অধিক জরুরি কাজ ফেলে অপেক্ষাকৃত কম জরুরি কাজ করার অভ্যাসকে ‘প্রোকাস্টিনেশন’ বলে। প্রোকাস্টিনেশন একটি বাজে অভ্যাস। তবে এটা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। প্রোকাস্টিনেশন থেকে পরিত্রাণের কিছু উপায় সম্পর্কে নিচে বলা হলো-
তালিকা করুন
কী কী করতে হবে সেটির তালিকা তৈরি করুন। যদি কাজটা বিশাল হয় তাহলে ছোট ছোট ভাগ করুন এবং তার তালিকা তৈরি করুন। একটি কাজ অন্যটির ওপর নির্ভরশীল হলে তার উল্লেখ রাখুন এবং তা ক্রমানুসারে তালিকায় লিখুন।
কাজ শুরু করুন
বেশি চিন্তা করা বন্ধ করুন। আর অপেক্ষা না করে এখনই কাজ করা শুরু করুন। মাঝে মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই কাজ শুরু করতে হতে পারে। কাজ শুরু না করার থেকে একটি বন্ধুর যাত্রা শুরু করাও ভালো।
কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখুন
মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে, এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকুন। নিরিবিলি পরিবেশে কাজ ভালো হয়। তাই কাজের পরিবেশ নিরিবিলি রাখার চেষ্টা করুন।
কাজের সময় নির্ধারণ করুন
যেকোনো কাজের একটি সময় নির্ধারণ করুন। হতে পারে সেই নির্ধারিত সময়টি হবে স্বল্প সময়ের। কিন্তু সেই সময় অন্য কাজ না করে, সেই কাজটিই করুন।
পড়ুন
পড়ার অভ্যাস করুন। আপনার কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু একটা পড়ুন। এটা আপনার কাজ বুঝতে এবং কাজ করতে সাহায্য করবে।
হাঁটার অভ্যাস করুন
সম্ভব হলে খোলা বাতাসে একটু হেঁটে আসুন। এটা আপনাকে একটা বিরতি দেবে এবং পুনরায় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহায্য করবে। এটা আপনাকে চিন্তা করার সময়ও দেবে। যদি আপনি একটানা কাজ করতে থাকেন, তবে সম্ভব হলে আধা ঘণ্টা একটু ঘুমান। এতে পুনরায় কাজের গতি এবং কাজের মান ফিরে আসবে।
কাজ করার পদ্ধতি বেছে নিন
সবসময় একই পদ্ধতিতে কাজ করবেন না। কাজ করার ভিন্ন ভিন্ন পন্থা বেছে নিন। একটানা বসে কাজ না করে, কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন। অফিসে টানা না বসে থেকে অফিসের কিচেন এরিয়া বা কফি শপে কিছুটা সময় পার করতে পারেন।
টিভি বন্ধ রাখুন
কাজ করার সময় অবশ্যই টিভি বন্ধ করে রাখুন। সবার প্রথমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করুন। এরপর চাইলে টিভি দেখতে পারেন।
সকালবেলা কাজের সময়
খবরের কাগজ, নিউজ সাইট, ফেসবুক ইত্যাদিতে সময় পার করুন, তবে অবশ্যই তা সকালবেলা না, বিকেল বা সন্ধ্যাবেলায়। কারণ, সকালবেলা কাজের সময়। আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করুন। তারপর অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে চেষ্টা করুন। কারণ, সকালবেলা কাজ শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর সময়। সকাল সকাল কাজ শুরু করলে কাজে গতি আসে।
হালকা ব্যায়াম করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন। এতে আপনার রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে এবং আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এ ছাড়া কাজ শুরুর আগে, যেমন বাসা থেকে বের হওয়ার আগে গোসল করে নিন। এতে করে আপনার মাঝে ফ্রেশ ফ্রেশ একটা ভাব বজায় থাকবে।
গান শুনতে পারেন
অস্থির লাগলে, হালকা ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনতে পারেন। এটা অস্থিরতা দূর করতে এবং মন চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা সমান কাজ করে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন ধরনের গান আপনার ক্ষেত্রে কাজ করে।
নিজেকে পুরস্কৃত করুন
নিজেকে পুরস্কৃত করুন। যদি আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন, তবে একটা কাজ ভালোভাবে করার পর নিজেকে একটা আইসক্রিম দিন। খুঁজে বের করুন কোন জিনিসটা আপনাকে খুব আনন্দ দেয় এবং পুনরায় শক্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
কলি