজায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠান চারটি পদে ৪৮ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

১. পদের নাম: নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৩টি
গ্রেড: ৯
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিসহ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার/সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার/ওয়ারেন্ট অফিসার অথবা বিমান ও নৌবাহিনীর সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা। তবে কোনো প্রার্থীর শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকলে তিনি আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৫০ বছর

২. পদের নাম: সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৬টি
গ্রেড: ১০
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি পাসসহ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট অথবা বিমান ও নৌবাহিনীর সমমর্যাদাসম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৪৭ বছর

৩. পদের নাম: নিরাপত্তা পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ৬টি
গ্রেড: ১৩
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি পাসসহ সশস্ত্র বাহিনীর করপোরাল অথবা সমমর্যাদাসম্পন্ন পদে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৪৭ বছর।

৪. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ৩৩টি
গ্রেড: ২০
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা: বেসামরিক প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাস।
অন্যান্য যোগ্যতা: সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সৈনিক বা ল্যান্স করপোরাল বা সমমর্যাদাসম্পন্ন পদে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, ওজন ন্যূনতম ১১০ পাউন্ড বা ৫০ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত ৩২ ইঞ্চি হতে হবে।
আবেদন যেভাবে: পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীকে এই https://bepza.teleltalk.com.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত তথ্য পূরণ সাপেক্ষে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৬ সেপ্টেম্বর আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

চাকরির বিস্তারিত https://www.bepza.gov.bd/public/storage/upload/recruitment/240925034930-9320Security%20Circular.pdf এখানে গেলে দেখতে পাবেন।

 কলি

‘প্রোকাস্টিনেশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
‘প্রোকাস্টিনেশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

অধিক জরুরি কাজ ফেলে অপেক্ষাকৃত কম জরুরি কাজ করার অভ্যাসকে ‘প্রোকাস্টিনেশন’ বলে। প্রোকাস্টিনেশন একটি বাজে অভ্যাস। তবে এটা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। প্রোকাস্টিনেশন থেকে পরিত্রাণের কিছু উপায় সম্পর্কে নিচে বলা হলো-

তালিকা করুন 
কী কী করতে হবে সেটির তালিকা তৈরি করুন। যদি কাজটা বিশাল হয় তাহলে ছোট ছোট ভাগ করুন এবং তার তালিকা তৈরি করুন। একটি কাজ অন্যটির ওপর নির্ভরশীল হলে তার উল্লেখ রাখুন এবং তা ক্রমানুসারে তালিকায় লিখুন।

কাজ শুরু করুন
বেশি চিন্তা করা বন্ধ করুন। আর অপেক্ষা না করে এখনই কাজ করা শুরু করুন। মাঝে মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই কাজ শুরু করতে হতে পারে। কাজ শুরু না করার থেকে একটি বন্ধুর যাত্রা শুরু করাও ভালো।

কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখুন
মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে, এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকুন। নিরিবিলি পরিবেশে কাজ ভালো হয়। তাই কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখার চেষ্টা করুন।

কাজের সময় নির্ধারণ করুন
যেকোনো কাজের একটি সময় নির্ধারণ করুন। হতে পারে সেই নির্ধারিত সময়টি হবে স্বল্প সময়ের। কিন্তু সেই সময় অন্য কাজ না করে, সেই কাজটিই করুন।

পড়ুন
পড়ার অভ্যাস করুন। আপনার কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু একটা পড়ুন। এটা আপনার কাজ বুঝতে এবং কাজ করতে সাহায্য করবে।

হাঁটার অভ্যাস করুন
সম্ভব হলে খোলা বাতাসে একটু হেঁটে আসুন। এটা আপনাকে একটা বিরতি দেবে এবং পুনরায় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহায্য করবে। এটা আপনাকে চিন্তা করার সময়ও দেবে। যদি আপনি একটানা কাজ করতে থাকেন, তবে সম্ভব হলে আধা ঘণ্টা একটু ঘুমান। এতে পুনরায় কাজের গতি এবং কাজের মান ফিরে আসবে।

কাজ করার পদ্ধতি বেছে নিন
সবসময় একই পদ্ধতিতে কাজ করবেন না। কাজ করার ভিন্ন ভিন্ন পন্থা বেছে নিন। একটানা বসে কাজ না করে, কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন। অফিসে টানা না বসে থেকে অফিসের কিচেন এরিয়া বা কফি শপে কিছুটা সময় পার করতে পারেন।

টিভি বন্ধ রাখুন
কাজ করার সময় অবশ্যই টিভি বন্ধ করে রাখুন। সবার প্রথমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করুন। এরপর চাইলে টিভি দেখতে পারেন।

সকালবেলা কাজের সময়
খবরের কাগজ, নিউজ সাইট, ফেসবুক ইত্যাদিতে সময় পার করুন, তবে অবশ্যই তা সকালবেলা না, বিকেল বা সন্ধ্যাবেলায়। কারণ, সকালবেলা কাজের সময়। আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করুন। তারপর অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন।

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে চেষ্টা করুন। কারণ, সকালবেলা কাজ শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর সময়। সকাল সকাল কাজ শুরু করলে কাজে গতি আসে।

হালকা ব্যায়াম করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন। এতে আপনার রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে এবং আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এ ছাড়া কাজ শুরুর আগে, যেমন বাসা থেকে বের হওয়ার আগে গোসল করে নিন। এতে করে আপনার মাঝে ফ্রেশ ফ্রেশ একটা ভাব বজায় থাকবে।

গান শুনতে পারেন
অস্থির লাগলে, হালকা ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনতে পারেন। এটা অস্থিরতা দূর করতে এবং মন চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা সমান কাজ করে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন ধরনের গান আপনার ক্ষেত্রে কাজ করে।

নিজেকে পুরস্কৃত করুন
নিজেকে পুরস্কৃত করুন। যদি আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন, তবে একটা কাজ ভালোভাবে করার পর নিজেকে একটা আইসক্রিম দিন। খুঁজে বের করুন কোন জিনিসটা আপনাকে খুব আনন্দ দেয় এবং পুনরায় শক্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

 কলি