
জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। যা নিয়ে বইপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। বিশেষ করে লেখকদের কাছে সেই আগ্রহের মাত্রা আরও বেশি। এবারের বইমেলায় তেমনই কয়েকজন লেখককে নিয়ে এক আনন্দ আড্ডার আয়োজন করে খবরের কাগজ-এর নারী পাতা ‘মমতাময়ী’। সেই আড্ডায় লেখকদের কথোপকথন তুলে ধরেছেন ফারজানা ফাহমি।
কথাসাহিত্যিক শাহনাজ মুন্নী
একাধারে সাংবাদিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে লেখালেখি করে চলেছেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাসের পাশাপাশি লিখেছেন সংবাদ ও গবেষণা প্রতিবেদন। শাহনাজ মুন্নীর জন্ম ১৯৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের পর পেশা হিসেবে বেছে নেন টেলিভিশন সাংবাদিকতা। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩০। উল্লেখযোগ্য বই হলো- এল করুদ্ধ অন্ধকার, বাদুড় ও ব্র্যান্ডি, তৃতীয় ঘণ্টা পড়ার আগেই, পান সুন্দরী, নির্বাচিত গল্প: আমি আর আমিন যখন আজিমপুরে থাকতাম। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৫-এ কথা প্রকাশ থেকে প্রকাশ হচ্ছে তার গল্পের বই ‘প্রিজন ডিলাক্স ট্যুর’।
বইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রিজম ডিলাক্স ট্যুর’ এবারের বইমেলায় প্রকাশিত আমার গল্পের বই। গত দুই বছরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা গল্পগুলোকে একত্রিত করে নতুন গল্পের বই সংকলন করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন বিষয়ের গল্প আছে যেমন- প্রেমের গল্প, রাজনীতির গল্প, বিদ্রোহের গল্প ইত্যাদি। যদি কোনো পাঠক বইটি পড়েন, তবে ১৭ ধরনের লেখা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
দেওয়ার মতো অনেক পরিচয় থাকলেও সব ছাপিয়ে লেখক শাহনাজ মুন্নী পরিচয়টাই বড় হয়ে উঠল কীভাবে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় আসার আগে থেকেই আমি লিখতাম। লেখাটা আমার জীবনে অন্তঃসলিলার মতো বয়ে গেছে। কষ্ট পেলাম, দুই লাইন লিখলাম; মন ভালো হলো, তখনো দুই লাইন লিখলাম। এক দিন না লিখলে মনে হয় কী যেন করিনি। মনে হয় এই আনন্দ পাওয়ার জন্যই সব যন্ত্রণা বাদ দিয়ে লেখক হয়েছি, লিখছি বা লিখে যাচ্ছি। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটলেও লেখালেখির জন্য আমি শিডিউল করে নিই। যাতে লেখালেখি থেকে কখনো বিরত না থাকি।
তরুণ প্রজন্মের লেখকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সমাজকে বুঝতে হবে, রাজনৈতিক বাস্তবতাকে বোঝা, মানুষের মনকে বোঝা এবং ভাষার যে একটা ধারাবাহিকতা আছে তা মেনে চলতে হবে। সঠিক বাক্য লিখা, শব্দ চয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে একজন তরুণ লেখক ভালো লেখক হিসেবে গড়ে উঠবে।
থ্রিলার লেখক ডা. মালিহা তাবাসসুম
তৃতীয় শ্রেণি থেকে তার লেখালেখি শুরু। ছোটবেলা থেকেই ভারী ভারী শব্দের প্রতি আকর্ষণ ছিল তার। বাংলা সাহিত্যের অনেক রাশভারী সাহিত্যিকের বই ছোটবেলা থেকে পড়তেন তিনি। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় একটা গোয়েন্দাধর্মী নাটক দেখে এই জনরার প্রতি অদম্য আকর্ষণ জন্মায়। থ্রিলার পড়ার শুরুও সেখান থেকে। ফেলুদা, ব্যোমকেশ হয়ে শার্লক, অগাথা ক্রিস্টি, সঙ্গে প্যারালালি ডিরেকশনের প্রতিও আকর্ষণ।
বইমেলায় প্রথম বই পাবলিশ করা হয় ২০১৯ সাল থেকে। প্রথম বই ছিল স্পাই থ্রিলার বৃত্তবন্দি। এটি পাঠকপ্রিয়তা পায়। ২০২০ সালে ভিন্নধর্মী পুরুষ দেহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে ‘জিগোলো’ নামে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বের হয়। এটি বইমেলার একুশে সংকলনে সেরা ১০ বইয়ের একটি হিসেবে মর্যাদা পায়।
২০২১-এ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ফরেনসিক এক্সামাইনার চরিত্র ‘আবরার ফাহাদ’কে ইন্ট্রোডিউস করা হয় ‘ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স’ নামের মেডিকেল থ্রিলার দিয়ে। ২০২১ এ রকমারি বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। এরপর ২০২২ সালে মেডিকেল এক্সামাইনার আবরার ফাহাদ সিরিজের দ্বিতীয় বই ‘অ্যাকিলিসের টেন্ডন’ আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করে। থ্রিলার এবং সেরা ফিকশন দুই ক্যাটাগরিতেই সেরা বই হয়।
