ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

সিটি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেন ফ্রেজার পরিশ্রম ও চেষ্টায় উচ্চপদে নারী

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ এএম
আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫১ এএম
পরিশ্রম ও চেষ্টায় উচ্চপদে নারী
জেন ফ্রেজার। ছবি: সংগৃহীত

নারীরা চাইলেই তাদের পরিশ্রম এবং কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সবচেয়ে উঁচু স্থানে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। তেমনি প্রতিষ্ঠিত একজন নারী জেন ফ্রেজার। জেন ফ্রেজার হলেন একজন ব্রিটিশ-আমেরিকান ব্যাংকিং এক্সিকিউটিভ, সিটি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনিই প্রথম নারী যিনি একটি বড় মার্কিন ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জেন ফ্রেজার ১৯৬৭ সালে ১৩ জুলাই স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজের গিয়ারটেন কলেজে পড়াশোনা করেন। অর্থনীতিতে বিএ করার পর তিনি ১৯৮৮ এর জুলাই থেকে ১৯৯০ এর জুলাই পর্যন্ত লন্ডনের গোল্ডম্যান শ্যাক্স-এ একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯৯৪ সালে এমবিএ শেষ করেন। তারপর ১৯৯৪ সালে ফ্রেজার ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানিতে যোগ দেন, আর্থিক পরিষেবা এবং বিশ্ব কৌশলে কাজ করেন। অবশেষে অংশীদারও হন। 

ফ্রেজারকে ২০০৪ সালের জুলাইয়ে সিটি গ্রুপের বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক ব্যাংকিং বিভাগে ক্লায়েন্ট স্ট্র্যাটেজির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। অক্টোবর ২০০৭ সালে তিনি গ্লোবাল হেড অব স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড মার্জারস অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন হিসেবে পদোন্নতি পান। তারপর ২০০৯ সালের জুনে সিটি প্রাইভেট ব্যাংকের সিইও নিযুক্ত হন। তার পদোন্নতির সময় ব্যাংকটির প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বার্ষিক ঘাটতি ছিল। জেন ফ্রেজার এই সমস্যার সমাধান করেন।

তিনি যে পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করেছিলেন তার মধ্যে ছিল ক্লায়েন্টদের সঙ্গে প্রাইভেট ব্যাংকারদের অনুপাত হ্রাস করা, প্রতি ৩০ জন ক্লায়েন্টের জন্য একজন ব্যাংকারের লক্ষ্যমাত্রা এবং বছর শেষে ব্যাংকারদের জন্য কমিশন সরিয়ে দেওয়া। সিটি গ্রুপ দেশব্যাপী বেশ কয়েকটি বন্ধকি অফিস বন্ধ করে দেয় এবং শুধু সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে ১০০০ কর্মী ছাঁটাই করে। 

ফ্রেজার হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ডিনস অ্যাডভাইজারস বোর্ড, স্ট্যানফোর্ড গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড, ইকোনমিক ক্লাব অব নিউইয়র্ক এবং কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনের সদস্য। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টাচ ফাউন্ডেশন বোর্ডের সদস্যও ছিলেন। ২০২৩ সালে ফরচুনের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীদের তালিকায় ফ্রেজার চতুর্থ স্থানে ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে ফ্রেজার বিবাহিত এবং দুই পুত্রের জননী। তার স্বামী আলবার্তো পিয়েড্রা, একজন সাবেক ব্যাংকার এবং কিউবার স্থানীয় বাসিন্দা। এই সংগ্রামী নারী তার সংসার এবং কর্মক্ষেত্র সমান দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন এবং নিজ পরিশ্রম এবং কর্মগুণে সিটিগ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন; যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

জাহ্নবী

বিবিসির বর্ষসেরা ১০০ নারীর তালিকা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
বিবিসির বর্ষসেরা ১০০ নারীর তালিকা
বিবিসির বর্ষসেরা ১০০ নারী। ছবি: বিবিসি

