ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

সফল বিক্রয়কর্মীর সেরা ৫ গুণাবলি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
সফল বিক্রয়কর্মীর সেরা ৫ গুণাবলি
সুপার শপে ক্রেতাকে পণ্য দেখাচ্ছেন এক নারী কর্মী। ছবি: সংগৃহীত

একজন বিক্রয়কর্মীর অনেক গুণাবলি থাকতে পারে কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কর্মী তার গুণাবলিগুলোকে ব্যবসায় প্রয়োগ করছেন কি না। সফল বিক্রয়কর্মীর মধ্যে সাধারণত এই ৫টি গুণ লক্ষ করা যায়-

১. দৃঢ় প্রত্যয়
এর ফলে আপনি ক্রেতাকে বিরক্ত না করেই একটি সেলসের পরিস্থিতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। যেমন- কোনো এক ক্রেতা তার সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি করছে। এমতাবস্থায় তিনটি সাধারণ প্রতিক্রিয়া আপনি দেখাতে পারেন-

পরোক্ষ: যখন আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যাবে, তখন আপনি কি আমায় একটা ফোন করে তা জানিয়ে দিতে পারবেন?
আক্রমণাত্মক: যদি আপনি এখনই পণ্যটি না কেনেন তাহলে অফারটি আর বলবৎ থাকবে না।

দৃঢ় প্রত্যয়ী: কবে নাগাদ আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, আপনার সিদ্ধান্ত নিতে আমি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি? এ ব্যাপারে আমাকে কি আপনি কোনো আনুমানিক সময়কাল বলতে পারবেন?

পরোক্ষ প্রতিক্রিয়ায় আপনার সেলসটি চিরদিনের জন্য আটকে যাবে, যার ফায়দা আপনার প্রতিযোগী গ্রহণ করতে পারে। আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া চাপ এবং বিরক্তি সৃষ্টি করে, যদিও মাঝে মধ্যে এটি কাজে দেয়, কিন্তু অন্যরা আপনাকে একজন নাছোড়বান্দা সেলসম্যান হিসেবেই ধরে নেবেন। দৃঢ় প্রত্যয়ী প্রতিক্রিয়া সেলসটি সমাপ্ত করতে একটি নির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করে দেবে ক্রেতাকে কোনো রকম চাপ দেওয়া ছাড়াই।

২. আত্ম-সচেতনতা
নিজের আবেগ কীভাবে কাজ করে তা জানতে হবে এবং পরে ক্রেতাদের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক তৈরিতে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। এটি করতে হবে চারটি ধাপে-

আপনি যা অনুভব করছেন সেই আবেগগুলোকে চিহ্নিত করুন।
অভিজ্ঞতার আলোকে, ভেবে দেখুন এই আবেগগুলো কীভাবে আপনার পণ্য বিক্রি করার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সেলসকে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে এমন আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
সেলস বাড়াতে প্রয়োজন এমন ইতিবাচক আবেগকে প্রাধান্য দিন। যেমন- ধরুন কোনো এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা আপনাকে কথা শুনিয়ে দিল। আপনার পরবর্তী মিটিংয়ের আগে হয়তো কিছুটা সময় ক্ষেপণ করা উচিত হবে এবং এর আগে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আপনি সফল হয়েছেন সেগুলো সম্পর্কে মনে করতে হবে।

৩. সহমর্মিতা
এর মানে হলো নিজের আচরণকে ক্রেতার মুড ও আবেগ অনুযায়ী খাপ খাইয়ে নেওয়া। ভালোভাবে তাদের কথা শুনুন ও তাদের লক্ষ করুন। ক্রেতা কী অনুভব করছে তা জানাটাই যথেষ্ট নয়। ক্রেতা যা অনুভব করছে আপনাকেও তা অনুভব করার সামর্থ্য থাকতে হবে।ধরুন, একটি সেলস কলের সময় আপনি জানতে পারলেন যে, ক্রেতার ব্যবসা থেকে অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। আপনি হয়তো এ খবরটি উপেক্ষা করে আপনার 
মতো করে সেলস কলটি চালিয়ে গেলেন বা আপনি আপনার সেলসের প্রতি নজর রেখেই আপনার পরিচিত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করতে পারেন কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এখন ক্রয় বিভাগটি কে সামাল দেবে।