এ বছর ২০২৫ সালে তার ষষ্ঠ একক বই এবং ক্রিমিনাল সাইকিয়াট্রি সিরিজের দ্বিতীয় নন-ফিকশনাল প্রকাশিত হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে অনন্যা প্রকাশনী, প্যাভিলিয়ন-২৭-এ।
তিনি একজন চিকিৎসক। শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সাইকিয়াট্রি বিষয়ে বিদেশের উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবারের মেলায় যে বই বের হয়েছে সেটা ক্রিমিনাল সাইকিয়াট্রি সিরিজের দ্বিতীয় বই এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে দারুণ প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচার এবং তারই মতো পৃথিবীর ইতিহাসের বিভিন্ন স্বৈরাচারের মনোজগতে কী চলে, একজন চিকিৎসক হিসেবে সেই মনোবিশ্লেষণ সহজ উপায়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ২০২৫ সালে প্রকাশ পাওয়া তার নতুন বই- ‘মনোবিশ্লেষণ: সমান্তরালে স্বৈরশাসক এবং স্যাডিজম-এ’।
ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড কল্পনাবিলাসী। এমন সব ফ্যান্টাসি তার মাথায় ঘুরত, যা যেকোনো মানুষের পক্ষে হজম করা বেশ কষ্টসাধ্য। বড় হতে হতে গোয়েন্দা কাহিনি, বিশেষত স্পাইবিষয়ক গোয়েন্দা কাহিনি হতে পারে নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা সাহিত্য সবকিছু নিয়ে অবসেশন কাজ করত। সিডনি শেলডনের নারী চরিত্রগুলো অসম্ভব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এই চরিত্রগুলোর মাঝে তিনি নিজেকে খুঁজে পেতেন। লেখালেখির অন্যতম অনুপ্রেরণা এই নারী চরিত্রগুলো। নাথিং লাস্টস ফরএভার মেডিকেল থ্রিলার পড়ার পর দীর্ঘদিন ঘোর থেকে বের হতে পারিনি। এ ছাড়া ছোটবেলায় একটা বাংলা থ্রিলার নাটকও তার গল্প লেখা ও নির্দেশনার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির আরেক অনুপ্রেরণা।
সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা পরিবার। জীবনে কোনো প্রকার বাধার মুখোমুখি না হয়ে, আর্থিক কষ্টের সম্মুখীন না হয়ে কেবল নিজের পড়াশোনা আর স্বপ্ন পূরণের পেছনে ছুটতে পেরেছেন।
কবি আতিকা রহমান
আতিকা রহমানের জন্ম ১৯৮৯ সালের ৪ আগস্ট নাটোর জেলায়। অর্থনীতিতে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন। এবারের বইমেলায় তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সংলাপহীন শূন্যতা’। পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছে। লেখার পাশাপাশি গল্প ও সমসাময়িক বিষয় প্রবন্ধ লিখেন। একজন শিশু অধিকারকর্মী। কাজ করেন নারী ও শিশু অধিকার, তৃতীয় লিঙ্গ, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য। লেখালেখির শুরুটা শৈশবকাল থেকে। সংস্কৃতি জগতে রয়েছে বিচরণ। লেখক হিসেবে কাজ করেছেন জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ১২৩ সিসিমপুরে।
ক্লাস থ্রিতে যখন পড়েন তখন তিনি প্রথম কবিতা লিখেন। সেটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। ছোটবেলা থেকেই নাটোরের স্থানীয় পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন ও জাতীয় দৈনিকে কবিতা লিখেছেন তিনি। অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর সাংবাদিকতা পেশায় যোগদান করেন।
বই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংলাপহীন শূন্যতা কাব্যগ্রন্থে বেশির ভাগ কবিতাগুলো লেখা হয়েছে প্রেম, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা, একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও প্রকৃতি নিয়ে। কবিতায় প্রকৃতি ও প্রেমের দারুণ রসায়ন প্রকাশ পেয়েছে। আমার কিছু কবিতা আছে প্রকৃতির প্রেম বন্দনা। কিছু আছে মানুষের প্রেম নিয়ে। কিছু কবিতায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ঘৃণার অভিব্যক্তি। কবিতাগুলো আধুনিক সময়ের প্রতিচ্ছবি। বনলতা প্রেম ছায়াবাজির কারসাজিতে ফিনিক্স পাখির মতো কূল হারিয়েছে। কৃষ্ণগহ্বরে ডুবে গেছে। বইয়ের কবিতায় প্রকটভাবে ওঠে এসেছে যুগ্মতার ভাষা। আমি ভীষণ পছন্দ করি নিসর্গ, নিস্তব্ধতা ও নিঃসঙ্গতা নিয়ে ভাবতে। দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কবিতার পঙ্ক্তি মালা প্লাবনের জলধারা সঞ্চয় করে ছুটে গেছে পলিজ মোহনায়। নিস্তব্ধতা ও শূন্যতায় প্রশান্তি খুঁজে ফিরেছে।