বিবিসির বর্ষসেরা ১০০ নারীর তালিকায় ২০২৪ সালে স্থান পেয়েছেন যারা-

১। শিরীন আবেদ, ফিলিস্তিন (শিশু বিশেষজ্ঞ)
২। হেবেকা আন্দ্রাজি, ব্রাজিল (জিমন্যাস্ট)
৩। সুনিতা উইলিয়ামস, যুক্তরাষ্ট্র (মহাকাশচারী)
৪। জর্জিনা লং, অস্ট্রেলিয়া (মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ)
৫। দিলোরম ইউলদোশেভা, উজবেকিস্তান (বুননশিল্পী এবং ব্যবসায়ী)
৬। শ্যারন ক্লাইনবাম, যুক্তরাষ্ট্র (ইহুদি পণ্ডিত)
৭। নোয়েলা উইয়ালা এনওয়াদেই, ঘানা (আফ্রো-পপ সঙ্গীতশিল্পী)
৮। রিক্তা আক্তার বানু, বাংলাদেশ (নার্স এবং স্কুল প্রতিষ্ঠাতা)
৯। হিন্দা আবদি মোহাম্মদ, সোমালিয়া (সাংবাদিক)
১০। পূজা শর্মা, ভারত (অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনকারী)
১১। ক্রিস্টিনা আসি, লেবানন (ফটোসাংবাদিক)
১২। সিলভানা সান্তোস, ব্রাজিল (জীববিজ্ঞানী)
১৩। ঝানিলসিনজাত তুরগানবায়েভা, কিরগিজস্তান (জাদুঘর পরিচালক)
১৪। লুরদেস বারেতো, ব্রাজিল (যৌনকর্মীদের অধিকার বিষয়ক ক্যাম্পেইনার)
১৫। গার্লিন এম. জোসেফ, হাইতি (অভিবাসন অধিকার কর্মী)
১৬। নাওমি ওয়াতানাবে, জাপান (কমেডিয়ান)
১৭। ইদানিয়া দেল রিও, কিউবা (ফ্যাশন উদ্যোক্তা)
১৮। প্লেসটিয়া আলাকাদ, ফিলিস্তিন (সাংবাদিক ও কবি)
১৯। গ্যাব্রিয়েলা সালাস কাব্রেরা, মেক্সিকো (প্রোগ্রামার এবং ডেটা সায়েন্টিস্ট)
২০। রে, যুক্তরাজ্য (সংগীত শিল্পী)
২১। কিম ইয়েজি, দক্ষিণ কোরিয়া (অলিম্পিক শ্যুটার)
২২। মারিয়া তেরেসা হর্টা, পর্তুগাল (কবি)
২৩। হানা রাউহিতি মাইপি ক্লার্ক, নিউজিল্যান্ড (রাজনীতিবিদ)
২৪। ড্যানিয়েল ক্যান্টর, ইসরায়েল/ফিলিস্তিন (সাংস্কৃতিক কর্মী)
২৫। ইলাহা সরুর, আফগানিস্তান (গায়িকা এবং সুরকার)
২৬। নাদিয়া মুরাদ, ইরাক (নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী)
২৭। সারা বারকাই, যুক্তরাজ্য/ইরিত্রিয়া (ডিআইওয়াই বিজ্ঞান সামগ্রী নির্মাতা)
২৮। ক্যাথরিন মার্টিনেজ, ভেনেজুয়েলা (মানবাধিকার আইনজীবী)
২৯। সিলসিলা আচার্য, নেপাল (টেকসই পরিবেশ উদ্যোক্তা)
৩০। জাকিয়া খুদাদাদি, আফগানিস্তান (তায়কোয়ান্দো প্যারালিম্পিয়ান)
৩১। ঝিয়াং জেং, চিলি (টেবিল টেনিস খেলোয়াড়)
৩২। হামিদা আমান, আফগানিস্তান (শিক্ষা ও যোগাযোগ মাধ্যম উদ্যোক্তা)
৩৩। শুয়ান ফুং, ভিয়েতনাম (চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক, গ্যালারি মালিক)