উল্লিখিত দুটি পরিস্থিতিই ব্যবসায়িকভাবে সিদ্ধ কিন্তু আপনি যদি ভালো সম্পর্ক গড়তে চান, তাহলে আপনাকে সহমর্মী হতে হবে এবং যার সঙ্গে কথা বলছেন তার ভয় ও সংশয়কে বুঝতে হবে। এরপর ক্রেতাকে আপনি যেভাবে দেখেছেন সে অনুযায়ী, ঠিক করে নিন ক্রেতাটি আপনার কাছ থেকে দয়া চায় নাকি অভিযোগ করতে চায় বা পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায়।

৪. সমস্যা সমাধান
সমস্যা সমাধান করার ইচ্ছাশক্তির ফলে আপনি ক্রেতার চাহিদা পূরণে আর্থিকভাবে বা আবেগীয়ভাবে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন। সমস্যা সমাধান একটি চার ধাপের প্রক্রিয়া-

ক্রেতার যা অবস্থা ঠিক সেই অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া (কখনো বুঝে ওঠার আগে কোনো কিছু সমাধান করতে যাবেন না)।
কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দৃষ্টিগোচর করাতে ক্রেতাকে সাহায্য করা।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে ক্রেতা যেমন চান সেরকম পরিস্থিতি তৈরি করার পথ ঠিক করুন।
এই পথটি সম্পর্কে ক্রেতাকে এমনভাবে জানানো যাতে সে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে।
পুরোনো সেলস সম্পর্কিত তত্ত্ব হচ্ছে ভালো সেলস স্পিচই পণ্য বিক্রি করাতে সহায়ক। কিন্তু বর্তমানের এই গুণগুলো কিন্তু পুরোনো ধ্যান-ধারণার ঠিক বিপরীত।

৫. আশাবাদ
আপনি যদি আশাবাদী হয়ে থাকেন তাহলে যখন পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় তখনো আপনি সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য দেখতে পাবেন। দৈনন্দিন ঘটনা আপনি কীভাবে দেখছেন তার ওপরেই কিন্তু আপনার আশাবাদের ভিত্তি গড়ে ওঠে। যেমন- দিনের প্রথম সেলস কল যদি শুভ না হয়, তাহলে দিনের পরবর্তী সময়ে আপনার পারফরম্যান্স ভিন্ন হতে পারে যেমন-আপনি ভাবতে পারেন, একটি অসফল সেলস কল মানে হলো আমাকে দিয়ে এটা আর হবে না আর আমার দিনটাই খারাপ যাবে।বা আপনি এটাও ভাবতে পারেন, প্রতিটা সেলস কলই আলাদা, তাই পরেরটা আরও ভালো হতেও পারে।

লক্ষ করুন, দুটি প্রতিক্রিয়াই কিন্তু একই ঘটনার প্রতি আপনার নিজস্ব ভাবনা এবং দুটি কিন্তু বাস্তবসম্মত। তাই আপনি হুট করে যদি দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়া বাদ দিয়ে যদি প্রথম ধারণা নিয়ে বসে থাকেন, তাহলে আপনি খুশি থাকতে পারবেন না।

 কলি 

মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
মধুমতি ব্যাংকে কাজের সুযোগ
মধুমতি ব্যাংক পিএলসিতে ‘অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ। ছবি: সংগৃহীত

মধুমতি ব্যাংক পিএলসিতে ‘অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অনভিজ্ঞদের আবেদনের প্রয়োজন নেই। আর চাকরিজীবনে বিরতি থাকলে অফিসার পদে আবেদন করা যাবে না। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: মধুমতি ব্যাংক পিএলসি
বিভাগের নাম: ট্রেড সার্ভিসেস (ইও-এফএভিপি)
পদের নাম: অফিসার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস হতে হবে। তবে একাডেমিক ক্যারিয়ারে তৃতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না অফিসার পদের জন্য।
অভিজ্ঞতা: ৪ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে বেতন নির্ধারণ করা হবে।
আবেদনের বয়স: সর্বনিম্ন ২৮ বছর।
কর্মস্থল: অফিসার পদে চাকরি পেলে পদায়ন দেশের যেকোনো এলাকার ব্যাংকের শাখায়।