লেখালেখি আমার পেশা নয়। আমার মূল পেশা সাংবাদিকতা। লেখালেখি আমার নেশা। আমার চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ। কবিতার পাশাপাশি আমি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখি, কারণ আমার ভেতরের যে বোধ-চিন্তা কাজ করে তা প্রকাশ করতে চাই। আমার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন।
লেখক হওয়ার পেছনে অনুপ্রেরণা কে ছিলেন এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার পছন্দের লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, জীবনানন্দ দাশ ও হুমায়ুন আহমেদ। তাদের লেখা পড়ে লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি এবং মনের মধ্যে লেখক হওয়ার স্পৃহা, ইচ্ছা তৈরি করেছি।
শিশু সাহিত্যিক সারমিন ইসলাম রত্না
শিশু সাহিত্যিক সারমিন ইসলাম রত্না জন্মগ্রহণ করেছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায়। পড়াশোনা করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে। ছোটবেলা থেকে তার পেশা ও নেশা লেখালেখি। তিনি ২০০৩ সাল থেকে সাহিত্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বহু প্রতিকূলতার মধ্যে তিনি এগিয়ে গেছেন ধৈর্যশক্তি আর আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে।
লেখালেখি শুরুর কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে বই পড়ার অভ্যাস ছিল। সেখান থেকেই লেখালেখির প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠেন। শিশুদের অনেক ভালোবাসেন এবং তাদের নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন। সেখান থেকেই তার শিশু সাহিত্যিক হওয়ার পথচলা শুরু হয়।
তার প্রথম গল্প ২০০৩ সালের ৪ জুলাই ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসরে প্রকাশিত হয়। সরকারি ও বেসরকারি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত তার লেখা প্রকাশিত হয়। ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নয়া দিগন্ত, সমকাল, প্রথম আলো ইত্যাদি। সরকারি পত্রিকা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত মাসিক সংকলন ‘নবারুণ’। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত মাসিক সংকলন ‘শিশু’। তা ছাড়া তিনি একজন বাচিক শিল্পী। রেডিও-টিভি ও বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে শিশু সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি শখের বসে গান লিখেছেন ও সুর করেছেন।
এবারের বইমেলায় তার রংতুলিতে ছুটির দিন প্রকাশিত হয়েছে প্রকাশনী শিশুবেলা থেকে। এ বইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উড়ন্ত-দুরন্ত মনের কিশোর-কিশোরী রিশা, রাফি। ওরা ভাই-বোন। ওরা গাছ লাগাতে পছন্দ করে। আবৃত্তি করতে পছন্দ করে। ওরা বৃষ্টিতে ভিজতে পছন্দ করে। ওরা গ্রামের ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে চায়। কিন্তু বাবা-মা ওদের সব কাজেই বাধা দেন। কখনো কখনো ওরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়। কখনো কখনো বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তকেই ওদের কাছে সঠিক মনে হয়। ওদের জন্য কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ বুঝতে পারে না। এভাবেই এগিয়েছে প্রতিটি গল্প। কিশোর- কিশোরীরা গল্পে গল্পে খুঁজে পাবে ওদের মনের কথা। ওদের আবেগ-অনুভূতি। বাবা-মা গল্পে গল্পে খুঁজে পাবেন তাদের কখন, কী করণীয়।
এ ছাড়া তার প্রকাশিত ভূতের উপহার বইটিও শিশুদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভূতের গল্প মানে ভয়ংকর কিছু, এমন ভাবনাকে পালটে দিয়েছেন তিনি। ভূত কাঁধে ও মাথায় মমতার পরশ বুলিয়ে দেয় এবং ভূত হাতে হাত রাখে। গল্পগুলো ছোটদের আনন্দ দেয় শিক্ষামূলক বার্তা দেয় ‘ভূতের উপহার’ হিসেবে।
তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত বইগুলো হলো- পাথর রাজ্যের রাজকন্যা (শিশু প্রকাশ), সোনার পায়রা (মুক্তধারা), তাহিয়ানের যত মজার কাণ্ড (সাতভাই চম্পা প্রকাশনী), সবুজ বনের খরগোশ (পঙ্খিরাজ), ভূতের উপহার (শিশুগ্রন্থ কুটির), রংতুলিতে ছুটির দিন (শিশুবেলা)।
/ফারজানা ফাহমি