৩৪। স্বেতলানা আনোখিনা, রাশিয়া (মানবাধিকার কর্মী)
৩৫। ইয়াসমিন মজাল্লি, ফিলিস্তিন (ডিজাইনার)
৩৬। জিসেল পেলিকট, ফ্রান্স (ধর্ষণের পরিস্থিতি পার করে আসা ক্যাম্পেইনার)
৩৭। ট্রেসি এমেন, যুক্তরাজ্য (শিল্পী)
৩৮। শ্যারন স্টোন, যুক্তরাষ্ট্র (অভিনেত্রী)
৩৯। ক্রিস্টিনা রিভেরা গারজা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র (লেখক)
৪০। সুবিন পার্ক, দক্ষিণ কোরিয়া (প্রতিষ্ঠাতা, স্টেয়ার ক্রাশার ক্লাব)
৪১। কাটালিন কারিকো, হাঙ্গেরি (বায়োকেমিস্ট এবং নোবেল পুরস্কারজয়ী)
৪২। বিনেশ ফোগাট, ভারত (কুস্তিগীর)
৪৩। অ্যানি সিনান্দুকু মওয়াঙ্গে, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (খনি শ্রমিক)
৪৪। রক্সি মারে, যুক্তরাজ্য (প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মী)
৪৫। শাহরনুশ পারসিপুর, ইরান/যুক্তরাষ্ট্র (লেখক ও অনুবাদক)
৪৬। লিন্ডা ড্রোফন গুনার্সডটির, আইসল্যান্ড (নারী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক)
৪৭। সু মিন, চীন (রোড ট্রিপার ও ইনফ্লুয়েন্সার)
৪৮। লিলিয়া চানিশেভা (রাশিয়া রাজনৈতিক কর্মী এবং সাবেক বন্দি)
৪৯। ব্রিজিট ব্যাপটিস্টে, কলম্বিয়া (ইকোলজিস্ট)
৫০। ওলগা রুদনিভা, ইউক্রেন (প্রতিষ্ঠাতা, সুপারহিউম্যানস সেন্টার)
৫১। রোজমারি উইডলার-ওয়াল্টি, সুইজারল্যান্ড (শিক্ষক এবং জলবায়ু কর্মী)
৫২। গ্যাবি মোরেনো, গুয়াতেমালা (মিউজিশিয়ান)
৫৩। ম্যাডিসন টেভলিন, কানাডা (টক-শো হোস্ট এবং মডেল)
৫৪। হারবিয়া আল হিমিয়ারি, ইয়েমেন (ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রকৌশলী)
৫৫। মাহেদার হাইলেসেলাসি, ইথিওপিয়া (ফটোগ্রাফার)
৫৬। মার্গারিটা ব্যারিয়েন্টোস, আর্জেন্টিনা (সুপ কিচেন প্রতিষ্ঠাতা)
৫৭। ফেং ইউয়ান, চীন (নারীর অধিকার আন্দোলনকর্মী)
৫৮। ওলগা ওলেফিরেঙ্কো, ইউক্রেন (কৃষক)
৫৯। সাফা আলী, সুদান (প্রসূতিবিদ ও গাইনোকলজি বিশেষজ্ঞ)
৬০। নাওমি চান্ডা, জাম্বিয়া (কৃষক এবং প্রশিক্ষক)
৬১। ক্লোয়ি ঝাও, যুক্তরাজ্য (চলচ্চিত্র পরিচালক)
৬২। আনাত হফম্যান, ইসরায়েল (ধর্মীয় আন্দোলনকারী)
৬৩। অ্যালিসন ফেলিক্স, যুক্তরাষ্ট্র (অ্যাথলেট)
৬৪। লেসলি লোকো, ঘানা/যুক্তরাজ্য (স্থপতি)
৬৫। ট্রেসি অটো, যুক্তরাষ্ট্র (তীরন্দাজ)
৬৬। ফিরদা মারসিয়া কুরনিয়া, ইন্দোনেশিয়া (হেভি মেটাল ব্যান্ড সংগীতশিল্পী)