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা Modhumoti Bank PLC-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের জন্য https://career.modhumotibank.net/JobCircular/JobDetails?jobId=rCHpZlWht0WADd6qe0fvcw== ভিজিট করুন।

 কলি

টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ
ছবি: সংগৃহীত

টেন মিনিট স্কুল নিয়োগ https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1292633&ln=1 বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ‘কনটেন্ট ডেভেলপার’ পদে নিয়োগে দিতে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ১ অক্টোবর। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি এবং দুপুরের খাবার সুবিধাসহ প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালা অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: মাসে ২৫০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা।
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন, দুপুরের খাবার সুবিধা (আংশিক ভর্তুকি);
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাংলা বা ইংরেজি অথবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে বিএ বা বিএড ডিগ্রি থাকতে হবে;
অন্যান্য যোগ্যতা: বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতে দক্ষতা, ব্যাকরণ ও বানানে স্পষ্ট ধারণা, ইউনিকোড বাংলায় দ্রুত ও নির্ভুলভাবে টাইপিং এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ধারণা থাকতে হবে।

আবেদন যেভাবে: 

আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পদ্ধতি ও আবেদনের বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন এখানে https://jobs.bdjobs.com/jobdetails.asp?id=1292633&ln=1

 কলি 

কনস্টেবল পদে নিয়োগ, জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
কনস্টেবল পদে নিয়োগ, জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসিতে জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন করা যাবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে। আবেদনের জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য বিদ্যমান কোটা অনুসৃত হবে।

শারীরিক যোগ্যতা
মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।

মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।

যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের http://police.teletalk.com.bd/trc/admitcard/index.php এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণের সহায়ক হিসেবে ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবেদন ফি
আবেদন ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। ওই ইউজার আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা
১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

বেপজায় নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ পদ ৪৮

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
বেপজায় নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ পদ ৪৮
বেপজায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠান চারটি পদে ৪৮ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

১. পদের নাম: নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৩টি
গ্রেড: ৯
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিসহ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার/সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার/ওয়ারেন্ট অফিসার অথবা বিমান ও নৌবাহিনীর সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা। তবে কোনো প্রার্থীর শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকলে তিনি আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৫০ বছর

২. পদের নাম: সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৬টি
গ্রেড: ১০
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি পাসসহ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট অথবা বিমান ও নৌবাহিনীর সমমর্যাদাসম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৪৭ বছর

৩. পদের নাম: নিরাপত্তা পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ৬টি
গ্রেড: ১৩
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি পাসসহ সশস্ত্র বাহিনীর করপোরাল অথবা সমমর্যাদাসম্পন্ন পদে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
আবেদনের বয়স: সর্বোচ্চ ৪৭ বছর।

৪. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ৩৩টি
গ্রেড: ২০
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা: বেসামরিক প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাস।
অন্যান্য যোগ্যতা: সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সৈনিক বা ল্যান্স করপোরাল বা সমমর্যাদাসম্পন্ন পদে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, ওজন ন্যূনতম ১১০ পাউন্ড বা ৫০ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত ৩২ ইঞ্চি হতে হবে।
আবেদন যেভাবে: পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীকে এই https://bepza.teleltalk.com.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত তথ্য পূরণ সাপেক্ষে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৬ সেপ্টেম্বর আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

চাকরির বিস্তারিত https://www.bepza.gov.bd/public/storage/upload/recruitment/240925034930-9320Security%20Circular.pdf এখানে গেলে দেখতে পাবেন।

 কলি

‘প্রোকাস্টিনেশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
‘প্রোকাস্টিনেশন’ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

অধিক জরুরি কাজ ফেলে অপেক্ষাকৃত কম জরুরি কাজ করার অভ্যাসকে ‘প্রোকাস্টিনেশন’ বলে। প্রোকাস্টিনেশন একটি বাজে অভ্যাস। তবে এটা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। প্রোকাস্টিনেশন থেকে পরিত্রাণের কিছু উপায় সম্পর্কে নিচে বলা হলো-