৬৭। হেলেন মলিনিউ, যুক্তরাজ্য (সহ-প্রতিষ্ঠাতা, মনুমেন্টাল ওয়েলশ উইমেন)
৬৮। কেমি ব্যাডেনক, যুক্তরাজ্য (কনজারভেটিভ পার্টির নেতা)
৬৯। ওলিভিয়া ম্যাক'ভে, যুক্তরাজ্য (মেকআপ আর্টিস্ট)
৭০। হাদিকা কিয়ানি, পাকিস্তান (সংগীতশিল্পী ও গীতিকার)
৭১। আডেনিকে টিটিলোপে ওলাদোসু, নাইজেরিয়া (জলবায়ু আইনজীবী)
৭২। ইউজেনিয়া বোনেত্তি, ইতালি (নান)
৭৩। জোয়ান চেলিমো মেলি, কেনিয়া/রোমানিয়া (দূরপাল্লার দৌড়বিদ)
৭৪। হেন্ড সাবরি, তিউনিসিয়া (অভিনেত্রী)
৭৫। সাশা লুকিওনি, কানাডা (কম্পিউটার সাইন্টিস্ট)
৭৬। আমান্ডা জুরাওস্কি, যুক্তরাষ্ট্র (প্রজনন অধিকার আইনজীবী)
৭৭। জোয়ানা বাহামন, কলোম্বিয়া (সমাজকর্মী)
৭৮। শিন ডেইউ, মায়ানমার (চলচ্চিত্র নির্মাতা)
৭৯। নূর ইমাম, মিশর (ফেম-টেক উদ্যোক্তা)
৮০। হালা আলকারিব, সুদান (যুদ্ধে যৌন সহিংসতা বিষয়ক অ্যাক্টিভিস্ট)
৮১। হুয়াং জি, তাইওয়ান (রাজনীতিবিদ)
৮২। এনাস আল-গুল, ফিলিস্তিন (কৃষি প্রকৌশলী)
৮৩। সুসান কলিন্স, যুক্তরাষ্ট্র (সিনেটর)
৮৪। সামিয়া, সিরিয়া (মনোবিজ্ঞানী)
৮৫। রোসা ভাসকেজ এসপিনোজা, পেরু (রাসায়নিক জীববিজ্ঞানী)
৮৬। ফাওজিয়া আল-ওতাইবি, সৌদি আরব/যুক্তরাজ্য (নারীর অধিকার কর্মী)
৮৭। কাশা জ্যাকুলিন নাবাগেসেরা, উগান্ডা (বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির প্রচারক)
৮৮। ইউমি সুজুকি, জাপান (জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণের মামলায় বাদী)
৮৯। স্নেহা রেভানুর, যুক্তরাষ্ট্র (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ)
৯০। নেজলা ইশিক, তুরস্ক (গ্রামপ্রধান এবং বন রক্ষার কর্মী)
৯১। ঝিনা মোদারেস গোরজি, ইরান (নারী অধিকার কর্মী)
৯২। এইনাভ জাংগাউকের, ইসরায়েল (বন্দি মুক্তি ক্যাম্পেইনার)
৯৩। রুথ লোপেজ, আমেরিকা (আইনজীবী)
৯৪। লাতিশা ম্যাকক্রুডেন, আয়ারল্যান্ড (আইরিশ ভ্রমণকারী আন্দোলনের কর্মী)
৯৫। অ্যাঞ্জেলা রেনার, যুক্তরাজ্য (উপ-প্রধানমন্ত্রী)
৯৬। মাহরাং বালোচ, পাকিস্তান (চিকিৎসক এবং রাজনৈতিক কর্মী)
৯৭। অ্যান চুমাপর্ন (ওয়াদ্দাও), থাইল্যান্ড (এলজিবিটিকিউ অধিকার কর্মী)
৯৮। কাউনা মালগউই, নাইজেরিয়া (কনটেন্ট মডারেটরদের ইউনিয়নের নেতা)
৯৯। অরুণা রায়, ভারত (সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট)
১০০। ইনা মোজা, মালি (শিল্পী এবং জলবায়ু কর্মী)

জাহ্নবী

বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম শীর্ষ নির্বাহী হুমায়রা আজম

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম শীর্ষ নির্বাহী হুমায়রা আজম
হুমায়রা আজম। ছবি: সংগৃহীত

হুমায়রা আজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন, যিনি ১৯৯০ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে একজন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসাবে তার ব্যাঙ্কিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এর আগে বিভিন্ন দেশী এবং বিদেশী ব্যাংক এবং নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) তিনি কাজ করেছেন। এবার হতে যাচ্ছেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম নারী শীর্ষ নির্বাহী। এর আগে কয়েকজন নারী ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনিই হতে যাচ্ছেন প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

২০০৯ সালে তিনি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হন, যখন এনবিএফআই প্রচুর পরিমাণে খেলাপি ঋণের কারণে সংকটে পড়েছিল। তিনি এনবিএফআইকে সেই সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ২০১২ সালে ব্যাংক এশিয়াতেও যোগদান করেছিলেন। ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি এইচএসবিসি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সহ আরও কিছু ব্যাঙ্কেও কাজ করেছেন।

২০১৮ সালে ট্রাস্ট ব্যাংক তাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় এবং তিনি বর্তমানে ঋণদাতার একজন ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাহ্নবী

৬ বীরকন্যার গল্প

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
৬ বীরকন্যার গল্প
(বাঁ থেকে) মোছা. এলেজান (এলিজান নেছা), মোছা. দোলজান নেছা, মোছা. মাছুদা (মাসুদা খাতুন), মোছা. মোমেনা খাতুন, রাবেয়া খাতুন ও মজিরন নেছা। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শুধু যে পুরুষরাই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন, তা নয়। বরং অনেক নারীও সেই যুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন। কিছুসংখ্যক নারী যুদ্ধ করেছিলেন অস্ত্র দিয়ে, কেউ শত্রুপক্ষের আস্তানায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে তা সরবরাহ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে, কেউ নিজের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন, পরম স্নেহে তাদের পাতে তুলে দিয়েছেন খাবার, কেউ আবার অত্যাচার সহ্য করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে। কুষ্টিয়ার এমনই ছয়জন বীরকন্যা সম্পর্কে লিখেছেন মোহনা জাহ্নবী

বীরকন্যা মজিরন নেছা

মজিরন নেছার আবাস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নাতুড়িয়া গ্রামে। তিনি নিজ জেলাতেই যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের প্রয়োজনে কখনো ধরেছেন ছদ্মবেশ, সংগ্রহ করেছেন শত্রুপক্ষের গোপন খবর। কখনো আবার সময়ের প্রয়োজনে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন হাতে। যুদ্ধ জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন, সব আত্মত্যাগকে তখন সার্থক মনে হয়েছে। যুদ্ধের অনেক বছর পর বীরকন্যা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আরও সম্মানিত বোধ করেছেন বীরকন্যা মজিরন নেছা।

বীরকন্যা রাবেয়া খাতুন

রাবেয়া খাতুনের জন্ম কুষ্টিয়ার করিমপুরে। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলা গ্রামে বসবাস করেন। যখন দেশজুড়ে যুদ্ধের দামামা বাজছে, তখন তিনি নববধূ, বয়স মাত্র ১৬ বছর। ওইটুকু বয়সেই তাকে দেখতে হয়েছিল জীবনের সবচেয়ে নির্মম রূপ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে ভয়ানকভাবে নির্যাতন করেছিল। যখন যুদ্ধের তাণ্ডবে আর ভয়ে তার এলাকার সব নারী পালিয়ে গিয়েছিলেন, তার স্বামী তাকে যেতে দেননি। বলেছিলেন, ‘তুই চলে গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাত রান্না করবে কে?’ আজ তার স্বামী নেই, স্বামীর ছোট্ট ভিটেতেই বসবাস করেন রাবেয়া। তার আফসোস, তার স্বামী আজও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি, যদিও তিনি বীরকন্যা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন অনেক পরে।

বীরকন্যা মোছা. মোমেনা খাতুন

কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোমেনা খাতুন। ১৯৭০ সালে যখন তার বয়স মাত্র ১৩ বছর, তখন তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর তারপরের বছরেই তো দেশজুড়ে যুদ্ধ লেগে গেল। যুদ্ধের সময় মোমেনা খাতুন যখন মা-বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, তখন তাদের গ্রামে একদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢুকে পড়ে। যে যার মতো জীবন নিয়ে পালাতে থাকে। তার ছোট বোনও পালিয়ে যান। কিন্তু তিনি থেকে যান তার মা-বাবার সঙ্গে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তার মা-বাবাকে উঠানে দাঁড় করিয়ে রেখে কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাকে বীরকন্যা নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বীরকন্যা মোছা. দোলজান নেছা