তালিকা করুন 
কী কী করতে হবে সেটির তালিকা তৈরি করুন। যদি কাজটা বিশাল হয় তাহলে ছোট ছোট ভাগ করুন এবং তার তালিকা তৈরি করুন। একটি কাজ অন্যটির ওপর নির্ভরশীল হলে তার উল্লেখ রাখুন এবং তা ক্রমানুসারে তালিকায় লিখুন।

কাজ শুরু করুন
বেশি চিন্তা করা বন্ধ করুন। আর অপেক্ষা না করে এখনই কাজ করা শুরু করুন। মাঝে মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই কাজ শুরু করতে হতে পারে। কাজ শুরু না করার থেকে একটি বন্ধুর যাত্রা শুরু করাও ভালো।

কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখুন
মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে, এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকুন। নিরিবিলি পরিবেশে কাজ ভালো হয়। তাই কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখার চেষ্টা করুন।

কাজের সময় নির্ধারণ করুন
যেকোনো কাজের একটি সময় নির্ধারণ করুন। হতে পারে সেই নির্ধারিত সময়টি হবে স্বল্প সময়ের। কিন্তু সেই সময় অন্য কাজ না করে, সেই কাজটিই করুন।

পড়ুন
পড়ার অভ্যাস করুন। আপনার কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু একটা পড়ুন। এটা আপনার কাজ বুঝতে এবং কাজ করতে সাহায্য করবে।

হাঁটার অভ্যাস করুন
সম্ভব হলে খোলা বাতাসে একটু হেঁটে আসুন। এটা আপনাকে একটা বিরতি দেবে এবং পুনরায় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহায্য করবে। এটা আপনাকে চিন্তা করার সময়ও দেবে। যদি আপনি একটানা কাজ করতে থাকেন, তবে সম্ভব হলে আধা ঘণ্টা একটু ঘুমান। এতে পুনরায় কাজের গতি এবং কাজের মান ফিরে আসবে।

কাজ করার পদ্ধতি বেছে নিন
সবসময় একই পদ্ধতিতে কাজ করবেন না। কাজ করার ভিন্ন ভিন্ন পন্থা বেছে নিন। একটানা বসে কাজ না করে, কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন। অফিসে টানা না বসে থেকে অফিসের কিচেন এরিয়া বা কফি শপে কিছুটা সময় পার করতে পারেন।

টিভি বন্ধ রাখুন
কাজ করার সময় অবশ্যই টিভি বন্ধ করে রাখুন। সবার প্রথমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করুন। এরপর চাইলে টিভি দেখতে পারেন।

সকালবেলা কাজের সময়
খবরের কাগজ, নিউজ সাইট, ফেসবুক ইত্যাদিতে সময় পার করুন, তবে অবশ্যই তা সকালবেলা না, বিকেল বা সন্ধ্যাবেলায়। কারণ, সকালবেলা কাজের সময়। আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করুন। তারপর অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন।

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে চেষ্টা করুন। কারণ, সকালবেলা কাজ শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর সময়। সকাল সকাল কাজ শুরু করলে কাজে গতি আসে।

হালকা ব্যায়াম করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন। এতে আপনার রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে এবং আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এ ছাড়া কাজ শুরুর আগে, যেমন বাসা থেকে বের হওয়ার আগে গোসল করে নিন। এতে করে আপনার মাঝে ফ্রেশ ফ্রেশ একটা ভাব বজায় থাকবে।

গান শুনতে পারেন
অস্থির লাগলে, হালকা ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনতে পারেন। এটা অস্থিরতা দূর করতে এবং মন চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা সমান কাজ করে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন ধরনের গান আপনার ক্ষেত্রে কাজ করে।

নিজেকে পুরস্কৃত করুন
নিজেকে পুরস্কৃত করুন। যদি আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন, তবে একটা কাজ ভালোভাবে করার পর নিজেকে একটা আইসক্রিম দিন। খুঁজে বের করুন কোন জিনিসটা আপনাকে খুব আনন্দ দেয় এবং পুনরায় শক্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

 কলি