দোলজান নেছার জন্ম কুমারখালী উপজেলার এলঙ্গীপাড়া গ্রামে। দেশে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন তার কোলে তিন মাসের এক কন্যা। যেদিন তার শ্বশুরবাড়ির গ্রামে পাকিস্তানি সেনা আসে, সবাই রুদ্ধশ্বাসে পালাতে থাকে। কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি, তার আগেই পাকিস্তানি সেনারা তাদের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে। একপর্যায়ে তিনি বুদ্ধি করে দৌড়ে পালিয়ে যেতেও শুরু করেছিলেন, কিন্তু কোলে সন্তান থাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দৌড়ে পারেননি। তারা তাকে ধরে ফেলেছিল। সন্তানসহ মাটিতে ফেলে দিয়েছিল তাকে। তারা রাজাকারের মাধ্যমে জেনে গিয়েছিল, তার স্বামীর সঙ্গে মুক্তিফৌজের যোগাযোগ আছে। তাই স্বামীর সামনেই তাকে করেছিল পৈশাচিক ধর্ষণ। বেয়োনেট দিয়ে বাঁ স্তন খুঁচিয়ে অসহ্য যন্ত্রণা দিয়েছিল। তার শাশুড়ি আর স্বামীকেও খুব মেরেছিল। এসব কথা সন্তানদের কাছে দীর্ঘজীবন গোপনই রেখেছিলেন দোলজান নেছা। পরবর্তী সময়ে তারা সব জানতে পেরেছেন।

বীরকন্যা মোছা. এলেজান (এলিজান নেছা)

কুমারখালী উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের বাসিন্দা এলিজান নেছা। যুদ্ধের সময় তিনিও ছিলেন নববধূ। চোখে অনেক স্বপ্ন। কিন্তু যুদ্ধের কবলে সব স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ে গেল তার। এলিজান নেছার স্বামী পদ্মা নদীতে মাছ ধরতেন। তার নৌকাতে মুক্তিযোদ্ধারা যাতায়াত করতেন, থাকতেনও। এমনকি তাদের বাড়িতেও আসতেন। সে খবর জেনে তাদের বাড়িতে ১৫-২০ জন পাকিস্তানি সেনা এসে হামলা করে। এলিজান নেছা এক বাড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু তাকে সেখান থেকেই ধরে আনা হয় এবং অনেকে মিলে ধর্ষণ করে। এসব নিয়েই কষ্টেসৃষ্টে জীবন কেটে যাচ্ছিল তাদের। কিন্তু ১৯৯২ সালে যখন তাকে গণ-আদালতে সাক্ষ্য দিতে নিয়ে যাওয়া হলো, তারপর থেকে তাদের জীবন আরও বিভীষিকাময় হয়ে যায়। সমাজ তাদের কটু কথা শোনায়, বাঁকা চোখে দেখে, কাজের সুযোগ দেয় না। যারা দেশের জন্য এত ত্যাগ করল, তাদের জীবনেরই এমন করুণ পরিণতি।

বীরকন্যা মোছা. মাছুদা (মাসুদা খাতুন)

কুমারখালী উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের আরও এক বীরকন্যার নাম মাসুদা খাতুন। যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১৮-১৯ বছর। বিয়ে হয়েছিল তারও প্রায় বছর দশেক আগে। তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতেন। একাত্তরে একদিন তাদের বাড়িতে দুজন পাকিস্তানি সেনা আসে। তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে গিয়ে একজনের পর একজন ধর্ষণ করতে থাকে। বিছানায় তখন তার ছোট ছেলেকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল।  পাকিস্তানি সেনারা তার সেই ছোট্ট শিশুকে তুলে নিয়ে কাছের এক ডোবায় ফেলে দেয়। ধর্ষণের পর মাসুদা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন শরীরজুড়ে প্রচণ্ড ব্যথায় ঠিকমতো হাঁটতে পারেননি, খেতে পারেননি। অভাব-অনটনের জীবনে নিতে পারেননি চিকিৎসাও। পরবর্তী সময়ে শরীরের এই দুর্দশা তাকে বহুকাল বয়ে বেড়াতে হয়েছে। তার সঙ্গে এমন নোংরা ঘটনা ঘটে যাওয়াতে স্বামী তাকে প্রথম প্রথম মেনে নিতে পারেননি। পরে মেনে নিয়েছেন আবার, অথবা মানিয়ে নিয়েছেন। রাজাকাররা লুট করেছে তাদের সোনাদানা, টাকা-পয়সার সামান্য সঞ্চয় যা ছিল। এমনকি দুটি গরু ছিল তাদের, সেসবও নিয়ে গেছে।

যুদ্ধ-পরবর্তী জীবনেও তারা ভালো থাকতে পারেননি। তার সন্তানদের মানুষ ‘মিলিটারির ছাওয়াল’ বলে উপহাস করে। ১৯৯২ সালে গণ-আদালতে সাক্ষ্য দিতে এলে আরও অনেক মানুষ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা জানতে পারেন। ফলে জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন তাদের একঘরে করে রাখা হয়। তার ছেলেদের কাজ থেকে বের করে দেয় লোকজন। তাদের কেউ কাজ দেয় না। তাদের জীবনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার কথা তার সন্তানরা কেউ জানত না। কিন্তু গণ-আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার পর তারাও জেনে গেছে। এই জানাটা তাদের কাছে ছিল অসম্মানের। 

কৃতজ্ঞতা স্বীকার
বই: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কুষ্টিয়া গৌরবের ৫০ বছর
লেখক: ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন এবং 
ড. সারিয়া সুলতানা

জাহ্নবী

 

উদ্যোক্তা জীবনে ঝুঁকি থাকলেও আমিই আমার বস: জারিন সালসাবিল সামিহা

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
উদ্যোক্তা জীবনে ঝুঁকি থাকলেও আমিই আমার বস: জারিন সালসাবিল সামিহা
জারিন সালসাবিল সামিহা। ছবি: সংগৃহীত

জারিন সালসাবিল সামিহা। বর্তমানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তার অনলাইন পেইজের নাম আহর্সি। খবরের কাগজের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তার উদ্যোক্তা জীবনের গল্প।

আহর্সির শুরুর গল্পটা বলুন। 

ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল দেশের বাইরে বাংলাদেশের পণ্য উপস্থাপন করার। এসএসসি পরীক্ষার দুই মাস আগে আমি ঠিক করি, বিজনেস করব। টিফিন, রিকশা ভাড়া, ঈদের সালামির জমানো টাকা দিয়ে প্রথমে শুরু করি। আমি চাচ্ছিলাম এমন কিছু করতে, বাজারে কারোর কাছে থাকবে না, ইউনিক হবে, আমার নিজস্ব পণ্য হবে। আমার আঁকাআঁকির ও ছবি তোলার গুণকে কাজে লাগিয়ে কাঠের গহনা নিয়ে কাজ শুরু করি। এসএসসি পরীক্ষার পরে পুরোদমে কাজ করি। স্কুলের বান্ধবী ও আপুরা অর্ডার করতেন, প্রশংসা করতেন। ফেসবুক গ্রুপগুলোতে পোস্ট করতাম। এর পর কোভিড মহামারি আসে। আমি তখন পুরো ঘরে বসা। সময় নষ্ট না করে কাঠের গহনা বানানোর কাজেই সম্পূর্ণ সময় দিলাম। সেপ্টেম্বরে প্রথম মালয়েশিয়া থেকে অর্ডার আসে কাঠের কাস্টমাইজড পণ্যের। ডিসেম্বরে এসে আমি আমার ডিজাইন করা শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই ভালো রেসপন্স ছিল। কোয়ালিটির সঙ্গে কখনো আপস করিনি আর দামও রিজনেবল রেখেছি সবসময়।

বর্তমানে কী কী পণ্য নিয়ে কাজ করছেন?

বর্তমানে আহর্সিতে আমার ডিজাইন করা ব্লক ও অ্যামব্রয়ডারির শাড়ি, শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউস পিস, কাঠের গহনা, কামিজ সেট, পাঞ্জাবি, বেবি স্টিচড শাড়ি, ফ্রক ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়া বাচ্চাদের কামিজ কাস্টমাইজড করে নেওয়ারও সুযোগ আছে।

আহর্সি নামকরণের কারণ?

আমি চাচ্ছিলাম একটু ইউনিক নাম দিতে, যার অর্থটাও সুন্দর হবে। আহর্সি অর্থ রাজা। আমি বিশ্বাস করি, একদিন আহর্সি দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডের মধ্যে রাজত্ব করবে।

উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে কোন ব্যাপারটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছিল?

আমি আত্মনির্ভর হতে চাই, নিজে কিছু  করতে চাই- এ থেকে শুরু। আমি ছোট থেকে দেখেছি আমার নানি তার সংসার সামলানোর পাশাপাশি দক্ষতার সঙ্গে শিক্ষকতাও করেছেন। আমার মা-ও সকালে উঠে বাসার কাজ গুছিয়ে চাকরি করতে যেতেন। চাকরি করা আমার পছন্দ নয়। আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করি। উদ্যোক্তা জীবনে ঝুঁকি থাকলেও আমিই আমার বস। এখানে স্বাধীনতা আছে।

পরিবার থেকে সহযোগিতা পেয়েছিলেন?

শুরুতে তারা একদমই বিজনেস করাটা পছন্দ করতেন না। কিন্তু এখন অনেক সাপোর্ট দিচ্ছেন।

এখন কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে থেকে নিয়মিত অর্ডার আসছে। ক্রেতারাও পণ্য পেয়ে সন্তুষ্ট।

আহর্সি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

দেশের বাইরে আরও বিস্তৃত পরিসরে পণ্য বিক্রি করা আর আহর্সির একটি আউটলেট দেওয়া। এর পর আস্তে আস্তে সারা দেশে আহর্সির আউটলেট করা। 

উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিবেশ কতটুকু অনুকূল বলে মনে করেন?

শুরুর দিকে তো সবাই নিরুৎসাহিত করতেন, কটু কথা বলতেন। তাদের নেতিবাচক কথাকে আমি শক্তি হিসেবে নিয়েছি। আজ তারাই আসেন, বিজনেস কীভাবে শুরু করবেন সেই পরামর্শ নিতে। 

যারা নতুন উদ্যোক্তা বা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ইচ্ছুক, তাদের কোনো পরামর্শ দিতে চান?

শুরু করাটাই মূল। তার থেকে কঠিন কাজ হচ্ছে লেগে থাকা। লেগে থাকলে সফলতা আসবে। অনেক চড়াই-উতরাই এলেও হার মানা যাবে না। 

জাহ্নবী

 

ড. ফেরদৌসী কাদরী ভিনফিউচার ২০২৪ স্পেশাল পুরস্কার বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর ঝুলিতে

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
ভিনফিউচার ২০২৪ স্পেশাল পুরস্কার বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর ঝুলিতে
ভিনফিউচার ২০২৪ স্পেশাল পুরস্কার গ্রহণ করছেন ড. ফেরদৌসী কাদরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী; যিনি ২০২১ সালে এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসেসাই পুরস্কার পেয়েছিলেন। এবার তিনি ভিনফিউচার ২০২৪ স্পেশাল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। উন্নয়নশীল দেশের উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। কলেরা, টাইফয়েড এবং হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাসের (এইচপিভি) সুলভ মূল্যের টিকা উদ্ভাবনে অবদান রাখার জন্য আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরীকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

তিনি কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা ও সাশ্রয়ী দামে টিকা সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাবিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের হো গুওম অপেরা হাউসে ভিনফিউচারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি ভিনফিউচার ২০২৪ স্পেশাল পুরস্কার গ্রহণ করেন।

ভিনফিউচার পুরস্কার দুটি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়। একটি গ্র্যান্ড প্রাইজ, আরেকটি স্পেশাল প্রাইজ। এ বছর ভিনফিউচার পুরস্কারের বিষয়বস্তু ছিল রিজিলিয়েন্ট রিবাউন্ড বা অদম্যের ঘুরে দাঁড়ানো। ফেরদৌসী কাদরীর কাজে এ বিষয়টি ফুটে উঠেছে। বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশের প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এ বছর।

পুরস্কার গ্রহণের সময় ফেরদৌসী কাদরী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের উদ্ভাবন বিভাগে ভিনফিউচার পুরস্কার পাওয়ায় আমি গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি। চার দশক ধরে আমি সংক্রামক রোগ, বিশেষ করে কলেরা, টাইফয়েড এবং এইচপিভির টিকা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য সুলভমূল্যে উদ্ভাবনের কাজে মনোনিবেশ করেছি। শিশু ও নারীদের জন্য এটা বিশেষভাবে কাজে লেগেছে।’

১৯৫১ সালের ৩১ মার্চ বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী কাদরী। তিনি তার অবদানের জন্য আরও কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০২ সালে উন্নয়নশীল দেশে সংক্রামক আন্ত্রিক রোগ গবেষণার জন্য ক্রিস্টোফ মেরিএউক্স পুরস্কার পান। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি থেকে গোল্ড মেডেল পান। ২০১৩ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির বার্ষিক সি এন রাও পুরস্কার পান, যেটা নিউ মেক্সিকোর শহর টাওস থেকে দেওয়া হয়। একই বছর তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারও দেওয়া হয়। তার বৈজ্ঞানিক সাফল্য বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য যেমন উপকারের, তেমনি গর্বের।

জাহ্নবী

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });